“ছবি তোলা হারাম। এ ফতওয়া দিয়ে রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা, বর্তমান যুগে বিরাট বিপ?িঘটিয়েছেন।? এরূপ মন্তব?অনেকেই করে থাকেন। তারা মনে করেন, সব মাওলানাই তো ছবি তুলছে। বিশেষ করে ওহাবী-খারিজীরা তাদের নেতা শাইখুল হদছ ও মুফতে কমিনীর ছবি তোলাকেই দলীল মনে করছে।
এ?ত্রে যে তারা, আল্লাহ পাক ও তাঁর হাবীব ছল্লাল্লা?আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বাদ দিয়ে তাদের মুরুব্বী পূঁজায় নিয়োজিত হয়েছে, তা না বললেও চলে।
তবে বিশেষভাবে উল্লেখ?যে, আজকে খারেজী-ওহাবীরা ভুলে গেলেও দলীল-প্রমাণ রয়ে গেছে যে, হদছ-কমিনী এক সময় ছবি তোলার বিরূদ্ধ মতই পোষণ করতো। ছবি তোলা জায়িয নেই এ কথা তারাও প্রচার করতো। অতীতের প?পত্রিকা ঘাটলে তার ব?প্রমাণ দেয়া যাবে। প্রসঙ্গত: এখানে তার একটি দলীল উল্লেখ করা গেলো-
‘প্রয়োজন হলে আমরা গৃহযু?বাধাবো?
-মাওলানা আজিজুল হক
ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান শাইখুল হাদছ মাওলানা আজিজুল হকের মুখোমুখি হই ২৪ আগ?৯৭। তার আজিমপুরের বাসায় সকাল ৭.৩০ মিনিটে। সাক্ষাতকারের শুরুতে শাইখুল হাদছের ছবি তুলতে চাইলে তিনি নিষেধ করেন। বলেন, ইসলামী শরীয়তের পরিপন্থী হারাম। কিন্তু ইত্তেফাকে তো ২২ আগস্টের সমাবেশে আপনার ছবি ছাপা হয়েছে বলে তিনি জানালেন, ছবি কখন তুলেছে আমি দেখিনি। দেখলে তুলতে দিতাম না। (সাপ্তাহিক মুক্তিবার্তা ৩ সেপ্টেম্বর?৭)
গণতন্ত্র প্রসঙ্গে
প্রশ্নঃ এই মধ্যবতী?ব্যবস্থাটি একটু ব্যাখ্যা করবেন?
আ; হক: গণতন্ত্র আমরা বিশ্বাস করি না। পাশ্চাত্যের গণতন্ত্রের জন্যই আমাদের দেশের এই খারাপ পরিস্থিতির সৃ?িহয়েছে। এখানে টাকার জোরে, ক্ষমতার জোরে ভোট হয়। তাই পাশ্চাত?থেকে ধার করা গণতন্ত্র কখনো বৈধ হয় না। তবে আমরাও সেই গণতšে?নির্বাচন করি। কেননা আর কিছুই নাই তাই একটা কাজে তো অংশ নেয়া দরকার। সেই জন?করি। আর রেভ্যুলেশন বলেন আর গৃহযু?বলেন তা সময়ের দাবি। প্রয়োজন হলে আমরা গৃহযু?বাধাবো। প্রচলিত গণতন্ত্র আমাদের কাছে নিরাশার বিষয়।?… (সাপ্তাহিক মুক্তিবার্তা, ৩ সেপ্টেম্বর ?৭)
একইভাবে, একই পত্রিকার রিপোর্টার ছবি সম্পকে?প্রশ?করেন মুফতে আমিনী তথা কমিনীকেও। নিচে তা তুলে ধরা হলো-
প্রশ্নঃ তা হলে ছবি তোলা বা প্রতিকৃতি সৃ?িকরাও কি শরীয়ত সম্মত?
কমিনীঃ না, ছবি তোলা হারাম।
প্রশ্নঃ আমি তো এই ক্যামেরা দিয়ে আপনার বেশ কয়েকটি ছবি তুললাম?
কমিনীঃ ছবি তোলা হারাম তা ঠিক। ছবি তোলা প্রয়োজন মনে করি বলেই তা করতে দিলাম। তবে ছবি তোলা হলে আমি তওবা করে নেই। প্রচারের জন?ছবি তুলতে দিলেও আমি তওবা করে নেই।
প্রশ্নঃ প্রতিদিন তাহলে আপনাকে অনেকবার তওবা করতে হয়। দিনে কতবার তওবা করেন?
কমিনীঃ তা একশ?বারতো হবে। (হাসতে হাসতে) তওবা করা জায়িয। তওবা দোষের কিছু নয়।?…. (সাপ্তাহিক মুক্তিবার্তা, ৩ সেপ্টেম্বর, ?৭)
উল্লেখ? হদছ ও মুফতে কমিনীর এসব কথা যে নিকৃষ্ট প্রতারণা তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
নারী নেতৃত?সম্পকে?
প্রশ্নঃ কোন কোন ইসলামী দল নারী নেতৃত?হারাম মনে করে। আপনাদেরও কি তাই ধারণা?
কমিনীঃ শোনেন, ইসলামের আইন আছে নারী নেতৃত?নাজায়িয। আমরা তো আর ইসলামী আইন পরিবর্তন করতে পারবো না। কিন্তু এদেশে যখন নারী নেতৃত?হয়ে গেছে তখন তো এটা বদলাইতে হবেই। এটা ধীরে ধীরে হয়ে যাবে।?(সাপ্তাহিক মুক্তিবার্তা ৩ সেপ্টেম্বর?৬)
উল্লেখ? ছবি তোলা নাজায়িয- ইসলামের দৃষ্টিতে এ কথা খণ্ডানোর কোনো উপায় নেই। কারণ, ছবি তোলার বিরু?েরয়েছে শত শত হাদীছ শরীফ। মুসলমান হিসেবে যা অস্বীকার করার উপায় নেই।
তাই বলতে হয় যে, মূলত: মুজাদ্দিদে আ’যম রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালামছবি, ইসলামের নামে গণতন্ত্র ও নারী নেতৃতে?সম্পকে?নিজের থেকে কিছু বলেননি।
সময়ের স্রোতে বিজাতীয় সংস্কৃতি ও যড়যন্ত্রের ডামাডোলে, গাফলতি আর আমলহীনতার প্রক্রিয়ায় মুসলমানের সমাজ জীবনে ছবি নামক যে অনৈসলাম বিজাতীয় ও বিদ্য়াতী সংস্কৃতি অবাধে বিস্তার লাভ করেছে, মুজাদ্দিদে আ’যম হিসেবে তিনি তার মূলে কুরআন-সুন্নাহ্র আলোকে বেমেছাল ভাবে কুঠারাঘাত করছেন মাত্র।
তাতে করে চিহ্নিত হয়েছে, দু’দেল, দু’যবান, দু’মুখো ধর্মব্যবসায়ী ও মুনাফিক শাইখুল হদছ ও কমিনী গং।
বলতে হয়, তাঁর রূহানী তাওয়াজ্জুহতে অতি শীঘ্রই দুর্বল মুসলমান ফিরে পাবে তার হারানো ঈমানী জজ্বা এবং কাঙ্খিত ও বাঞ্ছিত আমল।
-মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান, ঢাকা।
ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা-৩২