ফিক্বহুল হাদীছ ওয়াল আছার পীর ছাহেব ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে (৬৮) -হযরত মাওলানা মুফতী সাইয়্যিদ মুহম্মদ আব্দুল হালীম

সংখ্যা: ১২০তম সংখ্যা | বিভাগ:

পীর ছাহেব ক্বিবলা-এর দরবার  শরীফে অবস্থানের আদব

 

২। পীর ছাহেব ক্বিবলা যদি তাঁর দরবার শরীফে থাকার কিংবা তাঁর ছোহ্বত ইখতিয়ার করার অনুমতি প্রদান করেন তাহলে তা আল্লাহ্ পাক-এর বিশেষ নিয়ামত মনে করতে হবে। সুতরাং যথাসাধ্য দান-সদকা, নামায-কালাম পড়ে তার শুকরিয়া আদায় করবে। মহান আল্লাহ্ পাক তাঁর কালাম পাকে ইরশাদ করেছেন,

لئن شكرتم لازيدنكم ولئن كفرتم ان عذابى لشديد.

অর্থঃ- “যদি তোমরা নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় কর তাহলে অবশ্যই অবশ্যই নিয়ামত বৃদ্ধি করে দিব। আর যদি শুকরিয়া আদায় না কর তাহলে আমার আযাব হবে অত্যন্ত কঠিন।” (সূরা ইব্রাহীম/৭) আর আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, “যে ব্যক্তি শুকরিয়া আদায় করার তাওফীক প্রাপ্ত হয় সে কোন সময় নিয়ামতের বরকত ও বৃদ্ধি থেকে বঞ্চিত হয়না।” (তাফসীরে মাযহারী) ৩। যদি পীর ছাহেব ক্বিবলা তাঁর ছোহ্বতে থাকার কিংবা দরবার শরীফে অবস্থান করার অনুমতি প্রদান করেন তাহলে যতদিন থাকার ইচ্ছা করবে সে পরিমাণ অর্থ-সম্পদ, বিছানাপত্র অন্যান্য প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র সঙ্গে নিয়ে আসবে। কোন সময় কারো যেন মুখাপেক্ষী হতে না হয় তার প্রতি বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখবে। আর এটাই হচ্ছে ‘তাক্বওয়া।’ কেননা, এর খেলাফ করা আল্লাহ্ পাক ও তাঁর হাবীব সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পছন্দ করেন না। ‘বুখারী শরীফে’ উল্লেখ আছে, “রঈসুল মুফাস্সিরীন হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, ইয়েমেনবাসীরা হজ্জ করতে আসলে প্রয়োজনীয় খরচ নিয়ে আসতো না। তারা বলতো, আমরা আল্লাহ্ পাক-এর উপর তাওয়াক্কুলকারী। এভাবে মক্কা শরীফে পৌঁছে মানুষের কাছে সুওয়াল করত, সাহায্য প্রার্থনা করতো। যার ফলে তারা নিজেরা যেমন কষ্ট করত অনুরূপ অন্যান্য মানুষদেরকেও কষ্ট দিত। হযরত ইমাম বাগবী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেছেন, ‘তাদের এ অবস্থা তাদেরকে চুরি-ছিনতাই ইত্যাদি কাজে বাধ্য করত। তখন আল্লাহ্ পাক নাযিল করলেন,  تزودوا فان خير الزاد التقوى.  অর্থঃ- “তোমরা পাথেয় সাথে নাও। নিঃসন্দেহে সর্বোত্তম পাথেয় হচ্ছে (তাক্বওয়া) আল্লাহ্ভীতি তথা অন্যের কাছে সুওয়াল করা বা চাওয়া হতে বিরত থাকা।” (সূরা বাক্বারা/১৯৭, তাফসীরে মাযহারী, জালালাইন)

উল্লেখ্য, পরমুখাপেক্ষী হওয়া, অন্যের করুণার পাত্র হওয়া তথা অপরের কাছে হাত পাতা, কারো সাহায্য-সহযোগিতা পাওয়ার আশা পোষণ করা ছূফীগণের স্বভাব বিরোধী কাজ। সর্বদা আল্লাহ্ পাক-এর উপর তাওয়াক্কুল করা এবং নিজের কাছে যা আছে তাতেই সন্তুষ্ট থাকাই হচ্ছে তাদের চারিত্রিক প্রধান খুছূসিয়ত বা বৈশিষ্ট্য।  আর আল্লাহ্ পাক ও তাঁর হাবীব সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে বিষয়গুলো অপছন্দ ও ঘৃণা করেন সেগুলো পরিত্যাগ করতঃ পছন্দনীয় ও সৎ স্বভাবের অনুশীলন করা তথা রিয়াজত-মুশাক্কাত দ্বারা তা নিজের স্বভাবে পরিণত  করার কোশেশ করাই হচ্ছে সূফীয়ানে কিরাম-এর আদত বা স্বভাব। সর্বোপরি আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া ইরশাদ করেন,

ومن يستعف يعفه الله ومن يستغن يغنه الله ومن يتصبر يصبره الله وما اعطى احد عطاء هو خير واوسع من الصبر.

অর্থঃ- “যে ব্যক্তি চাওয়া হতে বেঁচে থাকতে চায়; আল্লাহ্ পাক তাকে বেঁচে থাকার উপায় বের করে দেন এবং যে কারো মুখাপেক্ষী হতে চায়না আল্লাহ্ পাক তাকে কারো মুখাপেক্ষী করেননা। আর যে ব্যক্তি ধৈর্য্যধারণ করতে চায় আল্লাহ্ পাক তাকে ধৈর্য্যধারণ করার তাওফীক দান করেন। আর ধৈর্য্য অপেক্ষা উত্তম এবং প্রশস্ত কোন নিয়ামত কেউ লাভ করতে পারেনা।” (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত/১৬২) তিনি আরো ইরশাদ করেন,

من اصابته فاقة فانزلها بالناس لم تسد فافته ومن انزلها بالله اوشك الله له بالغنى اما بموت عاجل اوغنى اجل.

অর্থঃ- “যে ব্যক্তি অভাবে পতিত হয়েছে এবং এটা মানুষের নিকট প্রকাশ করেছে তার অভাব দূরীভূত হবেনা। আর যে এটা আল্লাহ্ পাক-এর নিকট নিবেদন করেছে নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক-ই তাকে ধনী করবেন- হয় শীঘ্রই তার মৃত্যু দ্বারা অথবা সম্পদ দানের মাধ্যমে।” (আবু দাউদ শরীফ, তিরমিযী শরীফ, মিশকাত শরীফ/১৬৩)      হযরত আবু যর গিফারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, “একদা সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিয়্যীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে ডেকে এই অঙ্গীকার করালেন যে, তুমি মানুষের কাছে কোন কিছু চাবেনা। এমনকি তিনি এটাও বলে দিলেন, তোমার চাবুক সম্পর্কেও সুওয়াল করবেনা। যদি এটা পড়ে যায় তবে নিজে (বাহন হতে) অবতরণ করে উঠিয়ে নিবে।” (আহমদ, মিশকাত/১৬৪) আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেন,

من يكفل لى ان لا يسأل الناس شيئا فاتكفل له بالجنة.

অর্থঃ- “যে ব্যক্তি আমার নিকট অঙ্গীকার করবে যে, সে মানুষের নিকট কিছু চাবে না তাহলে আমি তার জন্য জান্নাতের অঙ্গীকার করব।” (আবূ দাউদ, নাসাঈ  মিশকাত /১৬৩)  ৪। দরবার শরীফ দৃষ্টিগোচর হওয়া মাত্রই কিংবা দরবার শরীফের নিকটবর্তী হলে যানবাহন থেকে নেমে যাবে। পায়ে হেঁটেই দরবার শরীফে প্রবেশ করবে।         পূর্ববর্তী ইমাম-মুজতাহিদ, ছূফী-দরবেশ তথা আউলিয়া-ই-করামগণ স্ব-স্ব পীর ছাহেব ক্বিবলা-এর দরবার শরীফকে দরবারে নববী শরীফের মতই তাযীম-তাকরীম করতেন। তাঁর দরবার শরীফের তাযীমার্থে জুতা-স্যান্ডেল পর্যন্ত পরিধান করতেননা। কোন ছওয়ারীর উপর আরোহন করা চরম বেয়াদবী মনে করতেন।   মালিকী মাযহাবের ইমাম, হযরত ইমাম মালেক রহমতুল্লাহি আলাইহি মদীনা শরীফে কখনো যানবাহনের উপর আরোহণ করেননি। মদীনা শরীফের বাইরে গিয়ে তিনি প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতেন।  ৫। পীর ছাহেবের দরবার শরীফকে পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ স্থান জ্ঞান করবে। সুতরাং পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ স্থানের কিরূপ সম্মান-ইজ্জত বজায় রাখা দরকার তা গভীরভাবে ফিকির করবে। আশেকে রসূল, ইমামুল মুহাদ্দিসীন, হযরত মাওলানা শাহ্ আব্দুল হক মুহাদ্দিছ দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি স্বীয় বিশ্বখ্যাত কিতাব ‘জযবুল কুলূব ইলা দিয়ারিল মাহ্বুব’ এ উল্লেখ করেন,

حافظا علم وادب ورز كه درحضرت شاه بر كرا نيست ادب لائق قربت نبود.

অর্থাৎ- “হে হাফিয (শিরাজী) ইল্ম এবং আদব শিখে নাও। কেননা, যে ব্যক্তি আদব রক্ষা করে চলেনা সে বাদশাহ্র নৈকট্য লাভের উপযুক্ত নয়।” ৬। দরবার শরীফের ধুলো-বালিকে পবিত্র ও বরকতের কারণ মনে করবে। সুতরাং শরীর থেকে তা মুছে ফেলবে না। তবে আপছে আপ যদি পড়ে যায় তবে তা স্বতন্ত্র। মনে করবে এই ধুলো-বালি তোমার প্রেমাস্পদের পা মুবারকের পরশ পেয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে তা আর সাধারণ ধুলা-বালি নয় বরং তার মূল্য বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।  বর্ণিত রয়েছে, একবার মজনু ময়দানের মধ্যে একটি কুকুরকে ধরে অতি আদরের সাথে সেই কুকুরের পায়ে চুম্বন করতে লাগলো। তা দেখে এক ব্যক্তি বললো হে মজনু! তোমার এ কেমন আচরণ একটা কুকুর সে সর্বদা নাপাক জিনিস খায়, নিজের মুখের লালা দ্বারা সারা শরীর নাপাক করে, অথচ তুমি তার পায়ে চুম্বন করছ? জাওয়াবে মজনু বললো, তোমরা গাল-মন্দ ছেড়ে দাও। কারণ আমি স্বচক্ষে দেখেছি সে আমার প্রেমাস্পদ লাইলীর গলি পথে বিচরণ করছে।        অর্থাৎ লাইলীর গলি পথে বিচরণ করার কারণে লাইলীর পায়ের ধুলা-বালি তার পাঁ স্পর্শ করেছে। সুতরাং আমি কুকুরের পাঁ চুম্বন করছিনা। বরং আমি চুম্বন করছি লাইলীর পায়ের ধুলা-বালি। মূলতঃ মুহব্বতই সব কিছুকে সহজ ও সহনীয় করে তোলে, সেটাই কবি বলেছেন, از محبت تلخوها شيريف شود.  “মুহব্বতের কারণে তিতা জিনিসটাও মিষ্টি হয়ে যায়।”

 বিশ্ব সমাদৃত, হযরত আউলিয়া-ই-কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণের অনুপম মুবারক চরিত গ্রন্থ

আখবারুল আখইয়ার- (৮৪) হযরত শায়খ জামাল হাঁসূবী রহমতুল্লাহি আলাইহি  (জন্মঃ ৬২৮ হিজরী, ওফাতঃ ৭০০ হিঃ) মূলঃ হযরত শায়খ আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহ্লভী রহমতুল্লাহি আলাইহি, ভাষান্তরঃ মুহম্মদ শামসুল আলম

 হযরত শায়খ জামালুদ্দীন হাঁসূবী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর আরেকজন ছেলে ছিলেন যিনি অত্যন্ত সমঝদার ছিলেন। কিন্তু জীবনের শেষ দিকে তিনি মজযুব বা দিওয়ানা হয়ে যান। যার সম্পর্কে হযরত মাহবুবে ইলাহী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলতেন, তিনি কখনো কখনো সজ্ঞান ও সুস্থতা লাভ করেন আর তখন জ্ঞানী, আকলমন্দের মতই কথাবার্তা বলেন। আমি স্বয়ং নিজে একদা তাঁর থেকে একটা বাক্য শ্রবণ করেছি; তিনি বলেছিলেন,

العلم حجاب الله الاكبر.

অর্থাৎ- আল্লাহ্ পাক-এর রাস্তায় ইল্ম হচ্ছে সবচাইতে বড় হিজাব বা পর্দা।”  এটা শুনে আমার ইয়াক্বীন হলো, তিনি সত্যিই হাক্বীক্বী মজযুব। যখন আমি তাঁকে ঐ বাক্যের উদ্দেশ্য সম্পর্কে প্রশ্ন করলাম তখন তিনি বললেন, ইল্ম হিজাব সেই ইল্ম যা আল্লাহ্ পাক-এর সাথে সম্পর্কযুক্ত নয়। আর যে জিনিস আল্লাহ্ পাক-এর সাথে সম্পর্কযুক্ত নয় সেটাই আল্লাহ্ পাককে পাওয়ার পথে হিজাব পর্দা স্বরূপ।  হযরত শায়খ আরিফ রহ্মতুল্লাহি  আলাইহি জন্মঃ ৬৩১ হিজরী, ওফাতঃ ৬৯১ হিজরী হযরত শায়খ আরিফ রহ্মতুল্লাহি আলাইহি হযরত বাবা ফরিদুদ্দীন মাসউদ গন্জে শোকর রহ্মতুল্লাহি আলাইহি-এর মুরীদ ছিলেন। তাঁর সম্পর্কে লোক মুখে এ ধরণের (একটি কথা) বর্ণিত আছে যে, উচঁ এবং মুলতানের হাকিম(একদা) হযরত শায়খ আরিফ রহ্মতুল্লাহি আলাইহি-এর মারফত এক’শ তঙ্গাঁ (টাকা) হযরত বাবা ছাহেব রহ্মতুল্লাহি আলাইহি-এর নিকট হাদিয়া পাঠালেন। যার মধ্য থেকে পঞ্চাশ  তঙ্গাঁ  (টাকা) হযরত শায়খ আরিফ রহ্মতুল্লাহি আলাইহি নিজের কাছে রেখে দিলেন। আর বাকী টাকা হযরত বাবা ছাহেব রহ্মতুল্লাহি আলাইহি-এর নিকট পৌঁছে দিলেন। (এটা তাঁর বাবা ছাহেব রহ্মতুল্লাহি আলাইহি-এর নিকট বাইয়াত হওয়ার পূর্বের ঘটনা।)  যখন হযরত শায়খ আরিফ রহ্মতুল্লাহি আলাইহি হযরত বাবা ছাহেব রহ্মতুল্লাহি আলাইহি-এর নিকট হাদিয়া পৌঁছালেন তখন তিনি তাঁকে দেখে মুচকি হাসলেন এবং বললেন, ‘হে আরিফ! নিশ্চয়ই তুমি হাদিয়া (সঠিকভাবে) পৌঁছাওনি।’  এ কথা শুনে হযরত শায়খ আরিফ রহ্মতুল্লাহি আলাইহি  শরমিন্দা হলেন এবং যে পঞ্চাশ টাকা তাঁর নিকট ছিল তা তিনি হযরত বাবা ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর নিকট পেশ করলেন এবং অত্যন্ত আযীযী ইনকিসারির সাথে শায়খের নিকট ক্ষমা চাইলেন (এমনকি) শেষ পর্যন্ত তাঁর নিকট মুরীদ হয়ে গেলেন। মুরীদ হবার পর তিনি মাথা মুণ্ডন করে হযরত শায়খ রহ্মতুল্লাহি আলাইহি-এর নিকট খেদমত থেকে (তরীক্বতে) পূর্ণতা হাছিল করলেন। অতঃপর হযরত বাবা ফরিদুদ্দীন মাসউদ গন্জে শোকর রহ্মতুল্লাহি আলাইহি তাঁেক খিলাফত দিয়ে বাইয়াত করার ইজাযত দিলেন এবং সিস্তানের দিকে পাঠিয়ে দিলেন।  হযরত শায়খ ছাবির রহ্মতুল্লাহি আলাইহি জন্মঃ ৬০৮ হিজরী, ওফাতঃ ৬৭৯ হিজরী    ‘সিয়ারুল আউলিয়া’ কিতাবে হযরত শায়খ ছাবির রহ্মতুল্লাহি আলাইহি সম্পর্কে বর্ণিত আছে, তিনি অত্যন্ত মজবুত ও নিয়ামত সম্পন্ন দরবেশ ছিলেন এবং তিনিও হযরত ফরিদুদ্দীন গন্জে শোকর রহ্মতুল্লাহি আলাইহি-এর মুরীদ ছিলেন। হযরত বাবা ছাহেব রহ্মতুল্লাহি আলাইহি যখন তাঁকে বাইয়াত করার ইজাযত দিলেন তখন তাঁকে বললেন, ‘হে ছাবির! তুমি আরাম আয়েশের সাথে যিন্দিগী গুজরান করবে।’ অবশেষে শায়খ রহ্মতুল্লাহি আলাইহি এর কথাই বাস্তবে প্রতিফলিত হলো। এবং তিনি তামাম যিন্দিগী ভর (অত্যন্ত) আরাম-আয়েশ এবং খোশ-বাশের সাথে কাঁিটয়ে দেন এবং সম্ভবত তিনি ঐ ছাবির রহ্মতুল্লাহি আলাইহি যিনি হযরত বাবা ছাহেব রহ্মতুল্লাহি আলাইহি-এর জামাতা ও খলীফা ছিলেন এবং তাঁর মাযার মুবারক কালিয়ার শরীফে অবস্থিত এবং যার সিলসিলা হযরত আব্দুল কুদ্দুস গাঙ্গুহী রহ্মতুল্লাহি আলাইহি এবং অন্যান্য মাশায়িখে কিরাম রহ্মতুল্লাহি আলাইহিম পর্যন্ত পৌঁছেছে।

ফিক্বহুল হাদীছ ওয়াল আছার পীর ছাহেব ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে (৬০)

ফিক্বহুল হাদীস ওয়াল আছার পীর ছাহেব ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে (৬২)

ফিক্বহুল হাদীস ওয়াল আছার পীর ছাহেব ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে (৬৩)

পীর ছাহেব ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে (৬৪)