বর্তমান বিশ্ববাজারে হালাল পণ্যের ৩ কোটি মার্কিন ডলারের বাজার হলেও ২০২৪ সালে হবে প্রায় ১২ ট্রিলিয়ন ডলার। সুবিশাল এই বাজারে প্রবেশে অনেকটাই ব্যর্থ বাংলাদেশ। অথচ মান নিয়ন্ত্রন এবং উন্নত পণ্য ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশও এই সুবিশাল বাজার ধরে বিশ্বের সর্বপ্রধান অর্থনৈতিক সমৃদ্ধশালী দেশ হতে পারে। সরকারের উচিত- হালাল পণ্য উৎপাদন রফতানিতে প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করা এবং মুসলিম বিশ্বের বাজার ধরতে কুটনৈতিক তৎপরতা চালানো।

সংখ্যা: ২৮২তম সংখ্যা | বিভাগ:

সম্মানিত ইসলামি বিধিবিধানে যে ধরনের পণ্য ও সেবা মানবজীবনে গ্রহণ করার অনুমোদন রয়েছে, সেগুলোকে হালাল বলা হয়ে থাকে। হালাল নির্ধারণ করা হয় ব্যবহৃত কাঁচামাল, উৎপাদন প্রক্রিয়া প্রভৃতি ইসলামিক বিধিবিধান অনুযায়ী কি-না তা বিবেচনা করে। বিশ্ববাজারে হালাল পণ্য রপ্তানিতে সম্ভাবনার নতুন দুয়ারে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ। বর্তমানে ৪৯টি দেশীয় কোম্পানি ৪৩ দেশে ৩০০-এরও অধিক হালাল পণ্য রপ্তানি করেছে। বিদেশে প্রতিনিয়ত বাড়ছে বাংলাদেশি হালাল পণ্যের বাজার। বর্তমানে বিশ্বে হালাল পণ্যের বাজারের পরিমাণ ৩০০ কোটি লাখ মার্কিন ডলারের উপরে। এখন পর্যন্ত ব্যবসায়ী টু ব্যবসায়ী পর্যায়ে এই ব্যবসা চলছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশ্ববাজারে দেশীয় হালাল পণ্যের বিপুল চাহিদা থাকলেও প্রয়োজনীয় মান সনদের অভাবে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে পিছিয়ে পড়ছে বাংলাদেশ। অন্যদিকে হালাল পণ্যের বড় বাজারগুলো অমুসলিম দেশগুলো দখল করে রাখলেও মুসলিম দেশ হিসেবে আমাদের সম্ভাবনা কাজে লাগানো যাচ্ছে না। অথচ এই সুযোগ কাজে লাগানো গেলে কৃষিপণ্য হিসেবে বর্তমান রপ্তানিকে আরো ১০ গুণ বাড়ানো সম্ভব। কিছুদিন আগে বাণিজ্য সচিবও বলেছে  বিশ্বব্যাপী হালাল পণ্যের বিশাল বাজার সৃষ্টি হয়েছে। দিন দিন এ বাজার বড় হচ্ছে। আমাদের সুযোগ এসেছে হালাল পণ্যের রফতানি বাজার দখল করার।’

উল্লেখ্য, হালাল পণ্যের গুণগত মান এবং স্বাস্থ্যঝুঁকি না থাকায় নিরাপদ খাদ্য হিসেবে শুধু মুসলিম জনগোষ্ঠী নয়; যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের অমুসলিম জনগোষ্ঠীর মাঝেও এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। হালাল পণ্যের বিশ্ববাজার ৩ ট্রিলিয়ন ডলারের উপরে। ২০২৪ সালের এই বাজার হবে ১২ ট্রিলিয়ন ডলার। বিশ্বের মুসলিম জনগণ ২০১৭ সালে হালাল পণ্যে ব্যয় করে ২ ট্রিলিয়ন ডলার। এটা প্রতিবছর ২০% হারে বাড়ছে। বর্তমানে বাংলাদেশে ১১৫টি কোম্পানি ৭০০ এর বেশি পণ্যের সনদ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে থেকে ৪৯ কোম্পানি তাদের ৩০০ এর বেশি হালাল পণ্য বিশ্বের ৪৩ দেশে রপ্তানি করছে। কুয়েত, দুবাই এবং মালদ্বীপ এই তিন দেশে হালাল গোশত রপ্তানি করছে বাংলাদেশ। এছাড়া বিশ্বব্যাপী হালাল হিসেবে পরিচিত কিছু পণ্য রফতানি করছে বাংলাদেশ। কিন্তু বিশ্বব্যাপী হালাল পণ্যের বিশাল বাজার হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্বব্যাপী হালাল পণ্যের বাজারের খুব কম অংশই দখল করতে পেরেছে।

তৈরি পোশাকের বৈশ্বিক বাজারে বাংলাদেশ নেতৃত্ব অবস্থানে রয়েছে। ফলে শরীয়তসম্মত পোশাক বা হালাল পোশাকের বাজারে বাংলাদেশের অংশ বাড়ানো সহজ। হালাল পোশাক-পরিচ্ছদের সবচেয়ে বড় রফতানিকারক সংযুক্ত আরব আমিরাত। এরপরই তুরস্ক, ইতালি, সিঙ্গাপুর, ফ্রান্স, চীন, মালয়েশিয়া, ভারত, শ্রীলঙ্কা ও মরক্কো। বাংলাদেশ তৈরি পোশাক রফতানিতে বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকলেও হালাল পোশাকের বাজারে অংশগ্রহণ নেই বললেই চলে। একইভাবে ওষুধ ও চামড়াজাত পণ্য রফতানিতেও বাংলাদেশ অন্যান্য দেশের তুলনায় এগিয়ে থাকলেও হালাল বাজারে অংশ কম। বাংলাদেশ যেসব পণ্য রফতানি করছে, সেগুলো হালালভাবে উৎপাদন হচ্ছে কি-না বৈশ্বিক ক্রেতারা তা জানেনা। এমনকি এ বিষয়ে বাংলাদেশের প্রচারেরও ঘাটতি রয়েছে। আবার অন্যান্য ক্যাটাগরি যেমন হালাল খাদ্যসামগ্রী, হালাল পর্যটন, হালাল ফার্মাসিউটিক্যালস ও হালাল প্রসাধনীর কোথাও প্রথম ১০ এ বাংলাদেশ নেই।

বিশেষজ্ঞরা বলছে, বাংলাদেশের হালাল পণ্য রফতানির যথেষ্ঠ সক্ষমতা রয়েছে। এ সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। দখল করতে হবে হালাল পণ্যের রফতানি বাজার। বিশ্বব্যাপী হালাল খাদ্য সবার নিকট নিরাপদ হিসেবে ইতোমধ্যেই ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা লাভ করেছে।

কিন্তু বাংলাদেশে হালাল সার্টিফিকেশনের সুদৃঢ় অবকাঠামো, আইনগত ভিত্তি এবং সার্টিফিকেশনের গ্রহণযোগ্যতা সৃষ্টি করা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে সরকার ইসলামী ফাউন্ডেশনকে হালাল সনদ ইস্যুকারী কর্তৃপক্ষ হিসেবে নির্ধারণ করেছে। অথচ সেখানে পণ্যের মান সনদ নিশ্চিত করার কোনো কার্যক্রম নেই। শুধু সনদ প্রদানের মধ্যেই তাদের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ। এক্ষেত্রে যদি ওআইসি প্রণীত আন্তর্জাতিক হালাল মান অনুসরণপূর্বক দেশে যেভাবে বিভিন্ন পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রনের জন্য প্রতিষ্ঠান রয়েছে সেরূপভাবে হালাল পণ্য রফতানির স্বার্থে হালাল মান নিয়ন্ত্রন ও পরিবীক্ষন প্রতিষ্ঠান তৈরী করা হয় তাহলে আন্তর্জাতিক হালাল পণ্য ক্রেতামহলের দৃষ্টি আকর্ষন করা সম্ভব হবে। যা হালাল পণ্য রফতানি বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

প্রসঙ্গত, হালাল পণ্য রফতানিতে বহু আগ থেকেই বাংলাদেশে সম্ভাবনা বাড়ছিলো। কিন্তু বিশ্বব্যাপী হালাল পণ্য রফতানির জন্য যে মানসনদের প্রয়োজন হয় কিংবা মান রক্ষা করতে হয় সে সম্পর্কে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে অবহেলার পরিচয় দিয়েছে সরকার সংশ্লিষ্ট মহল। অথচ, বর্তমান সময়ে তুরস্ক, মালেশিয়া, ব্রুনাই, পাকিস্তানসহ মুসলিম বিশ্বের প্রায় অধিকাংশ দেশগুলোর সাথেই বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ও কুটনৈতিক সম্পর্ক শক্তিশালী হতে শুরু করেছে। বাংলাদেশের প্রতিটি খাতে অভাবনীয় সম্ভাবনার কথা বিবেচনা করেই তারা বাংলাদেশের সাথে কাজ করতে চাচ্ছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ যদি মুসলিম দেশগুলোর সাথে সম্পর্কোন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে তাহলে ওই দেশগুলো বাংলাদেশের জন্য বিশাল হালাল পণ্যের রফতানি বাজারে পরিণত হবে।

সঙ্গতকারণেই আমরা মনে করি, এ জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং বেসরকারি সেক্টরকে এগিয়ে আসতে হবে। বাংলাদেশের পর্যাপ্ত হালাল পণ্য এবং দক্ষ জনবল রয়েছে, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সরকার আরো দক্ষ জনবল গড়ে তুলতে পারবে। হালাল পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে নগদ আর্থিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করা যেতে পারে। একই সঙ্গে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প গড়ে তুলতে সরকারের বিশেষ সহায়তাও প্রয়োজন। বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা ও সুদবিহীন ঋণ দিতে হবে। অভ্যন্তরীণ খাদ্য অপচয় রোধ করার প্রেক্ষাপট থেকেও এটি জরুরী। খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পে বাংলাদেশকে আলাদা অবস্থান করে নিতে হলে সক্ষমতা উন্নয়ন, প্রযুক্তি বিনিময়, উন্নত ব্যবস্থাপনা, তদারকি জোরদার করতে হবে। পাশাপাশি, বিদেশী দূতাবাসগুলোকে কাজে লাগাতে হবে। আর এতে করে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বর্তমান বিশ্বের ৩০০ কোটি লাখ ডলারের এবং আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে প্রায় ১০ ট্রিলিয়ন হালাল পণ্যের বাজার ধরতে সক্ষম হবে। ইনশাআল্লাহ! যা বাংলাদেশকে বিশ্বের সর্বপ্রধান অর্থনৈতিক সমৃদ্ধশালী দেশ করার পাশাপাশি মুসলিম বিশ্বে বাংলাদেশের সুনামও বৃদ্ধি করবে।

-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউল্লাহ, ঢাকা।

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কাযযাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ উনার হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-১০৩

মুবারক হো- হাদিউল উমাম, বাবুল ইলম, কুতুবুল আলম, জামিউল আলক্বাব, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত শাহদামাদ ছানী হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মুবারক বিলাদত শরীফ

হিন্দুরা অন্তর থেকে মুসলমানদেরকে ঘৃণা করে ও অস্পৃশ্য মনে করে। আবুল মনসুর আহমদ, বঙ্গবন্ধুর আত্মকথা, মীর মোশাররফসহ অনেক সাহিত্যিকের লেখনীতেই এর প্রমাণ রয়েছে। বিশেষত রবীন্দ্র বঙ্কিম শরৎসহ হিন্দু সাহিত্যিকদের রচনায় এর প্রমাণ বিস্তর। কিন্তু বর্তমানে তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরা ও হিন্দু তোষণকারী প্রশাসন পারলে হিন্দুদের মাথায় তুলে রাখে। হিন্দুরা যে মুসলমানদের শত্রু জ্ঞান করে- সে কথা অস্বীকার করে। পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে মুশরিক-হিন্দুদের বড় শত্রু বলা হয়েছে। অতএব, ওদের থেকে সাবধান।

ভারতকে কানেকটিভিটির নামে ট্রানজিট দেয়ার বৈধতা বর্তমান সরকারের নেই। ভারতকে কোনোমতেই ট্রানজিট দেয়া যাবে না। দিলে ৯৭ ভাগ ঈমানদার জনগোষ্ঠী বরদাশত করবে না।

আন্তর্জাতিক পানি ব্যবহারের বিধিবিধান লঙ্ঘন করে ভারত নির্মাণ করছে টিপাইমুখ বাঁধ। বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের জোর প্রতিবাদ দরকার।