প্রসঙ্গ- নারী নেতৃত্বঃ কাট্টা গোমরাহ, সর্বশেষ স্তরের যাহিল, চরম ফাসিক ও সিলসিলার ত্যাজ্যপুত্র এখন বাতিল ফিরক্বাদের গিনিপিগ

সংখ্যা: ১৩৩তম সংখ্যা | বিভাগ:

বিদায় হজ্বের খুৎবায় সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিয়্যীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “আমি তোমাদের জন্য দু’টি জিনিস রেখে যাচ্ছি। একটি কুরআন শরীফ আর অপরটি হচ্ছে সুন্নাহ্ শরীফ। যতদিন পর্যন্ত তোমরা এ দু’টি আঁকড়ে ধরে থাকবে ততদিন পর্যন্ত তোমরা গোমরাহ হবে না তথা কামিয়াবীর শীর্ষে থাকবে। আর যখনই তা থেকে তোমরা বিচ্যুত হবে তখনই লাঞ্ছিত ও পদদলিত হবে।”
উল্লেখ্য, বিদায় হজ্বের খুৎবায় বিবৃত এই হাদীছ শরীফ থেকেই মুসলমানের উন্নতি আর অবনতি তথা দুরবস্থা আর সু-অবস্থার চাবিকাঠি নির্ণীত হয়। বলতে হয়, বর্তমান সময়টাকে যদি মুসলমানের দুরবস্থা বলতে হয় তবে এর পিছনে কারণ হিসেবে উল্লেখ করতে হবে কুরআন-সুন্নাহ্র আমল ছেড়ে দেয়া। আর যদি এ দুরবস্থা থেকে উত্তরণ লাভ করতে হয় তবে বলতে হবে কুরআন-সুন্নাহ্ আরো গভীরভাবে আঁকড়ে ধরা। কিন্তু তার বিপরীত যদি কেউ মন্তব্য করে অর্থাৎ বর্তমান দুরবস্থার কথা বলে তা থেকে নিষ্কৃতি লাভের জন্য কুরআন-সুন্নাহ্র খেলাফ আমলের জন্য আহ্বান জানায় তবে তা কোন পর্যায়ে পড়বে? বলাবাহুল্য, তা হবে মুসলিম উম্মাহ্র সাথে গভীর প্রতারণা করা এবং ছহীহ্ হাদীছ শরীফের প্রকাশ্য বিরোধিতা করা ও বিরুদ্ধমত পেশ করা। যা সব ইমাম-মুজতাহিদগণের মতে স্পষ্ট কুফরী। আর সে শক্ত কুফরীটিই ঢাকঢোল পিটিয়ে করেছে ছিলছিলার নাম বিক্রিকারী, ছিলছিলার ত্যাজ্যপুত্র আশাদ্দুদ্ দরজার এক জাহিল ও গোমরাহ। সে বলেছে, “মুসলমানদের এই দুর্দিনের নারী নেতৃত্ব নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা ঠিক নয়।” (দৈনিক সংগ্রাম ১৯/০৮/২০০৪, দৈনিক ইত্তেফাক ২৪/০৮/২০০৪) মূলতঃ নারী নেতৃত্বই যে বর্তমান দুরবস্থার মূল কারণ তা সে তার বিকৃত মহর পড়া দিলে বুঝেনি। তাই নারী নেতৃত্ব অবসানের পরিবর্তে উল্টো নারী নেতৃত্বকে আরো সাদরে গ্রহণ করার মধ্য দিয়ে সে মুসলমানের প্রতি আরো বেশী লা’নত নাযিল হওয়ার রাস্তা করে মুসলমানদের দুরবস্থাকে আরো দীর্ঘায়িত এবং আরো ব্যাপক করতে চাইছে। (নাউযুবিল্লাহ) সে বলেছে, “বিশ্ব জুড়ে মুসলমানদের এই দুর্দিনে নারী নেতৃত্ব নিয়ে অহেতুক বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা ঠিক নয়।” উল্লেখ্য, মুসলমান- নারী নেতৃত্বের বিরোধিতা করে, তাদের নিজস্ব মতের কারণে নয়। বরং নারী নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বর্ণনা করেছেন, স্বয়ং আল্লাহ পাক-এর হাবীব, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। এখন আশাদ্দুদ্ দরজার গোমরাহ্ ও জাহিলের বক্তব্যে প্রতিভাত হয় যে, “আল্লাহ পাক-এর হাবীব, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বর্তমান যামানা সম্পর্কে অবগত ছিলেন না বা বর্তমান যামানায় তাঁর হাদীছ শরীফ অচল।” (নাউযুবিল্লাহ) আর বর্তমান যামানায় আশাদ্দুদ্ দরজার গোমরাহ্ ও জাহিলের কথা মানতে হবে অর্থাৎ সে তার বক্তব্য দ্বারা কাদিয়ানীদের মত নিজেকে বর্তমান সময়ের নবী দাবী করছে। (নাউযুবিল্লাহ) মূলতঃ আশাদ্দুদ্ দরজার গোমরাহ্ ও জাহিলের উদাহরণ হচ্ছে ছাগলের তৃতীয় বাচ্চার মত। ছাগলের দুই বাচ্চা দুধ খায় আর তৃতীয় বাচ্চা এমনিতেই লাফায়। বর্তমান জোট সরকারে দু’টো নামধারী ইসলামী গ্রুপ তথা দল ক্ষমতার স্বাদ নিচ্ছে আর তুলনামূলক না পেয়েও আশাদ্দুদ্ দরজার গোমরাহ ও জাহিল ছাগলের তৃতীয় বাচ্চার মত এমনিতেই লাফ মারছে আর নারী নেতৃত্বের জায়িয বাণী শোনাচ্ছে। অথচ জোটের শরিকদার ইসলামী ঐক্যজোটের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যানই তার মদীনা পত্রিকা জানুয়ারী/১৯৮৯ ঈসায়ী সংখ্যার এক প্রশ্নের উত্তরে নারী নেতৃত্বের বিরুদ্ধে যা লিখেছে তা নিম্নরূপ-
মুহম্মদ আব্দুল হাই, তাড়াইল বাজার, কিশোরগঞ্জ প্রশ্নঃ কোন মহিলাকে মুসলিম রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপ্রধান বানানো শরীয়ত-সম্মত কিনা? জানালে কৃতজ্ঞ হব। উত্তরঃ কোন মুসলিম শাসনকর্তা যদি ইসলামী অনুশাসন অনুসরণ করতে যান তবে তার সর্বপ্রথম কর্তব্য দাঁড়ায় স্বীয় ইমামতিতে নামায প্রতিষ্ঠা করা ও জেহাদের নেতৃত্ব দেওয়া। এ দু’টি ক্ষেত্রেই কিন্তু নারীর নেতৃত্ব চলেনা। একজন মহিলা যত বড় বিদূষী ও পূণ্যবতীই হোননা কেন, তাঁর পক্ষে নামাযের ইমামতি করার প্রশ্ন আসেনা। সে মতে কোন নারীর ইসলামী দেশের সর্বোচ্চ শাসন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়া ইসলমী শরীয়ত সমর্থিত নয়। এক হাদীসে রয়েছে আল্লাহ্র রসূল (সাঃ) এরশাদ করেছেন, তোমাদের শাসকগণ যখন হবে কৃপণ আর শাসন ক্ষমতা গিয়ে পড়বে নারীদের হাতে তখন দুনিয়ার পৃষ্ঠদেশ অপেক্ষা অভ্যন্তরভাগই তোমাদের জন্য অধিক মঙ্গল জনক বলে বিবেচিত হবে।” হযরত রসূলে করীমের (সাঃ) সময়কালে পারস্য সম্রাট কিসরার এক কন্যাকে সিংহাসনে বসানো হয়েছিল। এ সংবাদ শুনে আল্লাহ্ রসূল (সাঃ) মন্তব্য করেছিলেন, “যে জাতি তাদের শাসনকর্তৃত্ব নারীদের হাতে তুলে দেয়, তাদের কখনও মঙ্গল হতে পারে না। উপরোক্ত দু’টি হাদীসই সহীহ্ এবং হাদীসের প্রায় সব কয়টি বিখ্যাত কিতাবে রয়েছে। (মাসিক মদীনা, জানুয়ারী/১৯৮৯ সংখ্যা) স্মরণ করা যেতে পারে, গত দুই দশক আগে থেকেই একটি চিহ্নিত বাতিল ফিরক্বা একটা প্রকল্প হাতে নিয়েছিলো যে, পীর ছাহেবদেরকে তাদের ছকে চালিত করবে। বলাবাহুল্য, বাতিল ফিরক্বার এ ওয়াস্ওয়াসায় নামধারী সব পীর ছাহেবই কাবু হয়েছে। বাতিল ফিরক্বার শেখানো বুলিই তারা এখন আওড়াচ্ছে। আর সর্বশেষ এ ব্যাপারে এক কাঠি বেশী পারঙ্গমতা দেখালো ছিলছিলার ত্যাজ্যপুত্র আশাদ্দুদ্ দরজার গোমরাহ্ ও জাহিল। উল্লেখ্য, উক্ত বাতিল ফিরক্বাটি বহু পূর্ব থেকেই তাদের তথাকথিত আন্দোলনে শরিক থাকার জন্য একটি ভুল কথা ছড়ায় যে, এদেশে বর্তমানে সবাই সুদ খায়। অর্থাৎ কিনা সুদ খাওয়ার হাত থেকে বাঁচতে হলে তাদের তথাকথিত ইসলামী দলকে ভোট দাও। আর সে কথারই প্রতিধ্বনি নতুন করে করেছে, ছিলছিলার ত্যাজ্যপুত্র আশাদ্দুদ্ দরজার গোমরাহ্ ও জাহিল। সে বলেছে, ‘যারা নারী নেতৃত্বকে হারাম বলেছেন তারাই আবার সুদভিত্তিক অর্থনীতি মেনে নিচ্ছেন।” আফসুস্! আশাদুদ্ দরজার জাহিল, ছিলছিলার ত্যাজ্যপুত্র এ গোমরাহর জন্য। চোর অপরকে নিজের মতই মনে করে। কে বললো তাকে যে, যারা নারী নেতৃত্ব মানে না তারাই আবার সুদ মানে। মূলতঃ জাহিল নিজেই সুদের সাথে জড়িত বলেই সে দেখতে পায়না যে এদেশে অসংখ্য মুসলমান রয়েছে যারা এখনও সুদ বলে সাধারণ ব্যাংক থেকে লোন নেয়না, লোন নিয়ে বাড়ি করেনা, ফিক্সড ডিপোজিট করেনা ইত্যাদি। তাছাড়া সবাই যদি সুদ প্রথা মেনেই নিত তাহলে দেশে বর্তমান এত বেশী ইসলামী শরীয়াহ্ ভিত্তিক ব্যাংক গড়ে উঠতনা। এমনকি এইচএসবিসি-এর মত ব্যাংকগুলো আলাদা শরীয়াহ ব্রাঞ্চ খুলতো না। মূলতঃ দিন দিন সুদহীন ইসলামী ব্যাংকিং-এর গ্রাহক সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার কারণেই এখন ইসলামী ব্যাংকিং এর এত প্রসার হচ্ছে।
তারপরেও ছিলছিলার ত্যাজ্যপুত্র আশাদ্দুদ্ দরজার গোমরাহ ও জাহিলের এ কথা কিভাবে গ্রহণযোগ্য হতে পারে যে, যারা নারী নেতৃত্ব হারাম বলে তারাই আবার সুদকে মেনে নেয়। বরং এর উল্টো যা হচ্ছে যে, যারা ইসলামের নামে নারী নেতৃত্ব গ্রহণ করেছে তারাই আবার কৃষিমন্ত্রী হয়ে কৃষি ব্যাংক ভিত্তিক সুদকে অনুমোদন করেছে, শিল্পমন্ত্রী হয়ে সুদী ব্যাংকের কার্যক্রমের বিস্তার ঘটাচ্ছে। পূর্বেই বলা হয়েছে যে, আসলে আশাদ্দুদ্ দরজার গোমরাহ্ ও জাহিল নিজের বুদ্ধি থেকে এসব কথা বলেনি। একটি বিশেষ নামধারী ইসলামী দল তথা উক্ত চিহ্নিত বাতিল ফিরক্বার দ্বারা প্রভাবিত হয়ে সে এসব কথা বলেছে। মূলতঃ নিরেট জাহিল বলেই সে এত সহজে উক্ত নামধারী দলের প্রভাবপুষ্ট হতে পেরেছে।
সে বলেছে, ‘এদেশের সরকার সংসদের কাছে জবাবদিহি করে। প্রধানমন্ত্রীও সংসদের কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য। সংসদের প্রধান বা স্পীকার নারী নয়। রাষ্ট্রপ্রধানও একজন পুরুষ। সুতরাং এই প্রেক্ষাপটে নারী নেতৃত্ব হারাম হয় কি?’ মূলতঃ কতটুকু জাহিল হলে কেউ এ ধরনের বক্তব্য দিতে পারে তা ভাববারও অযোগ্য। অর্থাৎ জাহিলের বক্তব্য থেকে বোঝা যায় যে, দেশ চালায় স্পীকার বা রাষ্ট্রপতি এবং স্পীকারের মর্যাদা প্রধানমন্ত্রীর চেয়েও অনেক বেশী। মূলতঃ পরের কথা শুনে উদগীরণ করলে যা হয়। অথবা লোভের তাড়নায় জ্ঞানবুদ্ধি হারালে যা হয় নচেৎ দেশের শিশুরাও যেখানে বুঝে যে, দেশ চালায় প্রধানমন্ত্রী; সেখানে এই জাহিল কি করে স্পীকারের কথা বলতে পারে! এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ সংবিধানেও বলা হয়েছে, 55 (1) There shall be a Cabinet for Bangladesh having the Prime Minister at its head and comprising also such other Ministers as the Prime Minister may from time to time designate.
৫৫। (১) প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের একটি মন্ত্রীসভা থাকবে এবং প্রধানমন্ত্রী ও সময়ে সময়ে তিনি যেরূপ স্থির করবেন সেইরূপ অন্যান্য মন্ত্রী নিয়ে এই মন্ত্রীসভা হবে।
(2) The executive power of the Republic shall, in accordance with this Constitution, be
exercised by or on the authority of the Prime Minister
(২) প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক বা তার কর্তৃত্বে এই সংবিধান অনুযায়ী প্রজাতন্ত্রের নির্বাহী ক্ষমতা প্রযুক্ত হবে। ” অতএব, দেখা যাচ্ছে সকল নির্বাহী ক্ষমতার মালিক প্রধানমন্ত্রী । রাষ্ট্রপতি বা স্পীকার নয়।
সংবিধানের ৭২ (১) ধারায় বলা হয়েছে,
Parliament shall be summoned, prorogued and dissolved by the president by public notification, and when summoning Parliament the President shall specify the time and place of the first meeting..
Proveded further that in the cxercise of his functions under this clause, the President shall act in accordance with the advice of the Prime Minister tendered to him in writing.
“সরকারী বিজ্ঞপ্তি দ্বারা রাষ্ট্রপতি সংসদ আহবান স্থগিত ও ভঙ্গ করবেন। তবে আরো শর্ত থাকে যে, এই দফার অধীন তার দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক লিখিতভাবে প্রদত্ত পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করবেন। ”
এই অনুচ্ছেদ অনুযায়ী দেখা যায় যে, স্পীকারের সংসদ অধিবেশনও ডাকার ক্ষমতা নেই। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই রাষ্ট্রপতি সংসদ অধিবেশন ডাকতে পারে।
সুতরাং বর্তমানে দেশে নারী নেতৃত্ব চলছে না বলে আশাদ্দুর দরজার গোমরাহ ও জাহিল যে জাতীয় ধোকা দিতে চেয়েছে অবিলম্বে তার বিচার হওয়া উচিত অথবা তার ‘জাতীয় জাহিল উপাধি ধারণ করা উচিত।
প্রতারক, মিথ্যাবাদী আরো বলেছে, “যারা তাকওয়ার কথা বলে তারা এমন ঔষধও খেয়ে থাকেন যাতে কিছু মদ বা কিছু শুকরের ঝিল্লি মেশানো থাকে।”
এখানেও পূর্ববৎ প্রবাদ। যে মানুষ অপরকে নিজের মত মনে করে থাকে। বাবা-দাদা তথা কুরআন-সুন্নাহ্ আদর্শ ত্যাগকারী আশাদ্দুদ্ দরজার গোমরাহ ও জাহিল মনে করে থাকে, সবাই বুঝি তার মত। মূলতঃ এখনও প্রায় সব মুসলমানই যে এ্যালকোহল ত্যাগ করে তা তার মত ত্যাজ্যপুত্রের বোঝা সম্ভব নয়।
আর ক্যাপসুলে যে জিলাটিন বা শুকরের চর্বি দেয়া হয় তাতে Gelatine (জিলাটিন) প্রস্তুতের সময় Molecular change বা Structural change এর কারণে Chemical Board ভেঙ্গে গিয়ে একটা সম্পূর্ণ নতুন পদার্থের সৃষ্টি হয় । যার গুণাবলী, ধর্ম, স্বকীয়তা তথা বৈশিষ্ট ইত্যাদির ১সাথে তার উৎসের কোন সম্পর্ক থাকে না এবং তা চামড়ার দাবাগত করার মত মাসয়ালার পর্যায়ে পড়ার প্রেক্ষিতে খাওয়া জায়িয হয়; সেটা গোমরাহ্ ও জাহিল জানবে কি করে?

আশাদ্দুদ্ দরজার গোমরাহ্ ও জাহিল নারী নেতৃত্ব জায়িয করার জন্য বলেছে যে, হযরত আয়িশা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা-এর নেতৃত্বে বহু ছাহাবী যুদ্ধ করেছেন। মূলতঃ এটাও আপ্তবাক্য। কারণ হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা যুদ্ধ করতে যাননি বরং থামাতে গিয়েছিলেন আর এটা কেবল একবারের জন্যই একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। যদি নেতৃত্ব তিনি গ্রহণ করতেন তবে তিনিই খলীফা হতেন। কিন্তু তিনি বা কোন উম্মুল মু’মিনীন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুন্নাই খলীফা হননি। অথচ নারী নেতৃত্ব জায়িয হলে তারাই হতেন খলীফা হবার সবচেয়ে উপযুক্ত। যেমনটি আজকের নারী নেতৃত্বের ক্ষেত্রেও দেখা যায় যে স্বামীর নেতৃত্বের অবসানে তাদের স্ত্রীরাই নেতৃত্ব দিচ্ছে, ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হচ্ছে, কিন্তু ইসলামে সেটা জায়িয নেই বলেই উম্মুল মু’মিনীন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুন্নাগণ ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হননি। পাশাপাশি যা আরো উল্লেখ্য যে বর্তমানে নারী নেতৃত্বের সংখ্যা কেবল এক নয় বরং অনেক। কিন্তু জাহিলের বক্তব্যে প্রতিভাত হয় যে, সে প্রকারান্তরে কেবল ক্ষমতাসীন নারী নেতৃত্বকেই জায়িয করার পায়তারা করছে। এখন দু’ বা তিন নারী নেতৃত্বের মধ্যে কাকে গ্রহণ করতে হবে সে ব্যাপারে জাতীয় জাহিল কি বলবে। আর হঠাৎ করে এ সময়ে এত দেরীতে জাহিলের জন্য নারী নেতৃত্বের সাফাই গাওয়া এত জরুরী হয়ে পড়ল কেন? মূলতঃ জাতীয় জাহিল ছাগলের তৃতীয় বাচ্চার মতই এসব করেছে। আর তাকে দিয়ে এসব করাচ্ছে ইসলামের নাম ব্যবহারকারী চিরন্তন ক্ষমতা লোভী একটি চিহ্নিত দল। জাতীয় জাহিলের বর্তমান কথাবার্তা তাদের জন্য একটা টেষ্টকেস। কারণ, বাতিল ফিরক্বারা এতদিন যাবৎ স্বার্থ হাছিলের জন্য মুখ বুজে নারী নেতৃত্বকে সমর্থন দিয়ে গেছে। এবং এ সমর্থনের কোন ব্যাখ্যা তারা দেয়নি। যেহেতু ইসলামের দৃষ্টিতে তা সম্ভবও নয়। কিন্তু এক্ষেত্রে জাতীয় জাহিলের বালকসুলভ চপলতা ও অজ্ঞতা তাদের জন্য বড় পুঁজি হয়েছে। দু’একটা লেবেনচুষের লোভ দেখিয়ে জাতীয় জাহিলকে দিয়ে তারা এখন নারী নেতৃত্ব জায়িয করণের মনগড়া তথাকথিত ইসলামী কারণ জাহির করছে। সাধারণ মুসলমানদের আবারও ধোঁকা দেয়ার জন্য তারা এখন নতুন তত্ত্ব বের করেছে যে, বর্তমান সরকারের প্রধান হল স্পীকার। আর রাষ্ট্রপতি বা স্পীকার তো মহিলা নয় সুতরাং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মহিলা হলেও সেদিকে নজর দেয়ার দরকার কি?” মূলতঃ এইসব গাদ্দারদের সাথে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীও নিরাপদ নন বা কেউই নিরাপদ নয়। কারণ এরা ধর্মের বেঈমান, এরা মুনাফিক। এরা বেঈমানী করতে পারে ধর্মের সাথে, জাতির সাথে, দেশের সাথে, দলের সাথে, সবার সাথে। উল্লেখ করা যেতে পারে এরা বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের সাথে বেঈমানী করে বিগত সময়ে তাদেরকে অপসারণের আন্দোলন করেছিল। সুতরাং এদেরকে বিশ্বাস করা কারো জন্যই নিরাপদ নয়। কবুতর কবুতরের সাথে চলে। কাক কাকের সাথে চলে। সংসারে দুষ্ট ছেলে পাড়ার সন্ত্রাসীর দলে ভিরে। ছিলছিলার ত্যাজ্যপুত্র আশাদ্দুদ্ দরজার গোমরাহ্ ও জাতীয় জাহিল আজ বাতিল ফিরক্বার দোসর হয়েছে। তাদের কথা আজ তার মুখে উচ্চারিত হচ্ছে। জাতীয় জাহিলকে দিয়ে তাদের ধোঁকাবাজি পূর্ণ কথা ছড়িয়ে জনগণে কি প্রভাব পড়ে সেটা এখন তারা টেষ্ট করছে। জাতীয় জাহিল আজ যাদের গিনিপিগ হয়েছে। ছিলছিলার ত্যাজ্যপুত্র কাট্টা গোমরাহ কুরআন হাদীছ অবমাননাকারী অস্বীকারকারী চরম ফাসিক জাতীয় জাহিলের জন্য এটাই অনিবার্য পরিণতি। সে আজ বাতিল ফিরক্বার গিনিপিগ। অর্থাৎ কুরআন শরীফে ঘোষিত বালহুম আদল চতুষ্পদ জন্তুরও অধম। (নাঊযুবিল্লাহ মিন যালিক) -মুহম্মদ ওয়ালীর্উ রহমান, ঢাকা। কম ইল্ম ও কম বুঝের নামধারী মাওলানারা মুনাফিক সাদ্দাম সম্পর্কে আর কতকাল জিহালতিতে ডুবে থাকবে? মাসিক আল বাইয়্যিনাত পত্রিকায় সাদ্দাম, ওসামা, মোল্লা উমর সম্পর্কে যে বক্তব্য প্রকাশিত হয়েছে, একটু দেরীতে হলেও বিদেশের তথা স্বদেশেরও অনেক পত্রিকা একই মন্তব্য করেছে। উল্লেখ্য, সাদ্দাম, ওসামা, মোল্লা উমর এরা আমেরিকার তথা সি.আই.এর গুটি মাত্র। এইসব গুটি আমেরিকা সময়ে সময়ে কৌশল খাটিয়ে নিজেদের সাম্রাজ্যবাদী অভিলাষ পূরণ করে থাকে। আর ঐসব জাতীয় বেঈমানরা সামান্য স্বার্থে তথা বিকৃত মানসিকতার প্রেক্ষিতে দেশকে বিকিয়ে দিতে; লাখ-লাখ মানুষকে হত্যা করতে, তাদের জীবনকে বিপর্যস্থ করতে একটুও দ্বিধান্বিত হয়না। বাংলার মীরজাফর এর জ্বলন্ত উদাহরণ। মূলতঃ এই এক ব্যক্তির বিশ্বাসঘাতকতায় মুসলমান হারিয়েছে তাদের শত শত বৎসরের রাজত্ব, ভুগেছে প্রায় দু’শ বছরের গোলামীতে, নির্যাতনে চরম নিপীরন আর নিগ্রহে। তদ্রুপ সাদ্দামকে দিয়ে গোটা মধ্যপ্রাচ্যের অর্থনৈতিক বুনিয়াদী ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকার স্থায়ী ঘাঁটি করা হয়েছে। ইরাক থেকে বহু মূল্যবান ইউরোনিয়াম, তেল আমেরিকায় পাচার করা হয়েছে। সিরিয়াসহ আরো মুসলিম দেশে আক্রমণের ভিত্তি তৈরী হয়েছে। এবং মূলতঃ গোটা মুসলিম বিশ্বকে এখন তারা ইরাকের পরিণতি দেখিয়ে ভয়-হুমকি দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করছে। আর এসব হয়েছে সাদ্দামের স্বতঃস্ফুর্ত গোপন সহযোগীতায়। কিন্তু তারপরেও এদেশের নামধারী মাওলানারা সাদ্দামকে এখনও চিনে উঠতে পারেনি। আমেরিকার আক্রমণের সময়ে সাদ্দামের ফেদাইন বাহিনী, রিপাবলিগান গার্ড ইত্যাদিসহ প্রায় ৭ লাখ সৈন্য যুদ্ধ করার জন্য সাদ্দামের থেকে কোন নির্দেশ পায়নি। ঠিক যেমন পলাশীর প্রান্তরে মীর জাফরের বিশ্বাসঘাতকতায় নবাব সিরাজ উদ্দৌলার বাহিনী কোন কাজ করতে পারেনি। মূলতঃ সাদ্দামকে দিয়ে আমেরিকা যে খেলা খেলছে তা এখনও আমাদের স্বল্প বুদ্ধির নামধারী মাওলানারা বুঝে উঠতে পারছেনা। পাশাপাশি আজকের ধৃত সাদ্দাম যে আসল সাদ্দাম নয় তাও তারা বুঝে উঠতে পারছে না। এ প্রসঙ্গে মাসিক আল বাইয়্যিনাত এ মন্তব্য করা হয়েছিলো, “আটককৃত সাদ্দাম যে আসল সাদ্দাম নয় তা আরো স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয় তার ডিএনএ পরীক্ষার ভিত্তি ও এর দ্রুততা নিয়ে। যেহেতু আগে থেকে তাদের সংগ্রহে সাদ্দামের কোন ডিএনএ স্যাম্পল রক্ষিত ছিল না, সেহেতু কিসের সাথে মিলেয়ে তারা নিশ্চিত হলো যে আটককৃত ব্যক্তিটি সাদ্দামই? দ্বিতীয়ত স্যাম্পল ডিএনএ যদি সাদ্দামের নিকট জনদের কারও হয় সে ক্ষেত্রেও যে প্রক্রিয়ায় শতভাগ নিশ্চিত হওয়া পরীক্ষা হয়েছে বলে প্রচার করা হয়েছে তাতে পুরো বিষয়টি যে সাজানো তা সবাই হৃদয়াঙ্গম করতে পারছে। মূলতঃ আসল সাদ্দামকে রাশিয়ায় অথবা সুবিধা জনক জায়গায় ঠিকানায়ই পূনর্বাসিত করা হয়েছে। আর নকল সাদ্দামকে নিয়ে নতুন যে খেলা খেলানো হবে যে তাকে বলা হবে “আপনি সিরিয়াসহ অন্য যেসব দেশকে গণবিধ্বংসী অস্ত্র সরবরাহ করেছেন তার তালিকা দিন। এথেন্স ডেটলাইনে হারটেজ পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে এই রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়।” আল বাইয়্যিনাত-এর এ মন্তব্য শুধু আল বাইয়্যিনাত-এরই একক নয়। বিশ্বের অনেক সংস্থাই এখন আল বাইয়্যিনাত-এর মন্তব্যের প্রতিধ্বনি করেছে। ইরাকি নেতা সাদ্দাম হোসেনকে আটকের নামে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্ববাসীকে ধোঁকা দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে ‘না ভজ ডি’ নামের একটি ম্যাক্সিকান গ্রুপ। গ্রুপটির ওয়েবসাইটে হোস্টকৃত একটি নিবন্ধে দাবি করা হয় যে, সাদ্দামের নামে টেলিভিশনে দেখানো ব্যক্তিটি আসলেই সাদ্দাম নয়। সম্প্রতি রাশিয়ার প্রভাবশালী পত্রিকা প্রাভদা’র এ সংক্রান্ত এক রিপোটে বলা হয়, বৃহস্পতিবার ইরাকের গোপন কাঠগড়ায় যে লোকটিকে হাজির করা হয়েছে তিনি আদতে সাদ্দাম নন। ইরাকের সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনেরই এক ডামি। ১৯৯১ সালে প্রথম উপসাগরীয় যুদ্ধের সময় বিশ্ববাসী যে একাধিক সাদ্দামের অস্তিত্ব সম্পর্কে জানতে পেরেছিল এটি তারই একটি কিনা তা অবশ্য জানা যায়নি। পত্রিকাটিতে আরও বলা হয়েছে, বিচারক সালিম ছেলারির আদালতের সামনে বসে দু’হাত নেড়ে যাকে কলা বলতে দেখা যায় তার সঙ্গে আসল সাদ্দামের অনেক কিছুরই মিল নেই। প্রাভদার বিশ্লেষণ হচ্ছে, আসল সাদ্দামের চমৎকার দুই পাটি দাঁত রয়েছে। উপরের ও নিচের পাটির দাঁত মিলালে চমৎকারভাবে তা অসমান হয়ে মিশে যায়। কিন্তু বাগদাদ বিমানবন্দরের কাছে একটি অজ্ঞাত স্থানে সর্বশেষ যে সাদ্দামকে চলাচল করতে দেখা যায়, তার সঙ্গে আসলে সাদ্দামের কোন মিল নেই। কেননা, তার দাঁত অসমান এবং উপরের ও নিচের অংশ মিলালেই তা সুস্পষ্টভাবে ধরা পড়ে। আর ডেন্টাল রেকর্ড কখনও মিথ্যা হতে পারে না। এছাড়া গত ১৩ ডিসেম্বর তিকরিতের একটি গুহা থেকে যে সাদ্দামকে গ্রেপ্তার করা হয় তার মুখে ছিল দীর্ঘ দাড়ি গোঁফ। সেই দাড়ি আরো বাড়ার কথা। কিন্তু বৃহস্পতিবার আদালতে উপস্থিত সাদ্দামের মুখে উসকু-খুসকু যে দাড়ি গোঁফ দেখা গেছে তা সম্পূর্ণ অসঙ্গতিপূর্ণ। তাছাড়া দশকের পর দশক ধরে ইরাকি নেতা সাদ্দাম হোসেন ক্লিন শেভ করতেন ও গোঁফ রাখতেন। এ নিয়ম তার রক্তের সঙ্গে মিশে যাওয়ার কথা। কিন্তু আদালতে হাজির করা এ সাদ্দামের উপর ভালভাবে পরখ করলে দেখা যায় এর অনেক কিছুর সঙ্গেই আসল সাদ্দামের মিল নেই। প্রাভদা’র অভিমত ওই ব্যক্তি যে আসল সাদ্দাম নন তা লুকাতেই আদালতে সাংবাদিক ও ফটো সাংবাদিকদের প্রবেশের উপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। আমেরিকার বিশ্বস্ত টিভি চ্যানেল সিএনএন-এর ভিডিও ক্যামেরা ছাড়া আর কারো ক্যামেরাকে সচল দেখা যায়নি সেদিন। ভিডিও থেকে তোলা ওই সব ছবি পরে স্থির ছবিতে পরিণত করা হয়। গত ১৩ ডিসেম্বর যখন সাদ্দামকে গ্রেপ্তার করার খবর বিশ্ববাসী জানতে পেরেছিলেন তখনও গোটা বিষয়টি ছিল নাটকীয়তায় ভরা। তখন বাগদাদে একটি কক্ষে পল ব্রেমারকে অনেকটা দ্বিধাদ্বন্দের মধ্যেই বলতে হয়েছে,লেডিস অ্যান্ড জেন্টলমেনস উই গট হিম। তখন প্রথম ব্রেমার যে বাক্যটি বলেননি সেটা হচ্ছে এখন আমি একটি মিথ্যা কথা বলতে যাচ্ছি। ১৩ ডিসেম্বরকে ঘিরে পল ব্রেমারের ওই নাটককে তখনই উড়িয়ে দিয়েছিলেন সাদ্দাম পত্নী। গ্রেপ্তারের পর সাদ্দামের সাক্ষাৎ করার জন্য তার পত্নী ছুটে গিয়েছিলেন কাতারে। কিন্তু সাদ্দামকে দেখেই তিনি হাসতে হাসতে বলেন, এ কার কাছে নিয়ে এলেন আমাকে? এর নাম সাদ্দাম হোক আর যাই হোক তিনি আমার স্বামী নন। (৮ জুলাই/২০০৪, মানবজমিন) উল্লেখ্য, সাদ্দাম ইরাকের প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায় অনেক কাজে নিজের ডামি নিয়োগ করত। কাজেই বর্তমান আটককৃত সাদ্দামও যে এরূপ একটা ডামি আর আসল সাদ্দামকে তার প্রভুরা বিশেষ উদ্দেশ্যে বিশেষভাবে সংরক্ষিত করছে তা বোঝার জন্য সামান্য আক্বলই যথেষ্ট। আর মূর্খদের প্রতি রইল সালাম।

-মুহম্মদ তরীফুর রহমান, ঢাকা।

 শুধু আজকের প্রেক্ষাপটে নয়, অতীত ইতিহাস হতেই ইহুদী-খ্রীষ্টানরা মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু মুসলিম সন্ত্রাসবাদ নয়, মার্কিন হামলার পিছনে কি ইহুদী-খ্রীষ্টানরাই দায়ী নয়? -২২  

ইরাকের মীরজাফর সাদ্দাম  রাশিয়ার বেলারুশ যেতে চায় কেন?    

চট্টলার বহুল প্রচলিত দৈনিক পত্রিকার মাধ্যমে প্রকাশ্যে আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাতের কাছে ক্ষমা চেয়ে তারা রক্ষা পেলো ॥

প্রসঙ্গঃ ছবি, অশ্লীল ছবি ইনকিলাব ও হাটহাজারীর আহমক শাফী উপাখ্যান

শুধু আজকের প্রেক্ষাপটে নয়, অতীত ইতিহাস হতেই ইহুদী-খ্রীষ্টানরা মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু মুসলিম সন্ত্রাসবাদ নয়, মার্কিন হামলার পিছনে কি ইহুদী-খ্রীষ্টানরাই দায়ী নয়? -২৩