তাদের ঈমানী দুর্বলতা ও আমল ঘাটতির কারণেই মার্কিনীরা কুরআন অবমাননার সাহস পেয়েছে, নিজেরা লা’নতী বলেই তারা ‘লা’নত দিবস’ পালন করেছে

সংখ্যা: ১৪৩তম সংখ্যা | বিভাগ:

গত ৩০ শে মে’র ঘটনা। এক নেপালী জুটি এভারেস্টে উঠে বিয়ে করেছে। তারাই প্রথম ৮৮৪৮ মিটার উচু হিমালয় চূঁড়া বিয়ের কাজে লাগিয়েছে। উদ্দেশ্য গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ডে নাম লেখানো। একই উদ্দেশ্যে এ মাসের গোড়ার দিকে আরেক ব্যক্তি দেখিয়েছে ভিন্ন ঘটনা। সে সাপ খেতে শুরু করেছে। এমনকি জীবন্ত ব্যাঙ চিবিয়ে খেয়ে দেখিয়েছে। তারও উদ্দেশ্য নতুন চমক সৃষ্টি করা। কিন্তু তারপরেও মূলতঃ তাদেরকে পেছনের কাতারেই ঠাঁই নিতে হবে। বিশেষতঃ এদেশের তথাকথিত ইসলামী আন্দোলনকারীদের চমক তৈরীর ক্ষেত্রে এরাও অপটু বটে। কারণ এদেশের নামধারী ইসলামী আন্দোলনকারীরা এমন সব উদ্ভট কথা বলেন, ইসলামের মূল্যায়নে যা, ঐসব অদ্ভুত বিষয়কেও হার মানায়। নামধারী ইসলামী আন্দোলনকারীরা চমক সৃষ্টি করতে চান। আর এক্ষেত্রে তাদের জ্ঞানের স্বল্পতা থাকায় তারা ইসলামী আদর্শ বাদ দিয়ে আধুনিক কর্মসূচী গ্রহণ করতে গিয়ে খোদ ইসলাম বিরোধী বিষয়কেই কবুল করে থাকেন। ইসলামের নামে অনৈসলামী কর্মসূচীকে দিয়ে তারা নিরেট জেহালত ও হাস্যকর স্ববিরোধিতার প্রমাণ দেন। খুলুছিয়ত ও লিল্লাহিয়ত-এর পরিবর্তে স্বার্থান্বেষী প্রবণতায় পরিচালিত হওয়ার কারণেই তাদের এ করুণ অবনতি। ইদানিংকালে বিভিন্ন দিবস পালনের হুজুগ লেগেছে। বৎসরের ৩৬৫ দিনের ১৬৭ দিনই বিভিন্ন দিবস পালিত হচ্ছে। শ্রমিক দিবস, পরিবেশ দিবস, গৃহ দিবস, ডাকঘর দিবস, স্বাস্থ্য দিবস, আবহাওয়া দিবস, প্রবীণ দিবস, বসতি দিবস এমনকি নারী দিবস, বাবা-মা দিবসের পর এখন ভালোবাসা দিবস পালনেরও চল হয়েছে। আর তারই হাওয়া লেগেছে আমাদের তথাকথিত ইসলামী আন্দোলনকারী নেতাদের হৃদয়পটে। এতসব দিবস পালনের ঘনঘটায় তারাও তাদের তথাকথিত ইসলামী আন্দোলনে নতুন চমক বাজারজাত করাতে তথা ঢাকঢোল বাজাতে একটা দিবসের সংযুক্তি করলেন। নাম দিলেন লা’নত দিবস। এ সম্পর্কে নামধারী ইসলামী আন্দোলনকারীদের মুখপাত্র দৈনিক ইনকিলাবে ৩ জুন প্রথম পৃষ্ঠায় খবর পত্রস্থ হয়- কুরআন অবমাননার প্রতিবাদে  আজ দেশব্যাপী লানত দিবস স্টাফ রিপোটার: পবিত্র কুরআন শরীফ অবমাননার প্রতিবাদে আজ শুক্রবার (৩রা জুন) মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ ও ইহুদীবাদের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী লানত দিবস পালিত হবে। বিভিন্ন সংগঠন এই কর্মসূচীর ডাক দিয়েছে।”

উল্লেখ্য, লা’নত বা রহমত বর্ষণের মালিক একমাত্র আল্লাহ পাক। লা’নত দিবসের সাধারণ অর্থ যে দিবসে লা’নত নাযিল হয়। যেমন রমজানের প্রথম দশ দিনকে বলা হয়েছে রহমত দিবস। মধ্যের দশ দিনকে মাগফিরাত এবং শেষের দশ দিনকে নাযাত দিবস। অর্থাৎ আল্লাহ পাক প্রথম দশ দিনে খাছ রহমত, দ্বিতীয় দশ দিনে খাছ মাগফিরাত এবং তৃতীয় দশ দিনে খাছ নাযাত নাযিল করেন। কিন্তু কোন দিবসে আল্লাহ পাক লা’নত নাযিল করেন এমন কথা তো কুরআন সুন্নাহর কোথাও নাই। বরং যে শুক্রবারে তারা লানত দিবস পালন করেছে সে শুক্রবার সম্পর্কে হাদীছ শরীফে ইরশাদ হয়েছে – “হযরত আবূ লুবাবা ইবনে আব্দুল মুনযির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন যে, হযরত রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, জুমুয়ার দিন সকল দিনের সাইয়্যিদ এবং সকল দিন অপেক্ষা আল্লাহ পাক-এর নিকট অধিক শ্রেষ্ঠ ও সম্মানিত। এটি ঈদুল আযহার দিন ও ঈদুল ফিতরের দিন অপেক্ষাও আল্লাহ পাক-এর নিকট অধিক শ্রেষ্ঠ ও সম্মানিত। এ দিনটিতে পাঁচটি (গুরুত্বপূর্ণ) বিষয় রয়েছে, (১) এ দিনে আল্লাহ পাক হযরত আদম আলাইহিস্ সালামকে সৃষ্টি করেছেন, (২) এ দিনে তাঁকে যমীনে প্রেরণ করেছেন, (৩) এ দিনে তাঁকে ওফাত দান করেছেন, (৪) এ দিনটিতে এমন একটি সময় রয়েছে যে সময়টিতে বান্দা আল্লাহ পাক-এর নিকট কিছু চাইলে তিনি অবশ্যই তাকে তা দান করেন যে পর্যন্ত না সে হারাম কিছু চায় এবং (৫) এ দিনেই ক্বিয়ামত সংঘটিত হবে। এমন কোন ফেরেশ্তা নেই, আসমান নেই, যমীন নেই, বাতাস নেই, পাহাড় নেই, সমুদ্র নেই, যে জুমুয়ার দিন সম্পর্কে ভীত নয়।” আর হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, “তোমাদের দিনগুলোর মধ্যে উত্তম দিন হচ্ছে জুমুয়ার দিন, ঐ দিনে হযরত আদম আলাইহিস্ সালাম পয়দা হয়েছেন এবং ঐদিনেই তিনি ওফাত লাভ করেছেন।”

আর জুমুয়ার দিনের গুরুত্ব বর্ণনা করতে গিয়ে স্বয়ং আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াস সালাম জুমুয়ার দিনকে ঈদের দিন বলে বর্ণনা করেছেন। এ সম্পর্কে হাদীছ শরীফে বর্ণিত রয়েছে, “হযরত ওবায়েদ বিন সাব্বাক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু মুরসাল সূত্রে বর্ণনা করেন, হযরত রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক জুমুয়ার দিনে বলেন, হে মুসলমান সম্প্রদায়! এটি এমন একটি দিন যাকে আল্লাহ পাক ঈদ স্বরূপ নির্ধারণ করেছেন।” অতএব যে দিনকে স্বয়ং আল্লাহ পাক-এর হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া ছাল্লাম ঈদের দিন, খুশীর দিন বলেন; সেদিনকে লা’নতের দিন পালন করা প্রকাশ্যে আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া ছাল্লাম-এর সাথে বিরোধিতা করা ছাড়া আর কিছুই নয়। মূলতঃ দিন বা সময়কে গালি দেয়া, খারাপ বলা সম্পূর্ণ ইসলাম বিরোধী। কারণ দিন বা সময় আল্লাহ পাক-এর সৃষ্টি। কাজেই প্রতি দিনেই আল্লাহ পাক যেখানে রহমত নাযিল করছেন সেখানে কোন দিনকে লা’নতের দিন রূপে নির্দিষ্ট করা স্বয়ং আল্লাহ পাক-এরই সরাসরি বিরোধিতা করার শামিল। মূলতঃ এমন কথা তারাই বলতে পারে যারা তাদের আমলের কারণে নিজেরাই লা’নত কামিয়েছে। আরবীতে প্রবাদ রয়েছে ‘পাত্রে আছে যা ঢালিলে পড়বে তা।” আর তার প্রমাণও প্রকাশ্যে তারা দিয়েছে। তাদের ঘোষিত লানত দিবসের পরের দিন ৪ঠা জুন দৈনিক সমকালে প্রকাশ হয় “এ উপলক্ষে তারা আগ্রাসন প্রতিরোধ জাতীয় কমিটি সকালে বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট থেকে নারী ও শিশুদের নিয়ে শোভাযাত্রা বের করে।” হাদীছ শরীফে ইরশাদ হয়েছে যে রাস্তা দিয়ে কোন বেপর্দা নারী হেটে যায় ৪০ দিন পর্যন্ত সে স্থানে লা’নত বর্ষিত হয়। অর্থাৎ তারা নিজেরাই লা’নত কামাবার উসীলা। কোন দিন বা সময় নয়। ছবি তুলে, মেয়ে লোকের মিছিল করে তারাই লা’নত কামাচ্ছে। উল্লেখ্য, অন্য হাজারো লা’নতী কাজের হোতার ন্যায় এই লা’নত কাজের আহবানও যথারীতি করেছিলেন তথাকথিত মাসিক মদীনা সম্পাদক মাওলানা মাহিউদ্দীন। একের পর এক শক্ত হারাম কাজে তার সম্পৃক্ততায় প্রমাণ হয় যেন বড় শয়তান তাকে কজ্জা করেছে। আ’ঊযুবিল্লাহি মিনাশ শাইত্বনির রজিম।

-মুহম্মদ মাহবুবুর রহমান, ঢাকা।

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব।  খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-১১         

বৃটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে বৃটিশ ভূমিকা-১১

 রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর হাক্বীক্বী নায়িব ও ওয়ারিছ। তাঁর বিরোধীতাকারীরা মুনাফিক, কাফির ও শয়তানের অনুসারী -১১     

 “হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিয়ে সিনেমা”  নিশ্চুপ উলামায়ে ‘ছূ’রা ॥ সর্বাঙ্গে দায়ী তারা 

অবশেষে তথাকথিত ইসলামী জামাতের আমীর নিজামী ও বায়তুল মোকাররামের তথাকথিত খতীব উবায়দুল হক, এরপর এবার মুফতে আমিনীও রাজারবাগ শরীফের তাজদীদ মানতে বাধ্য হলেন