– হযরত মাওলানা মুফতী সাইয়্যিদ মুহম্মদ আব্দুল হালীম
‘মুজাদ্দিদুয্ যামান’ তিনি হবেন সেই যুগের দ্বীনি-দুনিয়াবী সকল সমস্যার সঠিক সমাধান দাতা। খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসুলিল্লাহ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাকিমুল ইসলাম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা, ইমাম রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তাঁর হাক্বীক্বী মিসাল বা উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তিনি উম্মাহর দ্বীনি দুনিয়াবী সকল বিষয়ের সমাধান দিয়ে থাকেন। যত জটিল ও কঠিন মাসায়ালা-মাসায়িল হোক আর দ্বীনি-দুনিয়াবী অন্য কোন সমস্যাই হোক না কেন তাঁর খিদমতে পেশ করলে তিনি এতো সুস্পষ্ট ও সহজভাবে জাওয়াব এবং দলীলভিত্তিক সমাধান দেন যে, সকলেই অভিভূত হয়ে যায়।
তিনি হাদীছ শরীফ, তাফসীর, ফিক্বাহ, ফতওয়া, আক্বাঈদ, মানতেক-বালাগাত, ভূগোল ইতিহাস, অর্থনীতি, সমাজনীতি ইত্যাদি যে কোন বিষয়ে আলোচনা করলে মনে হয় যেন তা দেখে দেখে বলছেন। “আউলিয়ায়ে কিরাম লৌহ মাহফুজ দেখে সব সমস্যার সমাধান দেন তাঁর আলোচনা শুনলে সেটা দিনের আলোর মত পরিষ্কার হয়ে যায়। আল্লাহ পাক যে বলেছেন,
فوق كل ذى علم عليم
অর্থাৎ “প্রত্যেক জ্ঞানীর উপর মহাজ্ঞানী আছেন।” সেই মহা জ্ঞানী যেন তিনিই। ফারায়েজ বা মীরাসের মাসয়ালা সাধারণতঃ অঙ্ক কষে করা হয়। আর তিনি অঙ্ক কষার কোন প্রয়োজন বোধ করেন না। জাওয়াব শুনলে রীতিমত মনে হয় যেন আগেই তার জাওয়াব প্রস্তুত করে রেখেছিলেন।
একবার তিনি বললেন, প্রশ্ন করতে মানুষকে চিন্তা করতে হয়। আর আল্লাহ পাক-এর রহমত, আল্লাহ পাক-এর হাবীব, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ইহসান যে, আমাদের জাওয়াব দেয়ার জন্য কোন চিন্তা করতে হয় না। (সুবহানআল্লাহ)। মুজাদ্দিদুয্ যামান সমস্ত বিষয়েই পরিপূর্ণ মাহের বা বুৎপত্তি অর্জন করতে পারেন। তাঁর মিসাল বা দৃষ্টান্ত তিনি নিজেই। (সুবহানআল্লাহ)
কাট্টা নাস্তিক, মুরতাদ, হুমায়ূন আহমদ যখন তার ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ নামক তথাকথিত এক উপন্যাসে লিখলো, ‘আমাদের আল্লাহর অঙ্ক জ্ঞান তেমন সুবিধার ছিল না। অঙ্কে তিনি সামান্য কাঁচা। সম্পত্তি ভাগের যে আইন কুরআন শরীফে আছে, সেখানে ভুল আছে। যে ভুল হযরত আলী পরে ঠিক করেছিলেন, যাকে আউল বলে।’ (নাউযুবিল্লাহ)। তখন তার এই কুফরীমূলক বক্তব্যের যথোপযুক্ত জাওয়াব কে দিবে? উম্মাহ তখন বাংলাদেশের নামী-দামী মাদ্রাসাগুলোর প্রধান, তথাকথিত দেশবরেণ্য আলিম-উলামাগণের স্মরণাপন্ন হয়েছিল। তাঁরা এ ব্যাপারে মুজাদ্দিদুয্ যামানের নিকট যাওয়ার পরামর্শ দেন। ফলে উম্মাহ তাঁর নিকট যান। আর তিনি তার সঠিক জাওয়াব দান করেন। ফলে হমায়ূন আহমদ ওরফে হনুমান আহমকসহ সকল নাস্তিক লা-জাওয়াব হয়ে যায়। বিস্তারিত জানার জন্য মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফের ২৭তম সংখ্যার সুওয়াল-জাওয়াব বিভাগ দ্রষ্টব্য। এরূপ একটা, দু’টা নয় বরং হাজার হাজার সুওয়াল এসেছে। দেশ-বিদেশের নামী-দামী মুফতী, মুহাদ্দিস, শায়খুল হাদীছ, শায়খুত্ তাফসীর, মুফাসসিরে কুরআন, খতীব ছাহেবানরা তার সঠিক জাওয়াব দিতে পারেননি।
পরিশেষে মুজাদ্দিদুয্ যামান’ এর কাছে পাঠাতে বাধ্য হয়েছে। আর তিনি তার সঠিক সমাধান দিয়ে মুসলিম উম্মাহকে হিদায়েতের উপর ইস্তিক্বামত থাকার সুযোগ করে দিয়েছেন। দিচ্ছেন। ভবিষ্যতেও দিবেন (ইনশাআল্লাহ)। আর এটাই স্বাভাবিক। কারণ ‘মুজাদ্দিদুয্ যামান’ তাঁর কাজ অন্যের দ্বারা কিভাবে সম্পাদিত হতে পারে? অতীত ইতিহাসে এরূপ অনেক নজির রয়েছে। ইমামে আ’যম হযরত ইমাম আবু হানিফা রহমতুল্লাহি আলাইহি ছিলেন সেই যুগের মুজাদ্দিদ এবং ইমাম। অপরাপর ইমাম ছাহেবগণের হাত ঘুরে তাঁর নিকট অনেক ফতওয়া আসতো। আর তিনি তার সঠিক সমাধান দিতেন। (অসমাপ্ত)