يَاۤ اَيُّهَا النَّاسُ قَدْ جَآءَتْكُمْ مَّوْعِظَةٌ مِّنْ رَّبِّكُمْ وَشِفَآءٌ لِّمَا فِىْ الصُّدُوْرِ وَهُدًى وَّرَحْمَةٌ لِّلْمُؤْمِنِيْنَ. قُلْ بِفَضْلِ اللهِ وَبِرَحْـمَتِهٖ فَبِذٰلِكَ فَـلْيَـفْرَحُوْا هُوَ خَيْـرٌ مِّـمَّا يَـجْمَعُوْنَ
তাফসীর: উক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখিত হয়েছে যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার মহাসম্মানিত হাবীব ও মাহবূব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে কায়িনাতবাসীর জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ নিয়ামত মুবারক হিসেবে পাঠিয়েছেন। ফলশ্রম্নতিতে কায়িনাতবাসীর উপর অপরিহার্য কর্তব্য অথার্ৎ ফরযে আইন হচ্ছে, উনাকে পাওয়ার কারণে খুশি মুবারক প্রকাশ করা। এবং এই খুশি মুবারক প্রকাশ করার আমল মুবারক-ই হচ্ছেন সর্বশ্রেষ্ঠ আমল মুবারক। যার একমাত্র প্রতিদান হচ্ছেন সর্বশ্রেষ্ঠ জান্নাত মুবারক। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। এ মর্মে পবিত্র হাদীছ শরীফ, তাফসীর, ফিক্বাহ, ফতওয়া, সীরাত গ্রন্থসমূহে বহু বহু বর্ণনা লিপিবদ্ধ রয়েছে। আলচ্য প্রবন্ধে কেবল একটিমাত্র বর্ণনা উল্লেখ করছি।
খইরুল কুরূন শাসনামলে হারুনুর রশীদের যামানায় পবিত্র ঈদে বিলাদতে রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করার কারণে এক ব্যক্তি আমলে ত্রুটি থাকা সত্বেও ওলীআল্লাহ হিসেবে আখ্যায়িত হন। বিনা হিসেবে জান্নাত লাভ করেন এবং সীমাহীন মর্যাদা-মর্তবা হাছিল করেন। যেমন এ সম্পের্ক কিতাবে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে, আল্লামা সাইয়্যিদ আবু বকর মক্কী আদদিমইয়াতী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার বিখ্যাত কিতাব ‘ইয়ানাতুত ত্বালিবীন’ এর মধ্যে বর্ণনা করেছেন-
اِنَّهٗ كَانَ فِيْ زَمَانِ اَمِيْرِ الْـمُؤْمِنِيْنَ هَارُوْنَ الرَّشِيْدِ شَابٌّ فِي الْبَصْرَةِ مُسْرِفٌ عَلٰى نَـفْسِهٖ وَكَانَ اَهْلُ الْبَـلَدِ يَـنْظُرُوْنَ اِلَيْهِ بِعَيْنِ التَّحْقِيْرِ لِاَجْلِ اَفْـعَالِهِ الْـخَبِيْـثَةِ، غَيْـرَ اَنَّهٗ كَانَ اِذَا قَدِمَ شَهْرُ رَبِيْعِ الْاَوَّلِ غَسَلَ ثِيَابَهٗ وَتَـعَطَّرَ وَتَـجَمَّلَ وَعَمِلَ وَلِيْمَةً وَاسْتَـقَرَّا فِيْهَا مَوْلِدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَدَامَ عَلٰى هٰذَا الْـحَالِ زَمَانًا طَوِيْلًا، ثُـمَّ لَـمَّا مَاتَ سَـمِعَ اَهْلُ الْبَـلَدِ هَاتِفًا يَّـقُوْلُ: اُحْضُرُوْا يَا اَهْلَ الْبَصْرَةِ وَاشْهَدُوْا جَنَازَةً وَلِيَّ مِّنْ اَوْلِيَاءِ اللهِ فَاِنَّهٗ عَزِيْـزٌ عِنْدِىْ، فَحَضَرَ اَهْلُ الْبَـلَدِ جَنَازَتَهٗ وَدَفَـنُـوْهُ، فَـرَاوْهُ فِي الْـمَنَامِ وَهُوَ يَـرْفُلُ فِيْ حُلَلٍ سُنْدُسٍ وَاسْتَـبْـرَقٍ، فَقِيْلَ لَهٗ بِـمَ نِلْتَ هٰذِهِ الْفَضِيْـلَةَ؟ قَالَ بِتَـعْظِيْمِ مَوْلِدِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
অর্থ: “শাসক হারুনুর রশীদের যামানায় বছরা শহরের এক যুবক সে নফসের অনুসরণ করে চলতো। শহরের লোকেরা তার নিন্দনীয় আমলের জন্য তাকে নিন্দার চোখে দেখতো। তবে যখন সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ পবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস আসতেন, এই যুবক কাপড় ধৌত করতেন, সুগন্ধি ব্যবহার করতেন ও সম্মানিত শরীয়ত বিরোধী কাজ থেকে বিরত থাকতেন, সেই সাথে ভালো খাবারের ব্যবস্থাও করতেন এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুমহান পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ অর্থাৎ পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উপলক্ষে মাসব্যাপী এ আমল করতেন। অতঃপর যখন তিনি ইন্তিকাল করেন তখন শহরবাসীগণ গায়েবী আহ্বান শুনতে পান। সেখানে বলা হচ্ছিলো, হে বছরাবাসী! আপনারা মহান আল্লাহ পাক উনার ওলী উনাদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত একজন ওলী উনার জানাযায় শরীক হোন। নিশ্চয়ই তিনি আমার কাছে খুবই প্রিয়। অতঃপর শহরবাসী উনার জানাযায় উপস্থিত হলেন এবং দাফন সম্পন্ন করলেন। উনারা (শহরবাসী) স্বপ্নে দেখলেন, উক্ত যুবক কারুকার্যপূর্ণ রেশমী কাপড় পরিহিত অবস্থায় জান্নাতে ঘোরাফেরা করছেন। উনাকে জিজ্ঞাসা করা হলো, এ ফযীলত আপনি কি করে লাভ করলেন? তিনি বললেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুমহান পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবসকে সম্মান করার কারণে অর্থাৎ পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার কারণে।” (ইয়ানাতুল ত্বলেবীন ৩য় খণ্ড ৬১৩ পৃষ্ঠা)
উপরে উল্লেখিত ঘটনা দ্বারা আরো প্রতিভাত যে, খইরুল কুরূনের মধ্যে পবিত্র ঈদে বিলাদতে রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালনের আমল জারী ছিল।
তাফসীরুল কুআন পুরুষদেরকে নারীদের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করা হয়েছে -মাওলানা শামসুদ্দোহা
তাফসীরুল কুআন: পুরুষদেরকে নারীদের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করা হয়েছে
তাফসীরুল কুরআন পুরুষদেরকে নারীদের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করা হয়েছে
তাফসীরুল কুরআন পুরুষদেরকে নারীদের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করা হয়েছে
তাফসীরুল কুরআন: পুরুষদেরকে নারীদের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করা হয়েছে