বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাউসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-৩ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস

সংখ্যা: ১৬৭তম সংখ্যা | বিভাগ:

ওহাবী ফিরক্বাসহ সব গুলো বাতিল ফিরক্বাই ইহুদী-নাছারাদের আবিষ্কার! তাদের এক নম্বর দালাল

          মহান আল্লাহ পাক পবিত্র কুরআন শরীফের “সূরা মায়িদা-এর ৮২নং আয়াত শরীফে ইরশাদ করেন,

لتجدن اشدالناس عداوة للذین امنوا الیهود والذین اشرکوا.

অর্থঃ- “তোমরা তোমাদের সবচেয়ে বড় শত্রু হিসেবে পাবে ইহুদীদেরকে। অতৎপর যারা মুশরিক তাদেরকে।” অর্থাৎ, ইসলাম ও মুসলমানের সবচেয়ে বড় শত্রু হলো প্রথমতঃ ইহুদীরা, দ্বিতীয়তঃ মুশিরকরা, আর তৃতীয়তঃ হচ্ছে নাছারারা। এক কথায় সকল বিধর্মীরাই ইসলাম ও মুসলমানের শত্রু।

          কাজেই বিধর্মীরা যেহেতু ইসলাম ও মুসলমানদের চরম পরম শত্রু তাই তারা হিংসার বশবর্তী হয়েই মুসলমানদের ঈমান-আমল নষ্ট করে কাফির বানানোর লক্ষ্যেই ইসলাম ও মুসলমানের নামে বা ছুরতে এসকল বাতিল ফিরক্বাগুলো আবিষ্কার করে। অর্থাৎ প্রতিটি বাতিল ফিরক্বাই ইহুদী-নাছারাদের এক নাম্বার দালাল বা এজেন্ট।

          বর্তমানে ইসলামের নামে বা মুসরমানের ছূরতে ইসলাম ও মুসলমানদের ক্ষতি সাধনে বা মুসলমানদের ঈমান আমল নষ্ট করনে ইহুদী-নাছারাদের খাছ দালাল বা এজেন্ট হয়ে যারা কাজ করছে তারা হলো-

১। শিয়া, ২।কাদিয়ানী, ৩। ওহাবী।

“শিয়া ফিরক্বা”

          বাহাত্তরটি বাতিল ফিরক্বার একটি অন্যতম বাতিল ফিরক্বা হচ্ছে- রাফেযী বা শিয়া। তারা নিজেদেরকে মুসলমান বলে দাবি করলেও হাক্বীক্বতে তারা মুসলমান নয়। কারণ তারা অসংখ্য কুফরী আক্বীদায় বিশ্বাসী। তাই আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের অসংখ্য ইমাম মুজতাহিদ শিয়ানদেরকে অমুসলিম বা জাহান্নামী বলে ফতওয়া দিয়েছেন। ইমামে আ’যম, হযরত ইমাম আবু হানীফা রহমতল্লাহি আলাইহি, গাউছুল আ’যম হযরত আব্দুল কাদির জিলানী রহমতুল্লাহি আলাইহি, কাইয়্যূমে আউয়াল হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি, শাইখুল মুহাদ্দিছীন হযরত আব্দুল হক্ব মুহাদ্দিছ দেহলবী রহমতুল্লাহি আলাইহিসহ আরো অনেকেই শিয়া বা রাফেযীদেরকে অমুসলিম বা জাহান্নামী তথা বাতিল ফিরক্বার অন্তর্ভুক্ত বলে ফতওয়া দিয়েছেন।

শিয়াদের কতিপয় কুফরী আক্বীদা

৪।উম্মুল মু’মিনীন, হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা ও হযরত আফ্্সা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা হত্যাকারিনী। কারণ উনারা সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বিষ খাওয়ায়ে শহীদ করেছেন। (নাউযুবিল্লাহ)

৫। বর্তমানে কুরআন শরীফ পরিবর্তীত ও বিকৃত। মূলতঃ আসল কুরআন শরীফে সতের হাজার আয়াত ছিল, যাতে হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-এর ইমামতের কথা ছিল, সেগুলো কুরআন শরীফ থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। (নাউযবিল্লাহ)

৬। মুত্্য়া (বা কন্ট্রাক্ট বিবাহ) জায়িয তো অবশ্যই বরং মর্যাদা লাভের কারণ। হযরত ওমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ইহা হারাম বলার কারণে প্রকাশ্য কুরআন শরীফ-এর বিরোধিতা করে কাফির হয়েছেন। (নাউযুবিল্লাহ)

৭।সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, তাবিয়ীন, তাবে-তাবিয়ীন, ইমাম, মুজ্্তাহিদ তথা আহ্লে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের অনুসারী কোন ব্যক্তির নামায হয়নি বা হয়না, কারণ উনারা নামাযে হাতের উর হাত রাখেন ও সেচ্ছায় সূরা ফাতিহা পাঠ করার পর আমীন বলেন এবং আব্্দ বা মাটির উপর সিজদা করেন না। (নাউজুবিল্লাহ)

৯। প্রাণীর ছবি আঁকা হারাম, আর তোলা জায়িয। উক্ত তোলা ছবি ঘরে রাখা ও তার উপস্থিতিতে নামায পড়াও জাযিয়। (নাউযুবিল্লাহ)

১০। ওহী নাজিল হওয়ার কথা ছিল হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-এর উপর কিন্তু হযরত জিব্রাইল আলাইহিস্্ সালাম ভুল বশতঃ নূরে মুজাস্্সাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর উপর ওহী নাযিল করেন। (নাউজুবিল্লাহ)। (দলীল: আল হুকুমাতুল ইসলামিয়াহ, আল জামিউল কাফী, কিতাবুর রওযা,  কাশফুল আসরার, নিউজ লেটার ইত্যাদি। এছাড়াও শিয়াদের আরো বহু কুফরী আক্বীদা রয়েছে।

          অতএব, শিয়াদের উপরোক্ত কুফরী আক্বীদাসমূহের ভিত্তিতে এটাই প্রমাণিত হয় যে, আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের আক্বীদার ভিত্তিতে, ইছনা আশারিয়া দল উপদল সকলই কাফির। কারণ তারা সকলেই উল্লেখিত কুফরী আক্বীদাসমূহে পূর্ণ বিশ্বাসী। (চলবে)

-মুহম্মদ আবুল হাসান, ঢাকা।

ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা-৩২

কোকাকোলা ও অন্যান্য কোমল পানীয় সম্পর্কে উন্মোচিত সত্য-১৮

‘ক্লোজআপ ওয়ান তোমাকেই খুঁজছে বাংলাদেশ’- একটি সূক্ষ্ম ও গভীর ষড়যন্ত্রের প্রক্রিয়া অথচ নিশ্চুপ তথাকথিত খতীব, মহিউদ্দীন, আমিনী ও শাইখুল হাদীছ গং তথা তাবত ধর্মব্যবসায়ীরা- (১)

মওদুদীর নীতি থেকেও যারা পথভ্রষ্ট সেই জামাত- জামাতীদের জন্যও ভয়ঙ্কর মুনাফিক॥ আর সাধারণের জন্য তো বলারই অপেক্ষা রাখেনা

প্রসঙ্গঃ আমেরিকায় ইহুদী প্রভাব ও নিয়ন্ত্রণ- ২