তাফসীরুল কুআন: পুরুষদেরকে নারীদের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করা হয়েছে

সংখ্যা: ১৩০তম সংখ্যা | বিভাগ:

-মাওলানা শামসুদ্দোহা

الرجال قومون على النساء بما فضل الله بعضهم على بعض وبما انفقوا من اموالهم فالصلحت قنتت حفظت للغيب بما حفظ للغيب بما حفظ الله والتى تخافون نشوزهن فعظوهن واهجروهن فى المضاجع واضربوهن فان اطعنكم فلاتبغوا عليهن سبيلا ان الله كان عليا كبيرا.

 অর্থঃ- “পুরুষদেরকে নারীদের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করা হয়েছে। এ কারণে যে, আল্লাহ পাক তাদের এককে অপরের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন এবং এ শ্রেষ্ঠত্ব এজন্য যে, পুরুষ (স্বামীরা) তাদের (স্ত্রীদের জন্য) ধন-সম্পদ ব্যয় করে। সুতরাং নেককার স্ত্রীরা লোক চক্ষুর অন্তরালেও অনুগতা এবং নিজেদের ইজ্জত হিফাযতকারিনী। আল্লাহ পাক-এর হিফাযতেই তারা তা হিফাযত করে। স্ত্রীদের মধ্যে যাদের অবাধ্যতার আশঙ্কা করো তাদেরকে সদুপদেশ দাও। (তারপরও যদি তারা সংশোধন না হয় তাহলে) তাদের শয্যা বর্জন করো এবং (এরপরও যদি সংশোধন না হয় তাহলে) তাদের মৃদু প্রহার করো। অতঃপর যদি তারা তোমাদের অনুগতা হয় তবে তাদের বিপক্ষে কোন পথ অন্বেষন করোনা। নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক মহান, শ্রেষ্ঠ।” (সূরা নিসা/৩৪) তায়াল্লুক ঃ ইতোপূর্বে আল্লাহ পাক তাঁর এক বান্দার উপর অপর বান্দার রুতবা, বুযূর্গী বা মর্যাদা প্রদানের ঘোষনা দিয়েছিলেন আর এখানে সেই বুযূর্গীর কিছু ব্যাখ্যা দিচ্ছেন এবং বলেছেন যে, কাউকে কারো উপর বুযূর্গী প্রদান যেমন, ‘নারীর উপর পুরুষের মর্যাদা’ এটা আমি আল্লাহ পাক-এর হিকমতের অন্তর্ভুক্ত। অতএব, তোমরা এ ব্যাপারে কারো উপর হাসাদ (হিংসা) করো না। অন্যথায় আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীনের উপরই আপত্তি বা অভিযোগ করা হবে যা সরাসরি কুফরীর অন্তর্ভুক্ত। মনে রাখতে হবে যে, কাসাবী বা উপার্জিত সম্পদ ও নিয়ামত অপেক্ষা আতায়ী বা দানকৃত নিয়ামত ও সম্পদই উত্তম হয়ে থাকে। যেমন, কুপ, পুকুর ইত্যাদির পানি অপেক্ষা বৃষ্টির পানি অত্যধিক উপকারী। মোমবাতি, হারিকেন ও বৈদ্যুতিক আলো অপেক্ষা সূর্যের আলো বা রশ্মি অনেক বেশি ফযীলতযুক্ত। ফেরেশ্তা সিজদাকারী এবং হযরত আদম আলাইহিস্ সালাম সিজদা গ্রহণকারী হলেন। অথচ ফেরেশ্তাগণ তখন লাখো-কোটি বছর ধরে ইবাদতকারী ছিলেন। আর হযরত আদম আলাইহিস্ সালাম তখনো একটি সিজদাও করেননি। আমরা হাজার বছর ইবাদত-বন্দিগী করেও ঐ ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণের মর্যাদা-মর্তবা, রুতবা অর্জন করতে পারবোনা। যিনি একবার মাত্র আমাদের প্রাণের আঁকা অনিন্দ সুন্দর হাবীব, পেয়ারা রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে দেখে ইন্তিকাল করেছেন।  শয়তান আতায়ী বা প্রদত্ত এবং কাসাবী বা উপার্জিত ফযীলতের মধ্যে পার্থক্য করতে না পারার কারণে মরদূদ ও জাহান্নামী হয়েছে। সে এবং তার চেলা-চামুন্ডারা এখনো বলে বেড়াচ্ছে যে, ‘আমি তাঁর থেকে উত্তম’ ‘আনা খইরুম মিন্হু’ অথচ, আল্লাহ পাক আলোচ্য আয়াত শরীফের প্রথমে بمافضل الله বলে আতায়ী বা প্রদত্ত রুতবার কথা এবং পরে بماانفقوا বলে কাসাবী বা উপার্জিত সম্পদের কথা উল্লেখ করেছেন।  আজ যারা নিজেদের বাহ্যিক আমল ও ইবারতী ইলমের দ্বারা প্রতারিত হয়ে নবী-রসূলদেরকে নিজেদের ন্যায় সমকক্ষ হওয়ার দাবী করছে তাদের মত ও পথ অভিশপ্ত ও নিক্ষিপ্ত চির জাহান্নামী শয়তানের মতোই। (অসমাপ্ত)

তাফসীরুল কুরআন ক্বমীছ বা কোর্তা মুবারকের বুযুর্গী

তাফসীরুল কুরআন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালনই সর্বশ্রেষ্ঠ আমল

 তাফসীরুল কুরআন ক্বমীছ বা কোর্তা মুবারকের বুযুর্গী

 তাফসীরুল কুরআন: হিদায়েত আসার পরও অহংকারবশতঃ যারা হিদায়েত গ্রহণ করলনা তারা জাহান্নামী

তাফসীরুল কুরআন: হিদায়েত আসার পরও অহংকারবশতঃ যারা হিদায়েত গ্রহণ করলনা তারা জাহান্নামী