শিয়া শব্দের শাব্দিক অর্থ অনুগত হলেও আসলে শিয়ারা মোটেই আল্লাহ পাক ও তাঁর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর প্রতি অনুগত নয় । বরং তাদের রয়েছে আল্লাহ পাক-এর হাবীব, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর প্রতি বিরোধীতা এবং অনেক কুফরী আকীদা। অনুরূপ আহলে হাদীছ নামধারীরা আসলে মোটেই হাদীছের অনুসারী নয়। মূলতঃ তারা লা-মাযহাবী তথা ওহাবী হিসেবেই অগ্রগন্য। এরা তৈরী হয়েছে ইহুদী মদদে, ওহাবী সূরতে । দ্বীনের ছহীহ সময়, বিশুদ্ধ নিয়ত তথা খুলুছিয়ত এদের আদৌ নেই।
অন্যান্য ধর্ম ব্যবসায়ীদের সাথে এদের কোনই পার্থক্য নেই। জঙ্গীপানার সাথে এদের সম্পকৃক্ততা, সৌদি ওহাবীদের কাছ থেকে অর্থ প্রাপ্তি এবং এদের নেতা গালিবের গ্রেফতারের খবর পত্রিকায় পত্রস্থ হওয়ায় এদের খাছ হাকীকত প্রকাশ পেয়েছে।
১৭ই অক্টোবর ০৬ প্রকাশিত ‘দৈনিক প্রথম আলো’ এবং ১৯ শে ডিসেম্বর ০৬ থেকে জানা যায় তারা ইনসাফ পার্টি নামে রাজনৈতিক দল গঠন করবে।
হাদীছ শরীফে বলা হয়েছে প্রত্যেকের আমল তার নিয়তের উপর নির্ভরশীল। অর্থাৎ কাজ যাই হোক নিয়ত অনুযায়ী তা মূল্যায়ন হবে।
আর ১৭ই অক্টোবরের প্রথম আলো পত্রিকায় লা-মাযহাবী নেতারা তাদের দল গঠনের পেছনে উদ্দেশ্য সম্পর্কে খোলা-মেলা মন্তব্য করেছেন।
পত্রিকার ভাষ্যঃ “তবে আহলে হাদীছ নেতারা জানান, নির্বাচনে জয়ী হওয়া নয়, তাদের মূল লক্ষ্য উপমন্ত্রী দল তথা বিএনপি-জামায়াতের ভরাডুবি হওয়া। আহলে হাদীছ কেন্দ্রীয় মজলিশ শুরার সদস্য ও নাটোর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা গোলাম আযম এ প্রতিবেদককে বলেন,
আমাদের প্রতি বর্তমান জোট সরকারের নেতিবাচক মনোভাবের কারণে আমরা রাজনৈতিক দল গঠণ করে নির্বাচন নির্বাচনে অংশ নেয়া সিদ্ধানত নিয়েছি। অর্থাৎ আল্লাহ পাক ও তার হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সন্তুষ্টির জন্য নয় বরং স্বার্থানেষী কারণেই তাদের দল গঠনের উদ্যোগ।
জানা যায়, তারা এখন নারী নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বলবে। কিন্তু ৩৩ দিন তারা জোট সরকারকে সমর্থন দিয়ে আসছিল। তার মানে তখন তারা নারী নেতৃত্ব ঠিকই মেনেছিল। কিন্তু এখন স্বার্থ সংঘাতে তারা ভিন্নরূপ ধারণ করবে ।
পাঠক! লা-মাযহাবী এই গোষ্ঠী হাদীছের অনুসারী না হওয়ার পরও তারা আহলে হাদীছ নাম ধারণ করে আছে। তদ্রূপ এরা রাজনৈতিক দল গঠন করলেও, নির্বাচন করলেও ইসলামের নাম তারা ঠিকই ব্যবহার করবে ও সে দোহাই দিবে ।
কিন্তু সত্যিকার অর্থে ইসলাম যে তাদের মকসুদ নয় এবং কি যে তাদের উদ্দেশ্য তা তাদের জবানীতেই প্রকাশ পেয়েছে।
অতএব, ইসলামের দোহাই যদি এই লা-মাযহাবীরা দেয় তবে সেটা হবে নেহায়েত ধর্ম ব্যবসা।
-মুহম্মদ আলম মৃধা, ঢাকা।
ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা-৩২