-হযরত মাওলানা মুফতী সাইয়্যিদ মুহম্মদ আব্দুল হালীম
মুজাদ্দিদুয্ যামান’ সম্পর্কে আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণের ভবিষ্যদ্বানীঃ
খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, আশরাফুল আওলিয়া, সুলতানুল আরিফীন, হাকিমুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল মুজতাহিদীন, হাকিমুল হাদীছ, আওলাদে রসূল, শাহ ছূফী, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফের মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর সীমাহীন মর্যাদা-মর্তবা, প্রভাব-প্রতিপত্তি সম্পর্কে পূর্ববর্তী অনেক আওলিয়ায়ে কিরাম ভবিষ্যদ্বানী করেছিলেন।
তাঁর ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ এবং নিছবত লাভের জন্য কেহ কেহ রূহানীভাবে বাইয়াত হয়েছেন। যা অনেক সুফী ছাহেবান স্বপ্নে, কাশফে, মুরাকাবার হালতে ইত্যাদি ভাবে দেখতে পেয়েছেন। স্বল্প পরিসরে তার বিস্তারিত আলোচনা সম্ভব নয়। তবে দু’ একটি ঘটনার অবতারণা করবো। (ইনশাআল্লাহ)
তারপূর্বে একটি মাসয়ালা বর্ণনা করা প্রয়োজন বোধ করছিু। খলিফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আশরাফুল আওলিয়া, হাকিমুল ইসলাম, সুলতানুল আরিফীন, গাউছুল আ’যম, সাইয়্যিদুল মুজতাহিদীন আওলাদে রসূল, শাহছূফী, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেছেন, “মিথ্যা কথা বলার চেয়ে মিথ্যা স্বপ্ন বর্ণনা করা আরো কঠিন গুনাহ। তার শাস্তিও আরো ভয়াবহ।”
গত শতকের মুজাদ্দিদ, আমিরুশ শরীয়ত ওয়াত্ তরীক্বত, মুহইস সুন্নাহ, মাহিউল বিদয়াত, শাইখুল ইসলাম, ইমামুল হুদা, সুলতানুল আরিফীন, কুতুবুল আলম, শাইখুল মাশায়িখ, হাজীউল হারামাইনে শারীফাইন, শাহ ছূফী, হযরত মাওলানা আব্দুল্লাহিল মা’রুফ মুহম্মদ আবূ বকর ছিদ্দীক্বী ফুরফুরাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর অনেক মুরীদ এবং খলীফা বলেন যে, “তিনি অনেক ওয়াজ মাহফিলে বলেছেন, আমার পরে ইমাম মাহদী আলাইহিস্ সালামের যুগ।” মুজাদ্দিদে যামান, রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর এই বাণীর কারণে তারা মনে করেন যে, ইমাম মাহদী আলাইহিস সালাম-এর পূর্বে আর কোন মুজাদ্দিদ আসবেন না। অথচ তাদের এই ধারণা ঠিক নয়। প্রত্যেক শতকে মুজাদ্দিদ আসবেন তা আবূ দাঊদ শরীফের হাদীছশরীফ দ্বারাই প্রমাণিত।
আর একজন মুজাদ্দিদ যিনি, আল্লাহ পাক এবং আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর এতো নৈকট্যশীল। তিনি হাদীছ শরীফের বিপরীত কথা বলবেন। সেটা চিন্তা করাও গুনাহের কারণ।
মুলতঃ তাঁর উক্ত বাণীর অর্থ হচ্ছে তাঁর পরবর্তী মুজাদ্দিদ যিনি আসবেন তাঁর সম্মান-মর্যাদা প্রভাব-প্রতিপত্তি এবং তাজদীদের ধারা এত প্রবল হবে তা যেন ইমাম মাহদী আলাইহিস সালাম-এর তাজদীদ বা সংস্কার। ফুরফুরা সিলসিলার বিশিষ্ট বুজুর্গ, শাহছূফী, হযরত কাজী মুঈনউল ইসলাম চিশতী রহমতুল্লাহি আলাইহি ভবিষ্যদ্বানী দ্বারা বিষয়টি পরিস্কার হয়েছে।
২০০৫ ঈসায়ী সাল। বিশেষ ছফরে খলীফাতুল্লাহ খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আশরাফুল আউলিয়া, গাউছুল আ’যম, সুলতানুল আরিফীন, সাইয়্যিদুল মুজতাহিদীন, আওলাদে রসূল, শাহছূফী সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী পাবনা শহরে তাশরীফ রাখেন।” তা’লীম, তরবিয়তের জন্য হোটেল শিলটন-এ অবস্থান করেন। পাবনা শহরে আমাদের একজন ছূফী ভাই ছিলেন। যিনি আছর নামাযান্তে একজন লোককে সাথে নিয়ে হোটেল শিলটনে আসলেন বললেন, হুযূর ক্বিবলা- ইনি বাইয়াত হতে চান।” দয়া করে তাকে কবুল করে নিন। সাইয়্যিদুনা মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তাঁকে কবুল করলেন। বাইয়াত করালেন। বাইয়াত শেষে তিনি বললেন, হুযূর ক্বিবলা, আমার কিছু কথা আছে যদি দয়া করে অনুমতি দেন তাহলে বলতে পারি। তিনি অনুমতি পেয়ে বলতে লাগলেন, “আমি ফুরফুরা সিলসিলার একজন মুর্শিদের কাছে বাইয়াত ছিলাম। তাঁর নাম শাহ ছূফী হযরত কাজী মুঈনউল ইসলাম চিশতী রহমতুল্লাহি আলাইহি। তিনি ইন্তিকাল করেছেন। ইন্তিকালের কিছু দিন পূর্বে একদিন আছর নামাজ শেষে আমাকে বললেন, “সেকেন্দার একজন মুজাদ্দিদ আসবেন। তাঁর অবস্থানস্থল হবে ঢাকায়। তাঁর মর্যাদা-মর্তবা, প্রভাব-প্রতিপত্তি এবং তাজদীদ বা সংস্কার এমন প্রবল হবে তা যেন হযরত ইমাম মাহদী আলাইহিস সালাম-এর তাজদীদ।” তিনি আরো অনেক ছানা-ছিফাত করলেন। আরও বললেন, “আমি যদি তাঁকে আমার হায়াতে পাই তাহলে তাঁর নিকট বাইয়াত হবো। সেকেন্দার তুমি তাঁকে তালাশ করবে এবং তাঁর কাছে বাইয়াত হবে।” হুযূর ক্বিবলা! সেদিন থেকে আমি আপনাকে তালাশ করতাম। এক পর্যায়ে পাবনা শহরে একজন লোকের কাছে আল বাইয়্যিনাত দেখতে পেলাম। পৃষ্ঠা উল্টাতেই আপনার নাম মুবারক দেখলাম। আর সাথে সাথে অন্তরে এই কথা উদয় হলো, ইনি সেই মুজাদ্দিদ যার তালাশে আমি ইন্তেজার (অপেক্ষমান)। তাঁর কাছেই আমাকে বাইয়াত হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। (অসমাপ্ত)