-পীরে কামিল, হাফিয, ক্বারী, মুফতী, আলহাজ্জ হযরত মাওলানা মুহম্মদ শামসুদ্দোহা
পূর্ব প্রকাশিতের পর
عن معاوية رضى الله تعالى عنه ان كتب الى عائشة ان اكتبى الى كتابا توصينى فيه ولا تكشرى فكتبت سلام عليك اما بعد فانى سمعت رسول الله صلى اله عيه وسلم يقول من التمس رضى الله بسخط اناس كفاه الله مؤنة الناس ومن التمس رضى الناس بسخط الله وكله الله الى الناس واسلام عليك.
অর্থাৎ-সাইয়্যিদুনা হযরত মুয়াবিয়া ইবনু আবু সুফিয়ান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমা হতে বর্ণিত। একবার তিনি সাইয়্যিদাতুনা হযরত আয়িশা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা-এর নিকট একখানা পত্র লিখে আরয করলেন, আপনি আমাকে উপদেশ সম্বলিত একখানা সংক্ষিপ্ত পত্র লিখুন। তিনি লিখলেন, আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক। পর সমাচার, আমি রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি মানুষের অসন্তুষ্টি সত্বেও আল্লাহ পাক-এর সন্তুষ্টি অন্বেষণ করে, মানুষের দায়িত্ব নির্বাহে আল্লাহ পাকই তাঁর জন্য যথেষ্ট হবেন। আর যে ব্যক্তি আল্লাহ পাক-এর অসন্তুষ্টি সত্বেও মানুষের সন্তুষ্টি তালাশ করে, আল্লাহ পাক তাকে মানুষের উপর সোপর্দ করে দিবেন। ওয়াসসালামু আলাইকা। (তিরমিযী শরীফ, মিশকাত শরীফ)
عن جابر بن عبد الله رضى الله تعالى عنه قال قا رسول الله صلى الله عليه وسلم من اسخط الله فى رضا الناس سخط الله عليه واسخط عليه من ارضاه فى سخطه. ومن ارضى الله فى سخط اناس رضى الله عنه وارض من اسخطه فى رضاه حتى يزينه ويزين قوله وعمله فى عينه.
অর্থঃ সাইয়্যিদুনা হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি মানুষকে খুশী করতে যেয়ে আল্লাহ পাককে অসন্তুষ্ট করে, আল্লাহ পাক তার প্রতি নারাজ হয়ে যান এবং যাদেরকে সে খুশী করার জন্য আল্লাহ পাককে অসন্তুষ্ট করেছে, আল্লাহ পাক তার প্রতি সেই লোকদের অসন্তুষ্ট করে দেন। পক্ষান্তরে, যে ব্যক্তি মানুষকে অসন্তুষ্ট করে আল্লাহ পাককে সন্তুষ্ট রাখে, আল্লাহ পাক তার প্রতি খুশী হন, আর আল্লাহ পাককে খুশী করার জন্য সে যাকে অসন্তুষ্ট করেছে তাকেও তিনি তার প্রতি সন্তুষ্ট করে দেন। এমনকি তাঁকে তাঁর কথা ও তার আমলকে উক্ত ব্যক্তির দৃষ্টিতে সুন্দর করে সাজিয়ে দেন। (তিবরানী শরীফ)
আখিরী নবী, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন,
من مشى مع ظالم ليقويه وهو يعلم انه ظالم فقد خرج من الاسلام.
অর্থঃ যে ব্যক্তি কোন যালিমের শক্তি বৃদ্ধি করার উদ্দেশ্যে তার সঙ্গে চলে; অথচ সে জানে যে, ঐ ব্যক্তি যালিম বা অত্যাচারী, তখন সে দ্বীন ইসলাম হতে বের হয়ে গেলো। (কেননা ইসলামের হাক্বীক্বতই হলো মানুষের অনিষ্ট হতে নিরাপদ থাকা)। (বায়হাক্বী শরীফ, মিশকাত শরীফ)
عن ابن مسعود رضى الله تعاى عنه عن النبى صلى الله عليه وسلم قال لاتزو قدما ابن ادم يوم القيامة حتى يسأل عن خمس عن عمره فيما افناه وعن شبابه فيما ابلاه وعن ماله من اين اكتسبه وفيما انفقه وماذا عمل فيما علم.
অর্থঃ ফক্বীহুল উমাম সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত। রসুলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, রোজ হাশরে আল্লাহ পাক-এর পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে আদম সন্তানের কেউ এক পা পর্যন্ত নড়াতে পারবে না। যথা- ১. হায়াত সম্মন্ধে জিজ্ঞাসা করা হবে যে, তা কিভাবে কাটিয়েছে? ২. যৌবন সম্মন্ধে প্রশ্ন করা হবে যে, তা কিরূপে অতিবাহিত করেছ? ৩. মাল বা ধন দৌলত সম্মন্ধে জিজ্ঞাসা করা হবে যে, তা কি উপায়ে উপার্জন করেছ? ৪. এবং তা কোথায় কিভাবে ব্যয় করেছ? আর ৫. ইল্ম্ অনুযায়ী যথাযথ আমল করেছিলে কিনা? (অসমাপ্ত)
তাফসীরুল কুরআন যে কোনো ধরণের যুলূম বা অত্যাচার ছারাছার হারাম এবং কঠোর শাস্তিযোগ্য- ৪
তাফসীরুল কুরআন যে কোনো ধরণের যুলূম বা অত্যাচার ছারাছার হারাম এবং কঠোর শাস্তিযোগ্য- ৫
তাফসীরুল কুরআন: যে কোনো ধরনের যুলূম বা অত্যাচার ছারাছার হারাম এবং কঠোর শাস্তিযোগ্য- ৬
তাফসীরুল কুরআন যে কোনো ধরনের যুলূম বা অত্যাচার ছারাছার হারাম এবং কঠোর শাস্তিযোগ্য- ৭
তাফসীরুল কুরআন যে কোনো ধরনের যুলূম বা অত্যাচার ছারাছার হারাম এবং কঠোর শাস্তিযোগ্য- ৮