দা’ওয়াতু ইব্রাহীম, দা’ওয়াতুন্ নাবিয়্যীন, দলীলুল খইরাত, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কর্তৃক স্বীয় উম্মতকে জাগ্রত ও স্বপ্নযোগে পথ প্রদর্শন

সংখ্যা: ১২৯তম সংখ্যা | বিভাগ:

عن ابى هريرة رضى الله تعالى عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لم يبق من النبوة الا المبشرات قالوا وما المبشرات قال الرؤيا الصالحة.

অর্থঃ- “হযরত আবূ হুরাইরাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিয়্যীন, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, (আমার পর) নুবুওওয়াতের দরজা বন্ধ হয়ে যাবে তবে সুসংবাদের দ্বার উন্মুক্ত থাকবে। হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ আরজ করলেন, সেই সুসংবাদের দ্বার কি? তিনি বললেন, উত্তম স্বপ্ন।” (বুখারী শরীফ, মিশকাত শরীফ)

নুবুওওয়াতের দরজা বন্ধ হয়েছে। আর কোন নবী আসবেন না। তবে বেলায়েত তথা আউলিয়ায়ে কিরামগণের আগমন ক্বিয়ামত পর্যন্ত জারী থাকবে।

উল্লেখ্য যে, নবী-রসূল আলাইহিমুস্ সালামগণ ওহী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। আর আউলিয়ায়ে কিরামগণ মুবাশ্শিরাত (সু-সংবাদ) দ্বারা মাহফুজ বা সংরক্ষিত।

সুতরাং মুবাশ্শিরাত তথা উত্তম স্বপ্ন, কাশ্ফ-কারামত, মুরাকাবা-মুশাহাদা, ইলহাম-ইলকার ধারাবাহিকতা ক্বিয়ামত পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। আর সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর যিয়ারত তা স্বপ্নে হোক কিংবা জাগ্রতাবস্থায় হোক তা হবে সর্বোত্তম সুসংবাদ ও পরম নিয়ামত। কাশফ, কারামত, মুরাকাবা-মুশাহাদা কিংবা উত্তম স্বপ্নের বিষয়টি ওহীর মত দলীলে ক্বাত্বয়ী (অকাট্য দলীল) না হলেও তার গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম।

কেননা, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,

الرؤيا الصالحة جزء من ستة واربعين جزء من النبوة.

অর্থঃ- “উত্তম স্বপ্ন নুবুওওয়াতের ছিচল্লিশ ভাগের একভাগ।” (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ)

আউলিয়ায়ে কিরাম ব্যতীত কখনও কখনও সাধারণ লোকও উত্তম স্বপ্নদ্রষ্টা হতে পারেন। তবে অবশ্যই সেটা তার জন্য বেলায়েত তথা ওলী আল্লাহ হওয়ার পূর্বাভাস।

হুজ্জাতুল ইসলাম হযরত ইমাম গায্যালী রহমতুল্লাহি আলাইহি স্বীয় বিশ্বখ্যাত ‘আল মুনকিজু মিনান দ্বালাল’ কিতাবে উল্লেখ করেন, “আউলিয়ায়ে কিরামগণের চলা-ফেরা, আহার-বিহার, অবস্থান-প্রস্থান, যাহির-বাতিন ইত্যাদি সমস্ত কিছুই নুবুওওয়াতের আলোতে আলোকিত। তাঁরা জাগ্রতাবস্থায় ফেরেশ্তা এবং আম্বিয়া আলাইহিমুস সালামগণের রূহ্ মুবারক প্রত্যক্ষ করেন, তাঁদের সাথে সালাম-কালাম বিনিময় হয়। প্রভূত ফায়দা হাছিল করেন। (হাবীলিল ফাত্ওয়া-২/২৫৭)

        হাদীছ শরীফে ইরশাদ হয়েছে,

من رانى فى المنام فسيرانى فى اليقظة.

অর্থঃ- “সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি আমাকে স্বপ্নে দেখবে সে অচিরেই জাগ্রতাবস্থায়ও আমাকে দেখতে পাবে।” (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ)

من رانى فقد راى احق.

অর্থঃ- “যে ব্যক্তি আমাকে দেখবে সে সত্যিই দেখবে।” (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ)

সুলতানুল আউলিয়া, ইমামুশ্ শরীয়ত ওয়াত্ তরীক্বত, হযরত শায়খ আবুল মাওয়াহেব শাযালী রহমতুল্লাহি আলাইহি বর্ণনা করেন, একবার আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর জিয়ারত নছীব হলো। তিনি নিজের সম্পর্কে বললেন, ‘আমি মৃত নই। আমার পরলোক গমণের বিষয়টা এরূপ যে, যারা আল্লাহ্ প্রদত্ত রূহানী ইল্ম থেকে বঞ্চিত, আমি তাদের দৃষ্টির আড়ালে পরলোকবাসী। কিন্তু যারা আল্লাহ্ পাক-এর দেয়া রূহানী ইল্ম রাখে তাদের মধ্যে আমি জীবিতই রয়েছি! আমি যেমন তাদের দেখতে পাই তেমনি তারাও আমার সাক্ষাত লাভ করে।’ (তবক্কাতুল কোবরা)

উল্লেখ্য যে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিয়্যীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণদের মত আউলিয়ায়ে কিরামগণকেও যাহিরী-বাতিনী উভয়ভাবে তরবিয়ত বা প্রতিপালন করে থাকেন। তা কখনও স্বপ্নে কখনও বা জাগ্রতাবস্থায় বিভিন্ন বিষয়ের পথ নির্দেশ করেন। ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ দান করেন।

মূলতঃ আউলিয়ায়ে কিরামগণ আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষ নির্দেশ অথবা ইলহাম-ইল্কা ব্যতীত কোন কাজই করেননা।

সাইয়্যিদুল আউলিয়া হযরত বড় পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, ‘যে পর্যন্ত আখিরী নবী হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর আদেশ না পেয়েছি সে পর্যন্ত আমি বিবাহ করিনি।’ (আওয়ারেফুল মায়ারিফ)

তিনি আরো বলেন, “একদিন যোহরের  নামাযের পূর্বে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর জিয়ারত নছীব হলো। তিনি আমাকে বললেন, ‘হে প্রিয় বৎস! তুমি ওয়াজ-নছীহত করনা কেন?’ আমি বললাম- ইয়া রসূলাল্লাহ্, ইয়া হাবীবাল্লাহ্ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! ‘আমি আজমী অনারবী লোক (বিশুদ্ধ আরবীভাষী)। বাগদাদের জ্ঞানী-গুণী ব্যক্তিদের সামনে কিভাবে ওয়াজ-নছীহত করবো।’ তিনি বললেন, ‘তোমার মুখ খোল।’ আমি মুখ খুললাম। তিনি সাতবার আমার মুখে তাঁর থু-থু মুবারক দিলেন এবং বললেন, এখন লোকদেরকে ওয়াজ-নছীহত কর।” (হাবীলিল ফাতওয়া ২/২৫৯)

সুলতানুল হিন্দ, গরীবে নেওয়াজ, হাবীবুল্লাহ খাজা মুঈনুদ্দীন চিশতী রহমতুল্লাহি আলাইহি ছিলেন পারস্য তথা ইরানের অধিবাসী। তিনি জিয়ারতের উদ্দেশ্যে মদীনা শরীফ গেলেন। রওযা মুবারকের নিকটবর্তী হয়ে সালাম পেশ করলেন। আর রওযা মুবারক থেকে আওয়াজ আসলো,

وعليكم السلام يا سلطان الهند.

“হে হিন্দুস্থানের সুলতান! আপনার হিদায়েতের কেন্দ্রস্থল হচ্ছে হিন্দুস্থান।” তিনি বিনীত কক্তে বললেন, ‘ইয়া রসূলাল্লাহ্ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! সেখানে কিভাবে যাব? আমি তো পথ চিনি না।’ আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, চক্ষু বন্ধ কর। তিনি চক্ষু বন্ধ করে মুরাকাবায় বসলেন। তিনি তাঁকে হিন্দুস্থান যাওয়ার সমস্ত রাস্তা দেখিয়ে দিলেন। তার সাথে এক টুকরা মাটি দিয়ে বললেন যে, এই মাটির সাথে যে স্থানের মাটি মিলে যাবে সেখানেই হবে আপনার খানকা শরীফ তথা অবস্থানস্থল।” (দলীলুল আরিফীন)

ইমামুশ্ শরীয়ত ওয়াত্ ত্বরীক্বত, আওলাদে রসূল হযরত আহমদ কবীর রেফায়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর সাথে মুসাফাহার উদ্দেশ্যে যেদিন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রওজা মুবারক থেকে হাত মুবারক বের করে দিয়েছিলেন সেদিন হাজার হাজার আউলিয়ায়ে কিরাম সেখানে উপস্থিত ছিলেন এবং তা প্রত্যক্ষ করেছেন।” (হাবী লিল ফাতওয়া ২/২৬১)

একদিন ইমামে রব্বানী, মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহিকে একটা জামা মুবারক পরিয়ে দিয়ে বললেন, “এটা মুজাদ্দিদে আলফে ছানী-এর পোশাক। অন্য একদিন মুরাকাবার হালতে মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহিকে বলে দিলেন, আপনি আকাঈদ শাস্ত্রের মুজতাহিদ।” (মাকতুবাত শরীফ)

সুতলনাতুল আরিফীন, হযরত বিশর হাফী রহমতুল্লাহি আলাইহি একবার স্বপ্নে দেখলেন, আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁকে এ মর্মে উপদেশ দিচ্ছেন যে, “ধনীদের পক্ষে গরীব দরবেশদের প্রতি সহানুভূতি প্রদর্শন করা ভাল। আর গরীব দরবেশদের পক্ষে টাকা-পয়সার ব্যাপারে ধনীদের সাথে অহঙ্কার প্রদর্শন আরও ভাল।” (তাযকিরাতুল আউলিয়া)

শাইখুল মাশায়িখ হযরত কাজী হামীদুদ্দীন নাগোরী রহমতুল্লাহি আলাইহি ছিলেন ভারতের যোধপুর রাজ্যের নাগোর এলাকার কাজী। সুবিচার ও ন্যায়পরায়ণতার জন্য বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। বেশ কিছুকাল কাজীর দায়িত্ব পালন করার পর একদা আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁকে বললেন, ‘হে হামীদুদ্দীন! এ কাজ ছেড়ে চলে আস। তোমার জন্য অন্য ময়দান শুন্য পড়ে আছে।’

ইমাম, আল্লামা ইবনুল জাওযী রহমতুল্লাহি আলাইহি একাধারে দীর্ঘ দুই বছর পর্যন্ত

كل يوم هو فى شان.

এ আয়াত  শরীফের  তাফসীর  করতে  থাকেন। একদিন মজলিশ থেকে অপরিচিত এক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করলেন, ‘আলোচ্য আয়াত শরীফের তাফসীরে মনে হচ্ছে যে, আল্লাহ্ পাক প্রতি মুহূর্তেই নতুন নতুন শানে আবির্ভূত হন। আচ্ছা! এ মুহুর্তে আল্লাহ্ পাক কোন শানের প্রকাশ ঘটাচ্ছেন?’

ইমাম, হযরত ইবনুল জাওযী রহমতুল্লাহি আলাইহি এ প্রশ্নের সুদত্তর দিতে পারলেন না। লোকটি পরপর তিন দিন একই প্রশ্নের অবতারণা করলো। কিন্তু ইবনুল জাওযী রহমতুল্লাহি আলাইহি ভেবে পেলেন না যে, এ প্রশ্নের জবাব কি হতে পারে? তৃতীয় রাতে তিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সাক্ষাত লাভ করলেন। হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘হে ইবনুল জাওযী! যে ব্যক্তি এ প্রশ্ন উত্থাপন করে তোমাকে নির্বাক করে দিয়েছে তিনি হচ্ছেন হযরত খিযির আলাইহিস সালাম। তুমি বলে দিও যে, আল্লাহ্ পাক রব্বুল আলামীন তাঁর অনাদি শানকেই মাঝে মাঝে প্রকাশ ঘটিয়ে থাকেন, সম্পূর্ণ নতুন কোন কিছুর প্রকাশ করেন না! এই মহূর্তেও তিনি তাই করছেন, অনাদিকালে তিনি যা করছিলেন।’ (খাইরুল মাওয়ানিছ )

মুজাদ্দিদে মিল্লাত, হযরত শাহ্ ওলীউল্লাহ্ মুহাদ্দীছ দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি স্বীয় ‘ফুযূযূল হারামাইন’ কিতাবে লিখেছেন, ‘ছূলুক বা আধ্যাত্মিকতার জগতে পূর্ণতা লাভ করার প্রতিটি ছবক, আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে দান করেছেন এবং তাঁরই পবিত্র ছোহবতে (সান্নিধ্য) থেকে আমি পরিপূর্ণতা অর্জন করেছি। তিনি আমাকে এ সুসংবাদও দিয়েছেন যে, তোমার মাধ্যমে উম্মতের একটা বিশেষ জনগোষ্ঠিকে সম্মানিত করা হবে।” (তাযকিরা শাহ্ ওলীউল্লাহ্)

আমিরুল মু’মিনীন সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরেলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর সাথে যেদিন বিশেষ জিয়ারত হলো। সেদিন ছিল ২৭শে রমযান শবে ক্বদর। শেষ রাতে তিনি দেখতে পেলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত আবু বকর ছিদ্দীক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ও হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুসহ তাশরীফ আনলেন এবং বললেন, আহমদ উঠ। আজ শবে ক্বদর। আল্লাহ পাককে স্মরণ কর এবং প্রাণভরে তাঁর নিয়ামত প্রার্থনা কর।” (সীরাতে সাইয়্যিদ আহমদ)

 এ ধারাবাহিকতায় বলতে হয় যে,      মুসলিম উম্মাহর বুলন্দ নছীব, বর্তমান যামানায় মহান আল্লাহ পাক ইহসান করতঃ এমন একজন মহান ব্যক্তিত্বকে পাঠিয়েছেন যিনি মুজাদ্দিদ, ইমাম এবং কুতুবুল আলমগণের মধ্যমণি, ইমামুল আইম্মা, মুহ্ইস্ সুন্নাহ্, কুতুবুল আলম, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী। তিনি জাগ্রতাবস্থা, স্বপ্নে, মুরাকাবায় সার্বক্ষণিক সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিয়্যীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর জিয়ারতে যেভাবে ধন্য, মনে হয় যেন তিনি তাঁর কোলেই লালিত-পালিত। (সুবহানাল্লাহ্) এমনকি তাঁর ছোহবতে যারা আসেন তাদের প্রত্যেকেই আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর পরম জিয়ারত লাভ করেন। তা জাগ্রতাবস্থায় এবং স্বপ্ন উভয় ভাবেই।

-মাওলানা মুফতী সাইয়্যিদ মুহম্মদ আব্দুল হালীম

ফতওয়া বিভাগ- গবেষণা কেন্দ্র, মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ হিজাব বা পর্দা ফরযে আইন হওয়ার প্রমাণ ও তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া – (১৮) প্রকাশিত ফতওয়াসমূহ

আউয়ালু শাফি’, আউয়ালু মুশাফ্ফা’, আউয়ালু মাঁই ইউহাররিকু বাবাল জান্নাহ্, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামই জান্নাতের মালিক

ছাহিবুল কাওছার, ছাহিবুল  মাহ্শার, ছাহিবুল  মাক্বামিল  মাহমূদ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের মত মানুষ নন

ছাহিবুল আয়াত, ছাহিবুল হাদীছ, ছাহিবুল বুরহান, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর হাদীছ শরীফ ব্যতীত কালামুল্লাহ শরীফ বুঝা এবং আমল করা সম্ভব নয়

ছাহিবুল মদীনাহ, ছাহিবুল মক্কাহ, ছাহিবুল হাত্বীম, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সমস্ত ইলমের অধিকারী ॥ সুন্দর হস্তাক্ষরে লিখন তাঁর মু’জিযা ॥ তিনি মুয়াল্লিম হিসেবে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু  তায়ালা আনহুমগণকে আক্ষরিক জ্ঞান শিক্ষা দিতেন