يَاۤ اَيُّهَا النَّاسُ قَدْ جَآءَتْكُمْ مَّوْعِظَةٌ مِّنْ رَّبِّكُمْ وَشِفَآءٌ لِّمَا فِىْ الصُّدُوْرِ وَهُدًى وَّرَحْمَةٌ لِّلْمُؤْمِنِيْنَ. قُلْ بِفَضْلِ اللهِ وَبِرَحْـمَتِهٖ فَبِذٰلِكَ فَـلْيَـفْرَحُوْا هُوَ خَيْـرٌ مِّـمَّا يَـجْمَعُوْنَ
(পবিত্র সূরা ইউনুস শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৭, ৫৮)
তাফসীর: উক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ করা হয়েছে যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার মহাসম্মানিত হাবীব ও মাহবূব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে কায়িনাতবাসীর জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ নিয়ামত মুবারক হিসেবে পাঠিয়েছেন। ফলশ্রম্নতিতে কায়িনাতবাসীর উপর অপরিহার্য কর্তব্য অথার্ৎ ফরযে আইন হচ্ছে, উনাকে পাওয়ার কারণে খুশি মুবারক প্রকাশ করা। এই খুশি মুবারক প্রকাশ করার আমল মুবারক-ই হচ্ছেন সর্বশ্রেষ্ঠ আমল মুবারক এবং প্রতিদান সর্বশ্রেষ্ঠ। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। এ মর্মে পবিত্র হাদীছ শরীফ, তাফসীর, ফিক্বাহ, ফতওয়া, সীরাত গ্রন্থসমূহে বহু বর্ণনা লিপিবদ্ধ রয়েছে। আলোচ্য প্রবন্ধে একটি ঘটনা মুবারক উল্লেখ করা হলো।
বর্ণিত রয়েছে, একজন খলীফা সে তার শাসনামলে যুলুম-অত্যাচার করতো অথার্ৎ সে ছিলো একজন যালিম। তবে তার একটি আদত বা অভ্যাস ছিলো- সে মাওলিদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অর্থাৎ মহাসম্মানিত সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনাকে মুহব্বত করতো এবং উনার সম্মানার্থে ওলীমা বা মেহমানদারীর আয়োজন করতো। সুবহানাল্লাহ! তার একজন চাচাতো ভাই ছিলো, সে খলীফা হওয়ার আকাংখা করতো তাই সে খলীফার জন্য বিভিন্ন দুর্ঘটনা প্রত্যাশা করতো। এমনকি খলীফাকে হত্যা করে তার থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে নিতে চাইতো। অতঃপর একদিন যখন খলীফা নিরস্ত্র অবস্থায় এবং কোনো খাদিম ব্যতীত লোকজন থেকে পৃথক হয়ে একাকী জনমানবহীন স্থানে যায় তখন হঠাৎ খলীফার সেই চাচাতো ভাই তার নিকট আসে এবং সে খঞ্জর হাতে খলীফার উপর আক্রমণ করে বলে, ‘হে মানুষরূপী খবীছ! আজ তোমাকে আমার থেকে কে রক্ষা করবে?’ তখন খলীফার জবান দিয়ে (অজান্তেই) বের হলো, ‘মাওলিদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অর্থাৎ মহাসম্মানিত সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফই আমাকে তোমার থেকে রক্ষা করবেন। সুবহানাল্লাহ! খলীফার কথা শেষ না হতেই অদৃশ্য থেকে একটি তীর এসে খলীফার সেই চাচাতো ভাইয়ের হৃদপিণ্ডে আঘাত করে, ফলে সাথে সাথেই সে মরে (যমীনে) পড়ে যায়। তখন খলীফা গায়িবী নেদা মুবারক শুনতে পায়, মহান আল্লাহ পাক তিনি বলছেন- ‘তুমি আমার মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাবীব, মাহবুব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত মাওলিদ শরীফ অর্থাৎ মহাসম্মানিত সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনাকে সম্মান করেছো, তাই আমি তোমাকে রক্ষা করেছি। যদি তুমি আরো বেশি সম্মান করো, তাহলে আমি তোমার সম্মান আরো বাড়িয়ে দিবো।’ সুবহানাল্লাহ! অতঃপর খলীফা অন্যায়-অত্যাচার, যুলুম-নির্যাতন থেকে তওবা করেন এবং প্রতি বছর মহাসম্মানিত সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার সম্মানার্থে উনার ধন-সম্পদের এক তৃতীয়াংশ খরচ করতে থাকেন।” সুবহানাল্লাহ! (কিতাবু ফাদ্বায়িলি মাওলিদিন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ৫ নং পৃষ্ঠা, রিসালাতু মাওলিদিন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ৪ নং পৃষ্ঠা)
উপরে উল্লেখিত ঘটনা মুবারক থেকে প্রতিভাত যে, কেউ যদি মহাসম্মানিত সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ঐ ব্যক্তিকে দায়িমীভাবে গাইবী মদদ করবেন। সমস্ত প্রকার বিপদ-আপদ, বালা-মুছীবত থেকে কুদরতীভাবে হিফাযত করবেন এবং উনাকে বিশেষ নিছবত মুবারক দানে ধন্য করবেন। সুবহানাল্লাহ!
তাফসীরুল কুরআন ক্বমীছ বা কোর্তা মুবারকের বুযুর্গী
তাফসীরুল কুরআন ক্বমীছ বা কোর্তা মুবারকের বুযুর্গী
তাফসীরুল কুরআন: হিদায়েত আসার পরও অহংকারবশতঃ যারা হিদায়েত গ্রহণ করলনা তারা জাহান্নামী
তাফসীরুল কুরআন: হিদায়েত আসার পরও অহংকারবশতঃ যারা হিদায়েত গ্রহণ করলনা তারা জাহান্নামী
তাফসীরুল কুরআন: হিদায়তে আসার পরও অহংকারবশতঃ যারা হিদায়েত গ্রহণ করলনা তারা জাহান্নামী