প্রসঙ্গঃ ছবি- প্রশ্নের কাঠগড়ায় উলামায়ে ‘ছূ’; নিজ লেখনীর দ্বারা তারা প্রকাশ্য মুনাফিক প্রতিভাত

সংখ্যা: ১৩১তম সংখ্যা | বিভাগ:

          মিরাজ শরীফের বর্ণনায় আল্লাহ্ পাক-এর রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামধারী আলিমদের পরিণতি সম্পর্কে বলেছেন। ঘটনাটি এরকম হবে যে, মানুষ দলে দলে জান্নাতে যেতে থাকবে। যাত্রাপথে তারা নীচে তাকিয়ে দেখবে যে, তারা যাদের ওয়াজ শুনে আমল করার উছীলায় আজকে জান্নাতে যাচ্ছে সে ওয়ায়েজীন তথা মাওলানারা নিজেরাই জাহান্নামের আগুনে জ্বলছে। আশ্চর্য্য হয়ে তারা যখন এর কারণ জিজ্ঞেস করবে তখন সেই নামধারীরা মাওলানারা বলবে যে, “আমরা তোমাদেরকে আমল করতে বলতাম কিন্তু নিজেরা করতাম না।” কিতাব বিবরণঃ- ১      ৪৫ বাংলাবাজার হাছানিয়া লাইব্রেরী থেকে ১৯৯৯ সালে আগষ্ট মাসে প্রকাশিত তথাকথিত শাইখুল হাদীছ মাওলানা আজিজুল হক রচিত “কোরআন হতে বিজ্ঞান” শীর্ষক কিতাবে ২৬০ পৃষ্ঠায় উল্লেখ রয়েছে,          “কারো কারো একথা বলা নিশ্চয়ই ভ্রান্ত যে, ফটো চিত্র নয় বরং ছায়া ও প্রতিবিম্ব, যেমন, আয়না ও পানি ইত্যাদিতে দেখা যায়। সুতরাং আয়নাতে নিজেকে দেখা যেমন জায়েয, ফটোও ঠিক তেমনি জায়েয। এর সুস্পষ্ট জওয়াব হলো, প্রতিবিম্ব ততক্ষণ পর্যন্ত থাকে, যে কোন উপায়ে বদ্ধমূল ও স্থায়ী করে নেওয়া না হয়। যেমন পানি বা আয়নাতে যে প্রতিবিম্ব দেখা দেয়, বিপরীত দিক থেকে সরে গেলে তা আর থাকে না। কিন্তু কোন ঔষধ বা পাউডারের সাহায্যে যদি সেই প্রতিবিম্বকে স্থায়ী করে দেওয়া হয়, তবে একেই চিত্র বলা হবে, এরই নিষেধাজ্ঞা মুতাওয়াতির হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত রয়েছে। পাখির আকৃতি বানানো প্রকৃতপক্ষে চিত্রই এবং তা হযরত ঈসা আলাইহিস্ সালামের শরীয়তে জায়েয ছিল, আমাদের শরীয়তে এর বৈধতা রহিত করা হয়েছে।” অর্থাৎ  তথাকথিত শাইখুল হাদীছের নিজের লেখা কিতাবের ভাষ্য অনুযায়ী ছবি তোলা সম্পূর্ণরূপে নাজায়িয ও হারাম।      প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য যে, তথাকথিত এই শাইখুল হাদীছের অনুবাদকৃত বুখারী শরীফেও ছবি তোলার বিরুদ্ধে অনেক শক্ত ও কঠিন পরিণতি বর্ণনা করে হাদীছ শরীফের উল্লেখ রয়েছে। কিতাব বিবরণী- ২      ৩৬ বাংলাবাজার হাছানিয়া লাইব্রেরী কর্তৃক ডিসেম্বর ১৯৯৯ সালে প্রকাশিত “আল কোরআনের দৃষ্টিতে মহিলাদের পর্দা” শীর্ষক বইয়ে তথাকথিত শাইখুল হাদীছ ১৫৪ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেন, “তোমাদের মধ্যে যে কেউ কোন অন্যায় দেখবে তবে তা হাতের দ্বারা প্রতিহত করবে যদি এর শক্তি না থাকে তবে মুখের দ্বারা বলবে যদি এরও শক্তি না থাকে তবে অন্তর দ্বারা তা ঘৃনা করবে, আর ইহা হচ্ছে দুর্বল ঈমানের পরিচয়।” একই পৃষ্ঠায় হাদীছ শরীফের বরাতে আরো উল্লেখ “তোমরাই সকলেই রক্ষক তোমাদের সকলকেই অধীনস্থদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে।           উল্লিখিত কিতাব বিবরণী (১) ও (২) এর বক্তব্যদ্বয় সমন্বয় করলে দাঁড়ায়- (ক) ছবি তোলা ইসলামের দৃষ্টিতে মহাগুণাহ।। (খ)) বর্তমান সরকারের শরীকদলের তথাকথিত শাইখুল হাদীছ গং ইসলামের দৃষ্টিতে উল্লিখিত হাদীছ শরীফের প্রেক্ষিতে অবশ্য অবশ্যই শীর্ষ পর্যায়ের রক্ষক। এমনকি সরকার প্রধানও যদি অনৈসলামী কাজের সূচনা করে সেক্ষেত্রেও প্রতিবাদ করার দায়-দায়িত্ব তার। যা তার বইয়েই লেখা রয়েছে।      কিন্তু প্রশ্ন হলো- তথাকথিত শাইখুল হাদীছ গং আদৌ সে দায়িত্ব পালন করছেন কি? অন্য সবকিছু বাদ দিয়ে শুধুমাত্র ছবি তোলা সম্পর্কে তার বইয়ের যে উদ্বৃতি এবং গুণাহ্র কাজের প্রতিবাদ সম্পর্কেও তার বইয়ের যে উদ্বৃতি এখানে দেয়া হলো তার প্রেক্ষিতে আদৌ কোন ভূমিকা তিনি রেখেছেন কি? সারাদেশে একটা সুইয়ের প্যাকেট থেকে আরম্ভ করে সমস্ত দ্রব্য-সামগ্রীতে ছবির অবাধ ব্যবহার তথা টিভি- সিনেমাতে ছবির অশ্লীল মারাত্মক সমাহার  আমাদের শাইখুল হদছ গংদের আদৌ বিচলতি করে কি? অথচ বিষয়টি এত ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে যে, যারা আদৌ ইসলামপন্থী নয় বরং অনেকটা ইসলাম বিমুখই বটে তারাও ভীষণভাবে শঙ্কাগ্রস্থ। এ সম্পর্কে সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকে “তীর্যক মন্তব্য” করা হয়ঃ যেখানে-সেখানে অশ্লীল পোস্টার         “সিনেমা হলগুলোাতে বাংলা এবং ইরেজি ছবির সঙ্গে অশ্লীল দৃশ্য প্রদর্শণের পাশাপাশি এখন এসব ছবির পোস্টারে ছেয়ে গেছে রাজধানীর পথঘাট। শুধু সিনেমা হলের পাশের দেয়ালই নয় বিভিন্ন স্কুল-কলেজের দেয়ালেও লাগানো হচ্ছে এসব পোস্টার। কোমলমতি শিশুরা এসব অশ্লীল পোস্টারে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার শিকার হচ্ছে কিনা তা ভেবে দেখার কি কেউ নেই? অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এসব পোস্টার অনেককেই বিব্রত করছে।” কিন্তু এরপরেও বিন্দুমাত্র বিব্রত হচ্ছেনা আমাদের শাইখুল হদছ গং তথা সব নামধারী ইসলামী রাজনীতিক তথা উলামায়ে ‘ছূ’র দল।     মূলতঃ এদের সাথে এ লেখার প্রথমে উল্লিখিত হাদীছ শরীফে বর্ণিত জাহান্নামী মাওলানাদের সাথে মিল রয়েছে। কারণ, এরা কিতাবে লিখছে, ফতওয়া দিচ্ছে ছবি তোলা হারাম আর কার্যতঃ এরা নিজেরাই ছবি তুলছে। এদের লেখা পড়ে বয়ান শুনে চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতির মত লোকেরাও পদক্ষেপ নিচ্ছে। একই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, “এদিকে চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশ সমিতি সাম্প্রতিক অশ্লীল দৃশ্য সংযোজন এবং নোংরা পোস্টার ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।” (প্রথম আলো ১৯শে জুন/২০০৪)       কিন্তু কোনই ব্যবস্থা নেয়নি বর্তমান সরকারের শরীকদার তথাকথিত ইসলামী রাজনীতিক দলগুলো। অথচ ইসলামের কথা বলেই তারা ভোট চেয়েছিল, দেশকে পর্যায়ক্রমে ইসলামীকরণ করা হবে বলেই তারা বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারে যোগদানের কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছিল। কিন্তু এরপর মন্ত্রী হওয়ার জন্য তারা যতটা কাঁদা ছোড়াছুড়ি করেছে, তোষামোদী করেছে; কোন অনৈসলামী আইন বন্ধের জন্য তথা ছবি বা অশ্লীল ছবি বন্ধের জন্য তার একবিন্দুও গা করেনি বা কোন প্রতিবাদ করেনি। বরং নিজেরাই নিজেদের লেখার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে আমল করে স্পষ্ট মুনাফিক হিসেবে প্রতিয়মান হয়েছে। -মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান, ঢাকা।

রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর হাক্বীক্বী নায়িব ও ওয়ারিছ। তাঁর বিরোধিতাকারীরা মুনাফিক, কাফির ও শয়তানের অনুসারী- ৬

‘ইসলামের দৃষ্টিতে প্রাণীর ছবি তোলা, রাখা, আঁকা, দেখা হারাম’ মুজাদ্দিদে আ’যমের অনবদ্য তাজদীদ

ইমাম সম্মেলনে অর্ধনগ্ন খ্রীষ্টান মহিলা মেরীর পর এবার খোলামেলা হিন্দু মহিলা সুনিতা মুখার্জী তথাকথিত ইমামদের প্রতি নিস্প্রোয়জন ছিল প্রধানমন্ত্রীর নছীহত

ইতিহাসের নিরীখে, বর্তমান সংবিধান প্রণেতা গণপরিষদেরই কোন আইনী ভিত্তি বা বৈধতা ছিল না। গত ৫৪ বৎসর দেশবাসীকে যে অবৈধ সংবিধানের অধীনে বাধ্যগত করে রাখা হয়েছিলো এর প্রতিকার দিবে কে? ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের দ্বীন ইসলামের প্রতিফলন ব্যাতীত কোন সংবিধানই বৈধ হতে পারে না কারণ দেশের মালিক ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমান

প্রসঙ্গঃ ‘ইসলাম ও মুসলমানের স্বার্থ রক্ষায় প্রতিবাদ’ প্রতিবাদের ভাষা ও ধরণ; বৃহত্তর স্বার্থের জন্য ক্ষুদ্রতর স্বার্থ ত্যাগ এবং সহীহ সমঝ