নামধারী এক মুফতীর  বিবৃতিঃ প্রসঙ্গঃ ‘ইসলামী’ লেবেল ও তথাকথিত ‘ইসলামী রাজনীতি’

সংখ্যা: ১৩৯তম সংখ্যা | বিভাগ:

চারবার খণ্ডিত তথা ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র তথাকথিত ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান আমিনী বলেছেন, “ইসলামী লেবেল ছাড়া এদেশে আর রাজনীতি চলবেনা।” (দৈনিক সংবাদ ৮ই ফেব্রুয়ারী/২০০৫, শেষ পৃষ্ঠা) প্রতিভাত হয় যে, এদেশে যারা ইসলামের নামে রাজনীতি করছে তারা মূলতঃ ইসলামকে একটি লেবেল হিসেবে ব্যবহার করছে। কিন্তু কথা হলো, আল্লাহ পাক এক। আল্লাহ পাক-এর হাবীব, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক। তাঁর মাধ্যমে প্রবর্তিত ইসলামও এক। তাহলে সেই ইসলাম কতজনের লেবেল হতে পারে? যদিও তা হচ্ছে। আজকে এক ইসলামের নামে হাজারো দল। ‘জামায়াতে ইসলাম’, ‘নেজামে ইসলাম’, ‘শাফায়াতে ইসলাম’, ‘ইসলামিক শাসনতন্ত্র’, ‘ইসলামিক পার্টি’, ‘হিজবুল্লাহ’, ‘হিজবুর তাহরীর’ ইত্যাদি ইত্যাদি। মজার কথা যে, কোন কোন ক্ষেত্রে একই দল আবার স্বার্থগত কোন্দলে বহু উপদলে বিভক্ত হয়েছে। ইসলামী ঐক্যজোট, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, খেলাফত মজলিস এ ধারার উদাহরণ। বলাবাহুল্য, এরা সবাই ইসলামী রাজনীতি করে বলে দাবী করছে। এবং ইসলামী লেবেলটাকে অন্ততঃ ভাল করে সেঁটে রাখছে। তবে বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, আসলে ‘ইসলামী’ শব্দের সাথে ‘রাজনীতি’ শব্দের আদৌ সন্নিবেশ হতে পারে না। কারণ, ‘ইসলাম’ একটি পরিপূর্ণ দ্বীন। রাজনীতি আলাদা বিষয়। রাজনীতি শব্দটি সেকুলোর। আর ইসলাম, ‘ইসলাম।’ পানি আর তেল দু’টোই তরল পদার্থ হলেও যেমন কখনো মিশেনা তেমনি ইসলামের অন্তর্নিহিত বৈশিষ্ট্যের কারণেও কখনো তার সাথে রাজনীতি শব্দের সহাবস্থান করানো যায় না। রাজনীতিতে আত্ম প্রশংসা ও প্রচার থাকে। ক্ষমতার দাবী থাকে, ক্ষমতা দখলের উদগ্র বাসনা থাকে। প্রচলিত কৌশল থাকে যা স্বভাবতই ইসলামের মূল্যবোধ ও নীতিমালা থেকে অনেক দূরে। তবে হ্যাঁ, শাসন ক্ষমতায় ইসলামের অধিষ্ঠান অবশ্যই কাম্য ও গ্রহণযোগ্য এবং জরুরীও বটে। তবে তা কায়িমের পথটিও ইসলাম নির্দেশিত। তাই কেউ যদি ইসলাম কায়িমের পথে নিবেদিত হতে চায় তবে তাকে ইসলাম নির্দেশিত পথেই এগুতে হবে। প্রচলিত কলা-কৌশল বা যেনো-তেনো অথবা মনগড়া পদ্ধতি বা কর্মসূচী গ্রহণ করা যাবে না। করলে তা ইসলামী কাজ হবে না। ইসলামী আন্দোলন হবে না।  উদাহরণতঃ আমাদের দেশের তথাকথিত ইসলামী রাজনীতিক দাবীদাররা ইসলামী আন্দোলনের নামে বেপর্দা হওয়া, ছবি তোলা, হরতাল, লংমার্চ, গণতন্ত্র, নির্বাচন, মৌলবাদ, ব্লাসফেমী, নারী নেতৃত্ব গ্রহণ, টিভি চ্যানেলে প্রোগ্রাম করা ইত্যাদি কাজ করে থাকে। যা কুরআন-সুন্নাহ্য় স্পষ্ট নিষিদ্ধ এবং যা মূলতঃ বিধর্মী ও বিজাতীয়দের কলা কৌশল। কিন্তু এসব কর্মসূচী করেই আমাদের দেশের তথাকথিত ইসলামিক দলগুলো তাদের ভাষায় ইসলামী রাজনীতি করছে। তাদের স্বীকৃত ইসলামী লেবেলের ব্যবহার করছে।  মূলতঃ ধর্মব্যবসায়ীদের মুখপাত্র মুফতে আমিনীর স্বীকৃত রাজনীতির সাথে ‘ইসলামী লেবেল’ শব্দ ব্যবহার করা গভীর আপত্তিকর ও চরম নিন্দাযোগ্য কাজ হয়েছে। কারণ, যে কোন পণ্যেরই লেবেল থাকে। কিন্তু ইসলাম কোন পণ্য নয়। ইসলাম ওহীর মাধ্যমে নাযিলকৃত দ্বীন, জীবন ব্যবস্থা। ইসলাম তৌহিদ ও রিসালতের সমন্বিত ধর্ম। ইসলাম মহান আল্লাহ পাক ও  তাঁর হাবীব, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সাথে সম্পর্কযুক্ত হবার পথ ও প্রক্রিয়া। সুতরাং তাকে পণ্য পর্যায়ে পর্যবসিত করা শক্ত বিচারযোগ্য অপরাধ। আজ নির্বিকার মুসলিম জনগোষ্ঠীর সামনে এর বিচার না হলেও রোজ ক্বিয়ামতের দিন এর শক্ত বিচারের সমূহ সম্ভাবনা বিরাজমান। যদিও বিচার এক অর্থে এখনই হয়ে গেছে। কারণ, আজ তাদের মুখেই তাদের মনের প্রকৃতি  ও ভাব এবং অন্তরের লিঞ্ঝা প্রকাশ পেয়েছে। ইসলামকে তারা ইসলাম হিসেবে অনুভব করেনা। বরং তাদের রাজনৈতিক স্বার্থে তারা ইসলামকে পণ্য হিসেবে গ্রহণ করেছে। তাদের মুখ ফসকে বেড়িয়েছে, ‘ইসলামী লেবেল ছাড়া বাংলাদেশে আর কোন রাজনীতি চলবে না।’ আবারো বলতে হয়, ইসলাম তো একটি। তাহলে এক ইসলামের নামে কিভাবে একাধিক দল হতে পারে? মূলতঃ এটি তখনই হতে পারে  যখন একই সাথে সমগোত্রীয় স্বার্থন্বেষীরা ইসলামকে ভাঙ্গিয়ে, ইসলামকে পণ্য মনে করে তাদের রাজনৈতিক ফায়দা হাছিলে সচেষ্ট বা প্রবৃত্ত হয়।  আর এরা যে সত্যিকার অর্থেই সেরূপ সেটাই আল্লাহ পাক কুদরতীভাবে তাদের মুখ থেকেই বের করে দিয়েছেন। তারা নিজেরাই বলেছে যে, বাংলাদেশে শুধু ইসলামের লেবেলে রাজনীতি চলবে। (নাউযুবিল্লাহ) মূলতঃ তাদের এ ব্যবসায়িক মনোবৃত্তি আমাদেরকে সে হাদীছ শরীফের কথাই মনে করিয়ে দেয়। যে আখিরী জামানায় মানুষ শরাব, সুদ, ঘুষ সবই খাবে। শুধু নাম পরিবর্তন করে বা হালাল লেবেল এটে। আজ সত্যিই তাই হয়েছে। মানুষ সুদকে মনে করছে প্রোফিট। ঘুষকে মনে করছে বকশিশ। পাশাপাশি শরাবের বোতলে তারা সেঁটে দিচ্ছে হালাল বিয়ারের লেবেল। তেমনি চলমান দলভিত্তিক রাজনীতি ইসলামে নিষিদ্ধ হলেও তারা লেবেল সাঁটছে ‘ইসলামী রাজনীতি।’ শরাব হারাম হওয়া সত্ত্বেও ‘ইসলামী শরাব’ বা ‘হালাল বিয়ার’ যেমন অপাঙতেয় তেমনি ‘ইসলামী’ লেবেলের রাজনীতি বলাও স্ববিরোধী, বাস্তবতা বিবর্জিত ও নিয়মবহির্ভুত তথা হারাম বলে গণ্য। ‘ইসলামকে’ লেবেল হিসেবে সাঁটা এসব তথাকথিত ইসলামী রাজনীতিক বা ধর্মব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্য করে কুরআন শরীফে আল্লাহ পাক ইরশাদ ফরমান, “তোমরা অল্প মূল্যের বিনিময়ে আমার আয়াত শরীফকে তথা ইসলামকে বিক্রি করোনা।”

-মুহম্মদ মাহবুর্বু রহমান, ঢাকা।

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব।  খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-১১         

বৃটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে বৃটিশ ভূমিকা-১১

 রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর হাক্বীক্বী নায়িব ও ওয়ারিছ। তাঁর বিরোধীতাকারীরা মুনাফিক, কাফির ও শয়তানের অনুসারী -১১     

 “হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিয়ে সিনেমা”  নিশ্চুপ উলামায়ে ‘ছূ’রা ॥ সর্বাঙ্গে দায়ী তারা 

অবশেষে তথাকথিত ইসলামী জামাতের আমীর নিজামী ও বায়তুল মোকাররামের তথাকথিত খতীব উবায়দুল হক, এরপর এবার মুফতে আমিনীও রাজারবাগ শরীফের তাজদীদ মানতে বাধ্য হলেন