তাফসীরুল কুরআন ক্বমীছ বা কোর্তা মুবারকের বুযুর্গী

সংখ্যা: ১২৫তম সংখ্যা | বিভাগ:

-মাওলানা মুহম্মদ শামসুদ্দোহা (ধারাবাহিক)

হযরত ইবনে সা’দ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, খন্দক যুদ্ধে কাফিরদের পক্ষ থেকে আমর ইবনে আব্দে উদ্ যে বড় বাহাদুর ও নির্ভীক ছিল; সে ময়দানে বের হলো এবং বলতে লাগলো, হে মুসলমানেরা! যদি তোমাদের মধ্যে কেউ আমার মুকাবালা করার সাহস রাখ, তাহলে চলে এসো। এ কথা শুনে শের-ই-খোদা হযরত আলী র্কারামাল্লাহু ওয়াজহাহু রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু অগ্রসর হয়ে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কাছে আমর ইবনে আব্দে উদকে সমুচিত শিক্ষা দেয়ার জন্যে অনুমতি চাইলেন। হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, কাছে এসো। হযরত আলী মুরতাদ্বা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু নিকটবর্তী হলে,

فاعطاه رسول الله صلى الله عليه وسلم سيفه وعممه بعمامته وقال اللهم اعنه.

“তখন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁকে নিজের তরবারি মুবারক দান করলেন, নিজের পাগড়ী মুবারক তাঁর পাগড়ীর উপর বেঁধে দিলেন এবং দোয়া করলেন, আয় আল্লাহ্ পাক! হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুকে আমর ইবনে আব্দে উদ-এর বিরুদ্ধে সাহায্য করুন।” শের-ই-খোদা হযরত আলী র্কারামাল্লাহু ওয়াজহাহু রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তাঁর মুখোমুখি হলেন। ইতোপূর্বে আমর ছিল কয়েকজনের বিরুদ্ধে প্রবল কিন্তু আসাদুল্লাহ্ হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-এর হায়দারী আক্রমনের সম্মুখে সে কিছুই করতে পারলোনা। হযরত আলী র্কারামাল্লাাহু ওয়াজহাহু রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এক আঘাতেই তার মাথা দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিলেন। এটা দেখে কাফির হতভম্ব, মনোবল হারায়, পরিণামে মুসলমানদের বিজয় হয়।” (তবাকাতে ইবনে সা’দ) বর্ণিত রয়েছে, ফিরআউনের সভাসদ হামান, আল্লাহ পাক-এর নবী ও রসূল হযরত মূসা আলাইহিস্ সালাম-এর অনুরূপ পোশাক পরিধান করেছিল যা প্রকৃতপক্ষে তাঁর অনুসরণের জন্য নয় বরং ঠাট্টা-বিদ্রুপ প্রতারণার জন্য। কিন্তু তারপরও নুবুওওয়াতী পোশাকের সম্মানার্থে আল্লাহ পাক হামানকে লোহিত সাগরে ডুবিয়ে মারা থেকে হিফাযত করেছিলেন। বুঝাই যাচ্ছে যে, নবী-রসূল আলাইহিমুস্ সালাম এবং ওয়ারিছে নবীগণের দেহ মুবারক স্পর্শকৃত পোশাকাদি ও ব্যবহৃত পাদুকা ও অন্যান্য দ্রব্যাদি অত্যন্ত বরকতময়, বিপদ ও ব্যাধি তথা লা’নত ও গযব থেকে হিফাযতের কারণ হয়ে থাকে। আফদ্বালুল আউলিয়া, ক্বাইয়্যূমে আউয়াল হযরত শায়খ আহমদ ফারুকী মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি একদা যিয়ারতের উদ্দেশ্যে সুলতানুল হিন্দ, গরীবে নেওয়ায, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন চীশ্তী আজমীরী সাঞ্জিরী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর মাযার শরীফে গেলেন। যিয়ারত শেষে হযরত খাজা ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি তাঁকে মাযার শরীফের একটি গিলাফ হাদিয়া করেন। হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি হাদীয়াপ্রাপ্ত উক্ত  গিলাফ মুবারক যত্ন করে রাখেন এবং ইন্তিকালের পূর্বে  তিনি ওছীয়ত  করেন, উক্ত গিলাফ মুবারক দ্বারা যেন তাঁর কাফন পড়ানো হয় এবং তাই করা হয়েছিল। (সুবহানাল্লাহ)

অনুরূপ গত শতকের মুজাদ্দিদ হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্বী ফুরফুরাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি কর্তৃক টুপি মুবারক হাদিয়া পেয়েছিলেন এবং তা দ্বারা তিনি অশেষ ফয়েয, বরকত ও নিয়ামত লাভে ধন্য হয়েছিলেন। বর্তমান হিজরী পঞ্চদশ শতাব্দীর মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মা, আওলাদে রসূল রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলীও সুলতানুল হিন্দ, হাবীবুল্লাহ হযরত খাজা ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি কর্তৃক পাগড়ী মুবারক হাদিয়াপ্রাপ্ত হন। যা তাঁর মুজাদ্দিদ হওয়ার প্রমাণসমূহের একটি প্রমাণ। আল্লাহ পাক যেন আমাদেরকে এসব মহান বরকতময় নিয়ামতকে তা’যীম-তাকরীম করার ও সে  সব তাবারুক থেকে বরকত হাছিল করার তাওফীক দান করেন। য  (আমীন)

তাফসীরুল কুরআন ক্বমীছ বা কোর্তা মুবারকের বুযুর্গী

তাফসীরুল কুরআন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালনই সর্বশ্রেষ্ঠ আমল

 তাফসীরুল কুরআন: হিদায়েত আসার পরও অহংকারবশতঃ যারা হিদায়েত গ্রহণ করলনা তারা জাহান্নামী

তাফসীরুল কুরআন: হিদায়েত আসার পরও অহংকারবশতঃ যারা হিদায়েত গ্রহণ করলনা তারা জাহান্নামী

 তাফসীরুল কুরআন: হিদায়তে আসার পরও অহংকারবশতঃ যারা হিদায়েত গ্রহণ করলনা তারা জাহান্নামী