-পীরে কামিল, হাফিয, ক্বারী, মুফতী, আলহাজ্ব হযরত মাওলানা মুহম্মদ শামসুদ্দোহা
পূর্ব প্রকাশিতের পর
সাইয়্যিদুনা হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, ‘যখন হাবাশ গমনকারী মুহাজির ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ সেখান থেকে হুযূর আকরাম ছল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নিকটে প্রত্যাবর্তন করলেন, তখন আল্লাহর রসূল ছল্লাল্লাহু আরাইহি ওযা সাল্লাম তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলেন, হাবাশার কোন ঘটনা কি তোমরা আমাকে বলবে না?
হযরত কুতাইবাহ রদ্বিয়াল্লাহ তায়ালা আনহু বলেন, “আমাদের মধ্যে হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুও ছিলেন। জবাবে তিনি বলেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! সেখানে একটি ঘটনা এই ঘটেছিল: আমরা উপস্থিত ছিলাম। এমন সময় একজন বৃদ্ধা মহিলা মাথায় একটি মাটির কলসী নিয়ে পথ অতিক্রম করছিল। তখন একটি যুবক বৃদ্ধা মহিলাটিকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিল। ফলে মহিলাটি উপুর হয়ে পড়ে গেল এবং তার কলসীটি ভেঙ্গে গেল। মহিলাটি মাটি থেকে উঠে যুবকের দিকে তাকিয়ে বললো, ‘তোমার দাম্ভিক আচরণের প্রায়শ্চিত্ব অচিরেই তুমি ভোগ করবে। যখন আল্লাহ পাক বিচারের আসনে সমাসীন হবেন।’ পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সকল আদম সন্তানকে একত্রিত করবেন, সকলের হাত, পা, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ স্বীয় কৃতকর্মের সাক্ষ্য দিবে। তখন সেই কাল ক্বিয়ামতের দিবসে তোমার আমলই ফায়সালা স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করে নিবে। বর্ণনাকারী বলেন, রসুলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “সে জাতি কিভাবে পাক পবিত্র হবে, যাদের সবল লোকেরা দুর্বলদের উপর যুলুম করে, অথচ এর কোন বিচার প্রতিকার করা হয় না।
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরও ইরশাদ করেন,
خمسة غضب الله عليهم ان شاء امضى غضبه عليهم فى الد نيا والا ثواى بهم فى الا خرة الى النار امير قوم يأ خذ حقه من رعيته ولا ينصفهم من نفسه ولا يد فع الظلم عنهم. وز عيم قوم يطيعو نه ولا يسوى بين القوى والضيف ويتكلم بالهواى. ورجل لا يأمر اهله وولده بطاعة الله ولا يعلمهم امرد ينهم. ورجل استأ جر اجيرا فا ستعمله ولم يوفه اجره. ورجل ظلم امرأة فى صداقها.
ম্পহৃঃব্ধঞ্জঙ্খম্ভব্দঞ্জব্জৈৈষ্ফশ্চঞ্জম্ল“ৈশ্চহৃঞ্জব্জশুঞ্জষ্ক্রব্জপ্টঞ্জব্জহৃম্ভ‘ঞ্জঙ্খম্ভব্দশ্চঞ্জম্ল“ৈশ্চহৃঞ্জ‘ৈঞ্জব্জম্ফৈশু“ব্জঞ্জèব্জব্জৈঞ্জরুèব্জ‘ঞ্জব্দশ্চহৃঞ্জল্প‘ঞ্জব্জব্জৈম্প॥ব্ধঞ্জব্জ‘ৈঞ্জব্জশৈুব্জ॥ঞ্জব্জহৃ“॥ঞ্জল্ফèহৃঞ্জ“প্পঞ্জম্প¤ঞ্জম্নল্ফশ্চঞ্জহৃশুঞ্জ॥ম্ল“ণ্ডশ্চঞ্জèব্জৈঞ্জ“শুম্বল্পশ্চহৃঞ্জহৃশুঞ্জশুল্পঃশ্চঞ্জèব্জৈঞ্জ“ম্ফল্পম্লঞ্জব্জম্মৈহৈৃঞ্জম্লশুশ্চহৃদ্বঞ্জèৎম্ল“হৃঞ্জল্ফèহৃঞ্জ“ম্ভ্র“ম্লèশুশ্চঞ্জèব্জৈঞ্জ“ঃè‘ঞ্জব্দ“শুঞ্জব্জল্ফৈè‘ঞ্জèব্জম্ভৈ“ল্পঞ্জè“ণ্ডরূহৈৃঞ্জব্দব্জশ্চৈèব্জ‘দ্বঞ্জè॥ভ্রঞ্জৈব্জৈঞ্জ“প্পহৃ॥ঞ্জব্জশ্চশ্চৈঞ্জèèম্ফৈশ্চঞ্জব্দম্ভ্রব্জম্লব্ধঞ্জব্জৈৈষ্ফশ্চঞ্জèব্জৈঞ্জ“ম্লহৈৃশ্চহৃঞ্জব্জহৃ॥ম্ফ“শুশ্চহৃদ্বঞ্জè॥ভ্রঞ্জৈব্জঃণ্ডপ্পভ্র॥ঞ্জব্জভ্র“॥ঞ্জল্পব্জঃণ্ডম্লহৃশ্চৈঞ্জèহৈৃঞ্জ“èল্পশ্চঞ্জব্জভ্র॥শ্চদ্বঞ্জè॥ভ্রঞ্জৈম্মহৈৃঞ্জব্জহৃ॥প্পব্ধঞ্জল্প‘ঞ্জম্বম্ফব্জল্ফশ্চব্জদ্ব
“আল্লাহ তায়ালা পাঁচ শ্রেণীর লোকের উপর রাগান্বিত। ইচ্ছা করলে তিনি দুনিয়াতেই তাদের উপর আযাব গজব নাযিল করবেন। অথবা পরকালে তাদেরকে ভয়াবহ অগ্নিতে নিক্ষেপ করবেন।
এক. অত্যাচারী শাসক, যারা প্রজাদের কাছ থেকে অধিকার আদায় করে কিন্তু তাদের সাথে ইনসাফও ন্যায় আচরণ করে না, তাদের উপর অপরের যুলুম নির্যাতনের ও কোন প্রতিকার করে না।
দুই. নেতৃস্থানীয় লোক, সাধারণ লোকজন তাদের আনুগত্য ও অনুসরণ করে কিন্তু সরল ও দুর্বলদের মধ্যে তারা ভারসাম্য ও সত্যিকার ন্যায় আচরণ বজায় রাখে না বরং প্রবৃত্তির অনুসরণ ও স্বেচ্ছাচারিতায় লিপ্ত থাকে।
তিন. গৃহকর্তা বা অভিভাবক; যারা পরিবার-পরিজন ও সন্তান-সন্ততিকে ইবাদত বন্দেগীর প্রতি উদ্ধুদ্ধ করে না এবং দ্বীনি বিষয়াবলী শিক্ষা দেয় না।
চার. যে ব্যক্তি শ্রমিক মজদুরকে পুরাপুরিভাবে খাটিয়ে কাজ নেয় কিন্তু তাদেরক পূর্ণ পারিশ্রমিক দেয় না।
পাঁচ. যে ব্যক্তি স্ত্রীর মহর পরিশোধের ব্যাপারে যুলুম করে। সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ ইবেন সালাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, আল্লাহ তায়ালা যখন সমস্ত মাখলুকাত সৃষ্টি করলেন, তখন তারা মাথা উঠিয়ে আল্লাহ তা আলাকে জিজ্ঞাসা করলো, “হে আল্লাহ পাক! আপনি কার সাথে আছেন?” আল্লাহ পাক বললেন, “আমি মাযলুমের সাথে আছি, যতক্ষণ পর্যন্ত তার প্রাপ্য হক আদায় না করা হয়।”
সাইয়্যিদুনা হযরত ওয়াহব ইবনে মুনাব্বিহ রহমতুল্লাহি থেকে বর্ণিত আছে যে, জনৈক যালিম ব্যক্তি একটি অতি মজবুত প্রাসাদ নির্মাণ করেছিল। একজন দরিদ্র বৃদ্ধা মহিলা এর পাশেই ক্ষুদ্র একটি ঘর বানিয়ে সেটিতে বসবাস করতে লাগলো। সেই অত্যাচারী ব্যক্তি একদিন অর্শ্বে আরোহণ করে তার প্রাসাদ পরিদর্শনের সময় বৃদ্ধার প্রাসাদটি তার নজরে পড়লে, জিজ্ঞাসা করে জানতে পারলো এটি এক দরিদ্র বৃদ্ধার ঘর। এ কথা জেনে সে ঘরটি ধ্বসিয়ে ফেলার নির্দেশ দিল। অতঃপর তা ধ্বসিয়ে দেয়া হল। বৃদ্ধা এসে এহেন অবস্থা দেখে জিজ্ঞাসা করে জানতে পারলো সেই অত্যাচারী বাদশাহ এ কাজটি করেছে। তৎক্ষনাৎ আকাশের দিকে হাত উঠিয়ে বৃদ্ধা বললো; আয় আল্লাহ পাক আমি এখানে ছিলাম না কিন্তু আপনি তো ছিলেন? আল্লাহ পাক হযরত জিব্রাইল আলাইহিস সালাম কে নির্দেশ দিলেন, যালিমের এই প্রাসাদটি তার উপর ধ্বসিয়ে দাও। সুতরাং তাই করা হলো। এবং যালিম ব্যক্তিটি সেভাবে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল। (চলবে)
তাফসীরুল কুরআন যে কোনো ধরণের যুলূম বা অত্যাচার ছারাছার হারাম এবং কঠোর শাস্তিযোগ্য- ৪
তাফসীরুল কুরআন যে কোনো ধরণের যুলূম বা অত্যাচার ছারাছার হারাম এবং কঠোর শাস্তিযোগ্য- ৫
তাফসীরুল কুরআন: যে কোনো ধরনের যুলূম বা অত্যাচার ছারাছার হারাম এবং কঠোর শাস্তিযোগ্য- ৬
তাফসীরুল কুরআন যে কোনো ধরনের যুলূম বা অত্যাচার ছারাছার হারাম এবং কঠোর শাস্তিযোগ্য- ৮
তাফসীরুল কুরআন: যে কোনো ধরনের যুলূম বা অত্যাচার ছারাছার হারাম এবং কঠোর শাস্তিযোগ্য- ১০