তথাকথিত ‘জামাতে ইসলাম’ আর ‘ইসলামী ব্যাংক’ দু’টোরই ‘ইসলাম’ ব্যবহার বড়ই অনৈসলামী – ২

সংখ্যা: ১৫৪তম সংখ্যা | বিভাগ:

বৃক্ষ তোমার নাম কি? ফলে পরিচয়। কাটাগুল্ম থেকে সুমিষ্ট আম ফল আশা করা অসম্ভব। আর তা প্রচার করাও নিছক বানোয়াট, মনগড়া ও মিথ্যা বটে।

মওদুদীর মনগড়া জামাতে ইসলামী যা ছহীহ ইসলামের সাথে পদে পদে আদর্শিক দ্বন্দ্বের সংঘাতে জর্জরিত, তার প্রভাব বলয়ে তথাকথিত ইসলামী ব্যাংকের কাছ থেকে ইসলামী আচার আশা করা বোকামি ছাড়া আর কিছুই নয়। সুদের বিপরীত লাভ-লসের ভিত্তিতে পরিচালিত দাবীকারী তথাকথিত ইসলামী ব্যাংকই ২০০৪ সালের ৬ জুলাই মুন্সিগঞ্জের মীর কাদিম এলাকার পালন গ্রামের বাসিন্দা হাবিবুর রহমান মোল্লা নামক এক ব্যক্তিকে ঋণখেলাপীর দায়ে জেলে পাঠিয়েছে। উল্লেখ্য, একজন ঋণখেলাপীর জেলে গমনের ঘটনা দেশে এটাই প্রথম।

তথাকথিত ইসলামী ব্যাংক একদিকে বলছে সুদ হারাম, অন্যদিকে সুদই তাদের শ’ শ’ কোটি টাকা মুনাফা অর্জনের প্রধান উৎস। মেয়াদী আমানত সংগ্রহের ক্ষেত্রে আগাম সুদ ঘোষণার মধ্য দিয়ে বিভিন্ন ইসলামী ব্যাংকের এই দ্বিমুখী নীতি পরিষ্কার হয়ে গেছে।

উল্লেখ্য, তথাকথিত সব ইসলামী ব্যাংকগুলোই এখন রাজপথে রীতিমতো ব্যানার ঝুলিয়ে পত্রিকায় চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে গ্রাহক বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে। এর মধ্যে জঙ্গী অর্থ লেনদেনে জরিমানাপ্রাপ্ত ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড অন্যতম। প্রচারে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেছে আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক এবং সোস্যাল ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক। সেবা মাস ঘোষণা করে তারা উচ্চহারে আমানতের অগ্রিম সুদ নির্ধারণ করে গ্রাহক বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে। সংবাদ মাধ্যমে চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে আমানত সংগ্রহের প্রতিযোগিতায় নেমেছে তারা।

অথচ ইসলামের নামে ব্যবসা করে আগাম সুদ নির্ধারণ করে প্রকারান্তরে ধর্মের সঙ্গেই প্রতারণা করছে এসব ইসলামী ব্যাংক। কারণ, শরয়ী ব্যবস্থায় আগাম সুদ নির্ধারণ করার সুযোগ নেই। এই নীতিতে লাভ-লোকসান কিংবা অংশীদারিত্বের নিরিখে আমানত গ্রহণ ও বিনিয়োগ করার কথা। লাভ-লোকসানের ব্যাংকিং হলে ঋণখেলাপী হওয়া এবং প্রচলিত আইনের আওতায় কারও বিরুদ্ধে মামলা করার ধারণা যুক্তিযুক্ত নয়।

উল্লেখ্য, তথাকথিত খতীবও এ প্রসঙ্গে জনকণ্ঠকে জানান, ইসলামী ব্যাংক ব্যবস্থায় সুদ দেয়া এবং নেয়া উভয়ই নাজায়িয। এখন কেউ যদি আগেই সুদের হার নির্ধারণ করে আমানত সংগ্রহ করার চেষ্টা চালায় তাহলে তারা অবশ্যই শরয়ী নীতি উপেক্ষা করছে। (জনকণ্ঠ, ২৫শে এপ্রিল/২০০৬)

মজার কথা হলো, খতীব এ কথা বলে তার স্বভাবসূলভ মুনাফিকী প্রবণতায় পরবর্তীতে তার কথার মোড় ঘোরাতে চেষ্টা করে।

 কিন্তু জনকণ্ঠের পক্ষ থেকে তার বক্তব্যের শক্ত জবাব দেয়া হলে তখন সে চুপ থাকে।

প্রসঙ্গতঃ এখানে প্রতিবেদকের বক্তব্য তুলে ধরা হলোঃ

উবায়দুল হকের উদ্ধৃত্তি দিয়ে জনকণ্ঠে যে বক্তব্য ছাপা হয় তা হচ্ছে, ‘ইসলামী ব্যাংক ব্যবস্থায় সুদ দেয়া এবং নেয়া উভয়ই নাজায়িয। এখন কেউ যদি আগেই সুদের হার নির্ধারণ করে আমানত সংগ্রহ করার চেষ্টা চালায় তাহলে তারা অবশ্যই শরয়ী নীতি উপেক্ষা করছে।’ উবায়দুল হকের পাঠানো লিখিত বক্তব্যের সঙ্গে প্রকাশিত বক্তব্যের কি মিল নেই? পরিপন্থী ‘আর ‘উপেক্ষা’ শব্দের অর্থ কি এক নয়? তাই তাঁর কোন্ কথাটি বিকৃত করা হয়েছে তা বোধগম্য নয়।

আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, সোস্যাল ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক ইতোমধ্যেই ৮ থেকে ১৩ শতাংশ সুদ নির্ধারণ এবং বিভিন্ন মেয়াদী আমানত সংগ্রহের ঘোষণা দিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়েছে। মাওলানা উবায়দুল হক সোস্যাল ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকসহ পাঁচটি ব্যাংকের শরয়ী বোর্ডের চেয়ারম্যান হওয়ার পরও তারা শরয়ী নীতি উপেক্ষা করেই সুদের হার নির্ধারণ করেছে। ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড সুদের হার উল্লেখ না করলেও সেবা মাস ঘোষণা করে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় টাঙানো ব্যানার এবং সংবাদপত্রে প্রকাশিত বিজ্ঞাপনে ‘মুদারাবা মাসিক মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয় কিংবা মুদারাবা আমানত হিসেবে মুনাফা অর্জনের অমিত সম্ভাবনা প্রভৃতি স্কীমের ঘোষণা দিয়েছে। জনকণ্ঠের রিপোর্টে ইসলামী ব্যাংকের এ ধরনের একটি ব্যানারের কথাই উল্লেখ করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, শরয়ী ব্যাংক ব্যবস্থার মূল বৈশিষ্ট্য হচ্ছে লাভ-লোকসানের ব্যাংকিং। এটা শরয়ী ব্যাংক ব্যবস্থায় আগেই নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। নিশ্চিত মুনাফা সুদেরই নামান্তর। নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কাউকে ঋণ দিয়ে নির্ধারিত হারে মুনাফা আদায়কে সুদ বলা হয়। ইসলামী ব্যাংকগুলো পরোক্ষভাবে এই সুদকে লভ্যাংশ কিংবা মুনাফা বলে দাবি করে।” (জনকণ্ঠ, ১ মে- ২০০৬ ঈসায়ী)

মূলতঃ খতীবের উপরোক্ত ধোকাবাজী ও মুনাফিকী দ্বারা প্রতিভাত হয় যে, আসলে ইসলামী ব্যাংক যে ইসলামের নামে সুদী ব্যাংকের চেয়েও বেশী সুদ খাচ্ছে তা তথাকথিত ইসলামী রাজনীতির তল্পীবাহক তথাকথিত মাওলানা, মুফতী, শাইখুল হাদীছ, মুফতী সবারই ভালভাবে জানা। কেবল স্বার্থগত কারণেই তারা বিষয়টি এতদিন চুপিয়ে রেখেছে। কিন্তু সত্যের মুখোমুখি হলে ইসলামী ব্যাংক যে আসলেই সুদের সাথে জড়িত শত-সহস্রভাবে তা প্রকাশ হয়ে পড়বে।

-মুহম্মদ ওয়ালীর্উ রহমান, ঢাকা।

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের  দাঁতভাঙ্গা জবাব- ১৫

 বিৃটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে বিৃটিশ ভূমিকা-১৫ 

কোকাকোলা ও অন্যান্য কোমল পানীয় সম্পর্কে উন্মোচিত সত্য-৩

চাঁদের তারিখ নিয়ে জাহিলী যুগের বদ প্রথার পুনঃপ্রচলন॥ নিশ্চুপ উলামায়ে ‘ছূ’ ঈদ, কুরবানীসহ জামিউল ইবাদত হজ্জও হচ্ছে বরবাদ

শুধু ছবি তোলা নিয়েই বড় ধোঁকা নয়, গণতান্ত্রিক শাসনতন্ত্র চর্চা করে “ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের” নামেও তিনি মহা ধোঁকা দিচ্ছেন