আমাদের দেশে কার্যত ইসলাম না থাকলেও ইসলামী দলের অভাব নেই। আবার ইসলামী দলের সত্যিকার তৎপরতা না থাকলেও ইসলামী আন্দোলনের ইস্যূর অভাব নেই। এবং শুধু স্বদেশেরই নয় আন্তর্জাতিক বিষয়েও তথাকথিত ইসলামী আন্দোলনকারীরা হৈ-চৈ করে থাকেন। যদিওবা তা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হয় নাজায়িয পন্থায়। যেমন, হেবরন হত্যাকান্ড প্রসঙ্গে তারা হেবরনে কিছু করতে না পারলেও নিজেদের দেশে উলামা-মাশায়েখের হরতাল নাম দিয়ে হরতাল করলেন। হেবরনের কোন ক্ষতি করতে না পারলেও স্বদেশে জনগণকে তারা যথেষ্ট ভোগান্তি ও কষ্টের সম্মুখীণ করেছিলেন এবং দেশের আরো তিন’শ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি সাধন করেছিলেন। তবে কথা হচ্ছে, হেবরন হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে তথাকথিত উলামা-মাশায়েখের হরতালের উলামা-মাশায়েখকে এখন হেরিকেন দিয়েও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। হেবরণে যে ইস্যূটি ঘটেছিল, ইরাকেও তার চেয়ে কম কিছু হচ্ছেনা। খ্রীষ্টান আমেরিকা শুধু ইরাক দখল করেই ক্ষ্যন্ত নয় বরং ইরাকিদেরকে ইরাকের মাটিতেই তারা যে জঘন্য কায়দায় যে পৈশাচিক পদ্ধতিতে, যে বীভৎসরূপে নির্যাতন করছে এবং ইসলাম সম্পর্কে মুসলমান বন্দীকে অবমাননাকর উক্তি করতে বাধ্য করেছে; তা জানলে পশুও লজ্জাবোধ করবে। এ সম্পর্কে আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় বিস্তর লেখালিখি হচ্ছে- ওয়াশিংটন, ২মে, রয়টার্সঃ ইরাকী বন্দীরা মার্কিন সৈন্যদের সমকামিতা, নানা রকম বিকৃতকামী আচরণ এবং নিষ্ঠুরতার শিকার হচ্ছে। একটি মার্কিন সেনা রিপোর্টের বরাত দিয়ে নিউইয়র্ক ম্যাগাজিন এ কথা জানায়। ম্যাগাজিনে বলা হয়, তারা ৫৩ পাতার একটি রিপোর্ট পেয়েছে। বাগদাদের বাইরে কুখ্যাত আবু গারিব কারাগারে নির্যাতনের ওপর এটি মার্কিন সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরীণ রিপোর্ট। রিপোর্টটির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ইরাকে শীর্ষ মার্কিন কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট জেনারেল রিকার্ডো সানচেজ। ফেব্রুয়ারিতে এই রিপোর্ট চূড়ান্ত হয়। এপ্রিল থেকে এসব তথ্য প্রকাশ করা হয়। সেনা রিপোর্টে উল্লেখিত নির্যাতনের মধ্যে রয়েছে ইরাকী বন্দীদের ওপর রাসায়নিক ভর্তি লাইট ভেঙ্গে ফেলা এবং তরল ফসফরাস ঢেলে দেয়া। বন্দীদের ঝাড়ুর হাতল ও চেয়ার দিয়ে প্রহার, বলাৎকার, দেয়ালে ঠুকে রক্তাক্ত করার পর মিলিটারি পুলিশ গার্ডকে দিয়ে আঘাত প্রাপ্ত স্থান সেলাই করা ও মলদ্বারে কেমিক্যাল ভর্তি টিউব লাইট এবং ঝাড়ুর হাতল ঢুকিয়ে দেয়া। রিপোর্টটি লিখেছেন মেজর জেনারেল এ্যানিইটনিও টাগুবা। তিনি বলেন, প্রত্যক্ষদর্শীদের বিস্তারিত বিবৃতি এবং আলোকচিত্রসহ নানা ধরনের প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে রিপোর্টটি তৈরি করা হয়েছে। ইরাকী বন্দীদের উপর মার্কিন সেনাবাহিনীর নির্যাতন চালানোর আলোকচিত্র বিশ্বব্যাপী প্রকাশিত ও প্রচারিত হওয়ার পর সেনাবাহিনীর রিপোর্টের খবর প্রকাশিত হয়। ছবিতে দেখা যায়, উলঙ্গ ইরাকী পুরুষ বন্দীদের পিরামিডের ভঙ্গিমায় অথবা একে অপরের সঙ্গে যৌনক্রিয়ার ভঙ্গিমায় থাকতে বাধ্য করা হচ্ছে। অন্যদিকে মার্কিন সৈন্যরা তাদের দেখে হাসছে এবং বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে জয়োল্লাস করছে। সেনা তদন্তকারীদের কাছে দেয়া সাক্ষ্যে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বন্দীদের প্রচণ্ড মারধর করা হতো এবং বালাৎকার করা হতো। এ ছাড়া বৈদ্যুতিক শক এবং কুকুর লেলিয়ে দেয়া হতো। নির্যাতনের বেশীর ভাগই ছিল চরিত্র তথা ইজ্জত হরণ সংক্রান্ত। বন্দীদের উলঙ্গ রাখা হতো। তাদেরকে বিচিত্র প্রক্রিয়ায় অশ্লীল ভঙ্গিমা করতে বলা হতো, এমনকি বন্দীদের বাস্তবেও তাদেরকে নির্যাতনের মুখে জঘন্য অশ্লীল কাজ করতে বাধ্য করা হতো। রিপোর্টে দেখা যায়, এক তরুণ ইরাকি যুদ্ধবন্দীর মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে রেখেছে এক ব্রিটিশ সৈন্য, বন্দীটির গায়ের উপর ইস্তেঞ্জা করে দেয় অপর এক ব্রিটিশ সৈন্য। দেখা যায়, ইরাকের আবু গারিব জেলখানায় ডাণ্ডাবেড়ি পরানো বন্দিদের মেঝেতে শোয়ানো অবস্থায় মার্কিন সৈন্যদের নির্যাতন, ভারি রাইফেল দিয়ে এক বন্দির বিশেষ অঙ্গে আঘাত করছে ব্রিটিশ সেনা। ম্যাগাজিনের এই রিপোর্টের প্রতিবেদক সেমুর এম হার্শ বলেন, এই ধরনের জঘন্য বৃত্তি যে কোন সংস্কৃতির জন্য অত্যন্ত অপমানজনক। বিশেষ করে আরবদের এভাবে অপদস্থ করা অত্যন্ত জঘন্য। কারণ ইসলামী আইন ও সংস্কৃতিতে উলঙ্গ থাকা এবং সমকামিতা অতীব নিন্দনীয়। মূলতঃ সে জঘণ্য কাজে বাধ্য করে এবং অসহায় ইরাকি বন্দীর উপর এরূপ নির্মম নির্যাতন করে আবার তা নিজেরাই ভিডিও করে এবং তা সারাবিশ্বে প্রচার করার পিছনে মূলত মার্কিনীদের বিশেষ উদ্দেশ্য লুকায়িত রয়েছে। এদিকে গত ১৯শে মে ওয়াশিংটন পোষ্ট পত্রিকায় ইরাকে মার্কিনীদের উপর নির্যাতন সম্পর্কে আরো খবর ছাপা হয়- “….মার্কিন সৈন্যরা বাগদাদের আবুগারিব কারাগারে ইরাকি বন্দীদের ইসলাম ধর্মকে নিন্দা করতে বাধ্য করতঃ তাদের জোর করে শূকরের গোশ্ত ও মদ খাওয়াত। তাদের নানাভাবে যৌন নির্যাতন করত। এমনকি মহিলা সৈন্যদের সামনেই তাদের উলঙ্গ করে আপত্তিকর অশ্লীল কর্মে বাধ্য করত। বন্দীদের তারা হামাগুড়ি দিয়ে হাঁটতে এবং কুকুরের মত ডাকতে বলত। এসব নির্দেশ না শুনলে তারা বন্দীদের মুখে ও বুকে নির্দয়ভাবে আঘাত করত। এরপর তাদেরকে কারাকক্ষে নিয়ে গিয়ে কংক্রিটের মেঝেতে পানি ফেলে তার উপর উপুড় করে শুইয়ে রাখা হত। এ সময়ে তাদের মাথা থলের ভিতর ঢুকিয়ে রাখা হত এবং এভাবেই তাদের ঘুমাতে হত। টয়লেটে ফেলে দেয়া খাবার তুলে খেতেও বন্দীদের বাধ্য করত দখলদার বাহিনীর সৈন্যরা। এমনকি পবিত্র রমজান মাসেও এসব নির্যাতনের হাত থেকে রেহাই পায়নি আবুগারিব কারাগারের হতভাগ্য ইরাকি বন্দীরা। এই কারাগারের ১৩ জন বন্দী একটি তদন্ত দলের কাছে শপথবাক্য পাঠ করে তাদের নির্যাতন সম্পর্কে গোপনে যে বিবৃতি দিয়েছিলেন, তাতে এই ভয়াবহ চিত্র ধরা পড়েছে। ওয়াশিংটন পোষ্টে এই বিবৃতিটির উদ্ধৃতি দিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। বন্দীরা জানান, তাদের ওপর এসব নির্যাতনের ছবিও তুলে রাখত মার্কিন সৈন্যরা। ওয়াশিংটন পোষ্ট পত্রিকা এই রিপোর্টের প্রমাণ হিসেবে কিছু ছবিরও প্রকাশ করেছে। … “… ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে কুৎসা করা ছিল মার্কিন সেনাদের আরেকটি জঘন্য কাজ। রোজার মাসে শত কাকুতি-মিনতি সত্ত্বেও বন্দীদের জোর করে খাওয়ানো হতো শুকরের গোশ্ত ও মদ। নির্যাতনের মুখে তাদেরকে ইসলাম সম্পর্কে বাজে কথা বলতে বাধ্য করা হতো। আমিন সাঈদ আল শেখ নামে এক বন্দীকে সৈন্যরা জিজ্ঞাসা করে ‘তুমি কী বিশ্বাস কর?’ তিনি উত্তর দেন, ‘আমি আল্লাহ্ পাককে বিশ্বাস করি।’ তখন তারা বলে ওঠে, ‘কিন্তু আমরা বিশ্বাস করি নির্যাতনে। তাই আমরা তোমাকে এখন নির্যাতন করব।’ এ সময় তার ভাঙা পায়ে আঘাত করে সৈন্যরা বলে, ‘দাও, ইসলামকে গালি দাও।’ আমিন সাঈদ বলে, ‘আরো আঘাত করতে থাকলে, না পেরে নিজ ধর্মকে গালি দিই আমি।’ এরপর সৈন্যরা বেঁচে থাকার জন্য যীশুকে ধন্যবাদ জানাতে নির্দেশ দেয়।…” উল্লেখ্য এখানে ইরাকি মুসলমানদের ওরা প্রতীকি ঘটনায় পর্যবসিত করেছে। মূলতঃ এর দ্বারা এরা গোটা মুসলিম বিশ্বকে লাঞ্ছিত, অপমানিত, ধিকৃত ও নিগৃহীত করেছে। যদিও ওদের সমগোত্রীয়দের কেউ কেউ দৃশ্যতঃ প্রতিবাদ জানিয়েছে, ক্ষমা চেয়েছে কিন্তু আসলে এ নির্যাতন ওদের সুদূর প্রসারী পরিকল্পনারই অংশ। এর দ্বারা ওরা গোটা মুসলিম বিশ্বকে অপদস্থ করে তা প্রকাশ করে এবং বিজয় উল্লাস করে যেন এটাই বলতে চাইছে, “দেখ মুসলমান তোমাদেরকে আমরা কতদূর লাঞ্ছিত করেছি, তোমাদের পোশাক খুলে ফেলেছি, আমাদের যে বিকৃত যৌন আচরণকে তোমরা ঘৃণা কর তাতেই তোমাদের বাধ্য করেছি। কিন্তু তোমাদের করার কিছুই নেই। আমাদের কাছে তোমরা কত অসহায়, নিরুপায়। এত জঘন্য অত্যাচারের পর উল্টো তোমরাই এগিয়ে আস আমাদের সাথে হাসি মূখে কথা বলতে, আমাদের করুণা নিতে, মডারেট মুসলিম দেশের স্বীকৃতি পেতে।” অসহায় ইরাকি বন্দীদের উপর নির্যাতনের বিরুদ্ধে আরো যেসব পত্র-পত্রিকা সমালোচনায় মুখর হয়ে উঠেছে সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে স্কটল্যান্ড টাইমস, লন্ডনের ডেইলী মেইল, সান, সানডে মিরর, এ্যান্ডি ম্যাকন্যাব, ইন্ডিপেন্ডেন্ট, জর্দান টাইমস, সউদী আরবের আরব নিউজ, আরব আমিরাতের আল বায়ান, বাহরাইনের মির্জা আমান প্রভৃতি। স্মর্তব্য, যুদ্ধ বন্দিদের প্রতি আচরণবিধি সম্বলিত আন্তর্জাতিক সনদে বলা হয়েছে, ‘যুদ্ধ বন্দিদের প্রতি আচরণ হবে সর্বদাই মানবিক। বন্দিদশায় যুদ্ধবন্দীদের মৃত্যু কিংবা মারাত্মক জখম হতে পারে আটকারী শক্তি কর্তৃক এমন যে কোনো অবৈধ কাজ বা আচরণ নিষিদ্ধ এবং যা বর্তমান কনভেনশনের চরম লঙ্ঘন বলে বিবেচিত হবে।…… একইভাবে যুদ্ধ বন্দিকে বিশেষতঃ সব ধরণের সহিংসতা অথবা ভয়ভীতি কিংবা জনতার ঔৎসুক্য থেকে রক্ষা করতে হবে।’ (জেনেভা কনভেনশন ১৩ অনুচ্ছেদ) এখানে উল্লেখ্য যে, জেনেভা কনভেনশন বা মানবাধিকার নিয়ে সবচেয়ে বেশী মাতামাতি করে আমেরিকা। আর সেই আমেরিকাই ইরাকে সে জেনেভা কনভেনশনের চরম-পরম লঙ্ঘন ঘটাচ্ছে। ইতিহাসের সবচেয়ে নির্মম, নিষ্ঠুর, পৈশাচিক নির্যাতনের অধ্যায় রচনা করেছে। মূলতঃ এরূপ পৈশাচিক, এরূপ জঘন্য নির্যাতনের প্রেক্ষিতে সারাবিশ্ব ঘৃণায় ছি-ছি করলেও আমাদের দেশের তথাকথিত ইসলামী দলগুলো রহস্যময় কারণে একেবারেই ভাবলেশ বিহীন নির্বিকার নিশ্চুপ-নিথর, নিশ্চল রয়েছে। অথচ হাদীছ শরীফে ইরশাদ হয়েছে, “সমস্ত মুসলমান ভাই ভাই।” আরো ইরশাদ হয়েছে, “সব মুসলমান একটি দেহের ন্যায়। দেহের এক অঙ্গে আক্রমন হলে যেমন তা সারা দেহে সঞ্চারিত হয় তেমনি কোন মুসলমান আক্রান্ত হলে সব মুসলমানের মাঝেই তা সঞ্চারিত হবে। প্রতিক্রিয়া হবে।” কিন্তু না, আমাদের দেশের মৌসুমী আন্দোলনমূখর তথাকথিত ইসলামী দলগুলোর মাঝে কোনই প্রতিক্রিয়া নেই। স্বদেশে মদের দাম কমানো, মদের কারখানার লাইসেন্স দেয়ার সময় নিশ্চুপ থাকার মত ইরাকে ইরাকিদের উপর এরূপ জঘন্য নির্যাতনের পরও তারা একেবারেই নিস্তেজ ও নিস্ক্রিয়। তাদের জিহাদী জজবা, তাদের ঈমান-আক্বীদা সংরক্ষণ কমিটি, বাতিল ও অনৈসলামিক প্রতিরোধ কমিটি হাওয়ায় উবে গেছে, তাদের তৌহিদী জনতা সব নিখোঁজ হয়ে গেছে। কিন্তু তাদের খুঁজে পাওয়ার জন্য হারানো বিজ্ঞপ্তি দেয়ারও প্রয়োজন হয়নি। দিনের আলোতেই দক্ষিণ এশিয়ার সহকারী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী শর্ট স্কার্ট পরিহিতা মহিলা ক্রিষ্টিনা রোকার কাছে তাদের দেখতে পাওয়া গেছে। মার্কিনীদের কাছে তারা নিজেদেরকে নিতান্ত সুবোধ বালকের বেশে দাঁড় করিয়েছে। মার্কিনীরা যাই করুক তাই নির্বিবাদে মেনে নিতে যে তারা নিবেদিত সে ব্যাপারে নত মুখে, নত মস্তকে প্রকাশ্য নাকে খত দিয়েছে। মার্কিনীদের স্বার্থব্যাহত হয়, মার্কিন বিরোধী প্রচারণা হয় এমন কোন স্পর্শকাতর বিষয় হলে তা তাদের তথাকথিত ইসলামী আন্দোলনের ইস্যূ হতে তারা স্ব-যতনে বাদ দিয়ে অথবা না দেখার ভান করে থাকবে বলে পাকা কথা দিয়েছে এবং এ ব্যাপারে তাদের চরমভাবে আশ্বস্ত করেছে। কারণ বর্তমান যুগে সময়ের প্রেক্ষিতে সরকার থাকতে হলে যে মুসলমানের ইসলাম না করে, মার্কিনীদের ইসলাম করতে হবে এটা তারা অন্তত ভালভাবে বুঝেছে এবং সেপথেই চলছে।
-মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান, ঢাকা।
‘ইসলামের দৃষ্টিতে প্রাণীর ছবি তোলা, রাখা, আঁকা, দেখা হারাম’ মুজাদ্দিদে আ’যমের অনবদ্য তাজদীদ