তাফসীরুল কুরআন ক্বমীছ বা কোর্তা মুবারকের বুযুর্গী

সংখ্যা: ১২৩তম সংখ্যা | বিভাগ:

(ধারাবহিক)

হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, একদা আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে খালিদ ইবনে সুফিয়ান হোযালীকে হত্যা করার জন্য পাঠালেন। যখন আমি হত্যা শেষে প্রত্যাবর্তন করে তাঁর মহান খিদমতে হাযির হলাম। তখন তিনি আমাকে তাঁর ছড়ি মুবারক দান করতঃ বললেন,

تحضر بهذه فى الجنة.

“এটা নিয়ে বেহেশ্তে চলে যাও।”

ঐ ছড়ি মুবারক হযরত আব্দুল্লাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-এর কাছেই ছিল। যখন তাঁর ইন্তিকালের সময় হলো তখন তিনি ওছিয়ত করলেন যে, এই ছড়িটা আমার কাফনে রেখে আমার সাথে দাফন করে দিবে। অতএব, এরূপই করা হয়েছিল।” (যুরকানী, বাইহাক্বী)

আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিয়্যীন, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মিম্বর শরীফের তিনটি স্তর ছিল। তিনি সর্বোচ্চ স্তরে বসতেন এবং মধ্যম স্তরে তাঁর পা মুবারক রাখতেন। তাঁর পর ছিদ্দীকে আকবর হযরত আবু বকর ছিদ্দীক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তাঁর খিলাফতকালে আদবের খাতিরে মধ্যম স্তরে বসতেন এবং সর্বনিম্ন স্তরে পা মুবারক রাখতেন। ফারুকে আ’যম হযরত উমর ফারুক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তাঁর খিলাফতকালে সর্বনিম্ন স্তরে বসতেন এবং পা মুবারক মাটিতে রাখতেন। অতঃপর হযরত উছমান গণী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-এর খিলাফতকালে তিনি তাঁর পূর্ববর্তী খলীফাদ্বয়ের অনুসরণে মধ্য স্তরে প্রথম খুৎবা এবং নিম্নতম স্তরে দ্বিতীয় খৎবাহ্ প্রদান করতেন। মিম্বর শরীফে নতুন করে কোন স্তর যুক্ত করেননি।” (কাশফুল গুম্মাহ্, ওয়াফাউল ওয়াফা)

হযরত আসমা বিনতে আবু বকর ছিদ্দীক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-এর কাছে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর জুব্বা মুবারক ছিল। তিনি বলেন,

قالت كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يلبسها فنحن يغسلها للمرضى يستشفى بها.

অর্থঃ- “ঐ জুব্বা মুবারকটি হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পরিধান করেছিলেন। আমরা তা ধুয়ে রোগ নিয়াময়ের উদ্দেশ্যে রোগীদের পান করাতাম। এতে আরোগ্য হয়ে যেতো।” (মুসলিম শরীফ)

হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন,

كان رسول الله صلى الله عليه وسلم اذا صلى الغداة جاء خدم المدينة بانيتهم فيها الماء فما يؤتى باناء الا غمس يده فيها فربما جاءه فى الغداة الباردة فيغمس يده فيها.

অর্থঃ- “যখন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ফজরের নামায থেকে অবসর হতেন তখন মদীনা মুনাওওয়ারার শিশুরা তাদের পানি ভর্তি পাত্র নিয়ে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মহান খিদমতে হাযির হতো। তিনি প্রত্যেকটি পাত্রে তাঁর হাত মুবারক ডুবিয়ে দিতেন। কোন কোন সময় শীত থাকা সত্ত্বেও তিনি তাঁর হাত মুবারক তাতে ডুবিয়ে দিতেন।” (মুসলিম শরীফ)

শিশুরা ঐ পানি নিয়ে ঘরে ফিরে যেতো এবং তাবাররুক মনে করে তা পান করত। (অসমাপ্ত)

তাফসীরুল কুরআন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালনই সর্বশ্রেষ্ঠ আমল

 তাফসীরুল কুরআন ক্বমীছ বা কোর্তা মুবারকের বুযুর্গী

 তাফসীরুল কুরআন: হিদায়েত আসার পরও অহংকারবশতঃ যারা হিদায়েত গ্রহণ করলনা তারা জাহান্নামী

তাফসীরুল কুরআন: হিদায়েত আসার পরও অহংকারবশতঃ যারা হিদায়েত গ্রহণ করলনা তারা জাহান্নামী

 তাফসীরুল কুরআন: হিদায়তে আসার পরও অহংকারবশতঃ যারা হিদায়েত গ্রহণ করলনা তারা জাহান্নামী