তাফসীরুল কুরআন  যে কোন ধরণের যুলূম বা অত্যাচার ছারাছার হারাম এবং কঠোর শাস্তিযোগ্য

সংখ্যা: ১৫৭তম সংখ্যা | বিভাগ:

পীরে কামিল, হাফিয, ক্বারী, মুফতী, আলহাজ্ব হযরত মাওলানা মুহম্মদ শামসুদ্দোহা

 

আল্লাহ পাক-এর কালামঃ

ولاتزر وازرة وزر اخرى.

অর্থঃ- “একজনের কৃত পাপ অন্য কেউ বহন করবে না।”

পূর্বে আলোচিত হাদীছ শরীফখানা উক্ত আয়াত শরীফের পরিপন্থি নয়। কেননা, আয়াত শরীফের মর্মার্থ হলো, “অন্যায়ভাবে একজনের গুণাহ আরেকজনের কাঁধে চাপানো হবেনা।” আর হাদীছ শরীফের মর্মার্থ হলো, “সে অন্যের গুণাহ্ নিজের কাঁধে বহন করার কারণ হবে।”

মোটকথা, যালিম তার কৃত যুলূমের শাস্তিস্বরূপ মাযলুমের পাপ বহন করতে বাধ্য হবে। বস্তুতঃ এটাই ইনসাফের দাবি।

“মুসলিম শরীফে” বর্ণিত রয়েছে,

قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ان الجهاد فى سبيل الله والا يمان با لله افضل الا عمال فقام ر جل فقال يا رسول الله ارايت ان قتلت فى سبيل الله تكضر عنى خطياى فقال له رسول الله نعم ان قتلت فى سبيل الله وانت صا بر محتسب مقبل غير مد بر ثم قال رسول الله صلى الله عليه وسلم كيف قلت قال ارايت ان قتلت فى سبيل الله اتكفر عنى خطا ياى فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم نعم وانت صابر محتسب مقبل غير مد بر الا الدين فان جبر يل قال لى ذلك.

অর্থঃ- “আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, আল্লাহ পাক-এর পথে জিহাদ করা এবং আল্লাহ পাক-এর উপর ঈমান আনা সবচেয়ে ভাল কাজ। এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বলেন, ইয়া রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি কি মনে করেন, আমি যদি আল্লাহ পাক-এর রাস্তায় নিহত হই তাহলে আমার গুণাহসমূহের ক্ষতিপূরণ হবে? হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে বলেন- হ্যাঁ, তুমি যদি ধৈর্যশীল, ছওয়াবের আশা পোষণকারী ও সামনে অগ্রগামী হও এবং পৃষ্ঠপ্রদর্শনকারী না হও। অতঃপর রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘তুমি কিভাবে বললে?’ লোকটি পুনরায় বলেন, আপনার কি মত। আমি যদি আল্লাহ পাক-এর রাস্তায় নিহত হই তবে আমার গুনাহসমূহের ক্ষতিপূরণ হবে? রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন- হ্যাঁ, যদি তুমি ধৈর্যশীল, ছওয়াবের আশা পোষণকারী ও সামনে অগ্রগামী হও এবং পৃষ্ঠ প্রদর্শনকারী না হও, কিন্তু ঋন মাফ হবে না। হযরত জিবরাঈল আলাইহিস সালাম আমাকে এ কথা বলেছেন।”

“দারিমী শরীফ” ও “মিশকাত শরীফে” বর্ণিত আছে

ان السيف لا يمحو النفاق.

অর্থঃ- “নিশ্চয়ই তলোয়ার অর্থাৎ জিহাদ (মুনাফিকের) নিফাকী বা কপটতাকে মিটায়না।” বুঝা গেল, ঋন ও নিফাক শহীদ হলেও মাফ হবে না।

“মুসলিম শরীফে” বর্ণিত আছে,

عن عمر بن الخطاب رضى الله تعالى عته قال لما كان يوم خيبر اقبل نفر من اصحاب النبى صلى الله عليه وسلم فقالوا فلان شهيد و فلان شهيد حتى مروا على رجل فقالوا فلان شهيد فقال النبى صلى الله عليه وسلم كلا انى رأيته فى النار فى يردة غلها او عباءة.

অর্থঃ “হযরত উমর ফারূক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন, খাইবারের যুদ্ধের দিন নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর একদল ছাহাবী এলেন। তারা বলেন, অমুক ব্যক্তি শহীদ, অমুক ব্যক্তি শহীদ। এভাবে তারা এক ব্যক্তির কাছ দিয়ে যাওয়ার সময় বলেন, অমুক ব্যক্তি শহীদ। নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন- কখনও নয়, তাকে আমি একটি চাদর অথবা একটি আবা-এর জন্য জাহান্নামী দেখতে পাচ্ছি। এটা সে আত্মসাৎ করেছিল।” (চলবে)

তাফসীরুল কুরআন: উলামায়ে ‘ছূ’রা শরীয়ত ও চরিত্র ধ্বংসের মূল হোতা

তাফসীরুল কুরআন: উলামায়ে ‘ছূ’রা গোমরাহীর মূল হোতা

তাফসীরুল কুরআন: উলামায়ে ‘ছূ’রা গোমরাহীর মূল হোতা

তাফসীরুল কুরআন: উলামায়ে ‘ছূ’রা গোমরাহীর মূল হোতা

তাফসীরুল কুরআন: উলামায়ে ‘ছূ’রা গোমরাহীর মূল হোতা