তাফসীরুল কুরআন: উলামায়ে ‘ছূ’রা শরীয়ত ও চরিত্র ধ্বংসের মূল হোতা

সংখ্যা: ১৩৯তম সংখ্যা | বিভাগ:

(ধারাবাহিক)

সাইয়্যিদুনা হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি আফসুস্ করে বলেন,

উর্দূ কম্পোজ করতে হবে

অর্থাৎঃ- “ইলম্ আল্লাহ পাক-এর নিকট সবচেয়ে প্রিয় বা পছন্দনীয়। আর দুনিয়া হচ্ছে আল্লাহ পাক-এর নিকট নিকৃষ্ট, ঘৃনিত ও অপছন্দনীয় মাখলুক। অথচ তারা (দুনিয়াদার আলিমরা) আল্লাহ পাক-এর পছন্দনীয় বিষয়কে অপছন্দনীয় মনে করে এবং আল্লাহ পাক-এর নিকট যা অপছন্দনীয় তারা সেটাকে ইজ্জত বা সম্মানের বিষয় বলে মনে করে। হাক্বীক্বত এর চেয়ে নিকৃষ্ট আর কি হতে পারে যে, তারা আল্লাহ পাক-এর মত ও পছন্দের খিলাফ মত পেশ ও পছন্দ করে থাকে।”

এখানে প্রশ্ন হতে পারে যে, একদিকে এত বড় জঘন্য ঘৃনিত পাপ করা সত্ত্বেও অন্যদিকে তারা মুদাররিসি করছে, হাদীছ শরীফ পড়াচ্ছে, তাফসীর পড়াচ্ছে, মুফতীগীরী করছে, ওয়াজ-নছীহত করে তাবলীগের কাজ করছে, পীর-মুরীদি করে ইরশাদ ও তালক্বীনের কাজ করছে। এগুলোর দ্বারা দ্বীনের খেদমত হচ্ছে, লোকদের উপকার হচ্ছে, এর দ্বারা হয়ত লোকেরা উপকৃত হবে।

সাইয়্যিদুনা হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি এই প্রশ্নেরও উত্তর দিয়েছেন। তিনি বলেছেন,

 উর্দূ কম্পোজ করতে হবে

অর্থঃ- “তাদের হাদীছ শরীফ পড়ানো, ফতওয়া দান করা, মাসয়ালা বাতানো, ওয়াজ-নছীহত করা এবং পীর-মুরীদি ইত্যাদি উপকারে আসবে যদি এই সব কাজ খাঁটিভাবে শুধু আল্লাহ পাক-এর সন্তুষ্টির জন্য হয়। তার মধ্যে বিন্দুমাত্র হুব্বে মাল অর্থাৎ টাকা-পয়সা, জমি-জমা, বাড়ি-গাড়ী, দালান-কোঠা, ফার্নিচার-পোশাক হাছিল হওয়া এবং নেতৃত্ব বা শান শওকত, জাঁক-জমক হাছিলের আকঙ্খা না থাকে।

হুব্বে জাহ এগুলো দৃশ্য বা জাহিরী জিনিস নয়, এগুলো অদৃশ্য ও বাতিনী জিনিস, এটা আছে কি না তা ধরবার এবং বুঝবার উপায় কি?

সাইয়্যিদুনা হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি এর জবাবে বলেছেন,

 উর্দূ কম্পোজ করতে হবে

আভ্যন্তরীণ বা অদৃশ্য (বাতিনী) দোষ বা গুণকে চিনবার জন্য জাহিরী আলামত হচ্ছে দুনিয়া থেকে বিরাগ হওয়া। আর দুনিয়া এবং দুনিয়ার মাঝে যাবতীয় জিনিস হতে সে লা-পরোয়া হবে। তার আসল লক্ষ্য থাকবে, আল্লাহ পাক এবং তাঁর হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সন্তুষ্টি।

বস্তুতঃ এখান থেকে আলিমরা দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। প্রথমতঃ দুনিয়াদার অসৎ আলিম, দ্বিতীয়তঃ দ্বীনদার হক্কানী সৎ আলিম।

علماء كه بابن بالا مبنلا اند ومحبت اين راكرفتار از علماء دنيا اند وايشان كند علماء سوء وشرار خلائق ولصوص الدين وحلانكه خود رامقتدا ميداند وبهترين خلائق يندارند.

অর্থঃ- “যেসব আলিম দুনিয়ার ধন-সম্পদ ও ক্ষমতা বা নেত্বত্বের মোহে মোহগ্রস্ত বা গ্রেফতার হয়েছে এরাই দুনিয়াদার বা অসৎ আলিম। আর এদেরকেই  উলামায়ে ‘ছূ’ বলা হয়। এরা সৃষ্টির মধ্যে নিকৃষ্ট জীব এবং ধর্মের চোর। যদিও এরা নিজেদেরকে হাদী, অনুসরণীয় ও শ্রেষ্ঠতম ব্যক্তিরূপে দাবী করে থাকে।” (চলবে)

তাফসীরুল কুরআন: পুরুষ জাতিকে নারী জাতির উপর প্রাধান্য দেয়া হয়েছে

  তাফসীরুল কুরআন: পুরুষ জাতিকে নারী জাতির উপর প্রাধান্য দেয়া হয়েছে 

তাফসীরুল কুরআন- পুরুষ জাতিকে নারী জাতির উপর প্রাধান্য দেয়া হয়েছে

তাফসীরুল কুরআন: উলামায়ে ‘ছূ’রা শরীয়ত ও চরিত্র ধ্বংসের মূল হোতা

তাফসীরুল কুরআন: উলামায়ে ‘ছূ’রা গোমরাহীর মূল হোতা