ফিক্বহুল হাদীছ ওয়াল আছার মুর্শিদ ক্বিবলা ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে (১২২)

সংখ্যা: ১৭৩তম সংখ্যা | বিভাগ:

-হযরত মাওলানা মুফতী সাইয়্যিদ মুহম্মদ আব্দুল হালীম

প্রসঙ্গঃ “মাল-জান, সময়-শ্রম সব দিয়ে সাধ্যমত স্বীয় শায়খ বা মুর্শিদের খিদমত করবে।”

শায়খ বা মুর্শিদের সন্তুষ্টি রেযামন্দি লাভের মাধ্যম হচ্ছে খিদমত। খিদমতের দ্বারা যেমন আল্লাহ পাক এবং আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে হাছিল করা যায়। তেমনি শায়খ বা মুর্শিদ ক্বিবলা-এরও নৈকট্য পওয়া যায়।

শায়খ যেরূপ খিদমত পেতে চান কিংবা যে খিদমতে খুশী হন মুরীদকে সে খিদমতই করা দরকার। আর সে খিদমতকে নিয়ামত মনে করা উচিত। কারণ শায়খ-এর খিদমত করতে পারা সৌভাগ্যের আলামত। আল্লাহ পাক এবং আল্লাহ পাক-এর হাবীব, আখিরী রসুল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যাকে স্বীয় মা’রিফাত-মুহব্বত এবং নৈকট্য দিতে চান তাকে হক্কানী-রব্বানী শায়খ বা মুর্শিদ-এর ছোহবত দান করেন এবং তাঁর খিদমত করার তৌফিক দান করেন। এমন অনেক লোক রয়েছে যারা শায়খ-এর খিদমত করতে চান কিন্তু সে সুযোগ পান না।

সেজন্য আফযালুল আওলিয়া, সুলতানুল আরিফীন, ইমামে রব্বানী, হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেছেন, “রাজা-বাদশা, আমীর-উমারাগণের সভার সভাপতিত্ব করার চেয়ে ওলী আল্লাহগণের দরবার শরীফের ঝাড়ুদার হওয়াই উত্তম।” (মাকতুবাত শরীফ) কারণ স্বরূপ বলা হয়, ওলীআল্লাহগণের নিকট আল্লাহ পাক যেসব নিয়ামত গচ্ছিত রেখেছেন তার খবর যদি রাজা-বাদশা আমীর- উমারাগণ জানতো তাহলে তারা তাদের রাজত্ব ছেড়ে দিয়ে ওলী আল্লাহগণের দরবার শরীফের ঝাড়ুদার হতো। আশিকে ইলাহী, মাহবুবে মাওলা, হযরত ইব্রাহীম ইবনে আদহাম রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর নিকট যখন সে বিষয়টি প্রকাশিত হয়েছিল তখন তিনি বলখের বাদশাহী ছেড়ে দিয়ে স্বীয় শায়খের খিদমতকে জীবনের প্রধান কর্ম হিসেবে নির্ধারণ করেছিলেন।

প্রথমে তিনিঃ দরবার শরীফে লাকড়ী সরবরাহ করার দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। পরে ইস্তিঞ্জা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার কাজে নিযুক্ত হলেন। সুলতানুল হিন্দ, কুতুবুল মাশায়িখ, শাইখুল মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন, মুজাদ্দিদুয্ যামান, আওলাদে রসূল, গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি স্বীয় পিতার ওয়ারিস সূত্রে প্রাপ্ত সমস্ত সম্পদ শায়খ-এর সন্তুষ্টির জন্য আল্লাহ পাক-এর রাস্তায় বিলিয়ে দিয়ে সুদীর্ঘ বিশ বছর ছয়মাস শায়খ-এর খিদমত করেছিলেন। তিনি বলেন, “সে সময় আমি দিনকে দিন বলিনি রাতকে রাত বলিনি।” অর্থাৎ সবসময় তাঁর খিদমত করেছি। সুলতানুল মাশায়িখ, কুতুবুল আকতাব, সাইয়্যিদুল আওলিয়া খাজা হযরত বখ্তিয়ার কাকী রহমতুল্লাহি আলাইহি ইমামুল মুত্তাক্বীন, মঈনুল মিল্লাহ, সুলতানুল আরিফীন হযরত বাবা ফরীদুদ্দীন মাসউদ গঞ্জে শকর রহমতুল্লাহি আলাইহিকে এই শর্তে স্বীয় ছোহবত ইখতিয়ার করার অনুমতি দিলেন যে, ১২ বছর তাঁর খিদমত করতে হবে। সাথে সাথে এটাও বললেন যে, একাধারে ১২ বছর তাহাজ্জুদ নামাযের জন্য পানি গরম করে দিতে হবে। যদি কোন দিন কোন কারণে পানি দিতে না পারে তাহলে সেদিন থেকে আবার নতুন করে গণনা শুরু হবে।

সুলতানুল আরিফীন, ইমামুল মুত্তাক্বীন, বাবা ফরীদুদ্দীন মাসউদ গঞ্জে শকর রহমতুল্লাহি আলাইহি সেই শর্ত সর্বান্তকরণে মেনে নিয়ে ছোহবত ইখ্তিয়ার করতে লাগলেন। একদিন রাতে পানি গরম করার মত কোন আগুণ পেলেন না। নিজের কাছেও আগুণ জ্বালানোর মত কোন ব্যবস্থা ছিল না। এদিকে রাত প্রায় শেষ হয়ে যাচ্ছে। তাহাজ্জুদের সময় চলে যাচ্ছে ভেবে বাড়ীর বাইরে বের হলেন যে, কোনভাবে আগুণের ব্যবস্থা করা যায় কিনা। দেখলেন অনেক দূরে আগুণ দেখা যায়। সেদিকে চললেন। কিছু দূর গিয়ে একটি নদীর মুখোমুখি হলেন। নদী পার হওয়ার কোন যানবাহন ছিল না। উপায়ান্ত না পেয়ে সাঁতার দিয়ে নদী পার হওয়ার চিন্তা করলেন। যেমনি চিন্তা তেমনি কাজ। নদী পার হয়ে আগুণের নিকট গিয়ে দেখতে পেলেন একটি ঘরের ভিতর আগুণ জ্বলছে। আর তার পাশে বসে রয়েছে একজন  মহিলা।

তিনি ঘরের বাইরে থেকে ডাক দিলেন। মা, মাগো। আমাকে একটু আগুণ দিন মা। ভিতর থেকে আওয়াজ আসলো কে? কে এখানে মা বলে ডাকছে? আগুণ নিতে হলে ঘরের ভিতর আসুন এবং আমার আশা পূর্ণ করুন। সুলতানুল মাশায়িখ, ইমামুল মুত্তাক্বীন হযরত বাবা ফরীদুদ্দীন মাসউদ গঞ্জে শকর রহমতুল্লাহি আলাইহি ঘৃণাভরে তার খারাপ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলেন। তখন মহিলা বললো, যদি তাতে সম্মত না হন তাহলে আপনার একটি চোখ দিন। অন্যথায় আপনাকে আগুণ দেয়া হবে না।

তখন তিনি তাঁর ডান চোখ মুবারক তুলে সেই মহিলাকে দিলেন এবং বিনিময়ে আগুণ এনে তাহাজ্জুদ নামাযের জন্য পানি গরম করতে লাগলেন। এদিকে পানি পেতে দেরি হওয়ায় সুলতানুল আওলিয়া, কুতুবুল আকতাব, ইমামুছ্ ছিদ্দীক্বীন হযরত বখ্তিয়ার কাকী রহমতুল্লাহি আলাইহি তাঁর নিকট আসলেন। তাঁকে মাথা নিচু করে পানি গরম করতে দেখে জিজ্ঞাসা করলেন, “পানি গরম করতে দেরি হলো কেন?” তিনি মাথা নিচু করা অবস্থায় বিস্তারিত ঘটনা খুলে বললেন।

সুলতানুল আওলিয়া, কুতুবুল আকতাব, ইমামুছ ছিদ্দীক্বীন হযরত বখ্তিয়া কাকী রহমতুল্লাহি আলাইহি তাঁকে মাথা উঁচু করতে বললেন। তিনি মাথা উঁচু করলেন। তখন তিনি তাঁর চোখ মুবারকে ফু দিলেন আর সাথে সাথে চোখ মুবারক পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসলো (সুবহানাল্লাহ)

পরবর্তী সময়ে কুতুবুল মাশায়িখ, ইমামুল মুত্তাক্বীন বাবা ফরীদুদ্দীন মাসউদ গঞ্জে শকর রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেছেন যে,আমি বাম চোখের তুলনায় ডান চোখ দিয়ে আরো ভাল দেখতে পাই এবং বাম চোখ মুবারকের তুলনায় ডান চোখ মুবারকের দ্বারা বেশী ইতমিনান লাভ করি। (সুবহানাল্লাহ)

মূলতঃ শায়খ-এর খিদমতের দ্বারা আল্লাহ পাক এবংতাঁর হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মা’রিফাত-মুহব্বত হাছিলের রাস্তা খুলে যায়। তাই মানুষের চিরশত্রু ইবলিস সে রাস্তা বন্ধ করার জন্য মুরীদের চলার পথে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের জাল বিছিয়ে রাখে।

ইবলিস প্রথমতঃ মানুষকে ওলী আল্লাহগণের ছোহবত লাভকরতে বাঁধা দেয়। কোন ক্রমে যেন তাঁদের কাছে বাইয়াত হতে না পারে তার জন্য সব রকমের ওয়াস ওয়াসা দিতে থাকে। এমনকি কোন কোন ক্ষেত্রে উলামায়ে “ছূ”দেরকে দিয়ে ওলী আল্লাহগণের বিরুদ্ধে নানা রকমের ফতওয়া প্রচার করে। কখনো বা সে নিজেই উলামায়ে “ছূ”র আকৃতি ধারণ করতঃ তাঁদের বিরুদ্ধে উসকানীমূলক ও বিভ্রান্তিকর কথা-বার্তা বলে এবং তা প্রচার করে। যখন তাতে কোন কাজ হয় না। তার ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে ওলী আল্লাহগণের নিকট বাইয়াত হওয়ার দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয় তখন ইবলিস নিরুপায় হয়ে তাদেরকে বাইয়াত হওয়ার জন্য সহযোগীতা করে। এমনকি তখন বাইয়াত হওয়ার জন্য একপ্রকার উদ্বুদ্ধ করে।

তবে বাইয়াত হওয়ার পরে যেন তার মূল লক্ষ স্থলে পৌছতে না পারে সে জন্য অতি সংগোপনে তারই ষড়যন্ত্র করতে থাকে। শায়খ-এর আদেশ-নিষেধ পালনে গাফিল রাখে। তাঁর নির্দেশ মত যিকির-ফিকির, রিয়াজত-মাশাক্কাত করতে দেয়না। শায়খ সম্পর্কে চু-চেরা, কিল ও কাল অন্তরে পয়দা করে। কখনো বা অনেক যিকির-ফিকির, ইবাদত বন্দেগী করিয়ে এক পর্যায়ে নিরাশ করে দেয়। এমনি নানাভাবে ওয়াস ওয়াসা দিয়ে তার শায়খ-এর খিদমত থেকে বিরত রাখে। কখনো বা অর্থ সম্পদের লোভ দেখায়। কখনো দারিদ্র্য হয়ে যাওয়া ভয় দেখায়। ইত্যাদি। আল্লাহ পাক সেটা বলেছেন,

الشيطن يعد كم الفقر ويامركم بالفحشاء والله يعدكم مغفرة منه وفضلا والله واسع عليم.

অর্থঃ “নিশ্চয়ই শয়তান তোমাদেরকে অভাবগ্রস্থ হওয়ার ভয় দেখায় এবং তোমাদেরকে অসৎকাজের (কৃপণতার) পরামর্শ দেয়। আর আল্লাহ পাক তোমাদেরকে প্রতিশ্রুতি দেন তাঁর পক্ষ হতে ক্ষমা করার এবং অধিক দেয়ার। আর আল্লাহ পাকই হচ্ছেন প্রশস্ততার মালিক, মহাজ্ঞানী। (সূরা বাক্বারা-২৬৮)

কখনো জান-মালের ক্ষতি কারক দিক তুলে ধরে ছোহবত থেকে বিরত রাখতে কোশেশ করে। কখনো বা অন্তঃসার শূন্য যিকির-ফিকির, ইবাদত-বন্দেগীতে মনোযোগী করে খিদমত থেকে বিরত রাখে। আবার কাউকে যিকির-ফিকির, ইবাদত-বন্দগীকে বিরাট ফযীলতপূর্ণ এবং কামিয়াবি লাভের একমাত্র মাধ্যম বলে ওয়াসওয়াসা দিয়ে শায়খ-এর খিদমতের প্রতি অনীহা সৃষ্টি করে।

উল্লেখ্য যে, গুরুত্বহীনতার সাথে কোন কাজ করা সেটা না করারই অন্তর্ভূক্ত। আর ক্ষেত্র বিশেষে সেটা না করার চেয়েও অধিক খারাপ ও ক্ষতিকর।

সুলতানুল আরিফীন, ইমামুছ ছিদ্দীক্বীন, আবুল ফয়েজ, হযরত মাওলানা শাহ ছূফী কারামত আলী জৌনপুরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তাঁর “যিনাতুল মুছাল্লীন” কিতাবে লিখেছেন “শয়তান প্রথমতঃ লোকজনকে নামায পড়া থেকে সরাসরি বিরত রাখতে চেষ্টা করে। যদি বিরত রাখতে না পারে তখন নামায পড়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করে। তবে খুশু-খুজুর সাথে নামায পড়তে দেয় না। নামাযের ভিতরে অন্যান্য বিষয়ের খেয়াল উদয় করে নামাযীকে অন্য মনস্ক করে। কখনো বা তাকে বেশী বেশী নফল নামায পড়ার জন্য উৎসাহিত করে। কারণ এরূপ নামায শুধু সময় ক্ষেপন মাত্র। এরূপ নামাযী এবং বেনামাযী প্রায় একই পর্যায়ের।”

একইভাবে মুরীদকে ওয়াসওয়াসা দিয়ে তার শায়খ-এর খিদমত থেকে বিরত রাখে।

উল্লেখ্য যে, শায়খ-এর খিদমতের মধ্যে মুরীদের কামিয়াবী নিহীত। শায়খ যে আদেশ নিষেধ করেন মুরীদকে তা পালনের মাঝে আল্লাহ পাক এবং আল্লাহ পাক-এর হাবীব সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মা’রিফাত-মুহব্বত ও নৈকট্য তালাশ করতে হবে। তিনি যদি কোন ওযীফা দেন, যিকির ফিকির করতে বলেন, তাহলে সেটা যথাযথভাবে করতে হবে। যখন কোন কাজের নির্দেশ দিবেন তখন সে কাজ অতীব গুরুত্ব দিয়ে করতে হবে।

মূলতঃ তিনি মুরীদকে যা করতে বলবেন সেটা প্রত্যকটাই ওযীফার অন্তর্ভুক্ত। সেটাই আল্লাহ পাককে হাছিল করার মাধ্যম। সেটা ব্যতীত অন্যান্য আমল দিয়ে আল্লাহ পাক এবং তাঁর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মা’রিফাত-মুহব্বত, নৈকট্য হাছিল করার কোশেশ করা শয়তানের ধোঁকা বৈকি। সেক্ষেত্রে একেক জনের ওযীফা একেক রকম হতে পারে। কিংবা একজনের ওযীফাই ভিন্ন রকম হতে পারে। ডাক্তার যেমন রোগীর রোগ নির্নয় করে ব্যবস্থাপত্র দেন। তিনিও তদ্রুপ আত্মার রোগ অনুপাতে মুরীদকে ঔষধ দিয়ে থাকেন।

কাজেই শায়খ-এর খিদমতে নিরুৎসাহীত হওয়া অথবা খিদমত ব্যতীত অন্যান্য ইবাদত বন্দেগী, যিকির-ফিকির, রিয়াযত-মাশাক্কাতে মনোযোগী হওয়া শয়তানের ধোঁকা ও প্রতারণা। আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে মুজাদ্দিদে আ’যম, গাউছুল আ’যম, হাবীবে আ’যম, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা  মুদ্দা  জিল্লুহুল আলী-এর ওসীলায় শয়তানের ধোঁকা হতে হিফাযত করুন এবং মাল-জান, সময়-শ্রম সব দিয়েই স্বীয় শায়খ-এর যথাযথভাবে খিদমত করার তৌফিক দান করুন।। (আমীন)

ফিক্বহুল হাদীছ ওয়াল আছার মুর্শিদ ক্বিবলা ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে (১০৭)

ফিক্বহুল হাদীছ ওয়াল আছার মুর্শিদ ক্বিবলা ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে (১০৯)

ফিক্বহুল হাদীছ ওয়াল আছার মুর্শিদ ক্বিবলা ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে (১১০)

মুর্শিদ ক্বিবলা ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে (১১১)

ফিক্বহুল হাদীছ ওয়াল আছার মুর্শিদ ক্বিবলা ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে (১১২)