প্রসঙ্গঃ বাঙালী তথা বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ জাতীয়তাবাদ ও ইসলাম পক্ষের শক্তির সমন্বয় এবং জাতীয়তাবাদের নামে অতীতের ইসলামী দাবীদারদের বিভ্রান্তি (৬)

সংখ্যা: ১৬৮তম সংখ্যা | বিভাগ:

          আশ্চর্য এই দেওবন্দী সিলাসিলা দুনিয়াবী অর্থ ও প্রতিপত্তি আদায়ের নিমিত্তে কুরআন-সুন্নাহর অর্থ বিকৃত ও অপব্যাখ্যা, পরিবর্তন করার ক্ষেত্রে এদের রয়েছে অবাক করার মত ক্ষমতা।

          উবাই, শাইখুল হদছ, কমিনী, আহমক শাফী, মাহিউদ্দিন এরা যে লংমার্চ, হরতাল, ছবি তোলা, বেপর্দা হওয়া, নারী নেতৃত্ব, নির্বাচন ইত্যাদি কাজকে, নিজেদের তরফ থেকে এক সময়ের নাজায়িয ফতওয়া থাকার পরও আজকে ধর্মব্যবসায় প্রলুব্ধ হয়ে নিজেদের ফতওয়া উল্টে-পাল্টে তথা কুরআন সুন্নাহর অর্থ পরিবর্তন ও অপব্যাখ্যা করে সে সব নাজায়িযকে আবার জায়িয করেছে; সে ওদের দেওবন্দী সিলসিলাগত ঐতিহ্য ও প্রবৃত্তি।

          এ কথা তখন আরো স্পষ্ট এবং জোরদারভাবে প্রতিভাত ও প্রমাণিত হয়, যখন দেওবন্দীদের কথিত মহাবুযূর্গ ও বিরাট আলিম, দেওবন্দ মাদ্্রাসার প্রিন্সিপাল হোসাইন আহমদ মাদানীকেও একই দোষে দুষ্ট দেখা যায়।

          দেওবন্দীরা এতদিন পর্যন্ত ইল্মের ফখর করে বেড়িয়েছে। আসলে তা ছিল খালি ময়দানে ফপঁর দালালী, গ-ীভূক্ত দরসী কিতাবের ছড়ছড়া জ্ঞানের, খালি ময়দানে দরসী ইল্মের মিথ্যা বড়াই ও অহঙ্কার।

          আজ মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফের মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর তাজদীদের নিরীখে নির্ণীত হচ্ছে যে, তাদের মাদানী সাহেবের মত মহাবুযূর্গের মাঝেও ছিল মহাভুল। দরসী ইল্মের দরস দেয়া ছাড়া তার মাঝে আর কোন যোগ্যতাই ছিল না। যেমন নেই আজকের হদছগং এর। দরসী ইল্্ম ছাড়া মাদানী সাহেব সাধারণ জ্ঞান বা দুনিয়াবী বিষয়েও ছিলেন অকাট মুর্খ।

          তবে তার এ নিরেট মূর্খতাকেও করুণার চোখে দেখা যেত, যদি তার সাথে স্বার্থবাদিতা, প্রলোভন যুক্ত না থাকত। আর সে প্রলোভনে প্রলুব্ধ হয়ে তিনি এতই অন্ধ হয়েছিলেন যে খুদ খেয়ে জাত দিতে দ্বিধা বোধ করেননি। মুসলমান হয়ে ইসলামী অনুভূতি ও আদর্শ বাদ দিয়ে কংগ্রেসের নির্লজ্জ দালালী করতে গিযে কুরআন-সুন্নাহর সাথে নির্মম উপহাস করতে কুণ্ঠাবোধ করেননি। বড়ই বিশ্বাসঘাতকতা, বড়ই হঠকারীতা, বড়ই স্পর্ধা, বড়ই লজ্জাহীনতা, বড়ই নিষ্ঠুর প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে তিনি বড়ই ধুরন্ধর ধর্মব্যবসায়ীর মত কুরআন-সুন্নাহর নির্মম অপব্যাখ্যা করেছেন। দেওবন্দী সিলসিলায় ধর্মব্যবসার জন্য কুরআন-সুন্নাহর অপব্যাখ্যার বীজ বপন করেছেন। যা আজ বিরাট মহীরুহে পরিণত হয়েছে।

          যা হদস গং এর মাঝে ব্যাপক নিকৃষ্টভাবে সংক্রমিত হয়েছে। বললে ভুল হবে না। মাদানী ছাহেবকে তারা এক্ষেত্রে মুরুব্বী হিসেবে পেয়েছে।

          সর্বভারতীয় জাতীয়তাবাদ বা এক জাতীয়তাবাদ প্রমাণের জন্য মাদানী ছাহেব অতঃপর কুরআন শরীফের আয়াত শরীফ পেশ করেছেন। বলেছেন, অনেক আয়াত শরীফে কাফিরদেরকে নবী আলাইহিমুস্্ সালামগণ ক্বওম বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ভারতে বসবাসকারী মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন, শিখ ইত্যাদিকে এমনি এক ক্বওম কল্পনা করে হোসাইন আহমদ মাদানী ছাহেব সর্বভারতীয় জাতীয়তাবাদ বা এক জাতিতত্ত্বকে জায়িয করার নির্লজ্জ ও নির্মম প্রতারণামূলক ওকালতি করেছেন। মাদানী ছাহেব কুরআন শরীফে উল্লিখিত ক্বওম শব্দের আলোকে এক জাতিতত্ত্ব উপস্থাপনের যে পায়তারা করেছেন, তাতে তার নির্বুদ্ধিতা, জেহালতি ও মোহগ্রস্থ হওয়ার প্রেক্ষিতে তার জন্য তার বাবা মার চরম কাঁদা-কাটা ছাড় আর কিছুই করার অবকাশ নেই।

          তথাকথিত ইসলামী ইল্মের ফখরের দাবীদার দেওবন্দীরা আজকে মুজাদ্দিদে আ’যম রাজারবাগ শরীফের মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর তাজদীদ এর প্রেক্ষিতে খালিছ দিলে, আক্বল খাটালে বুঝতে পারবেন যে, তাদের মহা বুযূর্গ মাদানী ছাহেব কি মারাত্মক ভুল করেছেন। এবং তা সামান্য দুনিয়াবী প্রতিপত্তির মোহগ্রস্থ হওয়ার কারণেই।

          কংগ্রেসের নেতা সাজার মোহে অন্ধ হয়ে মাদানী সাহেব উপলদ্ধি করতে পারেননি যে, নবী আলাইহিমুস্্ সালামগণ কুরআন শরীফে উল্লিখিত “হে আমার কওম” কেবলমাত্র হিদায়েতের কালাম প্রকাশকালেই বলেছেন। যখন তারা হিদায়েত হয়েছেন কেবলমাত্র তখনই নবী আলাইহিমুস্্ সালামগণের সাথে সম্পৃক্ত হতে পেরেছেন। এক সাথে থাকতে পেরেছেন। উম্মত বলে গণ্য হতে পেরেছেন। আর যখনই তা হয়নি তখনই তারা নবী আলাইহিমুস্্ সালামগণের সাথে সম্পৃক্ত হতে পারেনি। এক সাথে থাকতে পারেনি। এমনকি একই পরিবারের অন্তর্ভূক্ত হওয়া সত্ত্বেও।

          যেমন, হযরত নূহ্্ আলাইহিস সালাম, হযরত লূত আলাইহিস সালাম তাঁদের স্ত্রীরা তাঁদের সাথে সম্পৃক্ত হতে পারেনি। এমনকি হযরত নূহ আলাইহিস সালাম যখন তাঁর ছেলে কেনানকে মহা বন্যার সময় নিজ কিশতীতে ডাকলেন কিন্তু সে না শুনে কাফিরদের সঙ্গি হয়ে পানিতে ডুবে মারা যায়। তখন হযরত নূহ্্ আলাইহি সালাম বলেন, হে আল্লাহ পাক! আপনি তো বলেছিলেন আমার আহাল ও ইয়ালদেরকে হিফাযত করা হবে। তখন আল্লাহ পাক বললেন, সে আপনার সন্তান হওয়া সত্ত্বেও আপনার পরিবারের অন্তর্ভূক্ত নয়। কারণ সে ঈমান আনেনি।

          মাদানী ছাহেব দ্বীনি ইলমে এতই অবুঝ আর কংগ্রেসের দালালীতে এতই অন্ধ ছিলেন যে, তিনি সম্পূর্ণ চেপে গেছেন ‘ক্বওমের অন্তর্ভূক্ত’ হওয়া কোন দলীল নয়। আর ‘ক্বওম’ শব্দের ব্যবহার নবী আলাইহিমুস্্ সালামগণের জন্য খাছ বা বিশেষ শব্দ হিসেবে ব্যবহার হয়েছে। যেমন বান্দা শব্দ ব্যবহার আল্লাহ পাক-এর জন্য খাছ। নমরূদ, সাদ্দাদ, হামান, ফেরাউনও আল্লাহ পাক-এর বান্দা কিন্তু তাই বলে এই ‘বান্দার’ ব্যবহার দলীল হতে পারেনা। এরূপ বান্দাদের সম্পর্কে আল্লাহ পাকই বলেছেন, ‘তার চেয়ে অধিক জালিম কে? যে আল্লাহ পাক-এর প্রতি মিথ্যারোপ করে।’

          কাজেই দেখা যাচ্ছে খারাপ হোক, ভাল হোক সবাই আল্লাহ পাক-এর ‘বান্দা’। আল্লাহ পাক আরো বলেছেন, ‘যারা আল্লাহ পাক-এর হুকুম মুতাবিক বিধান পরিচালনা করেনা তারা জালিম, ফাসিক ও কাফির।’ আল্লাহ পাক আরো ইরশাদ করেন, ‘আল্লাহ পাক-এর বান্দাগণের মাঝে খুব কম সংখ্যকই আল্লাহ পাক-এর শোকর গুজারী করে।

          তাহলে দেখা যাচ্ছে কাফির-মুশরিক, ফাসিক অথবা শোকর গুজারী সবাই আল্লাহ পাক-এর বান্দা। আল্লাহ পাক যখন সম্বোধন করবেন তখন বান্দা বলেই করবেন। তেমনি নবী-আলাইহিমুস্্ সালামগণ যখন কাউকে সম্বোধন করবেন তখন তাকে উম্মত বা ক্বওম বলেই সম্বোধন করবেন। কিন্তু আল্লাহ পাক-এর অস্বীকারকারী কাফির, ফাসিক বান্দা যেমন আসলে আল্লাহ পাক-এর বান্দা নয় তেমনি নবী আলাইহিমুস্্ সালামগণকে অস্বীকারকারী ক্বওমের লোকজনও আসলে নবী আলাইহিমুস সালামগণের ক্বওমের অন্তর্ভুক্ত নয়।

          এটা আল্লাহ পাক নবী-রসূল আলাইহিমুস্্ সালামগণের শানে অনেক স্থানে বর্ণনা করেছেন- তারা অস্বীকার করল এবং তারা জালিমদের অন্তর্ভুক্ত হল।’

          মাদানী ছাহেব ক্বওম শব্দের উল্লেখেই ঘোলা পানিতে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করেছেন কংগ্রেসের দালালী জায়িয করার জন্য। পাকা ও ধুরন্ধর ধর্মব্যবসায়ীদের মত তাফসীর বির রায় বা কুরআন-সুন্নাহর সাথে দুঃসাহসিক ও চরম স্পর্ধামূলক হঠকারিতা করেছেন। কিন্তু এ যে তার উপর গিয়েই পড়ে।

          মাদানী ছাহেব শুধু ক্বওম শব্দের উল্লেখ করেছেন। কিন্তু এই ক্বওমকেই যে আবার নবী আলাইহিমুস্্ সালামগণ অস্বীকার করেছেন, তাদেরকে জালিম বলেছেন, তাদের উপর গযব নাযিলের জন্য বলেছেন, মাদানী ছাহেব সেদিকে নজর দেননি! তার কোন উল্লেখ করেননি!ু

          প্রসঙ্গতঃ ক্বওম শব্দ যদি মাদানী ছাহেবের কাছে এতই প্রিয় হয়ে থাকে, তার তথাকথিত সর্বভারতীয় জাতীয়তাবাদ সমর্থনের ভিত্তি হয়ে থাকে, তাহলে তার মতবাদের প্রেক্ষিতেই আমরা যখন তাকে লূত আলাইহিস সালাম-এর ক্বওমের লোক বলব, যাদের নিকৃষ্ট চরিত্রহীনতার জন্য তারা কুখ্যাত; তাতে আজকে মাদানী ছাহেব বা তার অনুসারীদের গা জ্বলবে কিন?

          আর আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘আমার উম্মতের ক্ষেত্রে আমি সবচেয়ে ভয় করি যে, তারা হযরত লূত আলাইহিস সালাম-এর ক্বওমের মত কু-কাজে জড়িয়ে পড়বে।’  মাদানী ছাহেবকে যদি এই কু-কাজে জড়িতদের সাথে অন্তর্ভুক্ত করা হয় তাতে তার ক্বওম শব্দ প্রীতির জন্য তার প্রতিক্রিয়া দেখানোর কথা নয়।

          হাদীছ শরীফে ইরশাদ হয়েছে, ‘নবী আলাইহিমুস্্ সালামগণ যাকে হত্যা করেছেন সে জাহান্নামী এবং যারা নবী আলাইহিমুস্্ সালামগণকে শহীদ করেছেন তারাও জাহান্নামী।’

          হাদীছ শরীফেই ইরশাদ হয়েছে- বণী-ইসরাইলের মধ্যে ৭০ হাজার নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম অতীত হয়েছেন যাঁদেরকে শহীদ করা হয়েছে। উল্লেখ্য নবী-আলাইহিমুস্্ সালামগণকে শহীদ করেছে তাঁদের ক্বওমেরই লোকজন। এবং স্পষ্টত তারা নিকৃষ্ট জাহান্নামী। এখন ক্বওম শব্দের প্রীতিতে তুষ্ট মাদানী ছাহেবকে এ জাহান্নামী ক্বওমের অন্তর্ভুক্ত করলে মাদানী ছাহেব বা তার অনুসারী দেওবন্দীদের চু-চেরা করার কিছুই নেই।

          আর যদি তাই হয়ে থাকে, তবে জাহান্নামী লোকের কথা শোনারও কোন দরকার মুসলমানের নেই। মাদানী ছাহেবের এক জাতিতত্ত্বেরও কোন মূল্য নেই।

          আল্লাহ পাক কুরআন শরীফে ইরশাদ করেন, যখন আপনার পালনকর্তা হযরত মুসা আলাইহিস সালামকে ডেকে বললেন, “আপনি পাপিষ্ঠ ক্বওমের কাছে যান। ফিরআউনের ক্বওমের নিকট। তারা কি ভয় করেনা? হযরত মূসা আলাইহিস সালাম বললেন, হে আমার পালন কর্তা! তারা আমাকে মিথ্যাবাদী বলবে।”

          প্রদত্ত আয়াত শরীফে উল্লিখিত জালিম ও মিথ্যাবাদী ক্বওমের সাথে মাদানী ছাহেবকে অন্তর্ভূক্ত করলে তার তথা দেওন্দীদের কিছুই বলার নেই।

          কুরআন শরীফে আরো ইরশাদ হয়েছে, “হে আমার ক্বওম! আমার সাথে জিদ করে তোমরা হযরত নূহ বা হুদ আলাইহিস সালামের ক্বওমের মত নিজেদের উপর আযাব ডেকে আনবেনা। আর হযরত হুদ আলাইহিস সালাম-এর ক্বওম তোমাদের থেকে খুব দূরে নয়। তারা বলল, হে হযরত শোয়াইব আলাইহিস সালাম! আপনি যা বলেছেন, তার অনেক কথাই আমরা জানিনা। আমরা তো আপনাকে আমাদের মধ্যে দুর্বল ব্যক্তি মনে করি। আপনার ভাই বন্ধু তথা সাহায্যকারীরা না থাকলে আপনাকে প্রস্তরাঘাতে শহীদ করতাম। (নাউজুবিল্লাহ) আমাদের দৃষ্টিতে আপনি কোন মর্যাদাবান ব্যক্তি নন। হযরত শোয়াইব আলাইহিস সালাম বললেন, আমার ক্বওম আমার ভাই-বন্ধুরা কি তোমাদের কাছে আল্লাহ পাক-এর চেয়ে বেশী প্রভাবশালী? আর তোমরা আল্লাহ পাককে ভুলে পেছনে ফেলে রেখেছ? (সূরা হুদ-৭৯)

          বলা যায়, প্রদত্ত আয়াত শরীফে উল্লিখিত নবী আলাইহিমুস্্ সালামের বিরোধিতাকারী তাদের সাথে জিদকারী, তাদেরকে শহীদ করতে উদ্যত, আল্লাহ পাককে অস্বীকারকারী ক্বওমের অন্তর্ভুক্ত হতে হুসাইন আহমদ মাদানী ছাহেবের কোনই কুণ্ঠা ছিলনা। থাকলে কুরআন শরীফে এতভাবে বর্ণনার পরও তিনি ক্বওম শব্দের অবতারণা করে হিন্দু-বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, ইহুদী, শিখ, জৈন ইত্যাদির সাথে মিলে সর্বভারতীয় জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা সাজতেন না।

          কংগ্রেসের পরীক্ষিত ও নিষ্ঠাবান দালালরূপে নিজেকে মাদানী ছাহেব এতটাই নিবেদিত রেখেছেন যে, তিনি নিজেকে আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর উম্মত মনে করতেন কিনা তাই সন্দেহ। কারণ কুরআন শরীফে ইরশাদ হয়েছে, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (হাশরের ময়দানে) ময়দানে বলবেন, “হে আমার রব! আল্লাহ পাক নিশ্চয়ই আমার এই ক্বওম কালামুল্লাহ শরীফকে অস্বীকার করেছে।”

          বলা যায় মাদানী ছাহেব অবশ্যই আল্লাহ পাক-এর আয়াত শরীফ অস্বীকারকারী সম্প্রদায়ের মধ্যে পড়েন। প্রথমঃ তিনি নবী আলাইহিমুস্্ সালামগণকে  অস্বীকারকারী অতীতের ক্বওম সমূহের অন্তর্ভুক্ত। তা এতক্ষণের লেখা দ্বারা প্রমাণিত। আর দ্বিতীয়তঃ তিনি তৎকালীন ভারতের হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, মজুসী, ইহুদী, ইত্যাদি সবার সাথে নিজেকে করেছেন একীভূত। আর হাদীছ শরীফে ইরশাদ হয়েছে, “যে যে সম্প্রদায়ের সাথে মিল রাখে তার হাশর-নশর তার সাথেই হবে।”

-মুহম্মদ তারীফুর রহমান, ঢাক।

ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা-৩২

কোকাকোলা ও অন্যান্য কোমল পানীয় সম্পর্কে উন্মোচিত সত্য-১৮

‘ক্লোজআপ ওয়ান তোমাকেই খুঁজছে বাংলাদেশ’- একটি সূক্ষ্ম ও গভীর ষড়যন্ত্রের প্রক্রিয়া অথচ নিশ্চুপ তথাকথিত খতীব, মহিউদ্দীন, আমিনী ও শাইখুল হাদীছ গং তথা তাবত ধর্মব্যবসায়ীরা- (১)

মওদুদীর নীতি থেকেও যারা পথভ্রষ্ট সেই জামাত- জামাতীদের জন্যও ভয়ঙ্কর মুনাফিক॥ আর সাধারণের জন্য তো বলারই অপেক্ষা রাখেনা

প্রসঙ্গঃ আমেরিকায় ইহুদী প্রভাব ও নিয়ন্ত্রণ- ২