তথাকথিত শাইখুল হাদীছের অভিমতঃ হাটহাজারীর শফী, খতীব, আমিনী, মুহিউদ্দীন কিশোরগঞ্জের আনোয়ার শাহ, মুফতী ওয়াক্কাস সহ তথা  শাইখুল হদস নিজে এবং তার স্বগোত্রীয় সবাই ভণ্ড ও ফাসিক। তাদেরকে পরহেজ করা ওয়াজিব

সংখ্যা: ১৪৫তম সংখ্যা | বিভাগ:

গত ৪ঠা জুলাই২০০৫ দৈনিক ইনকিলাবে এক খবরে বলা হয়, গতকাল দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ঘণ্টাব্যাপী এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়ার (কওমী মাদ্রাসা বোর্ডের) চেয়ারম্যান ও হাটহাজারী মাদ্রাসার মুহতামিম আহমদ শফী’র নেতৃত্বে ওলামা প্রতিনিধি দলে ছিলেন, ইসলামী ঐক্যজোটের দুই অংশের চেয়ারম্যান শাইখুল হাদীছ আল্লামা আজিজুল হক ও মুফতী ফজলুল হক আমিনী এমপি, জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতীব মাওলানা উবায়দুল হক, মুফতী মুহম্মদ ওয়াক্কাস এমপি, মুফতি শহীদুল ইসলাম এমপি, মাওলানা মুহিউদ্দীন খান, মাওলানা আশরাফ আলী, মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমী, মাওলানা রুহুল আমিন গওহরডাঙ্গা, মাওলানা সুলতান জওক, কওমী মাদ্রাসা বোর্ডের মহাসচিব মাওলানা আনোয়ার শাহ, বগুড়ার মাওলানা ইউসুফ নেজামী, মানিকগঞ্জের মাওলানা আবুল ফাত্তাহ মো. ইয়াহইয়া, মাওলানা নুরুল ইসলাম ও মাওলানা মাহবুব অংশগ্রহণ করেন। (দৈনিক ইনকিলাব-৪ জুলাই/০৫ইং) খবরটির মোদ্দাকথা হলো যে, উল্লিখিত ব্যক্তিবর্গ বর্তমানে মহিলা প্রধানমন্ত্রীর সাথে সামনা সামনি বসে সাক্ষাত ও খোলামেলা আলাপ আলোচনা করেন। কিন্তু এ কাজ যারা করেন অর্থাৎ যারা মহিলার সাথে দেখা সাক্ষাত করেন বা মহিলাকে নিজের কাছে আসতে দেন তারা পীর, ওলী, আলিম, মুফতী, মাওলানা, শাইখুল হাদীছ দাবী করলেও তারা স্পষ্ট ফাসিক, গোমরাহ বিদয়াতী, ভ- তথা উলামায়ে ‘ছূ’ তাদেরকে পরিহার করা ওয়াজিব। সে কথাই লিখেছেন শাইখুল হদছ আজিজুল হক।  ৩৬ বাংলা বাজার, হাছানিয়া লাইব্রেরী থেকে ১৯৯৯ সালে প্রকাশিত ‘আল কোরআনের দৃষ্টিতে মহিলাদের পর্দা শীর্ষক’ এ বইয়ে ৭৮ পৃষ্ঠায় তিনি লিখেন, …. “অলী বা পীরগণের সাথে অন্যান্য সকল লোকদের ন্যায় মহিলাদের পর্দা করা জরুরী। এ সম্পর্কে হাদীসের প্রমাণ এই- হাদীস: হযরত আয়েশা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা বর্ণনা করেন যে, একদা জনৈক মহিলা পর্দার আড়াল হতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামের হাতে একটি চিঠি দিতে চাইলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর মুবারক হাত ফিরিয়ে নিলেন (তার হাত থেকে চিঠি নিলেন না আর যেহেতু হাতের দিকে দৃষ্টি পড়ে গিয়ে ছিল তাই) তিনি বলেন, আমি জানি না হাতটা পুরুষের না নারীর।” প্রথমত: মহিলা সাহাবীরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সামনে আসতেন না। উপরোক্ত মহিলা সাহাবীটি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পবিত্র হাতে কাগজটি দিতে গিয়ে পর্দার আড়ালে থেকেই হাতের সামান্য আগে বাড়িয়ে ছিলেন মাত্র, যার ফলে বুঝা সম্ভব হয়নি যে, হাতটি পুরুষের না নারীর। (কেননা যদি হাতের বেশ অংশ পর্দার ভিতরে চলে আসত তবে চুড়ি ইত্যাদি অথবা মেয়েটির কাপড়ের আস্তিন দ্বারা বুঝতে সক্ষম হতেন যে হাতটি নারীর না পুরুষের। এখান থেকে সে সব স্ত্রীলোকের শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত যারা দুনিয়াদার পীর ফকীর (তথাকথিত শাইখুল হাদীছ আজিজুল হক, হাটহাজারী শফী, খতীব, আমিনী, মুহিউদ্দীন, আনোয়ার শাহ, মুফতী ওয়াক্কাস ইত্যাদির) সামনে বিনা দ্বিধায় আসা যাওয়া করেন। পীরদের দালালেরা তাদেরকে এ ভ্রান্তিতে ফেলে থাকেন যে, ইনি তো পীর সাহেব, আল্লাহ ওয়ালা বুজুর্গ মানুষ, ধর্মীয় বাপ। তাদের তো দুনিয়ার ব্যাপারে কোনই অনুভূতি নেই। কাজেই তার সামনে আসতে দ্বিধা কি? লক্ষ্য করুন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হলেন সকল মুসলিম নর-নারীর ধর্মীয় পিতা। আদম আলাইহিস্ সালাম থেকে আজ পর্যন্ত তাঁর চেয়ে নেককার কেউ হয়নি হতে পারবেও না। নবী অলী ফেরেশতা পীর আওলিয়া গাউস কুতুব কেউই তাঁর চেয়ে বড়তো দূরের কথা তাঁর সমপর্যায়েরও বুজুর্গ হতে পারে না। তাছাড়া আল্লাহ তাঁকে মাসুম ও নিষ্পাপ বানিয়েছেন, তা সত্ত্বেও মহিলা সাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা পত্র হস্তান্তর করতে গিয়ে তাঁর সামনে যেতে এমনকি সম্পূর্ণ হাতটিও আগে বাড়িয়ে দিতে সাহস করেননি এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পক্ষ থেকে তার অনুমতি ছিলনা। সারকথা যেসব স্ত্রী লোকরা ভ- ও নামধারী পীর ফকিরদের সামনে আসেন তারা কঠিন গুনাহে লিপ্ত আর এ জাতীয় পীর ফকির কস্মিনকালেও দ্বীনদার হতে পারে না। (যেমন, শাইখুল হাদীছ আজিজুল হক, হাটহাজারী শফী, খতীব, আমিনী, মুহিউদ্দীন, আনোয়ার শাহ, মুফতী ওয়াক্কাস এরা স্পষ্ট ভ- ও ফাসিক) কাজেই কোন অবস্থাতেই এদের মুরীদ হওয়া জায়েয হবে না।  দুর্ভাগ্যবশত: যদি কেউ এদের খপ্পরে পড়ে মুরিদ হয়ে গিয়ে থাকে তাদের জন্য আবশ্যক হবে এদের বায়আত ছেড়ে দিয়ে হক্কানী ও দ্বীনদার আলেম বা পীর মুর্শিদের শরণাপন্ন হওয়া। যিনি সত্যিকারের পীর, মুর্শিদ ও পথ প্রদর্শক হবেন, তার জীবনের মুখ্য উদ্দেশ্য হবে নিজ শরীয়তের উপর চলা এবং অন্যকে চালানো। কুরআন হাদীস অধ্যয়ন করে এবং হক্কানী আলেমদের কাছে জেনে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাত ও আদর্শের উপর জীবন যাপন করা এবং এর জন্য শত জীবন উৎসর্গ করে দেয়াই চরম ও পরম লক্ষ্য।  যে সমস্ত পীর ফকির (যেমন, তথাকথিত শাইখুল হাদীছ আজিজুল হক, হাটহাজারী শফী, খতীব, আমিনী, মুহিউদ্দীন, আনোয়ার শাহ, মুফতী ওয়াক্কাস) কোরআন ও হাদীসের উপর আমল করেনা তারা নিজেরাই সঠিক পথ থেকে বিচ্যুত। কাজেই তারা কিভাবে পীর হবার যোগ্য হতে পারে? … এবার আমরা সাম্প্রতিক কালের নামধারী ভ- পীর ফকিরদের অবস্থার দিকেও একটু চোখ বুলিয়ে দেখি। ….  অবস্থায় সামনে রেখে তাদের রূপ সুধা পান করে থাকে এমনকি অনেক সময় এমন সব অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে থাকে, বেপর্দা পরিবেশে যা ঘটাই স্বাভাবিক। এসব ফাসেক কাজের লোক কিভাবে পীর হওয়ার যোগ্য হতে পারে। কস্মিনকালেও নয়। হক্বপন্থী পীর মুর্শিদগণ সর্বদা আল্লাহর ভয় এবং আখেরাতের চিন্তায় নিমগ্ন থাকেন, কোন মহিলা মুরীদের সাথে মুছাফাহা করা বা তার শরীর স্পর্শ করা বা নিজের শরীর স্পর্শ করতে দেয়া তো দূরের কথা, নিজের সামনেও তাদেরকে আসতে দেননা। (অথচ তথাকথিত শাইখুল হাদীছ আজিজুল হক, হাটহাজারী শফী, খতীব, আমিনী, মুহিউদ্দীন, আনোয়ার শাহ, মুফতী ওয়াক্কাস তারা বর্তমান মহিলা প্রধানমন্ত্রী তাদের সামনে আসতে অনুমতি দিয়েছেন তাই নয় বরং তারা নিজেরাই তার কাছে গিয়েছিলো।

যার দ্বারা আরো গভীরভাবে প্রমাণিত হয় যে, তারা বর্তমানে কত দূর নাহক্ব ও ভ- হয়েছে। বরং পর্দার আড়াল থেকে তালীম, তালকীন দিয়ে থাকেন, আমাদের সিলসিলার প্রসিদ্ধ বুজুর্গ হযরত মাওলানা খলীল আহমদ সাহেব মহাজেরে মদনী রহমতুল্লাহি আলাইহি যখন মহিলাদের বাইয়াত করতে তখন মাঝে পর্দা থাকা সত্ত্বেও মহিলাদের দিকে পিঠ দিয়ে বসতেন। এবং তালীম তালক্বীন করতেন। একদা এভাবেই কোন এক এলাকাতে মহিলাদেরকে বাইয়াত করছিলেন তখন জনৈকা মহিলা আরয করে যে, মাঝে যখন পর্দা রয়েছে তারপরেও অন্যদিকে ফিরে বসার প্রয়োজন কি? জবাবে তিনি বললেন, তোমরা কি করে বুঝলে আমার মুখ কোন দিকে রয়েছে। বোঝা যায় যে, পর্দার আড়াল থেকেও উকি দিয়ে তোমরা আমাকে দেখে ফেল। এজন্যই আমি পর্দার দিকে পিঠ ফিরিয়ে বসে থাকি। আমাদের আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত সিলসিলার আরেক বুজুর্গ সম্পর্কে বর্ণিত আছে যে, একবার জনৈকা বয়স্কা নারী তার অল্প বয়স্কা পুত্রকে নিয়ে কোন প্রয়োজনে তার খিদমতে হাজির হওয়ার প্রার্থনা করলেন, স্ত্রী লোকটির পূর্ব থেকেই তার মুরীদ ছিলেন। কিন্তু তিনি তাকে খিদমতে হাজির হওয়ার অনুমতি না দিয়ে বলে পাঠালেন যে, বালেগ মুহরিম সাথে নিয়ে এসো, তারপর তোমার বক্তব্য শুনবো। এটাই হলো হকপন্থীদের আদর্শ এবং পর্দার প্রতি যত্ন নেয়ার নিদর্শন। .. (আল কোরআনের দৃষ্টিতে মহিলাদের পর্দা ৭৮-৮২ পৃষ্ঠা)  তথাকথিত শাইখুল হাদীছের নিজের লেখা কিতাবের এ অভিমত থেকে আবারো প্রমাণিত হলো যে, সে নিজে, হাটহাজারী শফী, খতীব, আমিনী, মুহিউদ্দীন, আনোয়ার শাহ, মুফতী ওয়াক্কাস এরা কেউ হক্বপন্থী নয়। বরং স্পষ্ট ফাসিক, ভণ্ড, গোমরাহ তথা উলামায়ে ‘ছূ’। হাদীছ শরীফে যাদের থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে।

 -মুহম্মদ ওয়ালীউল্লাহ, ঢাকা।

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের  দাঁতভাঙ্গা জবাব- ১৫

 বিৃটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে বিৃটিশ ভূমিকা-১৫ 

কোকাকোলা ও অন্যান্য কোমল পানীয় সম্পর্কে উন্মোচিত সত্য-৩

চাঁদের তারিখ নিয়ে জাহিলী যুগের বদ প্রথার পুনঃপ্রচলন॥ নিশ্চুপ উলামায়ে ‘ছূ’ ঈদ, কুরবানীসহ জামিউল ইবাদত হজ্জও হচ্ছে বরবাদ

শুধু ছবি তোলা নিয়েই বড় ধোঁকা নয়, গণতান্ত্রিক শাসনতন্ত্র চর্চা করে “ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের” নামেও তিনি মহা ধোঁকা দিচ্ছেন