হাবী ফিরক্বাসহ সবগুলো বাতিল
ফিরক্বাই ইহুদী-নাছারাদের আবিষ্কার!
মহান আল্লাহ পাক পবিত্র কুরআন শরীফের “সূরা মায়িদা-এর ৮২নং আয়াত শরীফে ইরশাদ করেন,
لتجد اشد الناس عداوة للذين امنوا اليهود والذين اشركوا.
অর্থঃ “তোমরা তোমাদের সবচেয়ে বড় শত্রু হিসেবে পাবে ইহুদীদেরকে। অতঃপর যারা মুশরিক তাদেরকে।”
অর্থাৎ, ইসলাম ও মুসলমানের সবচেয়ে বড় শত্রু হলো প্রথমতঃ ইহুদীরা, দ্বিতীয়তঃ মুশিরকরা, আর তৃতীয়তঃ হচ্ছে নাছারারা। এক কথায় সকল বিধর্মীরাই ইসলাম ও মুসলমানের শত্রু। তাই বলা হয়,
الكفر ملة واحدة
অর্থঃ “সমস্ত কাফিরেরা মিলে এক ধর্ম।” অর্থাৎ, কোন কোন বিষয়ে তাদের নিজেদের মধ্যে মতভেদ থাকলেও ইসলাম ও মুসলমানের ক্ষতিসাধনে তারা সবাই একজোট। ইহুদী-খ্রিস্টান, হিন্দু-বৌদ্ধ, মজূসী ও মুশরিক তারা সবাই মিলে সর্বদাই চেষ্টা করে থাকে কি করে মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা যায় এবং তাদের ঈমান আমল নষ্ট করে কাফিরে পরিণত করা যায়।
এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক “সূরা বাক্বারার-১০৯ নং আয়াত শরীফে ইরশাদ করেন,
ودكشير من اهل الكتب لو يردو نكم من بعد ايما نكم كفارا حسدا من عند انفسهم.
অর্থঃ “ইহুদী-নাছারা তথা আহলে কিতাবদের মধ্যে অনেকেই প্রতিহিংসাবশত চায় যে, মুসলমান হওয়ার পর তোমাদেরকে কোন রকমে কাফির বানিয়ে দিতে।”
কাজেই বিধর্মীরা যেহেতু ইসলাম ও মুসলমানদের চরম পরম শত্রু তাই তারা হিংসার বশবর্তী হয়েই মুসলমানদের ঈমান-আমল নষ্ট করে কাফির বানানোর লক্ষ্যেই ইসলাম ও মুসলমানের নামে বা ছূরতে এসকল বাতিল ফিরক্বাগুলো আবিষ্কার করে। অর্থাৎ প্রতিটি বাতিল ফিরক্বাই ইহুদী-নাছারাদের এক নাম্বার দালাল বা এজেন্ট।
বর্তমানে ইসলামের নামে বা মুসলমানের ছূরতে ইসলাম ও মুসলমানদের ক্ষতি সাধনে বা মুসলমানদের ঈমান আমল নষ্ট করনে ইহুদী-নাছারাদের খাছ দালাল বা এজেন্ট হয়ে যারা কাজ করছে তারা হলো-
১। শিয়া, ২। কাদিয়ানী, ৩। ওহাবী।
“শিয়া ফিরক্বা”
বাহাত্তরটি বাতিল ফিরক্বার একটি অন্যতম বাতিল ফিরক্বা হচ্ছে- রাফেযী বা শিয়া। তারা নিজেদেরকে মুসলমান বলে দাবি করলেও হাক্বীক্বতে তারা মুসলমান নয়। কারণ তারা অসংখ্য কুফরী আক্বীদায় বিশ্বাসী। তাই আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের অসংখ্য ইমাম মুজতাহিদ শিয়াদেরকে অমুসলিম বা জাহান্নামী বলে ফতওয়া দিয়েছেন। ইমামে আ’যম, হযরত ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি, গাউছুল আ’যম হযরত আব্দুল ক্বাদির জিলানী রহমতুল্লাহি আলাইহি, কাইয়্যূমে আউয়াল হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি, শাইখুল মুহাদ্দিছীন হযরত আব্দুল হক্ব মুহাদ্দিছ দেহলবী রহমতুল্লাহি আলাইহিসহ আরো অনেকেই শিয়া বা রাফেযীদেরকে অমুসলিম বা জাহান্নামী তথা বাতিল ফিরক্বার অন্তর্ভুক্ত বলে ফতওয়া দিয়েছেন।
শিয়াদের কতিপয় কুফরী আক্বীদা
১। তাদের ইমামদের মর্যাদা নবী ও রাসূল আলাইহিমুস সালামগণের, এমনকি হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতেও বেশী। (নাউযুবিল্লাহ্)
২। হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, মিকদাদ ইব্নুল আস্ওয়াদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, হযরত আবূযর গিফারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ও হযরত সালমান ফার্সী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ব্যতিত সকল ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ কাফির। (নাউযুবিল্লাহ্)
৩। বিশেষ করে হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ও হযরত উছমান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ছিলেন দুশ্চরিত্রসম্পন্ন, ক্ষমতালোভী ও মুনাফিক। যার কারণে প্রস্তাব দেওয়া সত্বেও উনাদের নিকট হযরত ফাতিমা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহাকে বিবাহ দেওয়া হয়নি। (নাউযুবিল্লাহ্)
৪। উম্মুল মু’মিনীন, হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা ও হযরত হাফ্সা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা হত্যাকারিনী। কারণ উনারা সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বিষ খাওয়ায়ে শহীদ করেছেন। (নাউযুবিল্লাহ্)
৫। বর্তমান কুরআন শরীফ পরিবর্তীত ও বিকৃত। মূলতঃ আসল কুরআন শরীফে সতের হাজার আয়াত ছিল, যাতে হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-এর ইমামতের কথা ছিল, সেগুলো কুরআন শরীফ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। (নাউযুবিল্লাহ্)
৬। মুত্য়া (বা কন্ট্রাক্ট বিবাহ) জায়িয তো অবশ্যই বরং মর্যাদা লাভের কারণ। হযরত ওমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ইহা হারাম বলার কারণে প্রকাশ্য কুরআন শরীফ-এর বিরোধিতা করে কাফির হয়েছেন। (নাউযুবিল্লাহ্)
৭। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, তাবিয়ীন, তাবে-তাবিয়ীন, ইমাম, মুজ্তাহিদ তথা আহ্লে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের অনুসারী কোন ব্যক্তির নামায হয়নি বা হয়না, কারণ উনারা নামাযে হাতের উপর হাত রাখেন ও সেচ্ছায় সূরা ফাতিহা পাঠ করার পর আমীন বলেন এবং র্আদ বা মাটির উপর সিজ্দা করেন না। (নাউজুবিল্লাহ)
৮। নিজের পরিচয় বা দোষ গোপন করা এবং অপরকে ধোকা দেওয়ার উদ্দেশ্যে “তাকিয়া” বা মিথ্যার আশ্রয় নেওয়া জায়িয। (নাউজুবিল্লাহ)
৯। প্রাণীর ছবি আকা হারাম, আর তোলা জায়িয। উক্ত তোলা ছবি ঘরে রাখা ও তার উপস্থিতিতে নামায পড়াও জায়িয। (নাউযুবিল্লাহ)।
১০। ওহী নাজিল হওয়ার কথা ছিল হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-এর উপর কিন্তু হযরত জিব্রাইল আলাইহিস্ সালাম ভুল বশতঃ নূরে মুজাস্সাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর উপর ওহী নাযিল করেন। (নাউজুবিল্লাহ)। (দলীল: আল হুকুমাতুল ইসলামিয়াহ, আল জামিউল কাফী, কিতাবুর রওযা, কাশফুল আসরার, নিউজ লেটার ইত্যাদি) এছাড়াও শিয়াদের আরো বহু কুফরী আক্বীদা রয়েছে।
অতএব, শিয়াদের উপরোক্ত কুফরী আক্বীদাসমূহের ভিত্তিতে এটাই প্রমাণিত হয় যে, আহ্লে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের আক্বীদার ভিত্তিতে, ইছনা আশারা দল উপদল সকলই কাফির। কারণ তারা সকলেই উল্লেখিত কুফরী আক্বীদাসমূহে পূর্ণ বিশ্বাসী। চলবে।
-মুহম্মদ আবুল হাসান, ঢাকা
ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা-৩২