ধর্মনিরপেক্ষতা ও গণতন্ত্রের বুলি ফেরিকারী আমেরিকা ও ভারতে নির্বাচনে জিততে হলে মুসলিম ও সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার বিদ্বেষী  প্রচারণা কেন সুবিধা পায়? তাহলে কী ভারত ও আমেরিকার শাসন কাঠামোই মুসলিমবিদ্বেষী? যে কারণে সেখানে মুসলমানরা সবসময় অবদমিত থাকে।

সংখ্যা: ২৫০তম সংখ্যা | বিভাগ:

আমেরিকা কিংবা ভারতে নির্বাচন আসলেই সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ও মুসলিম বিদ্বেষ ব্যাপকভাবে ছড়ানো হয়। নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে প্রচারণা চালালেও প্রকৃতপক্ষে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার আতঙ্ক ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিতে এবং দীর্ঘমেয়াদী মুসলিম নির্যাতনের ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে পরিকল্পিতভাবে এ কাজ করা হয়। যা প্রতি নির্বাচনের সময়ই তারা করে থাকে।

উল্লেখ্য, প্রথম মেয়াদে যখন ওবামা মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিল তখন তাকে নিয়ে সহজ-সরল মুসলমান অনেক স্বপ্ন দেখেছিল। তার পিছনে কারণ হলো, ওবামার দাদা ছিলেন একজন মুসলমান। এবং তার নামের সাথে হোসেন শব্দের যোগ রয়েছে।

কিন্তু এই শব্দটির কারণেই ওবামার মনোনয়ন পাওয়া প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছিলো। কারণ মার্কিনীদের মাঝে মুসলিমবিদ্বেষ এত বেশি যে কারো মধ্যে মুসলমানের গন্ধ থাকলেও তাকে মার্কিনীরা গ্রহণ করতে নারাজ।

মার্কিনীরা প্রকাশ্যে বলেছিলো, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শাসনের জন্য কোনো মুসলমানের প্রয়োজন নেই।” (নাঊযুবিল্লাহ!)। এর দ্বারা মার্কিনীদের মুসলিমবিরোধী মনোভাব কত তীব্র, তা স্পষ্টরূপে প্রমাণিত হয়। মুসলমানদের সেই বিশ্বাস ভুল প্রমাণিত হতে সময় লাগেনি। ওবামা তার নির্বাচনী পালে মুসলমানবিরোধী হাওয়া তুঙ্গে তুলেছিলো। নির্বাচনের আগে ইহুদীদের সমর্থনে ওবামা ঘোষণা করেছিল, “জেরুজালেম অখ- থাকবে এবং অখ- জেরুজালেম ইসরাইলের রাজধানী হবে।

সে ঘোষণা দিয়েছিল, ইসরাইলের নিরাপত্তার উপর সর্বোচ্চ অগ্রধিকার দেয়া হবে এ ব্যাপারে সে কোনো আপোস করবে না।

ওবামা আরো ঘোষণা করেছিল, পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদী তৎপরতা দমন করার জন্য প্রয়োজন হলে পাকিস্তানের অনুমতি ছাড়াই মার্কিন বিমান পাকিস্তানে হামলা চালাবে।

নির্বাচনের পর ওবামা তাই করেছিল, ইসরাইলের প্রতি এখনো সমর্থন অব্যাহত রেখেছে। ফিলিস্তিনে ইসরাইলি গণহত্যার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। অনুমতি ছাড়াই পাকিস্তানে এখনো ড্রোন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইরাক, আফগানিস্তানে মুসলিম নির্যাতনের সাথে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন মুসলিম দেশ নতুন করে যোগদান করেছে। নাউযুবিল্লাহ!

ইহুদীবাদী ইসরাইলকে খুশি করতে আমেরিকার অন্যান্য নির্বাচনের মতো এবারো প্রার্থীরা একই অপতৎপরতা শুরু করেছে। রিপাবলিকান পার্টির মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প, বেন কার্সন প্রমুখ। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে মুসলমানদের প্রবেশের উপর ‘পূর্ণ’ নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবি জানিয়েছে রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট মনোনয়ন প্রত্যাশী ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্প বলেছে, জরিপে দেখা যাচ্ছে, আমেরিকানদের প্রতি মুসলমানদের ‘ঘৃণা’ পুরো জাতিকেই ঝুঁকিতে ফেলে দিতে পারে। যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের প্রতিনিধিরা নির্ণয় করতে না পারে যে, আসলে কি ঘটছে, ততক্ষণ পর্যন্ত মুসলমানদের জন্য সীমান্ত বন্ধ করে রাখা উচিত।’

এদিকে ট্রাম্পের এই বিবৃতি প্রকাশের পরপরই রিপাবলিকান পার্টিতে তার প্রতিদ্বন্দ্বী বেন কারসেন আহ্বান জানায় যুক্তরাষ্ট্রে ছফররত সকল বিদেশীদের ‘নিবন্ধন ও নজরদারী’র আওতায় আনার।

সে আরো বলেছে, দেশে সন্ত্রাসী হামলা প্রতিরোধ করতে কিছু মসজিদ বন্ধ করতে যুক্তরাষ্ট্রের ‘দৃঢ়ভাবে বিবেচনা’ করা উচিত।

সম্প্রতি ‘এমএসএনবিসি’কে দেয়া এক সাক্ষাতকারে ট্রাম্প বলেছে, মসজিদে গিয়ে আপনাকে অবশ্যই দেখতে হবে এবং জরিপ করতে হবে সেখানে কি হয়। কারণ সেখানে অনেক ধরনের আলোচনা হয়। একই দিন ফরাসি প্রধানমন্ত্রী ম্যানুয়েল ভালাস বলেছে, যেসব মসজিদ এবং গ্রুপ দেশের মূল্যবোধে আঘাত করে, সেসব বন্ধ করে দেয়া উচিত। ভালাসের কথার প্রসঙ্গ তুলে ‘এমএসএনবিসি’ প্রশ্ন করে, সে প্রেসিডেন্ট হলে যুক্তরাষ্ট্রে এটা করতে কিনা? উত্তরে ট্রাম্প বলেছে, এটা যদিও ঘৃণিত কাজ হতো কিন্তু কিছু কাজের ব্যাপারে আপনাকে দৃঢ়ভাবে বিবেচনা করতে হবে। এদিকে ‘মুসলিমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার অনুপযুক্ত’ বলে মন্তব্য করেছে দেশটির রিপাবলিকান দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী বেন কার্সন। আমেরিকান নীতির সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ বলেও জানায় সে। গত ২০ সেপ্টেম্বর-২০১৫ রোববার এনবিসি টেলিভিশনকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে এসব মন্তব্য করে কার্সন। সে বলেছে, ‘এই (আমেরিকান) জাতির দায়িত্ব কোনো মুসলিমের উপর দেয়াকে আমি সমর্থন করতে পারি না। আমি এর সাথে একেবারেই একমত না।’

সাবেক নিউরোসার্জন কার্সন বলেছে, মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিশ্বাস অবশ্যই সংবিধানের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হতে হবে। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে মুসলমানদের প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা সম্পর্কে ট্রাম্পের আগের বক্তব্যের পর তার প্রতিদ্বন্দ্বীরা তাকে এ মুসলিমবিদ্বেষী বক্তব্য পরিহার করার আহ্বান জানিয়ে বলেছিলো, এ ধরনের বক্তব্যের ফলে সারাবিশ্বের মুসলমানদের কাছে ভুল বার্তা যাবে।

চার্লসটনে সম্ভাব্য রিপাবলিকান প্রার্থীদের ষষ্ঠ বিতর্কে ট্রাম্পকে প্রশ্ন করা হয়- সে তার আগের অবস্থান পুনর্বিবেচনা করবে কিনা। এর উত্তরে রিয়াল স্টেট ব্যবসায়ী ট্রাম্প বলেছে, “না। আমাদেরকে রাজনৈতিক অবস্থানে পরিবর্তন এনে মুসলমানদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হবে।”

শুধু আমেরিকাই নয়; ভারতের নির্বাচনও ছিলো সম্মানিত দ্বীন ইসলাম এবং মুসলিম বিদ্বেষ ছড়ানোর প্রতিযোগিতা। চরম মুসলিমবিদ্বেষী নরেন্দ্র মোদী বিজয় লাভ করেছে মুসলিমবিদ্বেষী সাম্প্রদায়িক প্রচারণা চালিয়ে। নাউযুবিল্লাহ!

-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব।  খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-১১         

বৃটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে বৃটিশ ভূমিকা-১১

 রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর হাক্বীক্বী নায়িব ও ওয়ারিছ। তাঁর বিরোধীতাকারীরা মুনাফিক, কাফির ও শয়তানের অনুসারী -১১     

 “হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিয়ে সিনেমা”  নিশ্চুপ উলামায়ে ‘ছূ’রা ॥ সর্বাঙ্গে দায়ী তারা 

অবশেষে তথাকথিত ইসলামী জামাতের আমীর নিজামী ও বায়তুল মোকাররামের তথাকথিত খতীব উবায়দুল হক, এরপর এবার মুফতে আমিনীও রাজারবাগ শরীফের তাজদীদ মানতে বাধ্য হলেন