তাফসীরুল কুরআন যে কোনো ধরণের যুলূম বা অত্যাচার ছারাছার হারাম এবং কঠোর শাস্তিযোগ্য- ৫

সংখ্যা: ১৬০তম সংখ্যা | বিভাগ:

-পীরে কামিল, হাফিয, ক্বারী, মুফতী, আলহাজ্ব হযরত মাওলানা মুহম্মদ শামসুদ্দোহা

 

عن سعيد بن زيد رضى الله تعالى عنه ان اروى حا صمته فى بعض داره فقال دعوها وابا ها فا نى سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول من اخذ شبرا من الارض بغير حقه طو قه فى سبع ارضين يوم القيا مة اللهم ان كانت كاذ بة فاعم بصرها واجعل قبرها فى دارها قال فر أ يتها عمياء تلتمس الحدر بقول اصا بتنى دعوة سعيد  بن زيد فبينما هى تمشى فى الدار مرت على بئر فى الدار فوقت فيها فكانت قبرها.

সাইয়্যিদুনা হযরত সাঈদ ইবনু যায়িদ ইবনু আমর ইবনু নুফায়ল রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত। আরওয়া নামক এক মহিলা বাড়ীর কিছু অংশ নিয়ে তার সাথে বিবাদ করে। তিনি বললেন, তোমরা ওকে ছেড়ে দাও এবং জমির দাবীও ত্যাগ কর। কারণ, আমি রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছিঃ যে কেউ বিনা অধিকারে এক বিঘত জমি জবর দখল করবে ক্বিয়ামতের দিন তাকে সাত স্তর যমীনের বেড়ি পরিয়ে দেয়া হবে। হে আল্লাহ পাক! আরওয়া যদি মিথ্যাবাদী হয় তবে তার চোখ অন্ধ করে দিন এবং তার ঘরেই তার কবর করুন। রাবী বলেন, পরবর্তীকালে আমি আরওয়াকে অন্ধ অবস্থায় দেখেছি, প্রাচীরে প্রাচীরে সে আঘাত খেয়ে খেয়ে চলত। সে বলত, হযরত সাঈদ ইবন যায়িদের বদ দুআ আমায় লেগেছে। একদিন সে বাড়ীর মধ্যে চলাচল করছিল, বাড়ীর মধ্যে এক কুয়ার কাছ দিয়ে যাওয়ার সময় সে তাতে পড়ে যায়, কুয়াই তার কবর হয়। (বুখারী ও মুসলিম)

عن عائشة رضى الله تعالى عنها ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال من ظلم قيد شبر من الارض طوقه من سبع ارضين.

সাইয়্যিদাতুনা হযরত আয়িশা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা থেকে বর্ণিত রয়েছে। রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “যে ব্যক্তি এক বিঘত পরিমাণ জমিতে যুলম (জবর দখল) করল ক্বিয়ামতের দিন সাত তবক্ব যমীন তার গলায় লটকিয়ে দেয়া হবে।”(বুখারী শরীফ)

عن ابى موسى رضى الله تعالى عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ان الله ليملى للظا لم فاذا اخذه لم يفتله ثم قرأ وكذلك اخذ ربك اذا اخذ القرى وهى ظالمة ان اخذه اليم شديد.

বুখারী ও মুসলিম শরীফে সাইয়্যিদুনা হযরত আবু মূসা রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে আরও বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক যালিমকে অবকাশ দিয়ে থাকেন। কিন্তু যখন তিনি তাকে গ্রেপ্তার করেন তখন আর ছাড়েন না। অতঃপর তিনি (হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ আয়াত শরীফ পাঠ করলেন “আর আপনার রব যখন কোন যালিম জনবসতিকে পাকড়াও করেন তখন তাঁর পাকড়াও এমনই হয়ে থাকে। তাঁর পাকড়াও বড়ই কঠিন ও শক্ত  বা দৃঢ়।

বুঝা গেল, আল্লাহ পাক কোন যালিমকে হঠাৎ শাস্তি দেননা। বরং তাকে তওবা করার সুযোগ দেন। মূলতঃ এখানে আয়াত শরীফ ও হাদীছ শরীফের মধ্যে নিহিত আছে মাযলুমের জন্য এক প্রকার সান্তনা বাণী। কেননা, মাযলূমের পক্ষ হতে প্রতিশোধ গ্রহণ করার জন্য আল্লাহ পাকই যথেষ্ট।

عن معاذ رضى الله تعالى عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم واتق دعوة المظلوم فانه ليس بينها وبين الله حجاب.

বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফে সাইয়্যিদুনা হযরত মুআয রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত রয়েছে, রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, মাযলুম বা নির্যাতিত ব্যক্তির দুআকে (অভিশাপকে) ভয় কর। কেননা তার ও আল্লাহ পাক-এর মাঝে কোন আড়াল বা পর্দা নেই। (চলবে)

তাফসীরুল কুরআন: উলামায়ে ‘ছূ’রা শরীয়ত ও চরিত্র ধ্বংসের মূল হোতা

তাফসীরুল কুরআন: উলামায়ে ‘ছূ’রা গোমরাহীর মূল হোতা

তাফসীরুল কুরআন: উলামায়ে ‘ছূ’রা গোমরাহীর মূল হোতা

তাফসীরুল কুরআন: উলামায়ে ‘ছূ’রা গোমরাহীর মূল হোতা

তাফসীরুল কুরআন: উলামায়ে ‘ছূ’রা গোমরাহীর মূল হোতা