দেশে খেলাপি ঋণের পরিমাণ এক লাখ পাঁচ হাজার কোটি টাকা। অভিনব পদ্ধতিতে পার পেয়ে যাচ্ছে রাজনৈতিক প্রভাবশালী ঋণখেলাপিরা। মূলত, ঋণের নামে এখন রাজনৈতিক প্রভাবশালীরা যা করছে তা প্রকাশ্য লুটপাট আর মহাডাকাতি।

সংখ্যা: ২৫৬তম সংখ্যা | বিভাগ:

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলেছে। খেলাপি ঋণ আদায়ে নানা ধরনের পদক্ষেপ নিয়েও কাজ হচ্ছে না। চলতি ২০১৬ সালের এপ্রিল মে জুন- এই ৩ মাসে খেলাপি ঋণে যুক্ত হয়েছে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা। ঋণখেলাপি নামের লুটেরা চক্রের দৌরাত্ম্য যে কীভাবে বাড়ছে এটি তার ক্ষুদ্র প্রমাণ।

বাংলাদেশের ব্যাংকের দেয়া এক তথ্যে জানা গেছে, দেশের ব্যাংকিং খাতে বিতরণকৃত ঋণের পরিমাণ ৬ লাখ ৭১ হাজার কোটি টাকা। এরমধ্যে খেলাপি ঋণের পরিমাণই ১ লাখ ৫ হাজার কোটি (নিয়মিত খেলাপি ৬৩ হাজার ৩৬৫ কোটি এবং অবলোপন ৪১ হাজার কোটি) টাকা, যা ৪টি পদ্মা সেতুর ব্যয়ের সমান। পরিসংখানে আরো দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি খেলাপি হয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোয়। চলতি ২০১৬ সালের জুন পর্যন্ত রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী, অগ্রণী, জনতা, রূপালী, বিডিবিএল ও বেসিক ব্যাংকে ঋণ খেলাপি হয়েছে ৩০ হাজার ৭৭ কোটি টাকা, যা বিতরণ করা ঋণের ২৫ দশমিক ৭৪ শতাংশ। এ খেলাপির বড় অংশই চিহ্নিত কয়েকটি গ্রুপের কাছে। এরমধ্যে দুই-একটি গ্রুপ আবার বিদেশ থেকেও ঋণ নিয়েছে। সব মিলিয়ে গ্রুপগুলোর সম্পদের চেয়ে ঋণ বেশি। অর্থাৎ পুরো সম্পদ বিক্রি করেও তারা ঋণ পরিশোধ করতে পারবে না।

শীর্ষ ১০ খেলাপির কাছে সোনালী, অগ্রণী, জনতা ও রূপালী- এ চার ব্যাংকের পাওনা ৫ হাজার ৮৬৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে শীর্ষ ১০ খেলাপির কাছে সোনালী ব্যাংকের পাওনা ২ হাজার ১৫৫ কোটি টাকা, অগ্রণী ব্যাংকের ২ হাজার ২৭৫ কোটি টাকা, জনতা ব্যাংকের পাওনা ৭৫৯ কোটি টাকা এবং রূপালী ব্যাংকের পাওনা ৬৭৮ কোটি টাকা।

উল্লেখ্য, দিন যত যাচ্ছে এর পরিমাণ ততই বেড়ে যাচ্ছে। গুটিকয়েক ব্যক্তির কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে ব্যাংক ও পুঁজিবাজারসহ পুরো আর্থিক খাত। চক্রটি যে পরিমাণ ঋণ নিয়েছে তার বিপরীতে জামানত আছে মাত্র ১০ ভাগের ১ ভাগ। আর তাদের এসব অপকর্মের মাশুল গুনতে হচ্ছে সৎ ব্যবসায়ী ও শিল্পোদ্যোক্তাদের। এভাবে অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারী কর্মকা- আশ্রয়-প্রশ্রয় পাওয়ায় ব্যাংক ঋণের সুদ যেমন নির্মূল হচ্ছে না, তেমনি নানা পন্থায় নেয়া হচ্ছে গলাকাটা সার্ভিস চার্জ। এছাড়া ভালো উদ্যোক্তা ও গ্রাহকদের পদে পদে হয়রানি-নাজেহালের তো শেষ নেই। সূত্র বলছে, চিহ্নিত ঋণখেলাপি এ চক্রটিকে সরকারের প্রভাবশালীরা পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে আসছে। ফলে কখনো তাদের শাস্তির মুখোমুখি হতে হয় না। বরং পুরস্কৃত করা হয়। বিশ্লেষকরা বলছে, আর্থিক খাতে এ অব্যবস্থা বহাল থাকলে ব্যাংকগুলো দেউলিয়া হয়ে যাবে। আর পথে বসতে হবে ব্যাংকের লাখ লাখ সাধারণ গ্রাহককে।

এদিকে পুনর্গঠন করা ঋণও পরিশোধ করছে না এ দুষ্টচক্রের মধ্যেকার দু’একটি গ্রুপ। ফলে চলতি সেপ্টেম্বর-(২০১৬) মাস শেষে পুনর্গঠন করা ঋণও খেলাপি হবে, যা ব্যাংকিং খাতের জন্য ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করবে। সম্প্রতি এ ধরনের একটি গ্রুপ সরকারি একটি ব্যাংকে ঋণের সুদ মওকুফের আবেদনও করেছে। আর খেলাপির তালিকা থেকে নাম এড়াতেও গ্রুপটি নিয়েছে অভিনব কৌশল। যাতে খেলাপির তালিকায় তাদের নাম না আসে, সেজন্য বেশ কয়েকটি ঋণের বিপরীতে আদালত থেকে স্থগিত আদেশ নিয়ে এসেছে তারা। সঙ্গতকারণে এতসব ভয়াবহ অনিয়ম ও শর্তভঙ্গ করে গ্রুপটি শেষমেশ পার পেয়ে গেলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোকে নির্ঘাত পথে বসতে হবে।

জানা গেছে, ঋণখেলাপি মামলা দীর্ঘায়িত করা বা ঝুলে পড়ার নেপথ্যে ঋণখেলাপিদের সঙ্গে ব্যাংকারদের এক ধরনের আঁতাত রয়েছে বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্যালোচনায় এসেছে। অন্যদিকে গণতান্ত্রিক আইনি কাঠামোয় আইনের অস্পষ্টতা, জটিলতা ও ব্যাখ্যার ভিন্নতার দরুন ঋণ আদায় দুরূহ হয়ে পড়ছে বলে পর্যবেক্ষক মহলের অভিমত। এক্ষেত্রে ব্যাংক ব্যবস্থা ও ঋণ গ্রহীতা উভয় পর্যায়ে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের অভিযোগও রয়েছে। ফলে প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্যাংকগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। একইভাবে প্রকৃত উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারীদের প্রয়োজনীয় ঋণ পেতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে, যা জাতীয় অর্থনীতিকেই শঙ্কাগ্রস্ত করছে। অর্থনীতিবিদরা বলছে, অনেক হয়েছে আর নয়। দেশের অর্থনীতিকে বাঁচাতে হলে দুষ্কৃতকারী এসব শিল্প মালিকদের পৃষ্ঠপোষকতা দেয়া বন্ধ করে এখনই কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

মূলত, ঋণের নামে এখন রাজনৈতিক প্রভাবশালীরা, যা করছে তা প্রকাশ্য লুটপাট আর মহাডাকাতি। বলার অপেক্ষা রাখে না, সরকারের ছত্রছায়ায়ই এসব হচ্ছে। যেজন্য অর্থমন্ত্রী বলে বেড়ায় ‘চার হাজার কোটি টাকা জালিয়াতি এমন বড় কিছু নয়।’ অথচ এদেশে ২ কোটি লোক এমন রয়েছে, যারা দিনে একবেলা খাবার পায় না। ৪ হাজার কোটি টাকা সুষম ও স্বচ্ছ ব্যয়ে তাদের দারিদ্র্য নিরসন করা সম্ভব। কিন্তু দেশ আজ দু’শ্রেণীতে বিভক্ত। শোষক আর শোষিত। এর থেকে রেহাই পেতে শোষক শ্রেণীদেরই আত্মসচেতন ও প্রতিবাদী হতে হবে। কেননা মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমরা যালিমও হয়ো না, মজলুমও হয়ো না।”

-আল্লামা মুহম্মদ আশরাফুল মাহবূবে রব্বানী, ঢাকা

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কাযযাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ উনার হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-১২৩

‘পবিত্র দ্বীন ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষার’ অর্থ হচ্ছে- ‘পবিত্র দ্বীন ইসলাম ও অনৈসলামী শিক্ষা’। যার ফলাফল ‘শূন্য ধর্মীয় শিক্ষা’। বিতর্কিত ও বামঘেঁষা মন্ত্রী এটা করলেও ‘পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ বিরোধী কোনো আইন পাস হবে না’- এ প্রতিশ্রুতির সরকার কী করে তা গ্রহণ করতে পারলো?

বেপর্দা-বেহায়াপনায় আক্রান্ত কলুষিত সমাজের নতুন আতঙ্ক ‘সেলফি’। সেলফি উম্মাদনায় সমাজে ব্যাপকভাবে বেড়েছে হত্যা, আত্মহত্যা, সম্ভ্রমহরণ, সড়ক দুর্ঘটনাসহ নানা অপরাধ। বিভিন্ন দেশে সেলফি’র উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও বাংলাদেশে কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। সরকারের উচিত অপসংস্কৃতি এবং আত্মহত্যার মতো অপরাধ বন্ধ করতে অবিলম্বে সেলফি নিষিদ্ধ করা।

প্রতারণার ফাঁদে নাগরিক জীবন। সরকারের নজরদারী নেই। রকমফের প্রতারণা বন্ধে সম্মানিত ইসলামী আদর্শ বিস্তারের বিকল্প নেই

পার্বত্য চট্টগ্রাম এবং উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চলছে অবাধ খ্রিস্টান ধর্মান্তরিতকরণ। বিষয়টি অদূর ভবিষ্যতে গভীর শঙ্কার। রহস্যজনক কারণে নীরব সরকার