প্রসঙ্গ: আল বাইয়্যিনাত-এর দেয়াল লেখনীর বিরোধিতায় শফিক রেহমান পর্ণো ম্যাগাজিন ও গৃহপালিত সম্পাদকের পর যিনি এখন ধর্মব্যবসায়ীদেরও বিশ্বস্ত চর ও আস্থাভাজন ক্যানভাসার হয়েছেন

সংখ্যা: ১৪২তম সংখ্যা | বিভাগ:

নোট বই বলতে এক সময় কেবল পুঁথিঘরকেই বুঝাত। এখনকার হাজারো গাইড বইয়ের প্রকাশনা তখন ছিলনা। সুতরাং প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন বাজারে তখন পুঁথিঘর খুব সহজেই ব্যাপক প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল। যা আজকের প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও গুণগত উৎকর্ষতার যুগে এত সহজ সম্ভব ছিলনা।          প্রসঙ্গত: শফিক রেহমানের যায়যায়দিন-এর ক্ষেত্রেও একই উদাহরণ প্রযোজ্য। সামরিক জান্তার আমলে যখন ফ্রি প্রেস ছিল অবরুদ্ধ তখন সে সুবিধাজনক সময়টি তিনি লুফেছিলেন। আজকের মত পত্র-পত্রিকার গুণগত প্রতিদ্বন্দ্বিতার পাশাপাশি সংখ্যাধিক্য তখন মোটেই ছিলনা।        যে বনে বৃক্ষ নেই সে বনে ভেরেণ্ডাই বৃক্ষের মত যায়যায়দিনও  তখন তাই ব্যাপকতা পেয়েছিলো।   অনলাইনের সুবিধাহীন তখনকার সময়ে অনেকেই যায়যায়দিনকে ভেবেছিল শাফিক রেহমানের এক নতুন সৃজন। কিন্তু সময়ে-অসময়ে লন্ডন প্রবাসী শফিক রহমান যে যায়যায়দিনে লন্ডনের কিছু পত্র পত্রিকারই ধাঁচ নকল করেছেন- এতথ্য আজ বহুজন বিদিত। জনগণের অজ্ঞতাকে পুঁজি করে তিনি সে সময় যে একক কারিশমার দাবীদার সেজেছিলেন তা আজ ভূয়া বলে পূর্ণ উদঘাটিত।         প্রেক্ষিত কারণেই যায়যায়দিন সম্পাদক শফিক রেহমানকে সমালোচকরা ধৃর্ত ভাবতে পছন্দ করেন। এর পিছনে কারণও রয়েছে বটে।   গিরগিটির ন্যায় ঘর ঘন রং বদলাতে তিনি বেশ পারঙ্গমতা দেখাচ্ছেন। বেনিফিসিয়ারী হওয়ার প্রবণতায় মূল্যবোধ, নীতিবোধকে বার বার বিসর্জন দিয়েছেন শুধু তাই নয়। এমনকি স্ববিরোধীতায় মশগুল হয়েছেনও ঢের। নিজের লেখার বিরুদ্ধে নিজে লেখার দক্ষতা প্রমাণ করেছেন বহু। স্বার্থের সাথে তার শঠতা যোগ হয়েছে নিন্দনীয়, ঘৃণিত ও চরম লজ্জাকর মাত্রায়।    সুবিধাবাদী রাজনৈতিক নেতার মত শফিক রহমানও লেখালেখির  ভেল বদল করে টু-পাইস কামিয়েছেন দু’হাত ভরে। ৪ঠা এপ্রিল ২০০৫ দৈনিক ভোরের কাগজে ‘সময়ের কলমে’ কলামিস্ট মহিউদ্দীন আহম্মেদ মন্তব্য করেন, “দলবদল যে শুধু মওদুদ আহমদ করেন তা নয়। সম্পাদক-সাংবাদিকদের মধ্যে দলবদলের নিকৃষ্টতম একটি উদাহরণ হচ্ছেন শফিক রেহমান। মওদুদ আহমদ দলবদল করে ক্ষমতায় থাকেন, তিনি বারবার মন্ত্রী হন। শফিক রেহমান দলবদল করে তেজগাঁওয়ে নামমাত্র মূল্যে ২০ কোটি টাকার সম্পত্তি পান। তরক্কী মওদুদের হয়। তরক্কী হয় শফিক রহমানেরও। দুর্গন্ধ প্রচারে শফিক রেহমানের অসাধারণ কৃতিত্ব ও সাফল্যের স্বীকৃতিতে নানা রকমের খুদ কুড়ার বাইরে এই জমি বরাদ্দ।”       শফিক রহমান খুদ-কুড়ো কামানোর অভ্যস্ত হয়েছেন। অভ্যস্ত খুদ-কুড়ানীর মত টুক টুক করে সব ধরনের খুদ সংগ্রহেই তিনি প্রচন্ড মনোযোগী। আর এ অখন্ড মনোযোগ তাকে করেছে সব সভ্যতা, ভব্যতা ও শালীনতা ত্যাগী। চশমখোরের মতই নানা ছূরতে আদিম কাহিনীর রগরগে বর্ণনা দিয়ে তিনি বাড়াতে চেয়েছেন তার পত্রিকার কাটতি।         এ মন্তব্য শুধু শফিক রেহমান বিরোধী কোন মুছল্লী ব্যক্তির নয়। বরং এ মন্তব্য তার স্ট্যাটাসের সিভিল সোসাইটির তথা কথিত সুশীল সমাজেরও। সাবেক সচিব মহিউদ্দিন লিখেন-        “১৯৯০ সালে সন্ধানী প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত শফিক রহমানের ‘যায়যায়দিন’ বইটির ৩১৪, ৩১৫ ও ৩১৬ পৃষ্ঠায় মইন নামের লোকটির সঙ্গে লতা নামের এক মহিলার দৈহিক সম্পর্কের কথা শফিক রহমান যেভাবে বর্ণনা করেছেন, বাংলা ভাষায় রচিত ফুটপাতে বিক্রি হয় বিশ-তিরিশ টাকা দামের ঐসব বই ছাড়া এমন আরেকটি অশ্লীল রুচিহীন বর্ণনা আর কোন একটি বইতে আছে? আর যে লতাকে নিয়ে শফিক রহমানের এতোসব ‘কাম’, সেই লতা নামের মহিলাটির পরিচয়টা কি? তার পরিচয় হলো লতা জীসান নামের এক সামরিক কর্মকর্তার স্ত্রী। ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে দ্বন্দ্ব-সংঘাতে লিপ্ত সামরিক বাহিনীর লোকদের গুলিগোলা থেকে বাঁচাতে জীসানলতাকে শফিক রেহমানের মূল নায়িকা মিলার বাসায় রেখে এসেছেন। মিলার বাসায় টেলিফোনে পরকীয়া করতে গিয়ে মইনের সঙ্গে একদিন লতার টেলিফোনে প্রথম পরিচয়।

বইতে এমন বর্ণনা তো শুধু একটি নয়। প্রায় প্রতি দুই-তিন পৃষ্ঠায় একটি আছে। শফিক রহমানের এই বইয়ের ১৪, ২১, ৩৯, ৪২, ৪৩, ৪৮, ৮৯, ১২৮, ১২৯ পৃষ্ঠায় বেশকটি এমন বর্ণনা আছে। আমরা ব্যক্তিগত সংগ্রহের এই বইটি অনেকদিন খুঁজে পাইনি। দুইদিন আগে কয়েক ঘন্টা ঘাঁটাঘাঁটি করে আমার স্ত্রী বিলকিস বইটি খুঁজে বের করলেন। অনেকদিন পর বইটি হাতে পেয়ে আমি ১২৯ পৃষ্ঠায় পর আর এগুতো পারিনি। আর শফিক রেহমানের শুধু এই বইতে যে এমন বর্ণনা তাও তো নয়। তার প্রায় প্রতিটি লেখাতেই তো এমন বর্ণনা আছে।”           বছর খানেক আগে একটি বহুল প্রচারিত দৈনিকের সম্পাদকের সঙ্গে যায়যায়দিন নিয়ে কথা হচ্ছিল। প্রবীণ সম্পাদক শুরুতেই প্রশ্ন করলেন, আপনি সেই পর্নো ম্যাগাজিনটার কথা বলেছেন? এই পর্ণো ম্যাগাজিন সম্পাদক সব ধরণের খুদ সংগ্রহের পাশাপাশি গাছের আগারটাও খান তলারটাও কুড়ান। একই কলামে মহিউদ্দীন ছাহেব আরো মন্তব্য করেন,         “শফিক রেহমানের এখন এসব ছোটখাটো বিষয় নিয়ে ভাবার সময় নেই। তিনি এখন বড়ো বড়ো ‘ডিল’ নিয়ে কাজ করছেন। কোটি কোটি টাকার এক একটি ডিল। যায়যায়দিন সূত্রে জেনেছি, শফিক রেহমান এখন নিজকে আল্লাহ রসূলের পর একজন হিসেবে ভাবতে শুরু করেছেন। তিনি এরশাদকে ক্ষমতা থেকে নামিয়েছেন, খালেদাকে তখন ক্ষমতায় উঠিয়েছেন। তিনি তারপর খালেদাকে নামিয়েছেন এবং শেখ হাসিনাকে উঠিয়েছেন। তারপর তিনি শেখ হাসিনাকে নামিয়েছেন এবং খালেদা জিয়াকে আবার উঠিয়েছেন।” শফিক রহমানের কলম কতবার কিভাবে চলে এই মন্তব্যে তার বিবরণ রয়েছে। তবে যে খালেদার বিরুদ্ধে তিনি কলমের গুতোয় হুল ফুটাতেন আজকে সে খালেদার পক্ষেই কলমের প্রতি আচরে পুস্পমাল্য সাজাচ্ছেন। এর সুবাস ও জৌলুস এতই ব্যপকতা লাভ করেছে যে, তিনি এখন খালেদা সরকারের গৃহপালিত সম্পাদক হিসেবে আখ্যা পেয়েছেন। জোট সরকারের একান্ত ফরমাবরদার কলম শ্রমিকে পরিণত হয়েছেন। এক সময়ের মিত্র সাবেক সচিব মহিউদ্দীন ছাহেব তাই আক্ষেপ করে বলেছেন, “তার জবাবে ২০০৪-এর ২৩ আগস্ট এই ভোরের কাগজেই আমি শফিক রেহমানকে উদ্দেশ্য করে একটি খোলা চিঠি লিখেছিলাম। লেখাটির শিরোনাম ছিল, ‘যায়যায়দিন সম্পাদক শফিক রেহমানকে একটি খোলা চিঠি।’ প্রিয় শফিক ভাই বলে লেখাটি শুরু করেছিলাম, লেখাটি শেষ করেছিলাম দুটো প্রশ্ন দিয়ে, কিন্তু আপনি কেন ইনকিলাবী হয়ে গেলেন? আপনার পতনটা এতো বড়ো হলো কেন?” পাঠক! একটু সুক্ষ্মভাবে ফিকির করলে বিস্ময়ের খেই হারিয়ে ফেলবেন যে, এক সময়ের প্রচন্ড রাজাকার বিরোধী শফিক রহমান এখন শুধু ইনকিলাবী নয় বরং জোট সরকারের তোষণনীতির প্রবণতায় ও প্রক্রিয়ায় তিনি এখন রীতিমত জামাতী হয়ে উঠছেন। অবশ্য কায়েমী স্বার্থবাদের প্রচেষ্টায় জামাতী ও ইনকিলাবীদের সূর সব সময়ই এক ও অভিন্ন।     শফিক রহমান কলমকে পুঁজি করেছেন। জামাতি ধর্মব্যবসায়ীরা পুঁজি করেছে ধর্মকে। সাধারণের মধ্যে জামাতের আসল চরিত্র যারা তুলে ধরেছেন, জামাত সরলমতি ধর্মপ্রাণদের বুঝিয়েছে ওরা ধর্মের লেবাছে নেই। ওরা ধর্মের শত্রু, কমিউনিস্ট হিন্দুর দল।   কিন্তু জামাতিদের এতদিনের এই স্টান্টবাজী এখন ফুটো বেলুনের মত চুপসে গেছে কেবলমাত্র মাসিক আল বাইয়্যিনাত-এর কারণে। উল্লেখ্য, জামাতী-ইনকিলাবী তথা ইসলামের নামে রাজনৈতিক ফায়দা হাছিলকারী ধর্মব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে একমাত্র সোচ্চার কক্ত মাসিক আল বাইয়্যিনাত।  আল বাইয়্যিনাত-এর প্রতিষ্ঠাতা ও পৃষ্ঠপোষক, ইমামে আ’যম, ইমামুল আইম্মা, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বর্তমান জামানার মুজাদ্দিদ তথা মুজাদ্দিদে আ’যম।     জামাতি, খারিজী, ওহাবীদের যাবতীয় কুট আক্রমনের মুখে অবিচল তিনি খাছ খোদায়ী রহমত ও মদদপ্রাপ্ত ওলীআল্লাহ।           জামাতিদের কুটচালের শেকড় অতি গভীরে প্রেক্ষিত। মঞ্চে না থেকেও নেপথ্যে কলকাঠি নাড়ানোর অভ্যাসে তারা পুরানো অভিজ্ঞ।        তাদের একাত্তরে হানাদার বাহিনী দিয়ে এদেশের মুনাষের জান-মাল হরণ, নারীর ইজ্জত লুক্তনের প্রবৃত্তি দমে যায়নি। বরং সময়ের পরিক্রমায় তা এখন আরো জোরদার হয়েছে। অতি সম্প্রতি বিটিভিতে শফিক রহমানের, টক শো ‘লাল-গোলাপে’ আল বাইয়্যিনাত-এর দেয়াল লিখনী নিয়ে দুরভিসন্ধীমূলক অনুষ্ঠানে সে সত্যই পুনঃপ্রমাণিত হয়েছে। আল বাইয়্যিনাত-এর দেয়াল লেখনী নিয়ে শফিক রহমান যে টক শো করলেন তা মূল্যায়ন করার আগে আল বাইয়্যিনাত-এর দেয়াল লেখনীতে সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে কারা তা পর্যালোচনা করলে হালে জামাতীদের সাথে শফিক রেহমানের যোগসাজশের সত্য সহজেই অনুধাবন করা যাবে। আল বাইয়্যিনাত-এর দেয়াল লেখনীর ভাষ্যের কয়েকটি উদাহরণঃ “ইসলামের নামে গণতন্ত্র করা হারাম।” “ইসলামের নামে মৌলবাদ, জঙ্গীবাদ দাবী করা হারাম।” “ইসলামের নামে ভোট চাওয়া হারাম।” “যে সব মাওলানা টিভি চ্যানেলে প্রোগ্রাম করে তারা উলামায়ে ছূ।”       রাঁধুনীর জন্য ভাত একটি টিপলেই যথেষ্ট। বলাবাহুল্য, আল বাইয়্যিনাত-এর এই দু/একটি দেয়াল লেখনীই প্রমাণ করে যে এতে কারা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।         ছবি তোলা যাবে না, টিভিতে প্রোগ্রাম করা তো দূরের কথা, টিভিই দেখা যাবে না- এসব কথা আজকে টিভি চ্যানেলে প্রোগ্রাম কারীরাই বহু বলেছে। এমনকি জামাতীদের প্রবর্তক মওদুদীর বইয়েও টিভি দেখা তথা ছবি তোলার বিরুদ্ধে কঠিন নিষেধবাণী রয়েছে।     কিন্তু ইসলামের নামে রাজনীতি করলেও আসলে ইসলাম যে তাদের উদ্দেশ্য নয় বরং বিরোধী দলকে ঠেকিয়ে মিত্র দলের সহযোগিতায় ক্ষমতার স্বাদ আস্বাদনই লক্ষ্য তা আজ তারাই প্রকাশ করেছে। ইসলাম বাদ দিয়ে রাজনৈতিক স্বার্থ হালিলই এখন তাদের লক্ষ্য হওয়ায় আজতারাই ‘ছবি তোলা, নারী নেতৃত্ব, টিভি চ্যানেলে প্রোগ্রাম, ভোট চাওয়া, গণতন্ত্র করা’- ইত্যাদি নিজেদের দেয়া হারাম ফতওয়াকে এখন হালাল করে যাচ্ছে।         কিন্তু জামানার ইমাম, মুজতাহিদ ও মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর মুখপত্র মাসিক আল বাইয়্যিনাত ‘কুরআন-সুন্নাহ্য় ঘোষিত এইসব চিরন্তন হারাম কাজকে আবারো হারাম বলে ঘোষণা করছে। স্মরণকালের জেহাদী প্রত্যয় প্রমাণ করে দেয়াল লেখনী করছে।      এতে জামাতী-খারিজীদের ক্ষুব্ধতার বিশেষ কারণ হচ্ছে এই যে তারাও জানে আল বাইয়্যিনাত-এর দেয়াল লেখনীর এই সব কথা প্রকৃতপক্ষে কুরআন-সুন্নাহরই কথা। শ্বাশ্বতকালের হক্ব কথা।  আবহমানকাল ধরে ইমাম, মুজতাহিদ, আউলিয়ায়ে কিরামগণ এইসব কথাই প্রচার করে আসছেন। অধুনা গাফিল মানসিকতায় এই চেতনাবোধ স্তিমিত থাকলেও, আল বাইয়্যিনাত-এর দেয়াল লেখনীর কারণে মুসলমান হিসেবে অবচেতন মনে জমে থাকা, ছোট কালের শিক্ষা পাওয়া সেই বোধ পুনঃ জাগরিত হতে পারে, সক্রিয় হতে পারে, বিস্ফোরণ ঘটাতেপারে। সে বিস্ফোরণে ধর্মব্যবসায়ী জামাতী, খারেজী, ওহাবী গং ছিন্ন-ভিন্ন নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে। এ গভীর শঙ্কা জামাতী, খারেজী, ওহাবীদের মহা আতঙ্কিত করেছে।

বিশেষত: আগামী নির্বাচনে ইসলামের নামে তাদের আঁতাত চরম ব্যর্থ প্রমাণিত হতে পারে। ইতিমধ্যে চট্টগ্রাম মেয়র নির্বাচনে তারা এ কথা ভালভাবে উপলব্ধি করেছে। সেজন্যই কুচক্রী জামাতী, ওহাবী, খারেজীরা আল বাইয়্যিনাত-এর দেয়াল লেখনীর বিরুদ্ধে মরিয়া হয়ে উঠেছে।        তবে চিরন্তন কুচক্রী জামাতীরা রাসরি নিজেদেকে দৃশ্যমান করেনি। স্বভাবজাত কুট-প্রক্রিয়ায় প্রথমত: তারা জোট সরকারের ঐ গৃহপালিত সম্পাদককে ধার করেছে। আর খুদ কুড়ার অন্বেষী শফিক রহমানও ‘হিজ মাস্টার্স ভয়েস’-এর মডেল হয়েছে।           তাই কলামিস্ট মহিউদ্দীনের “কিন্তু আপনি কেন ইনকিলাবী হয়ে গেলেন?” এই  প্রশ্নের পর আরো বিস্ময়বোধক প্রশ্ন রচিত হয় “অতঃপর আপনি কিভাবে জামাতী হতে পারলেন?” স্বার্থ কি মানুষকে এতই অন্ধ করে? এতই চশমখোড় বানায়? এতই নীচে নামায়? সত্যিই ভাষাহীন এই অনুভূতি। (ইনশাআল্লাহ চলবে)

-মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান, ঢাকা।

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব।  খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-১১         

বৃটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে বৃটিশ ভূমিকা-১১

 রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর হাক্বীক্বী নায়িব ও ওয়ারিছ। তাঁর বিরোধীতাকারীরা মুনাফিক, কাফির ও শয়তানের অনুসারী -১১     

 “হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিয়ে সিনেমা”  নিশ্চুপ উলামায়ে ‘ছূ’রা ॥ সর্বাঙ্গে দায়ী তারা 

অবশেষে তথাকথিত ইসলামী জামাতের আমীর নিজামী ও বায়তুল মোকাররামের তথাকথিত খতীব উবায়দুল হক, এরপর এবার মুফতে আমিনীও রাজারবাগ শরীফের তাজদীদ মানতে বাধ্য হলেন