পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমাউল উম্মাহ শরীফ ও পবিত্র ছহীহ ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে সম্মানিত ইসলামী মাস ও বিশেষ বিশেষ রাত, দিন, সময় ও মুহূর্তের আমলসমূহের গুরুত্ব, ফযীলত এবং বেদ্বীন-বদদ্বীনদের দিবসসমূহ পালন করা হারাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (২৬তম পর্ব)

সংখ্যা: ২৬৪তম সংখ্যা | বিভাগ:

৩৪তম ফতওয়া হিসেবে

“পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে সম্মানিত ইসলামী মাস ও বিশেষ বিশেষ রাত ও দিনের আমলসমূহের গুরুত্ব, ফযীলত এবং বেদ্বীন-বদদ্বীনদের দিবসসমূহ পালন করা হারাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া” পেশ করতে পারায় মহান আল্লাহ পাক উনার দরবার শরীফ-এ শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি।

পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে সম্মানিত ইসলামী মাস ও বিশেষ বিশেষ রাত ও দিনের আমলসমূহের গুরুত্ব, ফযীলত এবং বেদ্বীন-বদদ্বীনদের দিবসসমূহ পালন করা হারাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া দেয়ার কারণ

সুন্নতের পথিকৃত, হক্বের অতন্দ্র প্রহরী, দ্বীন ইসলাম উনার নির্ভীক সৈনিক, সারা জাহান থেকে কুফরী, শিরক ও বিদ্য়াতের মূলোৎপাটনকারী, বাতিলের আতঙ্ক এবং আহ্লে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনাদের আক্বীদায় বিশ্বাসী একমাত্র দলীলভিত্তিক তাজদীদী মুখপত্র- “মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ” পত্রিকায় এ যাবৎ যত লেখা বা ফতওয়াই প্রকাশ বা পত্রস্থ হয়েছে এবং ইনশাআল্লাহ হবে তার প্রতিটিরই উদ্দেশ্য বা মাকছূদ এক ও অভিন্ন। অর্থাৎ “মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ” উনার মধ্যে এমনসব লেখাই পত্রস্থ হয়, যা মানুষের আক্বীদা ও আমলসমূহ পরিশুদ্ধ ও হিফাযতকরণে বিশেষ সহায়ক।

বর্তমানে ইহুদীদের এজেন্ট হিসেবে মুসলমানদের ঈমান আমলের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করছে যারা, তারা হলো “উলামায়ে সূ”। ইহুদীদের এজেন্ট উলামায়ে ‘সূ’রা হারাম টিভি চ্যানেলে, পত্র-পত্রিকা, কিতাবাদি ও বক্তব্য বা বিবৃতির মাধ্যমে মুসলমান উনাদের বিশেষ বিশেষ ফযীলতযুক্ত আমলের রাত ও দিনসমূহ পালন করাকে বিদয়াত, নাজায়িয ও শিরক বলে ফতওয়া দিয়ে মুসলমান উনাদেরকে অশেষ খায়ের, বরকত, নিয়ামত, নাজাত অর্থাৎ রেযামন্দি বা সন্তুষ্টি মুবারক থেকে মাহরূম করছে। যেমন তারা বলে থাকে যে, পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা বিদয়াত, শিরক। নাউযুবিল্লাহ! পবিত্র শবে বরাত পালন করা বিদয়াত, নাজায়িয। নাউযুবিল্লাহ! পবিত্র আখিরী চাহার শোম্বাহ শরীফ পালন করা বিদয়াত। নাউযুবিল্লাহ! অনুরূপ আরো অনেক বিষয়কেই তারা বিনা দলীলে মনগড়াভাবে নাজায়িয ও বিদয়াত বলে থাকে। নাউযুবিল্লাহ!

অপরদিকে বেদ্বীনী-বদদ্বীনী অর্থাৎ কাফির মুশরিক, ইহুদী, নাছারাদের যত পর্ব বা দিবস রয়েছে সেগুলোকে শুধু জায়িযই নয় বরং নিয়ামত বলে আখ্যা দিয়ে থাকে। নাউযুবিল্লাহ! যেমন বাইতুল মুকাররমের সাবেক খতীব ওবায়দুল হক্ব প্রকৃতপক্ষে উবাই বলেছিল, “পহেলা বৈশাখ আল্লাহ পাক উনার নিয়ামত।” নাঊযুবিল্লাহ!

অথচ তাদের উপরোক্ত বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যা, চরম বিভ্রান্তিকর ও কুফরীমূলক। তাদের এসব বক্তব্যের কারণে তারা নিজেরা যেরূপ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তদ্রুপ তাদের উক্ত কুফরীমূলক বক্তব্য ও বদ্ আমলের কারণে সাধারণ মুসলমানগণ ই’তিক্বাদী বা আক্বীদাগত ও আ’মালী বা আমলগত উভয় দিক থেকেই বিরাট ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।

কারণ, তাদের উক্ত বক্তব্যের কারণে যারা এ আক্বীদা পোষণ করবে যে, “পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা বিদয়াত শিরক এবং পহেলা বৈশাখ মহান আল্লাহ পাক উনার নিয়ামত।” নাউযুল্লিাহ! তারা ঈমানহারা হয়ে কাট্টা কাফির ও চির জাহান্নামী হবে। কারণ সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে হালাল বা জায়িয বিষয়কে হারাম বা নাজায়িয বলা এবং হারাম বা নাজায়িযকে হালাল বা জায়িয বলা কুফরী। কেননা কিতাবে স্পষ্টই উল্লেখ আছে যে-

استحلال الـمعصية كفر.

অর্থাৎ “গুনাহের কাজ বা হারামকে হালাল মনে করা কুফরী।” (শরহে আক্বাইদে নাসাফী শরীফ)

অতএব, বলার আর অপেক্ষাই রাখেনা যে, উলামায়ে “সূ”দের উক্ত বক্তব্য সাধারণ মুসলমান উনাদের আক্বীদা বা ঈমানের জন্য বিশেষভাবে হুমকিস্বরূপ।

অনুরূপ উলামায়ে “সূ”দের এ কুফরীমূলক বক্তব্য মুসলমানদের আমলের ক্ষেত্রেও বিশেষ ক্ষতির কারণ। কেননা যারা তাদের উক্ত বক্তব্যের কারণে “পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা থেকে বিরত থাকবে এবং হারাম পহেলা বৈশাখ পালন করবে” তারা অশেষ খায়ের, বরকত ও নিয়ামত থেকে বঞ্চিত হওয়ার পাশাপাশি মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের কর্তৃক নিষিদ্ধকৃত কাজে তথা হারাম কাজে মশগুল হওয়ার কারণে কঠিন গুনাহগার অর্থাৎ জাহান্নামী হবে। নাউযুবিল্লাহ!

কাজেই, যারা এ ধরনের কুফরী আক্বীদায় বিশ্বাসী ও কুফরী বক্তব্য প্রদানকারী তারা ও হক্ব সমঝদার মুসলমানগণ তারা তাদের ঈমান ও আমলকে যেন হিফাযত করতে পারে অর্থাৎ সকল বিষয়ে আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনাদের আক্বীদা অনুযায়ী আক্বীদা পোষণ করতে পারে এবং পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা ও ক্বিয়াস মোতাবেক আমল করে মহান আল্লাহ পাক উনার রিযামন্দি হাছিল করতে পারে সে জন্যেই “পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে সম্মানিত ইসলামী মাস ও বিশেষ বিশেষ রাত ও দিনের আমলসমূহের গুরুত্ব, ফযীলত এবং বেদ্বীন-বদদ্বীনদের দিবসসমূহ পালন করা হারাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়াটি”  প্রকাশ করা হলো।

মহাসম্মানিত পবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার ফাযায়িল-ফযীলত ও গুরুত্ব

আস-সানাতুল্ ক্বমারিয়্যাহ তথা হিজরী বছর উনার মাসের সংখ্যা ১২টি। তন্মধ্যে মহাসম্মানিত পবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস একটি বিশেষ মর্যাদাময় মাস। যেমনটি মহান আল্লাহ তায়ালা রব্বুল আলামীন তিনি উনার পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ তথা পবিত্র কুরআন মাজীদ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-

اِنَّ عِدَّةَ الشُّهُوْرِ عِنْدَ اللهِ اثْنَا عَشَرَ شَهْرًا فِىْ كِتَابِ اللهِ يَوْمَ خَلَقَ السَّمٰوتِ وَالْاَرْضَ مِنْهَا اَرْبَعَةٌ حُرُمٌ ذلِكَ الدِّيْنُ الْقَيّمُ فَلَا تَظْلِمُوْا فِيهِنَّ اَنْفُسَكُمْ وَقَاتِلُوا الْمُشْرِكِيْنَ كَافَّةً كَمَا يُقَاتِلُوْنَكُمْ كَافَّةً وَاعْلَمُوْا اَنَّ اللهَ مَعَ الْمُتَّقِيْنَ.

অর্থ: নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট উনার বিধানে আসমানসমূহ ও যমীনসমূহ সৃষ্টির দিন হতেই গণনা হিসেবে মাসের সংখ্যা ১২টি। তন্মধ্যে ৪টি হারাম (যুদ্ধ-বিগ্রহ নিষিদ্ধ) মাস। এটাই সুপ্রতিষ্ঠিত বিধান। সুতরাং এ মাসগুলোর মধ্যে তোমরা নিজেদের প্রতি যুলূম করো না। তোমরা মুশরিকদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মকভাবে জিহাদ করবে, যেমন তারা তোমাদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধ করে থাকে। আর জেনে রাখুন! নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ তায়ালা তিনি মুত্তাক্বীন উনাদের সঙ্গে আছেন। (পবিত্র সূরাতুত তাওবা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ-৩৬)

মহাসম্মানিত পবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার কতিপয় বরকতময় ঐতিহাসিক বিশেষ রাত ও দিন

(পূর্ব প্রকাশিতের পর)

মহাসম্মানিত পবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার কতিপয় বরকতময় ঐতিহাসিক বিশেষ রাত ও দিন

(২১)

মহাপবিত্র ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ

মহাসম্মানিত মহাপবিত্র ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন ইবনু রসূলিল্লাহ, সাইয়্যিদুল বাশার, সাইয়্যিদুল আসইয়াদ, আল মুবাশ্শির, আল আবাররু, আল আজওয়াদ সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম। নি¤েœ সংক্ষিপ্তভাবে উনার পবিত্র সাওয়ানেহ মুবারক তুলে ধরা হলো-

 

ইবনু রসূলিল্লাহ সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত সাওয়ানেহ উমরী মুবারক পরিচিতি মুবারক:

ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুল বাশার সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম উনার সবচেয়ে বড় পরিচয় মুবারক হচ্ছেন, তিনি হচ্ছেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার লখতে জিগার, মহাসম্মানিত আবনা’ (ছেলে) আলাইহিস সালাম। সুবহানাল্লাহ! নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত হযরত আবনা’ (ছেলে) আলাইহিমুস সালাম উনাদের মধ্যে তিনি হচ্ছেন ‘ছালিছ ’ তথা তৃতীয়। উনাকে ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুছ ছালিছ  আলাইহিস সালাম বলা হয়। সুবহানাল্লাহ! তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের অধিকারী। সুবহানাল্লাহ! উনার সম্মানিত মুহব্বত মুবারকই হচ্ছেন ঈমান। সুবহানাল্লাহ!

মহাসম্মানিত বরকতময় বিলাদতী

শান মুবারক প্রকাশ:

ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুছ ছালিছ  আলাইহিস সালাম তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মানিত রিসালাত মুবারক প্রকাশের ৮ বছর পূর্বে মহাসম্মানিত রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার ৪ তারিখ ইয়াওমুল আরবিয়া’ শরীফ মহাসম্মানিত বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করে সমস্ত জিন-ইনসান ও তামাম কায়িনাতবাসীকে অফুরন্ত রহমত-বরকত, সাকীনা ও নিয়ামত মুবারক দানে ধন্য করেন। সুবহানাল্লাহ! তখন দুনিয়াবী জিন্দেগী মুবারক অনুযায়ী নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত বয়স মুবারক ছিলেন প্রায় ৩২ বছর এবং উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আল ঊলা কুবরা আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত বয়স মুবারক ছিলেন প্রায় ৪৭ বছর। সুবহানাল্লাহ! তিনি ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা আন নূরুছ ছানী আলাইহিস সালাম উনার পর মহাসম্মানিত বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ! আর উনার পর বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম তিনি মহাসম্মানিত বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ!

মহাসম্মানিত নাম মুবারক রাখা:

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুজাদ্দিদে আ’যম সম্মানিত রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার মহাসম্মানিত আবনা’, সম্মানিত লখতে জিগার সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ পাওয়ার পর পরই উনার সম্মানিত নাম মুবারক রাখেন ‘সাইয়্যিদুনা হযরত ত্বাহির আলাইহিস সালাম’।” সুবহানাল্লাহ!

সম্মানিত আক্বীক্বা মুবারক দেয়া:

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ, মুজাদ্দিদে আ’যম সম্মানিত রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার সম্মানিত লখতে জিগার মুবারক, সাইয়্যিদুল কাওনাইন, মালিকুল জান্নাহ, হাবীবুল্লাহ, ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুছ ছালিছ  আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের ৭ম দিন তথা ১০ই রবীউল আউওয়াল শরীফ দুটি দুম্বা বা খাসি মুবারক দ্বারা সম্মানিত আক্বীক্বা মুবারক দেন। সুবহানাল্লাহ! তারপর শত শত উট ও অন্যান্য পশু যবাই করে বিশেষ মেহমানদারীর ব্যবস্থা করেন। উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আল ঊলা কুবরা আলাইহাস সালাম উনার আত্মীয়-স্বজন, সমস্ত কুরাইশ, জিন-ইনসানসহ সকলেই সেই সম্মানিত মেহমানদারীতে উপস্থিত হন এবং তৃপ্তি সহকারে সম্মানিত তাবাররুক মুবারক (খাবার মুবারক) গ্রহণ করেন।” সুবহানাল্লাহ!

মহাসম্মানিত বরকতময় বিছালী

শান মুবারক প্রকাশ:

সম্মানিত শরীয়ত মুবারক উনার একখানা উছূল মুবারক হচ্ছেন-

اَلنَّبِىُّ نَبِيًّا وَلَوْ كَانَ صَبِيًّا وَّالْوَلِىُّ وَلِيًّا وَّلَوْ كَانَ صَبِيًّا

অর্থ: “যিনি নবী তিনি শিশু হলেও নবী এবং যিনি ওলী তিনি শিশু হলেও ওলী।” সুবহানাল্লাহ!

তাই আমরা দেখতে পাই সাইয়্যিদুনা হযরত ঈসা রূহুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি দোলনা মুবারক-এ থাকা অবস্থায় উনার আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত পবিত্রতা মুবারক বর্ণনা করেছেন, সাইয়্যিদুনা হযরত মূসা কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি দুধ মুবারক পানরত অবস্থায় ফিরাউনের গালে সজোরে চপেটাঘাত করেছেন এবং সাইয়্যিদুনা হযরত বড়পীর আব্দুল ক্বাদির জীলানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার পর থেকেই রোযা রেখেছেন। সুবহানাল্লাহ!

যদি তাই হয়, তাহলে যিনি সরাসরি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত আওলাদ, উনার মহাসম্মানিত লখতে জিগার মুবারক, ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুছ ছালিছ  আলাইহিস সালাম উনার বিষয়টি কিরূপ হবে, সেটা সমস্ত জিন-ইনসান ও তামাম কায়িনাতবাসীর চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। সুবহানাল্লাহ!

কাজেই সাইয়্যিদুল কাওনাইন, সাইয়্যিদুছ ছাক্বালাইন, হাবীবুল্লাহ, ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুছ ছালিছ  আলাইহিস সালাম তিনি উনার মহাসম্মানিত আব্বাজান নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত আম্মাজান উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আল ঊলা কুবরা আলাইহাস সালাম উনাদের থেকে বিদায় নিয়ে মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত আহ্বান মুবারক-এ সাড়া দিয়ে  উনার সম্মানিত ছোহবত মুবারক-এ যাওয়ার জন্য পূর্ণ প্রস্তুত। সুবহানাল্লাহ! তখন মহান আল্লাহ পাক তিনি কুদরতীভাবে সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুছ ছালিছ  আলাইহিস সালাম উনাকে মহাসম্মানিত বরকতময় বিছালী শান মুবারক হাদিয়া মুবারক করে উনার সম্মানিত ছোহবত মুবারক-এ নিয়ে যান। সুবহানাল্লাহ! অর্থাৎ সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুছ ছালিছ  আলাইহিস সালাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত আহ্বান মুবারক-এ সাড়া দিয়ে মহাসম্মানিত বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ! সময়টি ছিলো আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মানিত রিসালত মুবারক প্রকাশ পাওয়ার ৮ বছর পূর্বে মহাসম্মানিত রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার ১২ তারিখ। সুবহানাল্লাহ!

এখানে একটি বিষয় ফিকিরের যে, শাহরুল আ’যম মহাসম্মানিত রবীউল আউওয়াল শরীফ মাসে মহাসম্মানিত বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করা এবং মহাসম্মানিত বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার একখানা আখাচ্ছুল খাছ সম্মানিত সুন্নত মুবারক। আর সেই সম্মানিত সুন্নত মুবারকই কুদরতীভাবে প্রতিপালিত হয়েছেন ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুছ ছালিছ  আলাইহিস সালাম উনার মাধ্যমে। সুবহানাল্লাহ! শুধু তাই নয়, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেছেন মহাসম্মানিত ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ। সেই মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারকও কুদরতীভাবে প্রতিপালিত হয়েছেন ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুছ ছালিছ  আলাইহিস সালাম উনার মাধ্যমে। সুবহানাল্লাহ! তিনিও মহাসম্মানিত ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ মহাসম্মানিত বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেছেন। সুবহানাল্লাহ! তাহলে এখান থেকেই স্পষ্ট হয়ে যায় যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কতটুকু তাশাব্বুহ মুবারক (হুবহু মিল) রয়েছে। সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ!

সম্মানিত গোসল মুবারক করানো এবং সম্মানিত কাফন মুবারক পরানো:

 সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার সম্মানিত লখতে জিগার ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুছ ছালিছ  আলাইহিস সালাম উনাকে সম্মানিত গোসল মুবারক করান এবং উনার সম্মানিত কাফন মুবারক পরান। সুবহানাল্লাহ!

সম্মানিত রওযা শরীফ-এ রাখা:

 সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত দিক-নির্দেশনা মুবারক অনুযায়ী ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুছ ছালিছ  আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত রওযা শরীফ মুবারক খনন করা হয়। অতঃপর স্বয়ং সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজ হাত মুবারক-এ উনার মহাসম্মানিত লখতে জিগার মুবারক সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুছ ছালিছ  আলাইহিস সালাম উনাকে সম্মানিত রওযা শরীফ মুবারক-এ রাখেন। সুবহানাল্লাহ! তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আল ঊলা কুবরা আলাইহাস সালাম উনাদের দু’চোখ মুবারক বেয়ে অবিরত ধারায় সম্মানিত নূরুল মুহব্বত মুবারক প্রবাহিত হতে থাকেন। সুবহানাল্লাহ!

অতএব, প্রত্যেকের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে উক্ত দিবসে উনার পবিত্র সাওয়ানেহ উমরী মুবারক আলোচনা করার লক্ষ্যে মাহফিলের ব্যবস্থা করা। আর সরকারের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে উনার পবিত্র সাওয়ানেহ উমরী মুবারক প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত করা।

(২২)

মহাপবিত্র ১৩ই রবীউল আউওয়াল শরীফ

সম্মানিত ১৩ই রবীউল আউওয়াল শরীফ সম্মানিত খিলাফত মুবারক উনার মহান দায়িত্ব গ্রহণ করেন আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম। উনার মুল নাম মুবারক হচ্ছে: হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম। তিনিই পবিত্র দীন ইসলাম উনার প্রথম ও প্রধান খলীফাহ্, খলীফাতু রসূলিল্লাহ হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম। সুবহানাল্লাহ!

খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার আখাছছুল খাছ মনোনীত ব্যক্তিত্বগণ উনাদের মধ্যে আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া, খলীফাতু রসূলিল্লাহ্, সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি অন্যতম। বলার অপেক্ষা রাখে না যে, আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া, খলীফাতু রসূলিল্লাহ্, সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি সারা কায়িনাতবাসীর জন্য সর্বোত্তম আদর্শ মুবারক। নূরে মুজসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার খিদমতে তিনি যে অবদান রেখে গেছেন, তা উনাকে উম্মতের মাঝে একক ও অদ্বিতীয় বানিয়েছে। পবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস হলো- উনার সম্মানিত খিলাফত মুবারক উনার দায়িত্ব গ্রহণ করার মাস। অর্থাৎ তিনি পবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার ১৩ তারীখ সম্মানিত খিলাফত মুবারক উনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। নি¤েœ সংক্ষিপ্তাকারে উনার সাওয়ানেহে উমরী মুবারক আলোচনা করা হলো।

পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ

আইয়ামে জাহিলিয়াতের সময় আরববাসীরা নাসী বা তারিখ আগ-পিছ করতো। যার কারণে অনেক ক্ষেত্রেই সঠিক তারিখ পাওয়া সম্ভব হয় না। তেমনিভাবে আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া, খলীফাতু রসূলিল্লাহ্, সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের তারিখ নির্ধারণে ঐতিহাসিকগণ সক্ষম হননি। তবে সকল ঐতিহাসিকগণ একমত যে, হযরত আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া, খলীফাতু রসূলিল্লাহ্, সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি ৬৩ বছর বয়স মুবারকে পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সে অনুযায়ী নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের উনার প্রায় দুই বছর পর মুবারক হিজরতপূর্ব ৫১ সন মুতাবিক শামসীপূর্ব ৬১ সন আর ঈসায়ী ৫৭২ সনে পবিত্র মক্কা শরীফে বনী তায়ীম গোত্রে আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া, খলীফাতু রসূলিল্লাহ্, সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন।

পবিত্র নসব মুবারক:

উনার ঊর্ধ্বতন পৈত্রিক বংশ মুবারক: আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া, খলীফাতু রসূলিল্লাহ্, সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম বিন আবী কুহাফা উছমান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বিন আমির বিন আমর ইবনে কা’ব বিন সা’দ বিন তাইম বিন মুররাহ আলাইহিস সালাম। উনার ঊর্ধ্বতন সপ্তম পুরুষ হযরত মুররাহ আলাইহিস সালাম উনাতে গিয়ে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র নসব মুবারক উনার সাথে মিলিত হয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! (তারীখুল খুলাফা)

উনার ঊর্ধ্বতন মাত্রিক বংশ মুবারক: আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া, খলীফাতু রসূলিল্লাহ্, সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিতা আম্মাজান হযরত উম্মুল খইর সালমা বিনতে ছখর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা উনার নসব মুবারক ৬ষ্ঠ পুরুষ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র নসব মুবারক উনার সাথে মিলিত হয়েছেন। উনার পিতা-মাতা উভয়ই সম্মানিত দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন। সুবহানাল্লাহ!

নিম্নে উনার সম্মানিত মাতা উনার নসবনামা মুবারক উল্লেখ করা হলো:

আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া, খলীফাতু রসূলিল্লাহ্, সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম বিন হযরত উম্মুল খ¦ইর সালমা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা বিনতে ছখর বিন আমির বিন কা’বা বিন সা’দ বিন তাইম বিন মুররাহ আলাইহিস সালাম কুরাইশী তাইমী। (উসদুল গাবাহ ফী মা’রিফাতিছ ছাহাবাহ ৭ম খ- ৩১৪ পৃষ্ঠা)

হুলিয়া মুবারক:

আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া, খলীফাতু রসূলিল্লাহ্, সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার বেমেছাল বুযূর্গী-সম্মানের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছিলো উনার হুলিয়া মুবারকে। উনার জিসিম মুবারক ছিল উজ্জ্বল বর্ণের। স্বাভাবিক গড়ন আর প্রশস্ত কপাল মুবারকে তিনি ছিলেন সুশোভিত। উনার চেহারা মুবারক, চাল-চলন মুবারক, কথা-বার্তা মুবারক, চলাচল মুবারক সর্বক্ষেত্রেই উনার বেনযীর বিনয় আর অপরিসীম জামালিয়াতের উন্মেষ ঘটতো। উনার বরকতময় হুলিয়া মুবারক সকলকে আকর্ষিত করতো, প্রভাবান্বিত করতো। সুবহানাল্লাহ!

সম্মানিত দ্বীন ইসলাম গ্রহণের আনুষ্ঠানিকতা:

সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, রহমতুল্লিল আলামীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যখন আনুষ্ঠানিকভাবে নবুওওয়াত মুবারক ও রিসালত মুবারক উনাদের বিষয়টি প্রকাশ করেন, তখন আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া, খলীফাতু রসূলিল্লাহ্, সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি ব্যবসায়িক কাজে শাম (সিরিয়া) দেশে অবস্থান করছিলেন। পবিত্র মক্কা শরীফে ফেরত এসে আত্মীয়-স্বজনকে নতুন সংবাদ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন। তারা বললো, একটি নতুন ও আশ্চর্যজনক সংবাদ রয়েছে। খাজা আবু তালিব উনার ভাতিজা তিনি নবুওওয়ত মুবারক প্রকাশ করেছেন। তা শুনে আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া, খলীফাতু রসূলিল্লাহ্, সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাক্ষাৎ মুবারক লাভ করার জন্য অস্থির হয়ে পড়েন। দ্রুত নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাক্ষাৎ মুবারক গ্রহণ করেন এবং তৎক্ষণাত সম্মানিত দ্বীন ইসলাম গ্রহণের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন। (সমুদয় সীরাত গ্রন্থ)

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

ما دعوت احدا الى الاسلام الا كانت له عنه كبوة و تردد نظر الا ابا بكر عليه السلام ما عتم عنه حين ذكربه وما تردد فيه.

অর্থ: “আমি যাকেই সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার দাওয়াত মুবারক দিয়েছি তিনিই চু-চেরা করেছেন, সময়ক্ষেপণ করেছেন। তবে আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া, খলীফাতু রসূলিল্লাহ্, সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি ব্যতিক্রম। উনাকে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার দাওয়াত দেয়া মাত্রই কোনো প্রকার চু-চেরা না করে, কালবিলম্ব না করে তৎক্ষণাত তিনি দাওয়াত মুবারক গ্রহণ করেন। পবিত্র দ্বীন ইসলাম গ্রহণের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন।” (ইবনে ইসহাক্ব)

হিজরত মুবারক:

কাফিরদের চরম যুলুম-নির্যাতনের দরুণ হযরত ছহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের অনেকেই হিজরত করেন। এহেন পরিস্থিতিতে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, হে আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া, খলীফাতু রসূলিল্লাহ্, সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম! মহান আল্লাহ পাক তিনি যেকোনো সময় হিজরত মুবারক উনার অনুমতি প্রদান করবেন। তখন আপনি হবেন আমার সাথী। আপনি হিজরত মুবারকের প্রস্তুতি নিন। অতঃপর সুদীর্ঘ ছয় মাস অতিবাহিত হয়ে গেছে।

আনুষ্ঠানিক নবুওওয়াত প্রকাশের এয়োদশ বছর পবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ মাসে মহান আল্লাহ পাক তিনি হিজরত মুবারক করার নির্দেশ মুবারক করলেন। আদেশ মুবারক পেয়ে হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনাকে স্বীয় বিছানা মুবারকে রেখে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহু হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র হুজরা শরীফ হতে বের হয়ে আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া, খলীফাতু রসূলিল্লাহ্, সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার হুজরা শরীফ উনার দরজার কড়া নাড়েন। সাথে সাথে তিনি বের হয়ে বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি উপস্থিত। উনার দ্রুতগামিতার দরুণ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আশ্চর্যবোধ করে ইরশাদ মুবারক করলেন, এতো গভীর রাতে আপনি কি ঘুমাননি? এত দ্রুত বের হয়ে আসলেন কিভাবে? তিনি বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি যেদিন হিজরত মুবারক উনার কথা বলেছেন, সেদিন হতে আমি কখনোই বিছানায় পিঠ লাগাইনি। সেদিনই  হিজরতের জন্য প্রয়োজনীয় যানবাহন, অর্থকড়ি, খাবার, পোশাক এমনকি মদীনা শরীফ উনার পথ  দেখানোর জন্য অভিজ্ঞ ও বিশ্বস্ত লোক সংগ্রহ করে রেখেছি। আপনার ছোহবত মুবারক হতে হুজরা শরীফে এসে হিজরতের প্রস্তুতি নিয়ে বিগত ৬ (ছয়) মাস যাবৎ আমি দরজায় দাঁড়িয়ে থাকি। আপনি নির্দেশ মুবারক করার সাথে সাথেই  যেন আপনার নির্দেশ মুবারক পালন করতে পারি সেজন্য সর্বদা সতর্কভাবে আমি অবস্থান করি। সুবহানাল্লাহ!

বলার অপেক্ষাই রাখে না যে, আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া, খলীফাতু রসূলিল্লাহ্, সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি হিজরত মুবারক উনার জন্য যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন, তা সাধারণ মানুষের পক্ষে কস্মিনকালেও সম্ভব নয়। আর এজন্যই পুরো উম্মতের মাঝে উনাকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে মহান আল্লাহ পাক উনার তা’রীফ মুবারক করেছেন। হাদীছ শরীফেও রয়েছে উনার ফযীলত মুবারকের বর্ণনা।

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

ثَانِيَ اثْنَيْنِ إِذْ هُمَا فِي الْغَارِ إِذْ يَقُوْلُ لِصَاحِبِهِ لَا تَحْزَنْ إِنَّ اللهَ مَعَنَا

অর্থ- “দু’জনের দ্বিতীয়। যখন উনারা (সাওর) গুহায় অবস্থান মুবারক করছিলেন, তখন তিনি উনার ছাহিব অর্থাৎ ছাহাবী, খাদিম উনাকে বললেন, আপনি চিন্তিত হবেন না। নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সাথে রয়েছেন।” (সম্মানিত সূরা তাওবা শরীফ : সম্মানিত আয়াত শরীফ- ৪০)

জিহাদ:

আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া, খলীফাতু রসূলিল্লাহ্, সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে প্রতিটি জিহাদে শরীক হয়েছেন। সর্বক্ষেত্রেই তিনি ছায়ার মতো লেগে ছিলেন। এমন কোনো জিহাদ অতিবাহিত হয়নি, যে জিহাদে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ছিলেন কিন্তু হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি উপস্থিত ছিলেন না। অর্থাৎ নূরে মুজাস্সাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সকল জিহাদ উনার মধ্যে আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া, খলীফাতু রসূলিল্লাহ্, সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি ছিলেন। সুবহানাল্লাহ!

আমীরে হজ্জ:

নবম হিজরী সনে পবিত্র হজ্জ ফরয করা হয়। এ বছর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া, খলীফাতু রসূলিল্লাহ্, সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনাকে তিনশত হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরসহ পবিত্র হজ্জ উনার জন্য পবিত্র মক্কা শরীফে প্রেরণ করেন। পাশাপাশি উনাকে আমীরে হজ্জ লক্বব মুবারকে ভূষিত করা হয়। মুশরিকদের বিরুদ্ধে পবিত্র মক্কা শরীফে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা সে বছর উনার মাধ্যমেই ঘোষণা করা হয়। পবিত্র হজ্জ উনার ইসলামী পদ্ধতি সর্বপ্রথম তিনিই পালন করেন। সুবহানাল্লাহ! (ইবনু হিশাম, যাদুল মাআদ)

বিদায় হজ্জে খাদিম হিসেবে

হজ্জ সম্পাদন করেন:

দশম হিজরী সনে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র হজ্জ মুবারক সম্পন্ন করেন। এই ছফর মুবারকে উনার মালামাল মুবারক এবং আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া, খলীফাতু রসূলিল্লাহ্, সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার মালামাল মুবারক একই উটে বহন করা হয়। সুবহানাল্লাহ! (আবু দাউদ)

এই ছফর মুবারকে উনার আওলাদ হযরত মুহম্মদ ইবনে আবি বকর রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। (ইবনু সা’দ)

বিদায় হজ্জের সময় সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার পরিপূর্ণতা ঘোষণা করা হয়। আর ইসলাম উনার পূর্ণাঙ্গতার মাধ্যমে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিদায় মুবারক উনার মুবারক সময় নিকটবর্তী হওয়ার বিষয়টি তিনিই সর্বপ্রথম উপলব্ধি করেন। তার কারণে তিনি অনেক কান্নাকাটি করেন।

পবিত্র মসজিদে নববী শরীফ-এ ইমামতি :

নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র মদীনা শরীফ-এ জাহিরীভাবে অবস্থানকালে কেবলমাত্র আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া, খলীফাতু রসূলিল্লাহ্, সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি পবিত্র মসজিদে নববী শরীফ-এ ইমামতি করার মুবারক নির্দেশনা লাভ করেছেন।

নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করার পূর্বে যখন পবিত্র মারিদ্বী শান মুবারক প্রকাশ করেছিলেন, তখনও টানা কয়েক ওয়াক্ত নামায আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া, খলীফাতু রসূলিল্লাহ্, সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি পবিত্র মসজিদে নববী শরীফ-এ ইমামতি করেন। বিশুদ্ধ ও মশহুর মতে, তিনি সেই মুবারক সময়ে সতের ওয়াক্ত নামাযে ইমামতি করেন। সুবহানাল্লাহ।

মূলত, পবিত্র মসজিদে নববী শরীফ-এ ইমামতি করা আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া, খলীফাতু রসূলিল্লাহ্, সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার যেরূপ বিশেষ শান মুবারক, তেমনিভাবে তা উনার খলীফাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লম হওয়ার আলামত মুবারক; যা বলাই বাহুল্য।

সম্মানিত খিলাফত মুবারক উনার

দায়িত্ব গ্রহণ

সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিছালী শান মুবারক প্রকাশ উনার পর একজন হযরত ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি এসে সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনাকে সংবাদ দিলেন যে, হযরত সা’দ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার তত্ত্বাবধানে কয়েকজন আনছার ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা খলীফা মনোনীত করার ব্যাপারে আলোচনা করেছেন। সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি বিষয়টি আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া, খলীফাতু রসূলিল্লাহ্, সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনাকে অবহিত করলেন। আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া, খলীফাতু রসূলিল্লাহ্, সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনাকে এবং হযরত আবূ উবাইদা ইবনুল জাররা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাদেরকে সাথে নিয়ে সেখানে গেলেন এবং জিজ্ঞাসা করলেন যে, কি হয়েছে? আপনারা কি আলোচনা করছেন? উনারা বললেন, আমরা খলীফা মনোনীত করার ব্যাপারে আলোচনা করছি। এ ব্যাপারে আমাদের পরামর্শ হলো

مِنا امير ومنكم امير

অর্থ: হযরত আনছার ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের থেকে একজন এবং মুহাজির ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের থেকে একজন খলীফা মনোনীত হোক।

একথা শুনে আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া, খলীফাতু রসূলিল্লাহ্, সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, আমি নিজ কান মুবারক-এ শুনেছি, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজ যবান মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন-

الائمة من قريش

“খলীফা মনোনীত হবেন কুরাইশগণ উনাদের মধ্য থেকে।”

অতঃপর আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া, খলীফাতু রসূলিল্লাহ্, সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, “আমার ডান পাশে রয়েছেন এমন একজন মহান ব্যক্তিত্ব যাঁর মুবারক শানে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক  করেছেন,

لو كان بعدي نبي لكان حضرت عمر بن الخطاب عليه السلام

 “আমার পরে যদি কেউ নবী হতেন তাহলে সেই ব্যক্তিত্বই হতেন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম।” (তিরমিযী শরীফ, মিশকাত শরীফ)

আর “বাম পাশে রয়েছেন এমন একজন মহান ব্যক্তিত্ব, যাঁর মুবারক শানে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের ‘আমীন’ তথা বিশ্বস্ত ব্যক্তি হলেন হযরত আবূ উবাইদা ইবনুল জাররাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।” (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ) অতএব, এ দু’জন উনাদের মধ্যে যে কোন একজন উনার হাত মুবারকে খিলাফত উনার বাইয়াত গ্রহণ করতে পারেন।

এ কথা শুনে সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূকে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, এ ব্যাপারে আমার কিছু কথা রয়েছে। যেহেতু সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূকে আ’যম উনার এই বিষয়টি জানা রয়েছে যে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, আমার বিছালী শান মুবারক প্রকাশের পর প্রথমে খলীফা হবেন, আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া, খলীফাতু রসূলিল্লাহ্, সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি, তারপর হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি, অতঃপর হযরত যুন নূরাঈন আলাইহিস সালাম তিনি, তারপর হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি। সুবহানাল্লাহ!

তাই তিনি বললেন, আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া, খলীফাতু রসূলিল্লাহ্, সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার ন্যায় ব্যক্তিত্ব যাঁর মুবারক শানে স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে  পবিত্র এক আয়াত শরীফ উনার মধ্যেই তিনটি ফযীলত বর্ণনা করেছেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “দুই জনের দ্বিতীয়, উনারা দু’জন যখন (সাওর) গুহায় অবস্থান করছিলেন, তখন তিনি উনার ছাহাবী, খাদিম উনাকে বললেন, আপনি চিন্তিত হবেন না। মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সাথে রয়েছেন।

অর্থাৎ আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া, খলীফাতু রসূলিল্লাহ্, সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি হচ্ছেন, ১। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দ্বিতীয়। সুবহানাল্লাহ! যদিও নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দ্বিতীয় কেউ নেই। এখানে উনার ফযীলতটা বুঝানো হয়েছে। তিনি যে, খলীফাতু রসূলিল্লাহ সেটা স্পষ্ট করে বলে দেয়া হয়েছে যে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করার পর ছিদ্দীক্বে আকবর হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম তিনি খলীফা হবেন। ২। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছাহাবী, খাদিম এবং ৩। স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া, খলীফাতু রসূলিল্লাহ্, সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার সাথে রয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! (সূরা তাওবা : আয়াত শরীফ- ৪০)

কাজেই এরূপ ব্যক্তিত্ব উপস্থিত থাকতে অন্য কেউ খলীফা হতে পারে না। একথা বলে ফারূক্বে আ’যম, হযরত উমর ইবনুল খত্তাব আলাইহিস সালাম তিনি বাইয়াত হওয়ার জন্য নিজ হাত মুবারক আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া, খলীফাতু রসূলিল্লাহ্, সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার হাত মুবারক-এ রাখলেন এবং বাইয়াত করার জন্য অনুরোধ করলেন। সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার দেখা দেখি সেখানে উপস্থিত সকলেই আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া, খলীফাতু রসূলিল্লাহ্, সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার হাত মুবারক-এ খিলাফতের বাইয়াত গ্রহণ করেন। পরের দিন বাইয়াতে আম অনুষ্ঠিত হয় এবং পর্যায়ক্রমে সকলেই আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া, খলীফাতু রসূলিল্লাহ্, সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার হাত মুবারক-এ খিলাফত উনার বাইয়াত গ্রহণ করেন। এভাবেই আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া, খলীফাতু রসূলিল্লাহ্, সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি খলীফা মনোনীত হন।

পরবর্তীতে আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া, খলীফাতু রসূলিল্লাহ্, সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি বলেছেন যে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পরে যে আমি খলীফা হবো সেই বিষয়টি আমার জানা ছিলো। কেননা পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আমার বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করার পর প্রথমে খলীফা হবেন, আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া, খলীফাতু রসূলিল্লাহ্, সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি, তারপর হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি, অতঃপর হযরত যুন নূরাঈন আলাইহিস সালাম তিনি, তারপর হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি। সুবহানাল্লাহ!

তারপরেও খিলাফত উনার দায়িত্বটা যেহেতু অত্যন্ত কঠিন তাই আমি নিজেকে এই দায়িত্ব থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করেছিলাম।

৬ষ্ঠ হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, ক্বাদিরিয়া তরীক্বার ইমাম, হযরত শায়েখ সাইয়্যিদ মুহিউদ্দীন আব্দুল কাদির জীলানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার বিশ্বখ্যাত কিতাব “গুনিয়াতুত ত্বালিবীন”-এ উল্লেখ করেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করার পর হযরত আনছার ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের মধ্য থেকে বিশেষ বিশেষ কয়েকজন হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা বললেন, আমাদের আনছার ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের মধ্য থেকে একজন এবং হযরত মুহাজির ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের থেকে একজন খলীফা মনোনীত করা হোক। অতঃপর হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি দণ্ডায়মান হয়ে এর জবাবে বললেন, হে হযরত আনছার ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম! আপনাদের কি এই কথা জানা নেই যে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি জমিনে যাহিরিভাবে মুবারক অবস্থানকালে আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া, খলীফাতু রসূলিল্লাহ্, সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনাকে নামাযের ইমামতী করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেছিলেন? হযরত আনছার ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা সকলে সমস্বরে বলে উঠলেন যে, হ্যাঁ, আমাদের জানা রয়েছে। অতঃপর হযরত ফারূকে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি পুনরায় বললেন, হে হযরত আনছার ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম! বলুন তো, কে এমন আছে যে, মর্যাদার দিক থেকে আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া, খলীফাতু রসূলিল্লাহ্, সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার চেয়ে অগ্রগণ্য? হযরত আনছার ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা বললেন, আল্লাহ পাক উনার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি, আমরা কেউই তেমন দাবি করি না।

অপর এক বর্ণনায় এসেছে, সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, বলুন তো আপনাদের মধ্যে এমন কে আছেন যে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া, খলীফাতু রসূলিল্লাহ্, সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনাকে যেখানে দাঁড় করিয়ে গেছেন, সেখান থেকে উনাকে হটিয়ে দেবেন?

হযরত আনছার ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা বললেন, আমরা কেউই এমন কাজ করতে চাই না, বরং এই বিষয়ে আমরা মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট ক্ষমা ভিক্ষা চাচ্ছি। মোট কথা, তখন হযরত আনছার ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম এবং হযরত মুহাজির ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা সকলেই ঐক্যবদ্ধভাবে আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া, খলীফাতু রসূলিল্লাহ্, সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার হাত মুবারক-এ খিলাফত উনার বাইয়াত গ্রহণ করেন। উনাদের মধ্যে হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম এবং হযরত যুবাইর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনারাও ছিলেন।” সুবহানাল্লাহ! (গুনিয়াতুত্ব ত্বালিবীন ১ম খ- ১৫৮ পৃষ্ঠা)

উল্লেখ্য, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার ১২ তারিখ পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। আর খলীফাতু রসূলিল্লাহ সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি ১৩ রবীউল আউওয়াল শরীফ সম্মানিত খিলাফত মুবারক উনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। সুবহানাল্লাহ! তাই প্রত্যেকের জন্য দায়িত্ব কর্তব্য হচ্ছে উনার পবিত্র সাওয়ানেহ উমরী মুবারক থেকে সম্মানিত খিলাফত মুবারক উনার বিষয়টি আলোচনা করে সম্মানিত খিলাফত মুবারক উনার বিষয়টি অনুধাবন করা। আর সরকারের জন্য দায়িত্ব কর্তব্য হচ্ছে উক্ত দিবসে মাহফিলসমূহ আঞ্জাম দেয়ার পাশাপাশি উনার খিলাফত মুবারক উনার বিষয়টি সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত করা।

পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব চতুষ্ঠয় উনাদের মধ্যে যে কোন একটি সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-৩৩

পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমাউল উম্মাহ শরীফ ও পবিত্র ছহীহ ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে সম্মানিত ইসলামী মাস ও বিশেষ বিশেষ রাত, দিন, সময় ও মুহূর্তের আমলসমূহের গুরুত্ব, ফযীলত এবং বেদ্বীন-বদদ্বীনদের দিবসসমূহ পালন করা হারাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া১১ (১৪তম পর্ব)

পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব চতুষ্ঠয় উনাদের মধ্যে যে কোন একটি সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-৩৪

পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমাউল উম্মাহ শরীফ ও পবিত্র ছহীহ ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে সম্মানিত ইসলামী মাস ও বিশেষ বিশেষ রাত, দিন, সময় ও মুহূর্তের আমলসমূহের গুরুত্ব, ফযীলত এবং বেদ্বীন-বদদ্বীনদের দিবসসমূহ পালন করা হারাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া১১ ১৫তম পর্ব

পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব চতুষ্ঠয় উনাদের মধ্যে যে কোন একটি সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-৩৫