ফিক্বহুল হাদীছ ওয়াল আছার মুর্শিদ ক্বিবলা ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে (৯৬)

সংখ্যা: ১৪৮তম সংখ্যা | বিভাগ:

 ৪৭। মুর্শিদ ক্বিবলা’র আওলাদ, ফরজন্দকে তাঁরই জাত হিসেবে তাঁর তুল্য সম্মান করবে। তাঁর আত্মীয়দেরকেও পরম ভক্তি-শ্রদ্ধা করবে। এটা সুলূকের পথে সালিকের জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ এবং স্মরণীয় বিষয়। সুলূকের পথ অত্যন্ত পিচ্ছিল ও কক্তকাকীর্ণ পথ। এপথে সবদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখা আবশ্যক। অনেক সালিক এই বিষয়টির প্রতি গুরুত্বহীনতার কারণে সুলূকের পথে ইস্তিক্বামত থাকতে পারেনি। মুর্শিদ ক্বিবলা’র আওলাদ-ফরজন্দকে স্বীয় মুর্শিদ ক্বিবলা’র ন্যায় সম্মান-ইজ্জতের দ্বারা মুর্শিদ ক্বিবলা ও মুরীদের সম্পর্ক সুসংহত ও শক্তিশালী হয়। “সন্তানকে মিষ্টি দিলে পিতা-মাতা খুশী হয়”- “সন্তানকে কষ্ট দিয়ে পিতাকে মিষ্টি দেয়াতে কোন মূল্য নেই”- ইত্যাকার নীতিবাক্যের সাথে সবাই পরিচিত।  কাজেই মুর্শিদ ক্বিবলা’র আওলাদ-ফরজন্দকে কোন প্রকার কষ্ট দেয়া, তাঁদের সম্মান-ইজ্জতের খিলাফ কোন আচরণ করে মুর্শিদ ক্বিবলার সন্তুষ্টি-রেজামন্দি তালাশ করা- অরণ্যের রোদনে পর্যবসিত হয়। আর একথা কারো অজানা নয় যে, মুর্শিদ ক্বিবলার সন্তুষ্টি-রেজামন্দিই হচ্ছে সুলূক পথের প্রধান পাথেয়। মুরীদের জন্য বিশেষ নিয়ামত।

রাজা-বাদশাহ, আমীর-উমরাহ্দেরকে খুশী করতে পারলে যেমন তাদের রাজ্যে দাপটের সাথে অবাধে বিচরণ করা যায়, তেমনি মুর্শিদ ক্বিবলাকে সন্তুষ্টি করতে পারলে আল্লাহ পাক ও তাঁর হাবীব সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মারিফাত-মুহব্বত রাজ্যে অবাধে বিচরণের সুযোগ হয়। সেক্ষেত্রে যিনি যত খুশী করাতে পারেন, তিনি তত বেশী পরিসরে বিচরণ করতে সক্ষম হন। মুরীদ প্রতিনিয়ত এমন অনেক বিষয়ের মুখোমুখি হয় যা সরাসরি স্বীয় মুর্শিদ ক্বিবলাকে অবহিত করতে পারেনা। সময়-সুযোগ বুঝে মুর্শিদ ক্বিবলা’র সাথে কথা বলতে হয়। যা সুলূকের পথে অন্যতম আদব। সময়ের স্বল্পতা, ব্যস্ততা এবং পারিপাশ্বিক প্রতিকূল অবস্থার মোকাবেলা করে মনের আবেদন নিবেদন করা সব সময় সম্ভব হয়ে উঠেনা। সেক্ষেত্রে মুর্শিদ ক্বিবলা’র আওলাদ-ফরজন্দের সাথে মুহব্বত তথা সুসম্পর্ক অনেকাংশে সহায়ক। তাঁদের মাধ্যমে সেটা অবহিত করা সহজ ও সম্ভব হয়।  আউলিয়ায়ে কিরামগণ নিজের আওলাদ ফরজন্দের কথা যেমন ফেলেন না তেমনি আত্মীয়-স্বজনদের আরজু রক্ষা করেন। কাজেই তাঁদেরকে যথাযথ সম্মান-ইজ্জত করা, তাঁদের সাথে তায়াল্লুক ও মুহ্ববত রাখা মুরীদের জন্য সব সময় কল্যাণ বয়ে আনে। তাছাড়া তাঁরা মুর্শিদ ক্বিবলা’র জাতেরই অংশ হেতু সম্মান-ইজ্জত পাওয়া মৌলিক অধিকার। এ অধিকারকে যারা খর্ব করে তারা একান্ত বেয়াদব বটে। অর্থাৎ চরম শ্রেণীর বেয়াদব এবং বঞ্চিত ব্যক্তিবর্গ ব্যতীত কেউ এ অধিকারে হস্তক্ষেপ করেনা। আর বেয়াদব যত মর্যাদার অধিকারী হউক না কেন, আল্লাহ্ পাক-এর রহমত থেকে বঞ্চিত তা চির সত্য। আউলিয়ায়ে কিরামগণের আওলাদ-ফরজন্দকে শুধু তাঁদের আওলাদ-ফরজন্দ হিসেবে তা’যীম, তাকরীম এবং মুহব্বত পাওয়ার অধিকারী তো বটেই। পাশাপাশি এও স্মর্তব্য যে, তাঁরাও প্রথম শ্রেণীর আউলিয়ায়ে কিরামের অন্তর্ভুক্ত। সেদিক থেকেও তাঁরা মুহব্বত ও সম্মান পাওয়ার সম্পূর্ণ হক্বদার। ইমামে রব্বানী হযরত মুজাদ্দিদে আলফে সানী রহমতুল্লাহি আলাইহি একবার কোন প্রয়োজনে বাইরে গেলেন। ফিরে এসে দেখতে পেলেন স্বীয় ছাহেবজাদা হযরত ইমাম মা’ছূম রহমতুল্লাহি আলাইহি তাঁর বিছানায় ঘুমিয়ে রয়েছেন।

তা দেখে তিনি অতি নি:শব্দে ঘর থেকে বেরিয়ে আসলেন। মুরীদ-মু’তাকেদীনগণ হযরত ইমাম মা’ছূম রহমতুল্লাহি আলাইহিকে ডাকতে উদ্যত হলো কিন্তু তিনি বাঁধা দিলেন। বললেন, আল্লাহ পাক-এর ওলীকে কষ্ট দেয়া সমীচিন হবেনা। তাঁর ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। পরে মুরীদ-মুতাকেদীনগণ অন্য একস্থানে তাঁর বসার জায়গা করে দিলেন। সেখানে বসে তিনি হযরত ইমাম মা’ছূম রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর সজাগ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করলেন। যখন তিনি স্বেচ্ছায় ঘুম হতে জাগ্রত হলেন তখন সেখানে তাশরীফ আনলেন। (সুবহানাল্লাহ) মুর্শিদ ক্বিবলা’র আওলাদ-ফরজন্দগণ মুরীদের জন্য রহমত-বরকত ও ছাকীনা লাভের কারণও বটে।  ইমামে আ’যম, হযরত আবু হানীফা রহ্মতুল্লাহি আলাইহি, মাহ্বুবে ইলাহী, হযরত নিযামুদ্দীন আউলিয়া রহ্মতুল্লাহি আলাইহিসহ অনেক আউলিয়ায়ে কিরামই সেই বিষয়টির হাক্বীক্বীতে (প্রকৃতাবস্থায়) পৌঁছেছিলেন। ইমামে আ’যম, হযরত আবু হানীফা রহ্মতুল্লাহি আলাইহি স্বীয় মুর্শিদ ক্বিবলা হযরত ইমাম বাকের রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর আওলাদ হযরত ইমাম জাফর সাদিক রহমতুল্লাহি আলাইহিকে মুর্শিদ ক্বিবলা জাত হিসেবে মুর্শিদ ক্বিবলা’র মত সম্মান-ইজ্জত করতেন। ফলশ্রুতিতে হযরত ইমাম বাকের রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর চরম-পরম নৈকট্য ও রেযামন্দি হাছিল করেছিলেন। এমনকি তাঁর বিদায়ের পর মুর্শিদ ক্বিবলা’র আওলাদ হযরত ইমাম জাফর সাদিক রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর নিকট নিয়ামতের পূর্ণ সম্ভার হাছিল করেছিলেন, যার বর্ণনা দেয়া অসম্ভব। পরবর্তী সময়ে ইমামে আ’যম হযরত আবু হানিফা রহমতুল্লাহি আলাইহি সে সম্পর্কে নিজেই বলেছেন-

لولا سنتان لهلك ابو نعمان.

অর্থাৎ- ‘‘যদি আবু নু’মান (হযরত আবু হানিফা) দু’বছর না পেতেন তাহলে অবশ্যই তিনি ধ্বংস হতেন।’’

অনুরূপভাবে শায়খুল আলম, সুলতানুল মুহাক্কিকীন, হযরত বাবা ফরিদুদ্দীন মাসউদ রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর আওলাদ-ফরজন্দ মাহবুবে ইলাহী হযরত নিযামুদ্দীন আউলিয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর জন্য যে রহমত, বরকতের কারণ হয়েছিলেন তা সূর্যের মত উজ্জ্বল এবং পরবর্তী সকল সূফী, দরবেশদের জন্য ইবরত, নছীহতরূপে বিরাজমান।

একবার শাইখুল আলম, সুলতানুল মুহাক্কিকীন হযরত ফরীদুদ্দীন মাসউদ রহ্মতুল্লাহি আলাইহি ‘আওয়ারিফুল মায়ারিফ’ নামক কিতাবখানা পড়াচ্ছিলেন। কয়েক ছবক পড়ার পরই তিনি কোন কোন জায়গায় থেমে যেতে লাগলেন। হযরত সুলতান মাশায়েখের হাতে যেই নুস্খাটি ছিলো সেটার লেখা ভাল ছিলনা। কিম্বা লিখা খুব সূক্ষ্ম ছিল যার কারণে হযরত শায়খ রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর পড়তে কষ্ট হচ্ছিলো অথবা পড়তেছিলেন কিন্তু থেমে থেমে এ সম্পর্কে চিন্তা করতেছিলেন।

এমন সময় হযরত নিযামুদ্দীন আউলিয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি বলে উঠলেন, ‘আমি হযরত মুন্তাজাবুদ্দীন মুতাওয়াক্কেল রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর নিকট আওয়ারিফের একটি ভাল নুস্খা দেখেছি।’ হযরত নিযামুদ্দীন আউলিয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, আমার এই কথাটির বাহ্যিক মর্ম এই দাঁড়াল যে, আমি শেখ মুতাওয়াক্কেলের নিকট এর একটি বিশুদ্ধ নুস্খা দেখেছি। অর্থাৎ যেন আমি এতে নিজের জ্ঞানের প্রশস্ততা প্রকাশ করলাম। সঙ্গে সঙ্গেই হযরত শায়খ রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর তরফ হতে গম্ভীর স্বরে আওয়ায আসলো, অশুদ্ধ কপি সংশোধনের ক্ষমতা দরবেশের নেই? একথাটি একবার নয় পরপর কয়েকবার বললেন। আমি প্রথমে বুঝতে পারলাম না যে, এটা কাকে বললেন, কিন্তু আমার সহপাঠি হযরত মাওলানা বদরুদ্দীন ইসহাক রহমতুল্লাহি আলাইহি বললেন, আপনাকে লক্ষ্য করেই বলতেছেন।

একথা শুনে আমার জ্ঞান লোপ পেতে লাগল। আমি মাথার পাগড়ী খুলে ফেলে হযরত শায়খ রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর পা মুবারকের উপর লুটে পড়লাম। কেননা, আমার ধারণা হলো, আমার উক্তি হযরত শায়খ রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর মর্যাদায় আঘাত করেছে। কাজেই আমি ক্ষমা চেয়ে বলতে লাগলাম, আমি শুধু হযরতকে জানালাম যে, অমুকের কাছে বিশুদ্ধ নুস্খা আছে। এতে আমার জ্ঞানের প্রশস্ততা প্রকাশ বা হযরতের জ্ঞানের সংকীর্ণতার প্রতি ইঙ্গিত করা আমার আদৌ উদ্দেশ্য ছিলনা। কিন্তু আমি বললে কি হবে, আমার প্রকৃত উদ্দেশ্য তা না থাকলেও আমার উক্তির অন্তরালে সেই উদ্দেশ্য নিহিত ছিল। কাজেই যতই ক্ষমা চাইলাম কোনই ফল হলো না, ক্ষমা পেলাম না। হায়! সবকিছু বাদ দিয়ে হযরত বাবা ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর দরবারে আসলাম কিন্তু ‘অমুকের নিকট একটি বিশুদ্ধ কপি দেখেছি’- উক্তি আমাকে আজ এই অবস্থায় পৌঁছে দিল। আমি অবশ্য বলতে পারতাম, হযরত এখানে আমার এমন জঘন্য অপরাধ কি হয়েছে যে, তা ক্ষমার অযোগ্য? আমি তো শুধু এতটুকুই প্রকাশ করেছি যে, ‘অমুকের নিকট একটি বিশুদ্ধ কপি আছে, তা দেখেছি মাত্র।’ কিন্তু আমি তা বলতে পারলাম না। কেননা, আমি নিজের আভ্যন্তরীণ রোগের চিকিৎসা করাতে এসেছি। হযরত শায়খ রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর দুর্বলতার চিকিৎসা করার জন্য অজুধনে আসিনি। আমি তো পূর্বেই সিদ্ধান্ত করে ফেলেছি যে, হযরত শায়খ রহমতুল্লাহি আলাইহি একজন বিচক্ষণ চিকিৎসক। অতএব, তাঁর খুঁত বের করার অধিকার কোথায়? যা হোক, হযরত শায়খ রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর অসন্তোষের ও ক্রোধের কোন পরিবর্তন না দেখে নিরাশ হয়ে দরবার শরীফ হতে উঠে পড়লাম। দুঃখ ও চিন্তায় আমার মন এত ভারাক্রান্ত হয়ে পড়ল যে, আমার চোখ হতে অশ্রুর বন্যা ছুটল।

চিকিৎসক আমার চিকিৎসা করতে অস্বীকৃতি প্রকাশ করেছেন। আর এই জীবন রেখে কি লাভ হবে? কাজেই আত্মহত্যা করার উদ্দেশ্যে একটি কূপের নিকট গিয়ে পৌঁছলাম; কিন্তু আবার ভাবলাম, লোকে মনে করবে আমাকে কেউ ধাক্কা মেরে কূপের ভিতরে ফেলে দিয়েছে। আর এই অপরাধে বহু লোককে গ্রেফতার করা হবে। এতদ্ব্যতীত দুঃখ ও চিন্তার ফলে জ্ঞান-বুদ্ধি লোপ পাবার উপক্রম হলেও হয়ত মনের কোণে এই চিন্তাও জেগেছিল যে, আত্মহত্যা করা কবীরা গুনাহ্। অতঃপর আত্মহত্যার সংকল্প পরিত্যাগ করলাম।  অবশেষে তথা হতে ফিরে এসে অজুধনের মাঠে ও জঙ্গলে বিলাপ করতে করতে ঘুরে বেড়াতে লাগলাম। এইরূপে মাসাধিক কাল অতিবাহিত হয়ে গেল। হযরত শিহাবুদ্দিন রহমতুল্লাহি আলাইহি নামে হযরত শায়খ রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর এক আওলাদ ছিলেন, তাঁর সঙ্গে আমার গভীর তাওয়াল্লুক ও নিসবত ছিলো। আমি তাঁকে অত্যন্ত মুহব্বত করতাম।

হযরত শায়খ রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর ন্যায় সম্মান-ইজ্জত করতাম। তিনি আমাকে এই দুরবস্থায় দেখে সদয় হলেন এবং হযরত শায়খ রহমতুল্লাহি আলাইহিকে আমার দুরবস্থার কথা অবহিত করে আমার জন্য সুপারিশ করলেন। হযরত শায়খ রহমতুল্লাহি আলাইহি তাঁর সুপারিশ কবুল করত: বললেন, আচ্ছা তাঁকে আসতে বলো। অনুমতি পেয়ে আমি ঊর্ধ্বশ্বাসে দৌঁড়ে গিয়ে হযরত শায়খ রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর পা মুবারকের উপর লুটে পড়লাম। হযরত শায়খ রহমতুল্লাহি আলাইহি দয়া পরবশ হয়ে আমার অপরাধ ক্ষমা করলেন এবং পরবর্তী দিন আমাকে দরবার শরীফে উপস্থিত থাকতে বললেন।  আমি যথাসময়ে দরবার শরীফে উপস্থিত হলে তিনি বললেন,  মুরীদের সমস্ত বিশৃঙ্খলাকে সুবিন্যস্ত করা এবং সমস্ত অপরিষ্কার, অপরিচ্ছন্নতাকে মেঝে-ঘষে পরিষ্কার করে দেয়াই মুর্শিদের কাজ। এই বলে তিনি তাঁকে খাছ পোশাক পরিয়ে অতি উচ্চ মর্যাদায় পৌঁছে দিলেন। তথা খিলাফত দান করলেন। (সুবহানাল্লাহ)  (তাযকিরাতুল আউলিয়া)

ফিক্বহুল হাদীছ ওয়াল আছার পীর ছাহেব ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে (৮৭)

ফিক্বহুল হাদীছ ওয়াল আছার পীর ছাহেব ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে (৮৯)

ফিক্বহুল হাদীছ ওয়াল আছার পীর ছাহেব ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে (৯০)

ফিক্বহুল হাদীছ ওয়াল আছার পীর ছাহেব ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে (৯১)

ফিক্বহুল হাদীছ ওয়াল আছার পীর ছাহেব ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে (৯২)