روى عن ابى هريرة رضى الله تعالى عنه فى تفسير قوله تعالى رب العالمين ان الله تعالى خلق الخلق وجعلهم اربعة اصناف الملائكة والشيا طين والجن والانس ثم جعل هؤلاء الاربعة عشرة اجزاء فتسعة منهم الملائكة وجزء واحد منهم الشياطين والجن والانس ثم جعل هؤلاء الثلثة عشرة اجزاء فتسعة منهم الشياطين وجزء واحد منهم الجن والانس ثم جعلهما عشرة اجزاء فتسعة منهم الجن وجزء واحد منهم الانس ثم جعل الانس مائة وخمسة وعشرين جزء فجعل مائة جزء منهم فى بلاد الهند واثنى عشرة جزء فى بلاد اروم وجع ستة اجزاء منهم فى المشرق وستة اجزاء منهم فى المغرب وبقى جزء واحد وهو ثلثة وسبعون جزء اثنان وسبعون منها اه ابدعة والصلاة وفرقة منها ناجية وهم اهل اسنة والجماعة وحسابهم على الله تعالى يغفرلمن يشاء ويعدب من يشاء.
অর্থঃ মুকছির রাবী সাইয়্যিদুনা হযরত আবূ হুরাইরাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত রয়েছে। তিনি আল্লাহ পাক-এর কালাম “রব্বুল আলামীন”-এর তাফসীরে বলেন, আল্লাহ পাক সৃষ্টিজীবকে চার ভাগে সৃষ্টি করেন- ফেরেশতা, শয়তান, জিন ও মানুষ। অতঃপর এই চারভাগকে দশ ভাগ করেন এবং এই দশ ভাগের নয় ভাগই হলো ফেরেশতা। অতঃপর শয়তান, জিন ও মানুষের এক ভাগকে পুনঃরায় দশভাগ করেন। যার নয় ভাগই শয়তান। আবার জিন ও মানুষের মধ্যকার এক ভাগকে দশ ভাগ করেন। যার নয় ভাগই জিন। অতঃপর এক ভাগ মানুষকে একশ পঁিচশ ভাগে বিভক্ত করেন। যার একশভাগ থাকে হিন্দুস্থানে। বারো ভাগ থাকে রোমে। ছয় ভাগ মাশরিক বা পূর্ব প্রান্তে। ছয়ভাগ থাকে মাগরিব বা পশ্চিম প্রান্তে। অবশিষ্ট এক ভাগকে আবার তেহাত্তর দলে বিভক্ত করেন। যার বাহাত্তর দলই বিদয়াতী ও গোমরাহ। আর একমাত্র দলই নাজাতপ্রাপ্ত। তাঁরা হলো আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত- যাদের হিসাব-নিকাশ আল্লাহ পাক-এর উপর ন্যাস্ত। যাকে ইচ্ছা তিনি ক্ষমা করবেন আর যাকে ইচ্ছা তিনি শাস্তি দিবেন। (তাফসীরে ওয়াসীত)
তিরমিযী শরীফে বর্ণিত রয়েছে, আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ নাজাতপ্রাপ্ত দলটির পরিচয় সম্পর্কে জানতে চাইলে জবাবে তিনি বলেন- ماانا عليه واصحابى.
অর্থাৎ “আমি এবং আমার ছাহাবীগণ যে মত ও পথের উপর রয়েছি সে মত ও পথের উপর যারা ক্বায়িম থাকবে তারাই নাজাতপ্রাপ্ত দলের অন্তর্ভূক্ত।
অর্থাৎ আক্বীদা, ক্বওল ও ফে’লের দিক থেকে যারা আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং তাঁর সম্মানিত ছাহাবা আজমাঈন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণের অনুসারী হবে একমাত্র তাঁরাই হক্ব। অর্থাৎ যারা হানাফী, মালিকী, শাফিয়ী ও হাম্বলী মাযহাব চতুষ্ঠয়ের অনুসারী। আর তাঁরাই আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের অন্তর্ভূক্ত।
আর বাহাত্তরটি বাতিল ও গোমরাহ দল হলোঃ- ১। মু’তাজিলাহ্ – এরা বিশ দলে বিভক্ত। ২। শিয়া-এরা বাইশ দলে বিভক্ত। ৩। খারেজী – এরা বিশ দলে বিভক্ত।৪। মরজিয়্যাহ্ -এরা পাঁচ দলে বিভক্ত। ৫। নাজ্জারিয়্যাহ্- এরা তিন দলে বিভক্ত। কেউ কেউ নাজ্জারিয়ার পরিবর্তে “ক্বদরিয়া ফিরকার” কথা উল্লেখ করেছেন। ৬। জাবারিয়্যাহ্ – এরা এক দলেই রয়েছে। ৭। মুশাব্বেহা- এরাও এক দলেই রয়েছে। সুতরাং উল্লেখিত ৭২টি দল, প্রত্যেকেই জাহান্নামী।
উল্লেখ্য, উক্ত বাতিল, গোমরাহ ও জাহান্নামী খারিজী দলেরই অন্তর্ভূক্ত হচ্ছে ওহাবী ফিরক্বা বা দল। আর ওহাবী দলের অনেক শাখা-উপশাখা রয়েছে। যেমন- সালাফী, মওদুদী, জামায়াতী, লা-মাযহাবী, দেওবন্দী, তাবলীগী ইত্যাদি। যাদের আক্বীদা ও আমল সম্পূর্ণরূপে কুরআন ও সুন্নাহর মুখালিফ। হাক্বীক্বত এরাই প্রকৃত যালিমের অন্তর্ভূক্ত। এ প্রসঙ্গে কালামুল্লাহ শরীফে ইরশাদ হয়েছে, “আল্লাহ পাক কি করে ঐ সম্প্রদায়কে হিদায়েত দান করবেন? যারা ঈমান আনার পর কুফরী করে এবং আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সত্য বলে স্বাক্ষ্য দেয়ার পরও কুফরী করে এবং তাদের নিকট কুরআন-সুন্নাহর দলীল আসার পরও কুফরী করে। আল্লাহ পাক যালিম সম্প্রদায়কে হিদায়েত দান করেন না।” (সূরা আলে ইমরান-৮৬) সমাপ্ত।
তাফসীরুল কুরআন যে কোনো ধরণের যুলূম বা অত্যাচার ছারাছার হারাম এবং কঠোর শাস্তিযোগ্য- ৪
তাফসীরুল কুরআন যে কোনো ধরণের যুলূম বা অত্যাচার ছারাছার হারাম এবং কঠোর শাস্তিযোগ্য- ৫
তাফসীরুল কুরআন: যে কোনো ধরনের যুলূম বা অত্যাচার ছারাছার হারাম এবং কঠোর শাস্তিযোগ্য- ৬
তাফসীরুল কুরআন যে কোনো ধরনের যুলূম বা অত্যাচার ছারাছার হারাম এবং কঠোর শাস্তিযোগ্য- ৭
তাফসীরুল কুরআন যে কোনো ধরনের যুলূম বা অত্যাচার ছারাছার হারাম এবং কঠোর শাস্তিযোগ্য- ৮