দেশে শিক্ষা তথা উচ্চ শিক্ষার একদিকে মান কমছে অপরদিকে বাণিজ্য বাড়ছে। স্বাধীনতার পরে এরকম নিম্নমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা ও ষড়যন্ত্রী শিক্ষামন্ত্রীর নজীর নেই। গভীর ষড়যন্ত্র করে শিক্ষাখাতে জাতিকে ৫০ বছর পিছিয়ে দেয়া হয়েছে। ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানদের শিক্ষাখাতের ষড়যন্ত্রের ক্ষত পূরণ করার জন্য সচেতন হয়ে সক্রিয় পদক্ষেপ নিতে হবে।

সংখ্যা: ২৭১তম সংখ্যা | বিভাগ:

দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর আয়-ব্যয়, শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রতি বছর প্রতিবেদন প্রকাশ করে আসছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। সর্বশেষ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে।

অতীতের প্রতিবেদনগুলোতেও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন ছিলো ইউজিসির। ২০১৬ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল দেশে উচ্চ শিক্ষার প্রসার ঘটলেও মান নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ কলেজ থেকে পাস করা ¯স্নাতকদের শিক্ষার মান কাঙ্খিত নয়। এর আগের বছরের প্রতিবেদনে ইউজিসি বলেছে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজ থেকে ¯œাতক ডিগ্রিধারীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ এবং তাদের গুণগত মান আশানরুরূপ নয়।

দেশের উচ্চশিক্ষার মান দিন দিনই কমছে। বিশ্বের সেরা দুই হাজার বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের ঠাঁই হয়নি। ফাউন্ডেশন অব ওয়েলবিইং ডাইমেনশন-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উন্নত শিক্ষার সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩৩টি দেশের মধ্যে ১১৮ তম। ইউজিসির ৪১ তম বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যদিও উচ্চ শিক্ষার ব্যাপক প্রসার ঘটছে, তবুও শিক্ষার প্রত্যাশিত মান নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না। মানহীন শিক্ষা প্রসার শিক্ষার সকল স্তরেই লক্ষণীয়। প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক সকল স্তরের শিক্ষারই মান কমছে। আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা ‘রুম টু রিড’ এক প্রতিবেদনে বলেছে, পঠন দক্ষতা সন্তোষজনক নয়। প্রাথমিক শিক্ষার গুণগত মানের দিক থেকেও বাংলাদেশের অবস্থান তলানিতে। বিশ্বব্যাংক এক প্রতিবেদনে বলেছে, সমাপনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ৭৫ শতাংশ বাংলাতেই দক্ষণ নয়। মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিকে জিপিএ-৫, ডাবল জিপিএ পাওয়া শিক্ষাদের মান কোন পর্যায়ে তা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর বেরিয়ে আসছে। বাংলাদেশে মানসম্মত শিক্ষা কার্যত নেই। প্রশ্নপত্র ফাঁস, মেধাহীনদের শিক্ষক পদে নিয়োগ, শিক্ষা নিয়ে রাজনীতি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অরাজকতা, শিক্ষা বাণিজ্যিকীকরণ, শিক্ষাখাতের বরাদ্দ লুটপাটসহ বিভিন্ন কারণে দেশের সকল স্তরের শিক্ষার মান কমছে। অনেকেই রসিকতা করে বলেন, দেশে এখন শিক্ষার্থী নেই, আছে পরীক্ষার্থী আর গ্রেডার্থী। বাস্তবে এটাই যে, মানহীন শিক্ষা নিয়ে বেড়ে উঠছে প্রজন্ম। দেশে মানহীন শিক্ষার কারণে সামর্থ্যবান পরিবারের ছেলে-মেয়েরা বিদেশ ছুটছে লেখাপড়ার জন্য। কথিত শিক্ষাবীদ মুহম্মদ জাফর ইকবাল এক নিবন্ধে লিখেছে, এই সরকারের আমলে দেশে শিক্ষার যতবড় সর্বনাশ হয়েছে আর কখনো এতবড় সর্বনাশ হয়নি। শিক্ষার উন্নয়নে ব্যয়িত হাজার হাজার কোটি টাকার সুফল নেই। শিক্ষার উন্নয়নে ব্যয়িত অর্থের বড় অংশই দুর্নীতিবাজদের পকেটে চলে যাচ্ছে। শিক্ষার উন্নয়নে কোনো কাজে লাগবে না এমন প্রকল্পে শ’ শ’ কোটি টাকা বরাদ্দ হচ্ছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবিত প্রকল্পে ল্যাবের জন্য মাত্র কোটি, চলন্ত সিঁড়ির জন্য ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ চাওয়ার নজির রয়েছে। মানসম্মত শিক্ষা দফন-কাফনের বাস্তব দৃশ্যমান।

এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের ৩৪টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় তিন হাজার শিক্ষক ছুটিতে আছে, যা মোট শিক্ষকের ২১ শতাংশ। ছুটিতে যাওয়া শিক্ষকদের বড় একটি অংশ বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় বা অন্য কোন প্রতিষ্ঠানে খ-কালীন কাজ করছে। অবহেলা, দায়িত্বহীনতা, গাফিলতি, অনিয়ম-দুর্নীতি, গলাবাজির জায়গায় পরিণত হয়েছে দেশের শিক্ষাখাত।

অপরদিকে দেশে প্রথম সারির কোনো কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো এখনো ভালোভাবে গড়ে ওঠেনি। কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভালো অবকাঠামো থাকলেও শিক্ষার্থীর তুলনায় পর্যাপ্ত নয়। এর মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ক্রমান্বয়ে বাড়িয়ে চলেছে টিউশন ফি। এতেই ফুলেফেঁপে উঠছে তাদের আয়।

২০১৭ সালে শিক্ষা কার্যক্রমে থাকা ৯০টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মিলিত আয় ছিল ৩ হাজার ২০১ কোটি টাকা। ২০১৬ সালে শিক্ষা কার্যক্রমে ৮৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মিলিত আয় ছিল যেখানে ২ হাজার ৯৩০ কোটি ৬২ লাখ ৫৫ হাজার টাকা। এ হিসাবে এক বছরে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আয় বেড়েছে প্রায় ২৭১ কোটি টাকা।

সর্বোচ্চ আয়কারী বেসরকারি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সবার উপরে আছে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়। ২০১৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টি ২২৯ কোটি টাকার মতো আয় করলেও ২০১৭ সালে তা বেড়ে হয়েছে ২৬৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক বছরেই বিশ্ববিদ্যালয়টির আয় বেড়েছে ৩৩ কোটি টাকা।

অপরদিকে শিক্ষার্থী ও আয় বাড়লেও বিশ্ববিদ্যালয়টিতে উচ্চশিক্ষার মৌলিক খাতগুলোতে ব্যয়ের পরিমাণ কমেছে। ২০১৬ সালে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা খাতে ৪৫ কোটি ৮৪ লাখ টাকা ব্যয় করলেও ২০১৭ সালে তা কমে দাঁড়ায় ৩৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকায়।

প্রসঙ্গত বর্তমান বামপন্থী শিক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ বহুদিনের। অভিজ্ঞমহল মনে করেন, বর্তমান সরকারের কাঁধে ভর করে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ও মুসলমান বিদ্বেষী খাহেশ পুরোটাই বামপন্থী শিক্ষামন্ত্রী পূরণ করেছে। শিক্ষাই জাতির মেরুদ-। তাই সে দীর্ঘ ১০ বছরেরও বেশি সময়ে শিক্ষামন্ত্রী থেকে ৯৮ ভাগ মুসলমান জনগোষ্ঠীর পুরো মেরুদ-ই ভেঙ্গে দিয়েছে। ৯৮ ভাগ মুসলমান জনগোষ্ঠী মুসলমানের দেশ বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মকে মেধাশুন্য করে দিয়েছে। কাজেই এ ক্ষয়ক্ষতির হিসেব নিরীক্ষা এ জাতিকেই করতে হবে। আর ষড়যন্ত্রীদের জনতার আদালতে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। পাশাপাশি গত ১০ বছরে শিক্ষাখাতের ষড়যন্ত্রের ক্ষতের পুরণ করতে এদেশবাসী ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠীকে সচেতন হয়ে সক্রিয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। ইনশাআল্লাহ!

-মুহম্মদ ওয়ালীউল্লাহ, ঢাকা।

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কাযযাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ উনার হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-১০৩

মুবারক হো- হাদিউল উমাম, বাবুল ইলম, কুতুবুল আলম, জামিউল আলক্বাব, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত শাহদামাদ ছানী হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মুবারক বিলাদত শরীফ

হিন্দুরা অন্তর থেকে মুসলমানদেরকে ঘৃণা করে ও অস্পৃশ্য মনে করে। আবুল মনসুর আহমদ, বঙ্গবন্ধুর আত্মকথা, মীর মোশাররফসহ অনেক সাহিত্যিকের লেখনীতেই এর প্রমাণ রয়েছে। বিশেষত রবীন্দ্র বঙ্কিম শরৎসহ হিন্দু সাহিত্যিকদের রচনায় এর প্রমাণ বিস্তর। কিন্তু বর্তমানে তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরা ও হিন্দু তোষণকারী প্রশাসন পারলে হিন্দুদের মাথায় তুলে রাখে। হিন্দুরা যে মুসলমানদের শত্রু জ্ঞান করে- সে কথা অস্বীকার করে। পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে মুশরিক-হিন্দুদের বড় শত্রু বলা হয়েছে। অতএব, ওদের থেকে সাবধান।

ভারতকে কানেকটিভিটির নামে ট্রানজিট দেয়ার বৈধতা বর্তমান সরকারের নেই। ভারতকে কোনোমতেই ট্রানজিট দেয়া যাবে না। দিলে ৯৭ ভাগ ঈমানদার জনগোষ্ঠী বরদাশত করবে না।

আন্তর্জাতিক পানি ব্যবহারের বিধিবিধান লঙ্ঘন করে ভারত নির্মাণ করছে টিপাইমুখ বাঁধ। বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের জোর প্রতিবাদ দরকার।