তাফসীরুল কুরআন: হিদায়েত আসার পরও অহংকারবশতঃ যারা হিদায়েত গ্রহণ করলনা তারা জাহান্নামী

সংখ্যা: ১২৭তম সংখ্যা | বিভাগ:

-পীরে কামিল, হাফিয, ক্বারী, মুফতী, আলহাজ্জ হযরত মাওলানা মুহম্মদ শামসুদ্দোহা

এই পার্থক্যের কারণ ছিল যে, ফিরআঊন নিজেকে হযরত মুসা আলাইহিস্ সালাম থেকে বড় মনে করতো কিন্তু যাদুকরগণ নিজেদের আযীযী ইনকিসারীর স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। বুঝা গেল, তাকাব্বুর এমন এক আভ্যন্তরীন ব্যাধি যার প্রভাবে অন্তরের চোখ, কান সবই বেকার হয়ে যায়।  তাই বলা হয়েছে,

     উদূ লেখা ঢুকবে………………………………………….

অর্থাৎ, “যখন ইল্ম অন্তরে স্থান না পেয়ে দেহের উপর ক্রিয়া করে, তখন তা আরও বিপদজনক হয়।” এখান থেকে নাহক্ব অহংকারী হারামের ক্ষেত্রে ইজতিহাদকারী, মুনাফিক উলামায়ে ‘ছূ’দের সবক নেয়া উচিত। করণ প্রত্যেক যুগের উলামায়ে ছূ’ গোষ্ঠী আহলুল্লাহদের বিরোধিতা করার কারণে তথা হক্বকে নাহক্ব মনে করার কারণে তাদের হারামের জ্ঞান থাকা সত্বেও তারা অনেক হারাম কাজকে হিকমতের অজুহাতে নির্লজ্জ অনুশীলনে বাধ্য হয়। ফলে  উলামায়ে ‘ছূ’এর দল সরাসরি ও জলজ্যান্ত

يضل به (اى القران والحديث) كثيرا

 অর্থাৎ, “কুরআন শরীফ ও  হাদীছ শরীফ না মানার, না বুঝার কিংবা অপব্যাখ্যা করার কারণে অনেকেই পথভ্রষ্ট হবে” এর মিছদাকে পরিণত হয়েছে। (সূরা বাক্বারা/২৬) আহলুল্লাহগণ বলেছেন যে, ধ্বংসাত্মক ব্যাধি ‘তাকাব্বুর’ থেকে বাঁচতে হলে মানুষের উচিত, যেন সে তার (মানবের) সূচনা ও শেষের অবস্থাকে গভীরভাবে চিন্তা-ফিকির করে। কারণ, যে মানব জাতির (সূচনা বা) পিতা হযরত আদম আলাইহিস্ সাল্লাম কেই মাটি দ্বারা সৃষ্টি করা হয়েছে এবং সব মানুষকেই মৃত্যুর পর মাটিতে মিশতে হবে সেই মানুষের জীবনে আবার অহংকার কিসের। আর অহংকার হচ্ছে, হক্ব ও সত্যকে অপছন্দ করা, অস্বীকার করা  এবং লোকদেরকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা, অথচ তারাও আল্লাহ পাক-এর বান্দা এমনকি তারা অহংকারীর চাইতে শ্রেষ্ঠত্ব হতে পারে। মোটকথা, ঈমান (যার ফিক্বহী পরিভাষা হলো আক্বীদা) এবং ইলমের নূর বা জ্যোতি অন্তরে ধারণ করতে হলে তাকাব্বুর বা আত্মগরীমার জুলমাত বা অন্ধকারের বৃত্ত থেকে অবশ্যই বেরিয়ে আসতে হবে আহলুল্লাহদের ছোহবত গ্রহণ ও তাঁদের মুহব্বত অন্তরে ধারণ করার মাধ্যমে। আর আহলুল্লাহকে চেনার উপায় হলো অহংকারী ব্যক্তি  যাকে অপছন্দ বা ঘৃণা করেছে তিনিই আহলুল্লাহ। অন্যথায় নিম্নে বর্ণিত ওহীর চাবুকের লক্ষ্যস্থলে পরিণত হতে হবে। যেমন, আল্লাহ পাক জাল্লা জালালুহু বলেন, (এক)       انه لايحب المستكبرين অর্থঃ- “নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক দম্ভ-অহংকারীদের পছন্দ করেন না।” (সূরা নহল্/২৩) (দুই)

لقد استكبروا فى انفسهم وعتو عتوا كبيرا.

অর্থাৎ- ‘তারা তাদের হৃদয়ে গরীমা-অহংকার লালন করে (এবং তারা) মারাত্মক সীমালঙ্ঘন করেছে।” (সূরা ফুরক্বান/২১) (তিন)

الن الذين يستكبرون عن عبادتى سيد خلون جهنم داخرين.

অর্থঃ- “যারা দম্ভ-অহংকারে (ফুলে-ফেঁপে) আমার  (খাঁটি) বান্দা হতে নাক সিটকায়, অচিরেই তারা লাঞ্ছিত-অপমানিত হয়ে জাহান্নামে ঢুকবে।” (সূরা মু’মিন/৬০) অথচ আল্লাহ পাক বলেন, আমি তাদেরকে আমার মুহসিন বা নেককার বান্দাদের দলভুক্ত হওয়ার জন্য কড়া নির্দেশ দিয়েছিলাম এই বলে যে,

فادخلى فى عبادى (اى مخلصا لرضائى)

অর্থঃ- “আমার সন্তোষ কামনায় একনিষ্ঠ নিবেদিত আমার ওলী-মাহবুব বান্দার (জ্যোতিময় অন্তর মুবারককে খুশী করার জন্য যেখানে আমার রিদ্বা ও জালওয়া বিরাজমান) দলভুক্ত হও। (সূরা ফজর/৩০) (চার)

 كذلك يطبع الله على كل قلب متكبر جبار.

 অর্থঃ- “আল্লাহ  তায়ালা এভাবেই (একারণেই) প্রত্যেক দাম্ভিক অহংকারীর হৃদয়কে মোহরযুক্ত করে দেন। (সূরা মু’মিন/৩৫) (অসমাপ্ত)

 তাফসীরুল কুরআন ক্বমীছ বা কোর্তা মুবারকের বুযুর্গী

 তাফসীরুল কুরআন: হিদায়েত আসার পরও অহংকারবশতঃ যারা হিদায়েত গ্রহণ করলনা তারা জাহান্নামী

 তাফসীরুল কুরআন: হিদায়তে আসার পরও অহংকারবশতঃ যারা হিদায়েত গ্রহণ করলনা তারা জাহান্নামী

তাফসীরুল কুরআন

তাফসীরুল কুরআন: মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালনই সর্বশ্রেষ্ঠ আমল