-হযরত মাওলানা মুফতী সাইয়্যিদ মুহম্মদ আব্দুল হালীম
আল্লাহ পাক এবং তাঁর হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মা’রিফাত-মুহব্বত হাছিল করতে হলে স্বীয় শায়খ বা মুর্শিদের সাথে গভীর সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করা পূর্ব শর্ত। স্বীয় শায়খ-এর সাথে যেরূপ তায়াল্লুক-নিছবত প্রতিষ্ঠিত হবে। মা’রিফত-মুহব্বত সে পরিমাণ লাভ হবে।
শায়খ মুর্শিদের সাথে গভীর নিছবত বা তায়াল্লুক স্থাপনের বিভিন্ন দিক রযেছে। সালিকের অবস্থার বিভিন্নতার কারণে সেই তায়াল্লুক বা নিছবত লাভের মাধ্যমেও ভিন্ন রকম হয়ে থাকে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুমগণ যেভাবে আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর তায়াল্লুক ও নিছবত লাভ করেছিলেন, মুরীদগণও স্বীয় শায়খ-এর সেভাবে তায়াল্লুক-নিছবত লাভ করে থাকে। হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগনের সেই তায়াল্লুক ও নিছবত হাছিলের পধান মাধ্যম ছিল খিদমত। তাঁরা তাঁদের মাল, জান, সময়, শ্রম সব দিয়ে তাঁর খিদমত করেছেন। শায়খ বা মুর্শিদের নিছবত হাছিলের ক্ষেত্রে মুরীদকে অনুরূপ মাল, জা, সময়, শ্রম কুরবান করার জন্য প্রস্তুত হতে হবে। ইলম, আক্বল, সমঝ, বুদ্ধি, শক্তি ইত্যাদিও তাঁর খিদমতে নিয়োগ করতে হবে। মোদ্দা কথা, যার কাছে যা রয়েছে তা দিয়ে তাঁর নৈকট্য লাভের কোশেশ করতে হবে।
لكل فن رجال
অর্থাৎ প্রত্যেক বিষয়ে অভিজ্ঞ লোক রয়েছে। সেই অভিজ্ঞতাও তার খিদমতে ব্যয় করতে হবে। মূলতঃ সেটাই হবে তায়াল্লুক-নিসবত ও নৈকট্যলাভের উত্তম ও সহজ ব্যবস্থা।
উল্লেখ্য যে, যুগের প্রেক্ষাপটে সময়ের আবর্তনে শায়খ-এর খিদমত ও তায়াল্লুক-নিছবত লাভের মাধ্যম বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় যে, এমন একটি সময় ছিাে যখন মুরীদ স্বীয় শায়খ-এর খিদমতের জন্য মাথায় চুলা বহন করতো। অজুর পানি সরবরাহ করার লক্ষ্যে এ চুলা ব্যবহার করা হতো। আধুনিক যুগে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ঘন ঘটায় আজ আর সেই খিদমতের প্রয়োজন পড়ে না। তবে সময়ের পরিবর্তনে খিদমতের নতুন নতুন ছূরত জাহির হয়েছে অবশ্যই। কাজেই এখন সেই খিদমতই করতে হবে। আর সেটাই হবে তার পরিপূরক।
উবুদিয়াতের মাকাম হচ্ছে শ্রেষ্ঠ ও চূড়ান্ত পর্যায়ের মাকাম। এই মাকাম হাছিল করতে হলে সর্ব প্রথম স্বীয় শায়খ বা মুর্শিদের হাক্বী ক্বী গোলাম হতে হবে। ওলী আল্লাহগণের গোলাম হওয়া ব্যতীত কস্মিনকালেও আল্লাহ পাক-এর হাক্বীক্বী গোলাম বা আবদ্্ হওয়া সম্ভব নয়।
খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী একদিন একজন মুরীদকে উদ্দেশ্যে করে বললেন, “তোমরা কিভাবে আল্লাহ পাক এবং আল্লাহ পাক-এর হাবীব আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মুহব্বত, মা’রিফত হাছিল করবে। তোমাদের না আছে ইলম, আমল। না আছে টাকা-পয়সা না আছে দৈহিক শক্তি। আর না আছে রুহানী শক্তি। যদি পরিশুদ্ধ অন্তর থাকতো তবুও তা দিয়ে শায়খ-এর খিদমত করতে পারতে। কি দিয়ে শায়খের খিদমত করবে? কিভাবে ইল্মে তাছাউফ হাছিল করবে?”
শায়খ-এর খিদমতের দ্বারা মুরীদের সাথে শায়খ এর সু-সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়। যার পক্ষে যেভাবে সহজ ও সম্ভব হয় সে সেভাবে খিদমত করবে খলীফাতুল্লাহ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাকিমুল হাদীছ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি একদা জিজ্ঞাসিত হলেনর, “হুযূর ক্বিবলা! একজন মুরিদ বেশি বেশি যিকির-ফিকির করে, কঠিন রিয়াজত-মুশাক্কাত করে কিন্তু স্বীয় শায়খ বা মুর্শিদ ক্বিবলা ততবেশী খিদমত করার সুযোগ পায়না। অপর একজন মুরীদ যিকির-ফিকর, রিয়াজত-মুশাক্কাত করে না তবে সারাক্ষণ শায়খ উনার খিদমত করে। এ দু’জনের মধ্যে উত্তম কে?
জবাবে তিনি বললেন, যে মুরীদ বেশি-বেশি যিকির-ফিকির করে, রিয়াজত-মুশাক্কাত করে, সেই মুরীদই উত্তম। কারণ, তার দ্বারা শায়খ উনার হাক্বীক্বী খিদমত হবে। তার দ্বারা সিলসিলার কাজ হবে। তার মাধ্যমে শায়খ উনার ইলমের সিলসিলা জারী থাকবে। আর অপর মুরিদ, তার খিদমত রসম-রেওয়াজও হতে পারে। তাতে লৌকিকতা থাকতে পারে। যিকির-ফিকির ছাড়া সে সেই খিদমতে ইস্তিকামত থাকতে পারবে না। আর যিকির-ফিকির, রিয়াজত-মুশাক্কাতকারী মুরীদ যতটুকু খিদমতই করুক সেটা ইখলাছের সাথেই করে। তাতে কোন লৌকিকতা থাকে না। আর সে তাতে ইস্তিকামত থাকতে পারবে।”
যে মুরীদ স্বীয় শায়খ উনার হাক্বীক্বী খিদমত করতে চায়। শায়ক উনার সাথে গভীর সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করতে চায় তাকে দশটি গুণ অর্জন করতে হবে। যে গুণগুলো আওলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণ সালিক বা মুরীদগণের আবশ্যকীয় গুণ বলে উল্লেখ করেছেন।
সাইয়্যিদুল আওলিয়া, মাহবুবে সুবহানী, কুতুবে রব্বানী, গাউসুল আ’যম, মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন মুহিউদ্দীন, হযরত বড় পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেছেন- “নফসের সাথে মুজাহাদা ও মুহাছাবাকারী, দৃঢ়চিত্ত সালিক বা মুরীদের দশটি গুণ আছে। যারা এ গুণগুলো নিজের মধ্যে কায়িম করবে তারা উচ্চ ও সম্মানজনক মর্যাদায় পৌঁছতে সক্ষম হবে।
প্রথম গুণ: বান্দা কখনও আল্লাহ পাক উনার নামে কসম করবে না। যদিও তা সত্য হয়। শপথ বর্জন করার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করত: যদি তার জবানকে শপথ না করার অভ্যস্থ করতে পারে তা হলে আপনা জাপনিই শপথ দূরীভুত হয়ে যাবে।
যখন সে শপথ না করার অভ্যস্ত হবে তখন আল্লাহ পাক উনার জন্য আল্লাহ পাক উনার নূরের দরজা খুলে দিবেন। সে তখন অনতরে তার উপকারিতা, উচ্চমর্যাদা, প্রতিজ্ঞার শক্তি, ধৈর্যের ক্ষমতা এবং প্রতিবেশীর নিকট তার সম্মান অনুভব করতে পারবে। ফলে যে তাকে চিনবে সে তার অনুসরণ করবে। যে তাকে দেখবে সে তাকে ভয় করবে।
দ্বিতীয় গুণ: ইচ্ছা ও অনিচ্ছা যে কোন অবস্থায় মিথ্যা হতে দূরে থাকবে। কেননা সে যখন নফসের পক্ষ হতে মিথ্যা বর্জনে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হবে, তখন শরহে সুদূর তথা আল্লাহ পাক উনার বক্ষ প্রসারিত করে দিবেন এবং তার জ্ঞান পরিস্কার হয়ে যাবে।
তৃতীয় গুণ: কাউকে কোন বিষয়ের ভয় দেখিয়ে নিজেই তার ব্যতিক্রম করা অথবা ওয়াদা ভ্গং করা পরিহার করবে। বরং ওয়াদা মোটেই করবে না। ওয়াদ করা, ওয়াদা খেলাফী হতে শক্ত ব্যাপার। কেননা ওয়াদা খিলাফ করা মিথ্যার অন্তর্ভুক্ত। যখন সে এই আমল করবে তখন তার জন্য দান, ছাখাওয়াত ও লজ্জার দরজা খুলে যাবে। তাকে ছদিকীনের সাথে বন্ধুত্ব ও আল্লাহ তা’য়ালার নিকট উচ্চ মর্যাদা দান করা হবে।
চতুর্থ গুণ: আল্লাহ তায়ালার কোন মাখলুককে বিন্দু পরিমাণ কষ্ট দিবেনা, কাউকে অভিশাপ না দেয়া এবং আল্লাহ পাক উনার কোন মাখলুককে কষ্ট না দেয়া ছলিহীন ও ছিদ্দীকীনগণের স্বভাব। আর এই স্বভাবের অতি উত্তম পরিমাণ রয়েছে। দুনিয়াতে সে আল্লাহ পাক উনার খাছ হিফাজতে থাকবে এবং পরকালে উনার জন্য অতি উচ্চ মর্যাদা জমা রয়েছে। তাকে ধ্বংস হতে নাজাত দেয়া হবে। মাখলুকের কষ্ট হতে থাকে নিরাপদ রাখা হয় তাকে আল্লাহ পাক উনার বান্দাগণের প্রতি দয়া করার মনোবৃত্তি দান করেন। আর আল্লাহ পাক তাকে নৈকট্য দান করেন।
পঞ্চম গুণ: আল্লাহ পাক উনার কোন মাখলুকের প্রতি বদদোয়া করা হতে দূরে থাকবে। যদিও কেউ উনার উপর যুলুম করে। জবানের দবারা তার প্রতি কট’ক্তি করবে না। আর কাজের দ্বারাও তার প্রতিশোধ নিবে না। বরং আল।লাহ পাক উনার উদ্দেশ্যে তা সহ্য করে যাবে। কথায় ও কাজের দ্বারা উহার প্রতিউত্তর করবে না। কেননা এই স্বভাব মানুষকে উচ্চ মর্যাদায় উন্নীত করে। বান্দা যখন এই স্বভাব দ্বারা নিজকে গড়ে তুলবে তখন সে দুনিয়াও আখিরাতে উচ্চ ও সম্মানিত মর্যদা লাভ করবে। আর নিকটবর্তী ও দূরবর্তী সকল মাখলুকের বন্ধুত্ব ও জনপ্রিয়তা লাভ করবে। তার দোয়া কবুল হবে। লোকজন তার দাওয়াতে সাড়া দিবে। সৎকাজে উচ্চ মর্যাদা লাভ করবে। পৃথিবীতে মু’মিন বান্দাগণের অন্তরে তার খুব ইজ্জত ও সম্মান হবে।
ষষ্ঠ গুণ: যারা আমাদের ক্বিবলা মেনে চলে এমন লোকের উপর শিরক, কুফর ও নিফাকের ফতওয়া দিবে না। তাদেরকে মুশরিক, কাফির, বা মুনাফিক বলবে না। কেননা কোন আহলে কিবলাকে কাফির, মুশরিক বা মুনাফিক না বলার স্বভাব অবলম্বন করলে আল্লাহ পাক উনার দরবারে তার মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে পাবে। মূলত: এ স্বভাবই হচ্ছে পূর্ণাঙ্গ সুন্নত। ইহা গযব হতে তাকে দূরে রাখে। আর আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি ও উনার রহমত লাভের নিকটবর্তী করে দেয়।
সপ্তম গুণ: প্রকাশ্যে ও গোপনে কোন গুণাহের প্রতি দৃষ্টিপাত করা হতে দূরে থাকবে। স্বীয় অঙ্গসমূহে অতি দ্রুতগতিতে ছাওয়াবের সৃষ্টি করে। পরকালে আল্লাহ পাক উনার দরবারে এ প্রার্থনাই করতেছি যে, তিনি যেন আমাদের সকরকৈ এ সকল উত্তম গুণসমূহ অর্জন করার তাওফীক দান করেন। আর আমাদের অন্তর হতে খাহেশাত বের করে আমাদের প্রতি উনার খাছ অবদান ও ইহসান রাখেন। আমীন।
অষ্টম গুণ: আল্লাহ পাক উনার কোন মাখলুকের উপর কোন প্রকার বোঝা উঠিয়ে দিবে না। সেটা ছোট হোক অথবা বড় হোক। বরং অন্যেল উপর হতে তার বোঝা সরিয়ে দিবেন। অন্যের বোঝা নিজে বহন করার চেষ্টা করবে। আল্লাহ পাক উনার কোন মাখলুক তার নিজস্ব বোঝা বহন করতে যদি অপরের সাহায্যের মুখাপেক্ষী হয় তবে তার সাহায্য করবে এবং তাকে সেই বোঝার কষ্ট হতে মুক্তি দিবে। কেননা ইহা হচ্ছে আবিদ বান্দাগণের ইজ্জত এবং মুত্তাকীনগণের সম্মান। এই গুণাবলীর দ্বারা ভাল কাজের আদেশ করা এবং মন্দ কাজ হতে বাধা দেয়ার ক্ষমতা লাভ করা যায়।
আর সমগ্র মাখলুক তার নিকট একই পর্যায়ে থাকে। যখন বন্দা এই পর্যায়ে পৌঁছিবে তখন আল্লাহ পাক তাকে ধন-রতœ, আল্লাহ পাক উনার প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস ও উনার প্রতি পূর্ণ আস্থাবান হওয়ার গুণ দান করেন। এই প্রকার লোক কখনও কোন ব্যক্তির নিকট তার কোন খাহেশ ও আকাঙ্খা প্রকাশ করে না। তার নিকট সমগ্র মাখলুক এক সমান। আর এই গুণাবলীটি নিঃসন্দেহে মুসলমানদের ইজ্জত এবং মুত্তাকীনগণের সম্মান হিসেবে গণ্য। তাকে ইখলাছের দরজায় পৌঁছেয়ে দেয়।
নবম গুণ: আল্লাহ পাক উনার পথের পথিক ও আধ্যাত্মিক রাস্তায় ভ্রমণকারীর উচিত, সে মানুষ হতে তার লোভ, লিন্সা এমনভাবে কেটে ফেলবে বা ছিন্ন করে নিবে যে, তাদের হাতের জিনিসেরও যেন কোন প্রকার লোভ না হয়। কেননা এটাই বড় ইজ্জত এবং ধনবান হওয়া। আর ইহাই বড় রাজত্বী। ইহা বিরাট গর্বের বিষয়। এটাই হচ্ছে খাঁটি ইয়াকীন বা বিশ্বাস। এটাই ত্রুটিমুক্ত খাঁটি তাওয়াক্কুল। আল্লঅহর প্রতি নির্ভরশীল হওয়ার জন্য এটা একটা বড় দরজা। ইহা সংসারত্যাগী বা জিহাদের দরজা। এই গুণ দ্বারাই পরহিজগারী লঅভ করা যায়। ইহা দবারাই তার দ্বীন-শরীয়ত পূর্ণতায় পৌঁছে। যারা আল্লাহ পাক এর দিকে রুজু হয়ে একাগ্রচিত্ত লাভ করেছে হিা হতাদের লক্ষণ।
দশম গুণ: সর্বদা বিনয়ী ভাব অর্থাৎ “তাওয়াজ্জুহ” অবলম্বন করবে। কারণ এই বিনয়ের দ্বারা আবিদ ও দরবেশের প্রাসাদ মজবুত হয়। তার মর্যাদা অতি উচ্চ শিখরে পৌঁছে এবং এবং আল।লাহ পাক উনার নিকট উনার ইজ্জত সম্মান ও মর্যাদা বৃদ্ধি পায়। মাখলুকের নিকটও সম্মান বৃদ্ধি পায়। আর ইহকাল এবং পরকালের যে কোন কাজ করার ইচ্ছা করলে সে কাজ সম্পন্ন করার কষমতা লাভ করে। এ গুণটি সমস্ত ইবাদতের মূল আর ইহা দ্বারা বন্দেগীর মধ্যে পূর্ণতা আসে। এ গুণাবলীর দ্বারা বান্দা ঐ সকল নেক বান্দাগণের মর্যাদা লাভ করে থাকে যারা সুঃখে-দুঃখে আল্লঅহ পাক উনার প্রতি সন্তুষ্ট এবং আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তার প্রতি সন্তুষ্ট। আর ইহাই তাকওয়া বা পরহিজগারীর পুর্ণতা।
ফিক্বহুল হাদীছ ওয়াল আছার মুর্শিদ ক্বিবলা ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে (১০৭)
ফিক্বহুল হাদীছ ওয়াল আছার মুর্শিদ ক্বিবলা ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে (১০৯)
ফিক্বহুল হাদীছ ওয়াল আছার মুর্শিদ ক্বিবলা ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে (১১০)
মুর্শিদ ক্বিবলা ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে (১১১)
ফিক্বহুল হাদীছ ওয়াল আছার মুর্শিদ ক্বিবলা ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে (১১২)