প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যঃ  আল বাইয়্যিনাত শরীফ-এর মন্তব্য প্রধানমন্ত্রীর একটি বক্তব্য নিয়েই এ লেখা। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নিজেকে মাওলানা দাবী করেন না, ইসলামী বন্দিগীতে অগ্রসর বলে প্রকাশ করেন না। তবে যারা তার চারপাশে ইসলামের প্রতিনিধিত্ব করেন বলে ঘুর ঘুর করেন, তথাকথিত ইসলামী রাজনীতির ধারক-বাহক বলে হালুয়া-রুটি আদায় করতে চান, ইসলামী লেবাসের অন্তরালে তাদের হাক্বীক্বত সম্পর্কে খোদ প্রধানমন্ত্রীও যে অনবহিত নন বরং সম্যক অবগত তা সংসদে সম্প্রতি তার একটি বক্তব্যে প্রতিফলিত হয়।

সংখ্যা: ১৩২তম সংখ্যা | বিভাগ:

এক দৈনিকে প্রত্রস্থ হয়,  “সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রধানমন্ত্রী মাদ্রাসায় ধর্মীয় শিক্ষা দেয়া হলেও  ছাত্ররা নকল করে পাস করে  সংসদ নেতা এবং প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া গতকাল বুধবার ১৪ই জুলাই সংসদে বলেছেন, মাদ্রাসাগুলোতে ধর্মীয় শিক্ষা দেয়া হলেও সেখানে নকল করে পাস করে ছাত্ররা। এটা খুব দুঃখজনক। এবতেদায়ী মাদ্রাসাগুলোকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো সুযোগ-সুবিধা দেয়া হবে কিনা- এ সংক্রান্ত এক মাওলানা সাংসদের এক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন। প্রশ্নকারী সাংসাদকে উদ্দেশ্য করে প্র্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, মাদ্রাসায় ফলাফল দেখলে আপনিও লজ্জা পাবেন। সেখানে নকল হচ্ছে। …” (ভোরের কাগজ/১৫ জুলাই, ২০০৪) প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, মাদ্রাসাগুলোতে ধর্মীয় শিক্ষা দেয়া হলেও সেখানে নকল করে পাস করে ছাত্ররা।’

প্রধানমন্ত্রী এখানে শিক্ষার সাথে ধর্মীয় শব্দ যোগ করে বিষয়টির ভাবগম্ভীর্যতা প্রকাশ করেছেন। অর্থাৎ সাধারণভাবেই যেখানে অসততা ঘৃণীত সেখানে ধর্মীয় শিক্ষা- মূলতঃ ইসলামী শিক্ষা; যে শিক্ষার বহিঃপ্রকাশ এত কঠোর যে, ‘চুরিতে ধরা পড়লে হাত কেটে দেয়া হয়’ সেখানে বস্তুগত চুরি নয় বরং আল্লাহ পাক-এর কালাম, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর হাদীছ শরীফ বর্ণনা করার ব্যাপারে চুরি করে বা নকল করে মাদ্রাসার অধিকাংশ ছাত্ররা। অর্থাৎ এরা যে ফাযিল-কামিল পাশ করে মাওলানা, মুহাদ্দিছ, শাইখুল হাদীছ, মুফতী, খতীব হয় তাদের অনেকেই আসল আলিম নয় বরং তারা নকল মাওলানা গং। আর এসব নকল মাওলানা যারা দুনিয়াবী ফায়দার জন্য নকল করে সার্টিফিকেট বাগায় তারা যে কর্মজীবনেও দুনিয়াবী ফায়দার জন্য পার্থিব প্রতিপত্তি ও টাকা-পয়সার জন্য ধর্মের আদর্শ বয়ানেও কারচুপি করবে তথা ধর্মে ‘যা নেই’ ‘তা আছে’ বলবে, ‘যা রয়েছে’ ‘তা নেই’ বলবে অথবা যা বলবে তা নিজেরা করবে না’ তা তাদের জন্য অতি স্বাভাবিক। আর বর্তমানে তাই বিশেষভাবে দেখা যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “মাদ্রাসার ফলাফল দেখলে আপনিও লজ্জা পাবেন, সেখানে নকল হচ্ছে।”    প্রসঙ্গতঃ বলতে হয় যে, আজকের তথাকথিত শাইখুল হাদীছ, মুফতী, মাওলানা, খতীব গং যেভাবে নিজেদের এতদিনের ওয়ায, লেখা, মাদ্রাসায় তা’লীম-তালকীনের বিবৃত আদর্শ ও অতীত কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কাজ করছে, ছবি তোলা হারাম বলে আজ নিজেরাই ছবি তুলছে, নারী নেতৃত্ব হারাম বলে আজ নিজেরাই নারী নেতৃত্ব সমর্থন করছে, বিজাতীয় অনুসরণ হারাম বলে আজ নিজেরাই লংমার্চ, হরতাল, মৌলবাদ, ব্লাসফেমী ইত্যাদি হারাম কর্মসূচী করছে তাতে খোদ প্রধানমন্ত্রী যিনি ধর্ম নিরপেক্ষতাবাদের প্রতিনিধিত্ব করেন, যিনি ব্যক্তিগত জীবনে উত্তর আধুনিক সংস্কৃতির প্রতিফলন ঘটান, তিনিও লজ্জা পান।  যে এরা মাওলানা হয়ে করেটা কি? বিশেষ করে ক্ষমতার লোভে এরা যে কত বেসামাল, মন্ত্রীত্বের আর এমপি হওয়ার প্রশ্নে এরা যে কত অসুস্থ প্রতিযোগী, কত ব্যক্তিত্বহীন, কত নোংড়া, কত নিম্নমানের তা প্রধানমন্ত্রী বাইরে প্রকাশ না করলেও অন্তরে হাড়ে হাড়ে  টের পান।  তাই কিছুদিন আগে মুফতে আমীনির প্রতি তার মুখ ফসকে বেরিয়েছিলো, “আপনারা মোল্লা মানুষ, মসজিদেই থাকুন।” ধিক! এ সমস্ত নামধারী মুফতী, মাওলানা, মুহাদ্দিছদের প্রতি। এরা ইসলামের নাম দিয়ে এতই ব্যবসাপ্রবণ এবং এতই ক্ষমতালোভী ও ব্যক্তিত্বহীন যে, বর্তমান গণতন্ত্রী মহিলা প্রধানমন্ত্রীর মত ধর্মনিরপেক্ষ ব্যক্তিত্বের কাছে এরা ধমক খেল। প্রসঙ্গতঃ প্রধানমন্ত্রী মাদ্রাসার নকলের হাল দেখলে দিব্যি লজ্জা পেতে হবে বলে উল্লেখ করেছেন। কিন্তু যে কথা তিনি  খুব ভালভাবে জেনেও মুখ ফুটে বলতে পারেননি তাহলো, মাদ্রাসা শিক্ষকরাই ছাত্রদের এহেন একাজে প্ররোচিত ও সাহায্য করে থাকেন। এ বিষয়টিকে রাখঢাকের ভিতর রেখে তিনি বলেছেন, “অযোগ্য ও খারাপ শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ করতে হবে।”    এখানে উল্লেখ্য যে, এ ধরণের মাদ্রাসা শিক্ষক, ছাত্র আর তথাকথিত ইসলামী রাজনীতির তল্পীবাহক তথাকথিত মুফতী, মাওলানা, শাইখুল হাদীছ, মুফাস্সিসের কুরআনগং মূলতঃ সবই একই তবকার, একই গোত্রের। এরা শিক্ষা জীবনে নকল করে নকল মাওলানা হয়েছে, আর বাস্তব জীবনে ইসলামের ছহীহ ফতওয়া, আমল কারচুপি করে ধর্মব্যবসায়ীতে পরিণত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শুধু মাদ্রাসায় নকলের কথা উল্লেখ করে লজ্জা পাবার কথা বলেছেন। কিন্তু মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ এদের সামগ্রিক কার্যবলী উল্লেখ করে হাক্বীক্বত এরা যে কত লজ্জা পাবার যোগ্য, এরা যে কতটা লাঞ্ছিত, ধিকৃত ও অস্পৃশ্য হওয়ার যোগ্য সেটাই উল্লেখ করা হয়। আল বাইয়্যিনাতে ইসলামের পরিভাষায় এদেরকেই উলামায়ে ‘ছূ’ বলা হয়। যদিও উলামায়ে ‘ছূ’রা বলে থাকে যে, ‘আল বাইয়্যিনাত শরীফে উলামায়ে ‘ছূ’ বলে গালিগালাজ করা হয়।’  কিন্তু না, উলামায়ে ‘ছূ’ আল বাইয়্যিনাত শরীফ-এর নিজস্ব শব্দ নয়। এটা হাদীছ শরীফের ভাষা। হাদীছ শরীফের ইরশাদ হয়েছে, “হক্ব আলিম সৃষ্টির সর্বপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। আর নাহক্ব, ধর্মব্যবসায়ী আলিম (উলামায়ে ‘ছূ’) সৃষ্টির সর্বাপেক্ষা নিকৃষ্ট।

-মুহম্মদ ওয়ালীউল্লাহ, বাসাবো, ঢাকা।

রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর হাক্বীক্বী নায়িব ও ওয়ারিছ। তাঁর বিরোধিতাকারীরা মুনাফিক, কাফির ও শয়তানের অনুসারী- ৬

‘ইসলামের দৃষ্টিতে প্রাণীর ছবি তোলা, রাখা, আঁকা, দেখা হারাম’ মুজাদ্দিদে আ’যমের অনবদ্য তাজদীদ

ইমাম সম্মেলনে অর্ধনগ্ন খ্রীষ্টান মহিলা মেরীর পর এবার খোলামেলা হিন্দু মহিলা সুনিতা মুখার্জী তথাকথিত ইমামদের প্রতি নিস্প্রোয়জন ছিল প্রধানমন্ত্রীর নছীহত

ইতিহাসের নিরীখে, বর্তমান সংবিধান প্রণেতা গণপরিষদেরই কোন আইনী ভিত্তি বা বৈধতা ছিল না। গত ৫৪ বৎসর দেশবাসীকে যে অবৈধ সংবিধানের অধীনে বাধ্যগত করে রাখা হয়েছিলো এর প্রতিকার দিবে কে? ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের দ্বীন ইসলামের প্রতিফলন ব্যাতীত কোন সংবিধানই বৈধ হতে পারে না কারণ দেশের মালিক ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমান

প্রসঙ্গঃ ‘ইসলাম ও মুসলমানের স্বার্থ রক্ষায় প্রতিবাদ’ প্রতিবাদের ভাষা ও ধরণ; বৃহত্তর স্বার্থের জন্য ক্ষুদ্রতর স্বার্থ ত্যাগ এবং সহীহ সমঝ