আল বাইয়্যিনাত রিপোর্টঃ সূরা আনয়াম-এর ১১২ নং আয়াত শরীফে ইরশাদ হয়েছে, “এরূপে আমি প্রত্যেক নবীর জন্যে শত্রু করেছি মানব ও জ্বীন জাতির মধ্য হতে যারা শয়তান; তাদেরকে। আল্লাহ্ পাক অন্য আয়াত শরীফে বলেন, আমি তোমাদেরকে কি জানাবো, কার নিকট শয়তানরা অবতীর্ণ হয়? ওরা তোঅবতীর্ণ হয় প্রত্যেকটি ঘোর মিথ্যাবাদী ও পাপীর নিকট।” এ আয়াত শরীফের দ্বারা প্রতিভাত হয় যে, যুগে যুগে যারা আল্লাহ্ পাক-এর মনোনীত নবী-রসূল ও ওলীআল্লাহ্গণের শত্রুতা করে আসছে তাদের বিরোধিতা করেছে, দেখা গেছে তারা প্রত্যেকেই চরম মিথ্যাবাদী ও পাপাচারী ব্যক্তি। যার প্রত্যক্ষ প্রমাণ স্থাপিত হয়েছে পিরোজপুরে। যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুযাদ্দিদুয্ যামান রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লহুল আলী তাঁর ওয়াজ মাহফিল, লিখনী, দর্স-তাদরীস এর মাধ্যমে হক্বের প্রচার প্রসার ও সুন্নতকে জিন্দা করে আসছেন। সে ধারাবাহিকতায় তিনি পিরোজপুরেও যথারীতি মাহফিল করছিলেন। কিন্তু ১৯৯৯ সাল থেকে স্থানীয় সরকারী স্কুলের ধর্মীয় শিক্ষক তথাকথিত মাওলানা কুদ্দুসুর রহমান রাজারবাগ শরীফের বিরুদ্ধে ব্যাপক মিথ্যা রটনা ও অপপ্রচার করে মাহফিলের বিরোধীতা করে। উল্লেখ্য, এই কুদ্দুসুর রহমানই পিরোজপুরে রাজারবাগ শরীফের মাহফিলের বিরুদ্ধে মূল অপতৎপরতা চালায়।
অথচ অবর্ণনীয় কষ্ট করে যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী মাহফিল করেন। যা একমাত্র লিল্লাহিয়াতের জন্য। কিন্তু তাতে করে নিজেদের ধর্মব্যবসা বন্ধ হবে বলে তথাকথিত মাওঃ কুদ্দুসুর রহমান রুখে দাঁড়ায়। রাজারবাগ শরীফের বিরুদ্ধে অপবাদ আর অপপ্রচারের বন্যা বইয়ে দেয়।
কিন্তু আল্লাহ্ পাকের কুদরত, রাজারবাগ শরীফের বিরুদ্ধে অপবাদ রটনা করলেও, অপপ্রচার করলেও সত্যের নিরীখে আজ তারই হাক্বীক্বত জনসম্মুখে প্রকাশ হয়ে পড়েছে। সমাজে সে-ই আজ লাঞ্ছিত কুকুর সদৃশ হয়েছে।
পিরোজপুর সংবাদদাতা জানান, পিরোজপুর শহরের সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের ধর্ম শিক্ষক ও একই বিদ্যালয়ের জামে মসজিদের ইমাম কুদ্দুসুর রহমান টাউন উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্রকে বলাৎকারের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়ে তার মুখমণ্ডল, বুক ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কামড়িয়ে ক্ষতবিক্ষত করে। এ পৈশাচিক ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার ১৭/১১/০৩ ইং তারিখ দুপুরে পিরোজপুর শহরের সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত প্রধান শিক্ষকের বাসভবনে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। কুদ্দুসুর রহমান জামায়াত সমর্থিত পিরোজপুর আদর্শ শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বলে জানা গেছে। পুলিশ কর্মকর্তা নিজামউদ্দিনের পুত্র টাউন উচ্চ বিদ্যালয়ের জামে মসজিদে যোহর নামায শেষে বাসায় ফেরার পথে সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও মসজিদের ইমাম তাকে ডেকে নিয়ে স্কুলের পরিত্যক্ত প্রধান শিক্ষকের বাসভবনে নিয়ে যায়। একটি রুমে নেয়ার পর ছাত্রটিকে জাপটে ধরে বলাৎকারের চেষ্টা চালায়। এতে ব্যর্থ হয়ে ছাত্রটির মুখমণ্ডল, বুক ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কামড়ে ক্ষতবিক্ষত করে। আহত অবস্থায় উক্ত ছাত্র বাসায় গিয়ে ঘটনাটি পিতা-মাতাকে জানায়। থানার ওসি অভিযুক্ত শিক্ষক কুদ্দুসকে ধরে এনে জেলা প্রশাসকের কাছে নিয়ে যায়। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে বিকেলে থানায় মামলা হয়। উক্ত ঘটনায় মঙ্গলবার পিরোজপুর ম্যাজিস্ট্রেট আদালত অভিযুক্ত সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও বিদ্যালয় মসজিদের ইমাম, জামায়াত সমর্থিত আদর্শ শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আ.ন.ম. আঃ কুদ্দুসের জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্ররেণ করেছে। এ ঘটনাটি ছিল পিরোজপুরে টক অব দ্য টাউন। শহরবাসীর মুখে মুখে ছিল শিক্ষকের জঘন্য ঘটনা। সমঝদাররা বলাবলি করছেন নিশ্চয়ই রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা বড় আল্লাহ্ ওলী হবেন। তার মাহফিলের অহেতুক ও অন্যায় বিরোধিতা করার কারণেই মাও. কুদ্দুসের উপর খোদায়ী লা’নত পড়েছে। তাই সে এভাবে বদচরিত্রের অধিকারী হয়েছে এবং প্রকাশ্যে লাঞ্ছিত হয়েছে। আরো জানা যায়, সে গত বছরের আগস্ট মাসে বিদ্যালয়ের মসজিদের হিফজখানায় ৭ম শ্রেণীর এক ছাত্রকে বলাৎকার করে। মূলতঃ খোদায়ী গযবের কারণেই সে এরূপ চরিত্রহীন ও পাপাচারী হয়েছে। আর এ ধরনের লোকই যে যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ ইমামুল আইম্মা, কুতুবুল আলম, মুহইস্ সুন্নাহ্, আওলাদে রসূল রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর বিরোধীতা করবে সেটাই তো সত্য। অর্থাৎ মানুষ ও জীনের মধ্যে যারা শয়তান তথা পাপাচারী তারাই নবী-রসূল ও আউলিয়া-ই-কিরামগণের শত্রু, দুনিয়ার যমীনে নিকৃষ্ট প্রাণী।
– মুহম্মদ ……………………।
ইরাকের মীরজাফর সাদ্দাম রাশিয়ার বেলারুশ যেতে চায় কেন?
প্রসঙ্গঃ ছবি, অশ্লীল ছবি ইনকিলাব ও হাটহাজারীর আহমক শাফী উপাখ্যান