ঢাকার মুহম্মদপুর মসজিদ রোডে একটি মাদ্রাসা রয়েছে। নাম জামেয়া রহমানিয়া আরাবিয়া। প্রতিষ্ঠাতা তথাকথিত শাইখুল হাদীছ আজিজুল হক। যিনি চারদলীয় ঐক্যজোটে দলীল স্বাক্ষরদাতা। নারী নেতৃত্ব গ্রহীতা। নারী নেতৃত্বের পাশাপাশি উপবেশনকারী। একই গাড়ীতে আড়োহণকারী। পরস্পর দর্শণ বিনিময়কারী। হাস্যরস ও বাক্যালাপকারী। একই সঙ্গে ইফতারকারী। ঘন ঘন সাক্ষাতকারী। এদিকে তার প্রতিষ্ঠিত জামেয়া রহমানিয়া আরাবিয়ার প্রধান মুফতি দাবীকারী মুনসুরুল হক। সে বলেছে ভিন্ন কথা। তার মতে, ‘তথাকথিত শাইখুল হাদীছের নারী নেতৃত্ব গ্রহণ জায়িয় হয় নাই। তার দিকে তাকানো, তার সাথে কথা বলা, উঠাবসা, সাক্ষাৎ করা সবই হারাম হয়েছে।’ অর্থাৎ জামেয়া রহমানিয়া আরাবিয়ার প্রধান মুফতির মতেই, জামেয়া রহমানিয়া আরাবিয়ার প্রতিষ্ঠাতা তথাকথিত শাইখুল হাদীছ এতসব হারাম কাজ করেছেন। মুফতী মনসুরুল হক এসব কথা তার বয়ান বা ওয়জে বলেই ক্ষান্ত হয়নি। সে এর লিখিত প্রমাণ রেখেছে। তার স্বগোত্রীয় রহমানী পয়গামে সে লিখেনি অথবা তারা ছাপেনি। ছাপা হয়েছে মাসিক কাবার পথে। উক্ত পত্রিকার জুন-২০০৫ ঈসায়ী সাল সংখ্যায় ‘ইসলামের দৃষ্টিতে গণতন্ত্র সমাজতন্ত্র ও জাতীয়তাবাদ’ শীর্ষক নিবন্ধে সে লিখেছে, “জাতীয় নেতৃত্ব বা শাসনকার্য পরিচালনা এমন একটি কর্মক্ষেত্র, যা শরীয়াতে এককভাবে পুরুষের জন্যই নির্ধারিত। সেখানে নারীদের অংশগ্রহণ মোটেও ঠিক নয়। তদুপরি এমনটি করতে গেলে তা একদিকে যেমন সমস্ত বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দ্বার উন্মুক্ত করে, অপরদিকে তা চরম শরীয়াতগর্হিত বিষয়ও বটে। মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআন শরীফে ইরশাদ করেন, “পুরুষরা মহিলাদের কর্তা বা পরিচালক এ ভিত্তিতে যে, আল্লাহ তায়ালা এককে (পুরুষ) অপরের (মহিলা) উপর শ্রেষ্ঠ প্রদান করেছেন। (সূরা নিসা: ৩৪) উল্লিখিত আয়াতের ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে মুফাসসিরগণ লিখেন, পুরুষরা মহিলাদের শাসনকর্তা ও রক্ষক। কেননা পুরুষদেরকে মহান আল্লাহ মহিলাদের উপর শ্রেষ্ঠত্ব প্রদান করেছেন। নারীরা নবী ও রসূল হতে পারেনা। নারী সমাজ কোন মুসলিম রাষ্ট্রের শাসক বা রাষ্ট্রপ্রধান হতে পারবেনা। নারীরা কোন প্রকার নামাযে ইমাম হতে পারবে না। (যারা ক্ষুদ্র জামা’আতের ইমামতী করতে পারে না, তারা বৃহৎ জামা’আতের ইমামতী অর্থাৎ দেশ পরিচালনার দায়িত্ব কীভাবে পালন করতে পারে?) নারীদের আযান গ্রহণযোগ্য হবেনা। কিসাস বা হত্যার দায়ে প্রাণদণ্ড কার্যকর করা সংক্রান্ত ব্যাপারে নারীদের স্বাক্ষীর উপর নির্ভর করা যাবেনা। কারো প্রতি কোন দণ্ডাদেশ কার্যকর করার জন্য নারীর স্বাক্ষীর উপর নির্ভর করা যাবেনা। সাধারণ অবস্থায় নারীদের উপর জিহাদ ফরয নয়। অসামঞ্জস্য থাকলে, সেক্ষেত্রে নারীরা তাদের বিবাহ পূর্ণ করতে পারেনা। বরং তা ওলীর অভিভাবকের অনুমোদনের উপর মওকুফ থাকে। তালাক বা বিবাহ বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে শুধু নারীর ইচ্ছা মোটেও কার্যকর নয়। (তাফসীরে ইবনে কাসীর ১/৪৯১, তাফসীরে রূহুল মা’আনী ৩/২৩, তাফসীরে কাবীর ১০/৮৮, তাফসীরে মাযহারী ২/৯৮) উল্লিখিত ব্যাখ্যায় যেসব কর্মক্ষেত্রে নারীদের কর্ম সম্পাদন কার্যকর নয় বলে তা থেকে তাদের বারণ করা হয়েছে, তার সবগুলোই মূলতঃ নেতৃত্ব সংক্রান্ত তবে কোনটা প্রত্যক্ষ নেতৃত্বের প্রতি নিষেধাজ্ঞার প্রমাণ বহন করে, আবার কোনটা প্রমাণ বহন করে পরোক্ষরূপের। পারস্য সম্রাট কিসরার পতনের পর তথায় একজন মহিলা রাষ্ট্র প্রধান নির্বাচিত হওয়ার সংবাদ শুনে বিশ্বানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন- “ঐ জাতি কখনো কামিয়াব হবে না, যে জাতির পরিচালক মহিল হবে।” (সহীহ বুখারী) অপর একটি বর্ণনায় রয়েছে- বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, পুরুষগণ যখন মহিলাদের নেতৃত্ব স্বীকার করবে, তখন তাদের ধ্বংস অনিবর্য (মুস্তাদরাকে হাকিম: ৪/২১৯) অন্য এক হাদীছে তিনি ইরশাদ করেন, “যখন সৎ ও ন্যায়পরায়ণ লোক তোমাদের শাসক হবে এবং তোমাদের মধ্যকার সামর্থবান লোকেরা দানশীল হবে, আর তোমরা যখন তোমাদের জাতীয় কর্মকান্ড পরস্পর পরামর্শের ভিত্তিতে সমাধা করবে, এ পরিস্থিতে তোমাদের জীবন মৃত্যু অপেক্ষা উত্তম। পক্ষান্তরে যখন তোমাদের শাসক হবে জালিম, আর সম্পদশালী লোকেরা কৃপণতা করতে থাকবে এবং তোমাদের রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ড সম্পাদনের দায়িত্ব মহিলার হাতে অর্পণ করা হবে, মনে রেখো এমতাবস্থায় তোমাদের জন্য ভূপৃষ্ঠ অপেক্ষা ভূগর্ভই হবে উত্তম। (অর্থাৎ এ অবস্থায় তোমাদের বেঁচে থাকার চেয়ে মৃত্যুবরণ করা উত্তম। তোমরা ঐ অবস্থা দূরীকরণের জন্য পূর্ণ প্রচেষ্ঠা চালিয়ে কামিয়াবী অর্জন কর, অথবা প্রচেষ্টা চালাতে চালাতে মৃত্যুবরণ কর।) উল্লিখিত হাদীসসমূহ থেকে অতি সহজেই ইসলামের দৃষ্টিতে মহিলা নেতৃত্বের সঠিক অবস্থান নিরুপণ করা যায়। প্রথম হাদীসে রসূল পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মহিলা নেতৃত্বকে দেশ ও জাতীর উন্নতি, অগ্রগতি ও সফলতার পথে অন্তরায় হিসেবে বর্ণনা করেছেন। সুতরাং বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উক্ত বক্তব্য থেকে এ কথা অত্যন্ত সুস্পষ্ট যে, মহিলা নেতৃত্বের অভিশাপ কোন জাতির স্কন্ধে চাপিয়ে দেয়া মানে তার নিশ্চিত ধ্বংস ডেকে আনা। অপর দুই হাদিসে মহিলা নেতৃত্ব গ্রহণ পুরুষ জাতির জন্য চরম লজ্জাকর ও অহিতকর বলে বর্ণনা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, মহিলাদের হাতে যখন জাতীর রাষ্ট্রীয় কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্ব অর্পিত হয়, তখন ভাবতে হবে, তোমাদের জন্য ভূ-পৃষ্ঠ অপেক্ষা ভূগর্ভই উত্তম। অর্থাৎ এমতাবস্থায় জীবনযাপন এতই অহিতকর যে, তখন জীবনের থেকে মৃত্যুকেই উত্তম বলা হয়েছে। এছাড়া মহিলাদের উপর অর্পিত “ফরযে আইন” বা অবশ্য পালনীয় বিষয়াদির মধ্যে পর্দা অন্যতম। পবিত্র কুরআন ও হাদীস শরীফে এ ব্যাপারে যথেষ্ট গুরুত্ব সহকারে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। পবিত্র কুরআনে মহিলাদের প্রতি নির্দেশ করে বলা হয়েছে, “তোমরা তোমাদের ঘরে অবস্থানরতা থাক। অন্ধযুগের মহিলাদের মত বাহিরে (বেপর্দায়) ঘোরাফেরা করোনা।” (সূরা আল আহযাব: ৩৩)) রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন, “মহিলাদের উপর জিহাদ, জুমু’আ ও জানাযার নামায ফরয নয়। (মাজমাউজ জাওয়ায়িদ ২/২৭০) ইবাদতগুলো মহিলাদের উপর ফরয না হওয়ার মূল কারণ হলো তাদের পর্দা রক্ষা করে চলার ব্যবস্থা অক্ষুণœ রাখা। উল্লিখিত আয়াত ও হাদীস দ্বারা শরীয়াতে মহিলাদের পর্দার গুরুত্ব ও অবস্থান সহজেই অনুমেয়। আর নেতৃত্ব এমন একটি দায়িত্ব- যা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার পাশাপাশি পর্দা রক্ষা আদৌ সম্ভব নয়। বরং নেতৃত্ব পর্দা লঙ্ঘনের হাজারো দ্বার উন্মুক্ত করে দেয়। ইসলাম মহিলাদের আওয়াজকে অপর পুরুষ থেকে সেভাবেই সংরক্ষণ করা নির্দেশ দেয়া হয়েছে, যেভাবে তার দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংরক্ষণের নির্দেশ রয়েছে। অথচ নেতৃত্ব করার জন্য তাকে প্রতিদিন বিচার-আচার, সভা-সমিতিতে জনগণের সামনে বক্তৃতা-বিবিৃতিসহ ইত্যাকার হাজাররো কর্মকাণ্ড আঞ্জাম দিতে হয়। দেশের জনসাধারণকে তাদের দুঃখ -দুর্দশা ও সমস্যা দি নিয়ে তার দরবারে হাজির হতে হয়। অতএব, একথা অত্যন্ত সুস্পষ্ট যে, নেতৃত্ব ও পর্দা এমন দু’টি বস্তু, যা এক সাথে রক্ষা করা আদৌ সম্ভব নয়। এ কথা সর্বজন স্বীকৃত যে, একটা জাতির প্রশাসন বা রাষ্ট্রীয় নেতৃত্ব প্রদান রাষ্ট্রের সবচেয়ে পরিচালনার জন্য একদিকে যেমন প্রয়োজন ভারসাম্যপূর্ণ সুস্থ্য মন-মানসিকতার, অপরদিকে প্রয়োজন যথার্থ ও পূর্ণ আকল বা জ্ঞানের । অথচ হাদীছ শরীফে মহিলাদের ‘নাকিসাতুল আকল’ বা জ্ঞান বুদ্ধির দিক দিয়ে অসম্পূর্ণ ও অপরিপক্ক বলা হয়েছে। এ কারণেই মহিলাদের দু’জনের স্বাক্ষী পুরুষের একজনের স্বাক্ষীর সমান ধরা হয়েছে। এ ধরণের অসম্পূর্ণ জ্ঞানের অধিকারীনী নারী দেশের নেতৃত্ব কীভাবে আঞ্জাম দিতে পারে? এতক্ষণের আলোচনায় পবিত্র কুরআন ও হাদীসের আলোকে একথা সুপ্রমাণিত হলো যে, ইসলাম মহিলাদের ছোট ইমামতী করা তথা মসজিদের নামাযের ইমামতী করার অনুমতী দেয়নি। এরপরেও তা করতে যাওয়া হবে চরম শরীয়াত গর্হিত ও ইসলাম বিরোধী কাজ এবং দেশ ও জাতির ধ্বংসের কারণ। মহিলা নেতৃত্ব নিষিদ্ধ হওয়া সম্বন্ধে ‘ইজমায়ে আইম্মাহ’ বা ইমামগণের ঐক্যমত্য সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আল্লামা ইবনে হাযম (রহ.) বলেন, “ইমামগণের ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত হচ্ছে, কোন মহিলার হাতে রাষ্ট্রের নেতৃত্ব অপর্ণ সম্পূর্ণরূপে অবৈধ।” ইমাম বাগভী (রহ.) বর্ণনা করেন, “ইমামগণও এ ব্যাপারে ঐকমত্যে পৌঁছেছেন যে, মহিলারা নেতৃত্ব করার জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা রাখেনা। কেননা ইমাম বা নেতাকে জিহাদ পরিচালনা বা মুসলিম জনসাধারণের প্রয়োজনীয় কার্যবলী সম্পাদানের জন্য বাহিরে বের হতে হয়। অথচ মহিলারা পর্দায় থাকার জন্য কঠোরভাবে নিদের্শিত।” (শারহুস সুন্নাহ ১০/৭৭) এছাড়া নেতৃত্বদানের জন্য শর্ত হলো- নেতাকে মুসলিম, পুরুষ, পূর্ণ বয়স্ক এবং সুস্থ জ্ঞানসম্পন্ন । এছাড়া অপর একটি হাদীসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন নারীরা জ্ঞান ও ধর্মের দিক দিয়ে অসম্পূর্ণ (শরহে আকইদ: ১৪৬) এমনিভাবে ফিকাহ শাস্ত্রের সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য গ্রন্থ ফাতাওয়া শামী’তে উল্লেখ রয়েছে- নারীরা মুসলমানদের নেতৃত্ব দিতে বা রাষ্ট্র প্রধান হতে পারেনা। কেননা তাদেরকে পর্দায় ঘরে মধ্যে অবস্থান করার জন্য কঠোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং পর্দায় থাকা তাদের উপর ফরজ করা হয়েছে। যেমন রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “ঐ জাতি কখনো উন্নতি লাভ করতে পারে না, যে, জাতির রাষ্ট্রপ্রধান বা শাসক হবে নারী।” (শামী. (১/৫৪৮, জাওয়াহিরুল ফাতাওয়া- ৪১১-৩২০: ইযালাতুল খাফা- ১/১৯) উল্লিখিত উদ্ধৃতিসমূহ থেকে ইজমায়ে উম্মতের ভিত্তিতে মহিলা নেতৃত্বের অসারতা ও অবৈধতা প্রমাণিত হলো। অতএব, কুরআন, হাদীস, ইজমা ও কিয়াস বা যুক্তির বিচারে নারী নেতৃত্ব সম্পূর্ণরূপে অবৈধ।” (লেখক: তথাকথিত মুফতী মনসুরুল হক, প্রধান মুফতী- জামেয়া রহমানিয়া আরাবিয়া) উল্লেখ্য এ অবৈধ কাজটিই বর্তমানে করছেন তারই উস্তাদ তথাকথিত শাইখুল হাদীস আজিজুল হক গং। অবশ্য আজিজুল হকের নিজের লিখা কিতাব ‘আল কোরআনের দৃষ্টিতে মহিলাদের পর্দা’ বইয়েও একই কথা লিখা রয়েছে। উক্ত বইয়ের১৩৪ পৃষ্ঠায় বর্ণিত হয়েছে, “… রং বেরংয়ের পোশাক, লিপিষ্টিক লাগানো, পুরুষের সাথে সভা সমিতি করা, রাজনৈতিক আসরে নামা, প্রকাশ্যে সভা সমিতিতে বক্তৃতা দেয়া, আর বেশ্যাবৃত্তি করা। শুধু পেশাদারী বেশ্যা নয় অপেশাদার বেশ্যাবৃত্তি করা। ……..” ধন ও ঋণ (পজেটিভ ও নেগেটিভ) ব্যতীত কোন বস্তুর কল্পনা করা যায়না, ধন ও ঋণ যেমন বিদ্যুৎ উৎপাদন করে, পর্দাথের পরমাণু (এটম) পজিটিভ ইলেকট্রন ও নেগেটিভ প্রোটনের সমষ্টি। এ থেকে ইলেকট্রন বিচ্যূত করলে আর পরমাণুর অস্তিত্বই থাকে না। মানবও তাই। স্বাভাবিকভাবে নর ও নারী (ধন ও ঋণ) পরস্পর দর্শনে যৌন আকর্ষণ সৃষ্টি হয় না একথা মানুষ অস্বীকার করলেও যুক্তিবাদী বিজ্ঞান তা মানতে প্রস্তুত নয়। দৈহিক মিলনের ফাঁক থাকুক আর না থাকুক, আর থাকলে তো কথাই নেই, আকর্ষণ এতো প্রবল ও তীব্র হয় যে, সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা, মুনি মোহন্ত, দরবেশ, কেউই আত্মসংবরণ করতে পারবে না।” অতএব, আজিজুল হকের নিজের লেখা কিতাব থেকেই প্রতিভাত হচ্ছে যে, তিনি নিজে কোন ধরনের লোক? কেমন লোকের সাথে উঠাবসা করেছে, রাজনীতি করছেন। আর তার ছাত্র তথা কথিত মুফতী মুনসুরুল হকের ফতওয়া দ্বারাও মালুম হয় যে, তথাকথিত শাইখুল হাদীছ আজিজুল হক কত বড় অবৈধ তথা হারাম কাজ তারা করছেন। এরপরেও কেন এদেরকে এরা হাদীছ শরীফে বর্ণিত নিকৃষ্ট আলিম তথা উলামায়ে ‘ছূ’ বলা যাবে না। যারা সামান্য দুনিয়াবী ফায়দার জন্য আল্লাহ পাক-এর আয়াত শরীফকে বিক্রী করে। যারা পঞ্চাশ বছর হাদীছ শরীফের দরস দিয়ে নিজেরাই হাদীছ শরীফের বিরোধীতা করে। খিলাফ আমল করে। মূলত: তাদের আমলের কারণেই তারা ‘শাইখুল হাদীছ’ বা ‘হাদীছের ওস্তাদ’ না হয়ে ‘শাইখুল হদস’ বা ‘নাপাকির ওস্তাদরূপে’ প্রতিভাত ও প্রমাণিত হয়।
-মুহম্মদ ওয়ালীউল্লাহ, ঢাকা।
বৃটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে বৃটিশ ভূমিকা-১১