বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাউসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-৯ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস

সংখ্যা: ১৭৩তম সংখ্যা | বিভাগ:

ওহাবী ফিরক্বাসহ সবগুলো বাতিল  ফিরক্বাই ইহুদী-নাছারাদের আবিষ্কার!  তাদের এক নম্বর দালাল বর্তমানে ইসলামের নামে বা মুসলমানের ছূরতে ইসলাম ও মুসলমানদের ক্ষতি সাধনে বা মুসলমানদের ঈমান আমল নষ্ট করনে ইহুদী-নাছারাদের খাছ দালাল বা এজেন্ট হয়ে যারা কাজ করছে তারা হলো-   ১। শিয়া, ২। কাদিয়ানী, ৩। ওহাবী। “কাদিয়ানী ফিরক্বা” আরেকটি অন্যতম গুমরাহ ও কুফরী আক্বীদা সম্বলিত খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারী বাতিল ফিরক্বা হচ্ছে- কাদিয়ানী ফিরক্বা। তারা নিজেদেরকে মুসলমান বলে দাবি করলেও হাক্বীক্বতে তারা মুসলমান নয়। কারণ তারা খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারী। তাই আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের দৃষ্টিতে তারা কাট্টা কাফির ও চির জাহান্নামী। কাদিয়ানী, বাহাইসহ খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারী সকলেই কাফির হাদীছ শরীফে ইরশাদ হয়েছে, “হযরত ছাওবান রদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, নিশ্চয়ই অতি শিঘ্রই আমার উম্মতের মধ্য হতে ত্রিশজন মিথ্যা বাদী বের হবে, তারা প্রত্যেকেই নিজেদেরকে নবী বলে দাবী করবে অথচ আমিই শেষ নবী, আমার পর আর কোন নবী নেই।” (আবূ দাঊদ শরীফ, তিরমিযী শরীফ, মিশকাত শরীফ) অন্য হাদীছ শরীফে ইরশাদ হয়েছে, আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “প্রায় ত্রিশজন মিথ্যাবাদী দাজ্জাল বের হবে, তারা প্রত্যেকেই নিজেদেরকে রসূল বলে দাবী করবে। (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ) উল্লেখ্য, কোন কোন বর্ণনায় ৭০ জনের কথাও উল্লেখ আছে। মূলকথা হলো, আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর পর বহু লোক নবী দাবী করবে। কিন্তু তারা সকলেই কাট্টা কাফির, চির জাহান্নামী। স্বয়ং আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর উপস্থিতিতেই  অনেকে নবী দাবী করেছে।

 পূর্ব প্রকাশিতের পর    কাদিয়ানী কেন কাফির?

মূলতঃ কাদিয়ানী আরবী ভাষা ও ব্যাকরণ সম্পর্কে নেহায়েতই অজ্ঞ হওয়ার কারণেই উক্ত আয়াত শরীফের মনগড়া ও বিভ্রান্তিকর ব্যাখ্যা দিয়েছে। তার উক্ত মনগড়া ও বিভ্রান্তিকর ব্যাখ্যার জবাবে, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল, ইমামুছ্ ছরফ ওয়ান্ নাহু রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন,   متم(খতম) শব্দটি এরূপ একটি শব্দ যার একাধিক অর্থ রয়েছে। তন্মধ্যে উক্ত “ختم” (খতম)  শব্দের একটি অর্থ যেরূপ ‘মহর’ তদ্রুপ আরেকটি অর্থ  হচ্ছে, ‘শেষ’। অর্থাৎ ‘খতম’ শব্দটি স্থান বিশেষে ‘মহর’ অর্থ প্রদান করবে; আবার স্থান বিশেষে ‘শেষ’ অর্থও প্রদান করবে। অর্থাৎ  “ختم” (খতম) শব্দের পরে যদি “على” (আলা) শব্দ থাকে তবে উক্ত ‘খতম’ শব্দটি ‘মহর’ অর্থ প্রদান করবে।  যেমন পবিত্র কুরআন শরীফে সূরা বাক্বারার ৭নং আয়াত শরীফে ইরশাদ হয়েছে,

            ختم الله على قلوبهم.

অর্থঃ “আল্লাহ পাক তাদের অন্তর সমূহে ‘মহর’ মেরে দিয়েছেন।”এখানে ‘খতম শব্দের পরে (আলা) শব্দ রয়েছে তাই ‘খতম’ শব্দের অর্থ হয়েছে, ‘মহর’। আর পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে বর্ণিত,

 ولكن رسول الله وماتم النبين.

এ আয়াত শরীফের অর্থ হচ্ছে, “বরং তিনি আল্লাহ পাক-এর রসূল এবং শেষ নবী।” এখানে  ‘খতম’ শব্দের পরে যেহেতু  على(আলা) শব্দ নেই। তাই ‘খতম’ শব্দের অর্থ হয়েছে শেষ’। সুতরাং কাদিয়ানী উক্ত আয়াত শরীফের যে ব্যাখ্যা দিয়েছে তা সম্পূর্ণ মনগড়া, বানোয়াট, বিভ্রান্তিকর ও কুফরীর অন্তর্ভুক্ত।

-মুহম্মদ আবুল হাসান,বাসাবো, ঢাকা।

ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা-৩২

কোকাকোলা ও অন্যান্য কোমল পানীয় সম্পর্কে উন্মোচিত সত্য-১৮

‘ক্লোজআপ ওয়ান তোমাকেই খুঁজছে বাংলাদেশ’- একটি সূক্ষ্ম ও গভীর ষড়যন্ত্রের প্রক্রিয়া অথচ নিশ্চুপ তথাকথিত খতীব, মহিউদ্দীন, আমিনী ও শাইখুল হাদীছ গং তথা তাবত ধর্মব্যবসায়ীরা- (১)

মওদুদীর নীতি থেকেও যারা পথভ্রষ্ট সেই জামাত- জামাতীদের জন্যও ভয়ঙ্কর মুনাফিক॥ আর সাধারণের জন্য তো বলারই অপেক্ষা রাখেনা

প্রসঙ্গঃ আমেরিকায় ইহুদী প্রভাব ও নিয়ন্ত্রণ- ২