পঞ্চদশ হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদুর রসূল, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের- হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম (৪০) উনার সীমাহীন ফাদ্বায়িল-ফদ্বীলত, বুযূর্গী-সম্মান, মান-শান, বৈশিষ্ট্য এবং উনার অনুপম মাক্বাম সম্পর্কে কিঞ্চিৎ আলোকপাত -মুহম্মদ সাদী

সংখ্যা: ২৫০তম সংখ্যা | বিভাগ:

পূর্বপ্রকাশিতের পর

মুবারক শৈশব ও কৈশোর থেকেই সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার সুন্নত মুবারক ও শরয়ী পর্দা পালনের একনিষ্ঠ অভ্যস্ততা

মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহূ ওয়া তায়ালা তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন:

وذكرهم بايام الله ان فى ذلك لايات لكل صبار شكور

অর্থ: “(হে আমার প্রিয়তম হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনি তাদেরকে (উম্মতকে) মহান আল্লাহ পাক উনার বিশেষ দিনসমূহের কথা স্মরণ করিয়ে দিন। নিশ্চয়ই এতে প্রত্যেক ছবরকারী ও শোকরগোযার মানুষের জন্য নিদর্শনাবলী রয়েছে।” (পবিত্র সূরা ইবরাহীম শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ: ০৫) সুবহানাল্লাহ!

“আইয়্যামুল্লাহ”- এই পবিত্র শব্দ মুবারক উনার অর্থ হচ্ছে মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার প্রিয়তম রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের হাদিয়াকৃত নিয়ামতপূর্ণ ও বরকতসমৃদ্ধ মুবারক দিবসসমূহ। সুবহানাল্লাহ!

এই শব্দ মুবারক দু’ অর্থে ব্যবহৃত হয়:

১. কাফির মুশরিকদের ভয়াবহ পরিণতির ঘটনা-সংশ্লিষ্ট দিবসসমূহ।

২. মহান আল্লাহ পাক উনার এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের হাদিয়াকৃত নিয়ামত ও     বরকত-সমৃদ্ধ দিবসসমূহ। এসবের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বোত্তম বরকতময় ও নিয়ামত-সমৃদ্ধ মুবারক দিবস হচ্ছেন পবিত্রতম সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ। সুবহানল্লাহ!

কায়িনাতব্যাপী অনন্তকালের জন্য এই পবিত্রতম সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ জারিকরণসহ সকল নিয়ামত ও বরকত-সমৃদ্ধ দিবসগুলো সম্পর্কে মুজাদ্দিদে মাদারযাদ, সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম, আসসাফফাহ সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম তিনি গোটা বিশ্ববাসীকে জানিয়ে দিচ্ছেন এবং মুবারক এই দিবসগুলো পালনে তিনি জিন-ইনসানকে অভ্যস্ত করে তুলছেন। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম উনার এই শ্রেষ্ঠতম তাজদীদ মুবারক উনারও পূর্ণতম মুবারক হিস্যার হক্বদার হলেন উনার মহা সম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম তিনি এবং উনার মহা সম্মানিত আব্বাজান আলাইহিস সালাম তিনি।। সুবহানাল্লাহ!

মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহূ ওয়া তায়ালা তিনি মানুষকে মর্যাদাবান ও সম্মানিত করেছেন। এই মর্মে পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে:

لقد كرمنا بنى ادم

অর্থ: “অবশ্যই আমি আদম সন্তান উনাদেরকে সম্মানিত করেছি।” (পবিত্র সূরা বানী ইসরাঈল শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ-৭০)

সাধারণভাবে মানুষ হিসেবে সকলেই সম- মর্যাদাসম্পন্ন। মানুষের মধ্যে যারা মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মনোনীত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি হাক্বীক্বীভাবে ঈমান এনেছেন এবং উনাদের আনুগত্য করেছেন উনারা পৃথকভাবে শ্রেষ্ঠত্বলাভ করেছেন। আর যারা তা করেনি, তারা জাহান্নামের ইন্ধন হয়েছে। নাউযুবিল্লাহ! (চলবে)

সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার স্মরণে- একজন কুতুবুয্ যামান উনার দীদারে মাওলা উনার দিকে প্রস্থান-১৭৩ -মুহম্মদ সাদী

পঞ্চদশ হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদুর রসূল, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের- হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম (২২) উনার সীমাহীন ফাদ্বায়িল-ফদ্বীলত, বুযূর্গী-সম্মান, মান-শান, বৈশিষ্ট্য এবং উনার অনুপম মাক্বাম সম্পর্কে কিঞ্চিৎ আলোকপাত

ইমামুল মুসলিমীন, মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন, হাকিমুল হাদীছ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ ইমামে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি-১৯ (বিলাদাত শরীফ- ৮০ হিজরী, বিছাল শরীফ- ১৫০ হিজরী)

সুলতানুল হিন্দ, কুতুবুল মাশায়িখ, মুজাদ্দিদ যামান, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চিশতী আজমিরী সাঞ্জারী রহমতুল্লাহি আলাইহি-৩ (বিলাদত শরীফ ৫৩৬ হিজরী, বিছাল শরীফ ৬৩৩ হিজরী)

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দা’ওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার স্মরণে- একজন কুতুবুয্ যামান উনার দীদারে মাওলা উনার দিকে প্রস্থান-১৭৪