পূর্বপ্রকাশিতের পর
মুবারক শৈশব ও কৈশোর থেকেই সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার সুন্নত মুবারক ও শরয়ী পর্দা পালনের একনিষ্ঠ অভ্যস্ততা
মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহূ ওয়া তায়ালা তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন:
وذكرهم بايام الله ان فى ذلك لايات لكل صبار شكور
অর্থ: “(হে আমার প্রিয়তম হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনি তাদেরকে (উম্মতকে) মহান আল্লাহ পাক উনার বিশেষ দিনসমূহের কথা স্মরণ করিয়ে দিন। নিশ্চয়ই এতে প্রত্যেক ছবরকারী ও শোকরগোযার মানুষের জন্য নিদর্শনাবলী রয়েছে।” (পবিত্র সূরা ইবরাহীম শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ: ০৫) সুবহানাল্লাহ!
“আইয়্যামুল্লাহ”- এই পবিত্র শব্দ মুবারক উনার অর্থ হচ্ছে মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার প্রিয়তম রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের হাদিয়াকৃত নিয়ামতপূর্ণ ও বরকতসমৃদ্ধ মুবারক দিবসসমূহ। সুবহানাল্লাহ!
এই শব্দ মুবারক দু’ অর্থে ব্যবহৃত হয়:
১. কাফির মুশরিকদের ভয়াবহ পরিণতির ঘটনা-সংশ্লিষ্ট দিবসসমূহ।
২. মহান আল্লাহ পাক উনার এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের হাদিয়াকৃত নিয়ামত ও বরকত-সমৃদ্ধ দিবসসমূহ। এসবের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বোত্তম বরকতময় ও নিয়ামত-সমৃদ্ধ মুবারক দিবস হচ্ছেন পবিত্রতম সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ। সুবহানল্লাহ!
কায়িনাতব্যাপী অনন্তকালের জন্য এই পবিত্রতম সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ জারিকরণসহ সকল নিয়ামত ও বরকত-সমৃদ্ধ দিবসগুলো সম্পর্কে মুজাদ্দিদে মাদারযাদ, সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম, আসসাফফাহ সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম তিনি গোটা বিশ্ববাসীকে জানিয়ে দিচ্ছেন এবং মুবারক এই দিবসগুলো পালনে তিনি জিন-ইনসানকে অভ্যস্ত করে তুলছেন। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম উনার এই শ্রেষ্ঠতম তাজদীদ মুবারক উনারও পূর্ণতম মুবারক হিস্যার হক্বদার হলেন উনার মহা সম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম তিনি এবং উনার মহা সম্মানিত আব্বাজান আলাইহিস সালাম তিনি।। সুবহানাল্লাহ!
মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহূ ওয়া তায়ালা তিনি মানুষকে মর্যাদাবান ও সম্মানিত করেছেন। এই মর্মে পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে:
لقد كرمنا بنى ادم
অর্থ: “অবশ্যই আমি আদম সন্তান উনাদেরকে সম্মানিত করেছি।” (পবিত্র সূরা বানী ইসরাঈল শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ-৭০)
সাধারণভাবে মানুষ হিসেবে সকলেই সম- মর্যাদাসম্পন্ন। মানুষের মধ্যে যারা মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মনোনীত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি হাক্বীক্বীভাবে ঈমান এনেছেন এবং উনাদের আনুগত্য করেছেন উনারা পৃথকভাবে শ্রেষ্ঠত্বলাভ করেছেন। আর যারা তা করেনি, তারা জাহান্নামের ইন্ধন হয়েছে। নাউযুবিল্লাহ! (চলবে)