নিজের দোষ পরের কাঁধে চাপা ॥  চোরের মার বড় গলা ॥ জঙ্গী সাঈদীর পোলা জঙ্গীওয়ালা

সংখ্যা: ১৪৯তম সংখ্যা | বিভাগ:

“ইসলামের দৃষ্টিতে মৌলবাদ, জঙ্গীবাদ, বোমাবাজী হারাম।”- ঢাকা শহরসহ সারাদেশের দেয়ালে দেয়ালে এই লিখনী থাকার পরও আল বাইয়্যিনাত-এর এ দেয়াল লিখনী দ্বারা উস্কানিমূলক বক্তব্য ছড়ানো হয় বলে বিষোদগার করেছেন ধর্মব্যবসায়ীদের মুখপাত্র, মুওদুদী ইসলামের নেতা তথাকথিত সাঈদী। কোন কোন মহল যাকে ইহুদী বলে থাকেন। সম্প্রতি তিনি জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে তার অবস্থান তৈরীর চুড়ান্ত কোশেশ করছেন এবং এক্ষেত্রে “অতি ভক্তি চোরের লক্ষনের” উদাহরণও তৈরী করেছেন। এমনকি আল বাইয়্যিনাত-এর দেয়াল লিখনীতে উস্কানির গন্ধ পেয়ে গ্রেফতারের দাবী জানিয়েছেন যা আল বাইয়্যিনাত-এর প্রতি নিখাদ অপবাদ। যা কিনা গীবতের চেয়েও ভয়াবহ গুনাহ। এদিকে “পরের জন্য কয়ো খুড়লে সে কুয়োয় নিজেকেই পড়তে হয়”- এ চিরন্তন সত্য অনুযায়ী আজকে খোদ সাঈদী ছাহেবই এমনকি তার ছেলেও ফেঁসে যাচ্ছেন। পত্র-পত্রিকার রিপোর্টে তারাই যে জঙ্গীবাদের সাথে সম্পৃক্ত সে প্রমাণই বারবার প্রকাশিত হচ্ছে। পত্রিকান্তরে রিপোর্ট হয়েছেঃ

জেএমবির সঙ্গে সাঈদী-পুত্রের সম্পর্ক?

 বিডিনিউজ: নিষিদ্ধ সংগঠন জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সঙ্গে জামাতে ইসলামীর সাংসদ দেলোওয়ার হোসাইন সাঈদীর এক পুত্রের যোগসূত্র খুঁজে পেয়েছে গাজীপুর পুলিশ। গাজীপুর পুলিশের একটি সূত্র জানায়, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে জেলার পিরুজালী এলাকায় একটি ইসলামী মহাসম্মেলনে একই মঞ্চে বক্তব্য রাখেন জেএমবির প্রধান শাইখ আব্দুর রহমানের ভাতিজা মাওলানা আব্দুল্লাহ বিন খলিল উল্লাহ, তার (খলিল উল্লাহ) পিতা (শাইখ রহমানের ভাই) মাওলানা ওবাইদুর রহমান বিন আব্দুল্লাহ এবং জামাতের সাংসদ সাঈদী পুত্র মাওলানা রফিক বিন সাঈদী। ১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারী পিরুজালী হাজটখোলাবাড়া আলহাজ এমএ কমির আহলে হাদিস জামে মসজিদে ওই মহাসম্মেলনের আয়োজন করা হয়। শাইখ রহমানের ভাতিজা মাওলানা খলিল উল্লাহ ওই মসজিদের খতিব। গাজীপুরের পুলিশ মহাসম্মেলনের পোস্টার উদ্ধার করেছে। স্থানীয় সূত্র জানায়, শাইখ রহমান পিরুজালী আমানিয়া সিনিয়র মাদ্রাসায় লেখাপড়া করেন। ১৯৭৪ সালে তিনি আলিম ক্লাসের ছাত্রাবস্থায় তাড়ি পান করে মাতলামি করার অপরাধে ওই মাদ্রাসা থেকে বহিস্কৃত হন। (দৈনিক ভোরের কাগজ, ২৫ ডিসেম্বর/ ০৫, পৃষ্ঠান নং- ১, দৈনিক করতোয়া, দৈনিক পূর্বকোন)

 উল্লেখ্য, কুরআন শরীফে ইরশাদ হয়েছে, “নাপাক থেকে নাপাকই তৈরী হয়।”তেমনি দেখা যাচ্ছে নাপাক ও হারাম তথাকথিত আহলে হাদীছ গ্রুপ তথা লামাযহাবী তথা জামাত শিবির থেকে হারাম জঙ্গীবাদই তৈরী হয়। যেমনটি হয়েছে আহলে হাদীছ গুরু আব্দুল্লাহ ইবনে ফজল মুন্সী থেকে আজকের আব্দুর রহমান ওরফে আব্দুশ্ শয়তান। চরম ফাসিক, রাজাকার সাঈদী থেকে জঙ্গী রফিক সাঈদী। ইসলামের শত্রু ইহুদীদের হাত শক্তিশালী করায় তাদের বিরুদ্ধে শ্লোগান উঠে, “গো’আযম-সাঈদী, বাংলার ইহুদী।”ইসলামের দ্বিতীয় খলীফা হযরত উমর বিন খত্তাব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তাক্বওয়াহেতু নিজের ছেলেকে বেত্রাঘাতের শাস্তি দিয়েছিলেন। কিন্তু গো’আযমের ছেলে যখন তার চাচীকে নিয়ে ভেগে যায় তখনও গো’আযম ছেলেকে কিছু বলেনি।

অপরদিকে সাঈদীর ছেলেও যখন জঙ্গীবাদে সম্পৃক্ত প্রমাণিত হচ্ছে তখন সেও উল্টো সাঁফাই গাচ্ছে। বরং রক্তের সম্পর্কেই নয় কাজের দিক থেকেও সেও জঙ্গীর বাবা বড় জঙ্গী প্রমাণিত হচ্ছে। পত্রিকান্তরে প্রকাশ হয়েছে,

জেএমবির আস্তানায় সাঈদীর ক্যাসেট

“মঙ্গলবার রাতে চট্টগ্রামের উত্তর কাট্টলীতে সন্ধান পাওয়া জেএমবির আস্তানা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে জামাত নেতা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর মাহফিলের বেশকিছু ক্যাসেট। জঙ্গীদের মধ্যে জিহাদী জোশ ছড়িয়ে দেয়ার জন্য এসব ক্যাসেট ও বিপুল পরিমাণ জিহাদী বই রাখা হয়েছে বলে স্বীকার করেছে গ্রেফতারকৃত জেএমবির চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রধান মুহম্মদ। সে র‌্যাবকে জানিয়েছে, জেহাদে উদ্বুদ্ধের জন্য জেএমবির কর্মীদের সাঈদীর ক্যাসেট শোনানো হয়। জেহাদ সম্পর্কিত নানা বইপত্র পড়ানোর পাশাপাশি এসব ক্যাসেট শোনানো হয়। উদ্ধারকৃত ক্যাসেটগুলো বেশিরভাগই চট্টগ্রামে বিভিন্ন সময়ে অনুষ্ঠিত সাঈদীর তাফসীর মাহফিলের। এছাড়া একটি ক্যাসেট রয়েছে মাজার সম্পর্কে আলোচনা নিয়ে। (দৈনিক জনকক্ত, ১৬ ডিসেম্বর ২০০৫ ঈসায়ী, পৃষ্ঠা নং ২)

সাঈদীর ক্যাসেট ও জঙ্গীবাদী বই

জামায়াত সাংসদ মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী, জামাতের অঙ্গসংগঠন সাইমুম ও রণাঙ্গন শিল্পীগোষ্ঠীর ২৯টি সিডি ক্যাসেট উদ্ধার করা হয়। এছাড়া ১২৭টি জঙ্গীবাদী বই উদ্ধার করা হয়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে, ‘সশস্ত্র জিহাদ’, ‘আল জিহাদ’, ‘জিহাদ ও শাহাদত,’ ‘তাফসিরুল কুরআন’, ‘জিহাদ সন্ত্রাস না রহমত’ইত্যাদি। (দৈনিক প্রথম আলো, ১৫ ডিসেম্বর ২০০৫ ঈসায়ী, পৃষ্ঠা নং ২) মূলতঃ জঙ্গীবাদের সাথে সাঈদীর ছেলে তথা খোদ সাঈদীর সম্পর্ক যে কত গভীর তা বুঝার জন্য উপরের রিপোর্টেগুলোই যথেষ্ট। আকলমন্দকে লিয়ে ইশারাই কাফি হ্যায়।

-মুহম্মদ তারীফুর রহমান, ঢাকা।

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের  দাঁতভাঙ্গা জবাব- ১৫

 বিৃটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে বিৃটিশ ভূমিকা-১৫ 

কোকাকোলা ও অন্যান্য কোমল পানীয় সম্পর্কে উন্মোচিত সত্য-৩

চাঁদের তারিখ নিয়ে জাহিলী যুগের বদ প্রথার পুনঃপ্রচলন॥ নিশ্চুপ উলামায়ে ‘ছূ’ ঈদ, কুরবানীসহ জামিউল ইবাদত হজ্জও হচ্ছে বরবাদ

শুধু ছবি তোলা নিয়েই বড় ধোঁকা নয়, গণতান্ত্রিক শাসনতন্ত্র চর্চা করে “ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের” নামেও তিনি মহা ধোঁকা দিচ্ছেন