বিএনপিও আ’লীগ উভয়েরই পদলেহনকালী ও উচ্ছিষ্টভোগী এবং তৎপরে উভয় কর্তৃকই পরিত্যক্ত ও পরিত্যাজ্য শাইখুল হদছ গং অবৈধভাবে মাদ্রাসা দখল, অবাধ দুর্নীতি, জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা ও চারিত্রিক স্খলনের কাহিনী উদঘাটনে এখন স্বীয় ঘরানার দ্বারাও প্রত্যাখাত ও চরমভাবে অপমানিত

সংখ্যা: ১৬৩তম সংখ্যা | বিভাগ:

 বর্তমান যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মা, কুতুবুল আলম, মুহ্ইস সুন্নাহ, আওলাদে রসূল রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর একটি ক্বওল শরীফ হচ্ছে, “উৎকৃষ্ট আমীর বা রাজা-বাদশাহ হলো তারা- যারা ওলীআল্লাহর দরবারে দরবারে যায়। আর নিকৃষ্ট ধর্মব্যবসায়ী হলো তারা- যারা রাজা-বাদশাহর দরবারে দরবারে যায়, ভিক্ষা মাগে, স্বার্থ হাছিল করে।” এ কারণে, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মা, কুতুবুল আলম, মুহইস সুন্নাহ, আওলাদে রসূল, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর মুবারক রোব এ রকমই যে, কোন রাজনীতিক রাজনৈতিক অভিলাষে তার দরবারে আসতে পারেন না। কেবলমাত্র হিদায়েতের নিয়তেই আসা-যাওয়া করেন। এ থেকেই তাঁর সাথে তাঁর বিরোধিতাকারীদের বেমেছাল তফাৎ মালুম করা যায়। তার বিরোধিতাকারীদের চরিত্র মালুম করা যায়। বলাবাহুল্য তাঁর বিরোধিতাকারীদের অন্যতম নেতা হলো শাইখুল হদস। মাসিক আল বাইয়্যিনাতে তথাকথিত শাইখুল হাদীসকে ‘হদস’ বলা হয় কেন এ নিয়ে ছিল তাদের তুমুল উত্তেজনা। তারা রাজারবাগ শরীফকে আওয়ামী লীগ ঘেষা বলে প্রচার করত এবং এ কারণেই রাজারবাগ শরীফের পক্ষ থেকে হদসের বিরোধিতা করা হয় বলে প্রচার করত। এবং ঐ দলটিকে অর্থাৎ আওয়ামী লীগকে তারা প্রচার করতো ইসলাম বিদ্বেষী, মাদ্রাসা ধ্বংসকারী, আলিম-উলামাদের উপর নির্যাতনকারী, ওযু-নামায, পাগড়ী-টুপিতে বাঁধাদানকারী ইত্যাদি ইত্যাদিরূপে।  আর বি.এন.পিকে তারা  আখ্যা দিত ইসলাম পছন্দের দল হিসেবে। বি.এন.পি’র খুদকুড়া সংগ্রহ করে তারা যেমন হৃষ্টপুষ্ট হয়েছে তেমনি প্রায়ই বি.এন.পি প্রশাসনকে তারা রাজারবাগ শরীফের বিরুদ্ধে ক্ষতি করার অপচেষ্টায়ও তৎপর ছিল। যদিও রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ বিধায় মুজাদ্দিদে আ’যম হওয়ায় তারা তাঁর কিছুই ক্ষতি করতে পারেনি এবং পারবেও না ইনশাআল্লাহ। “সারাজীবন নারী নেতৃত্বের বিরোধি তা করে, নারী রাজনীতিকদের বেশ্যা বলে শুধুমাত্র মন্ত্রী-এমপি হওয়ার সুবিধার লক্ষ্যে শাইখুল হদস বি.এন.পি নারী নেতৃত্ব মানলেও আওয়ামী লীগকে চরম ইসলাম বিদ্বেষী ও আলিম-উলামা নির্যাতনকারী মাদ্রাসা ধ্বংসকারী ইত্যাদি বলে আখ্যা দিয়েছিল।” কিন্তু বি.এন.পি আমলে তার মন্ত্রীত্বের খায়েশ অপূর্ণ থাকায় ইয়াজউদ্দীনের তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে আওয়ামী লীগ থেকে তার ডাক আসেনা কেন এই খোদোক্তি সে করেছিল। অবশেষে আওয়ামী লীগ থেকে ইশারা পেতেই সে লাফিয়ে গিয়েছিল। মাত্র ২ দিনের মধ্যেই গোড়া আওয়ামী লীগার সেজেছিল। করেছিল সে বিখ্যাত উক্তি- ধর্ম নিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়। (ইনশাআল্লাহ এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত লেখা হবে) তবে যেহেতু হাদীছ শরীফে ইরশাদ হয়েছে, “আল্লাহ পাক যেন ধর্মব্যবসায়ীদের ব্যবসায় বরকত না দেন।” শাইখুল  হদছের ক্ষেত্রেও এ হাদীছ শরীফ অক্ষরে অক্ষরে সত্য প্রমাণিত  ও প্রতিফলিত হয়েছে। হদস আওয়ামী লীগে গিয়ে যে রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষের স্বপ্ন দেখেছিল তা চূর্ণ হয়েছে। সে আওয়ামী লীগকে  বর্জন করার পরিবর্তে আওয়ামী লীগই তাকে অবজ্ঞাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। তাকে টয়লেট পেপারের মত ছুড়ে ফেলেছে। এদিকে স্বার্থের ক্ষীণ আলো দেখেই দীর্ঘদিনের আঁতাতকারী বি.এন.পি ফাঁকি দেয়ায় বিএনপি তাকে প্রকাশ্যেই সুবিধাবাদী ধর্মব্যবসায়ী বলেছে।  অর্থাৎ ধর্মব্যবসায়ী মুনাফিক শাইখুল হদস বি.এন.পি ও আওয়ামী লীগ উভয় দল থেকেই অপমানিত ও অপদস্থ হয়ে বহিষ্কৃত হয়েছে। আল্লাহ পাক-এর অপার কুদরত যে, অন্য দিকে অতি সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে তার ভিতরগত দিকের কলুষকময় কাহিনী। যাদের উপর ভিত্তি করে সে তার শক্তিমত্তা প্রদর্শন করতো তাদের কাছে থেকেই তার ও তার পরিবার গং এর ঘৃণ্য দুর্নীতি ও স্বজনপ্রিয়তা, চরিত্রহীনতা ইত্যাদি ব্যাপকভাবে উদঘাটিত হয়েছে।  গত ২০ ফেব্রুয়ারী/০৭ দৈনিক যুগান্তরে পত্রস্থ হয়: চার দলীয় জোটের শীর্ষ নেতা হওয়ার দাপটে পুলিশ প্রশাসনের ছত্রছায়ায় ৫ সন্তান ও ৬ নাতিসহ পুত্রা মুফতি শহীদুল ইসলাম এমপি ও তার ক্যাডার বাহিনী দিয়ে মাদ্রাসাটি দখল করে শাইখুুল হদছ। শুধু তাই নয়, শাইখুল হদছ মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠাতা ও সরকার অনুমোদিত পরিচালনা পরিষদের সদস্যদেরও মাদ্রাসা ছাড়া করে। বর্তমান তত্তাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় আসার পর মাদ্রাসা থেকে বিতাড়িত বৈধ পরিচালনা কমিটি মাদ্রাসার কর্তৃত্ব ফিরে পেতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, যৌথবাহিনী র‌্যাব ও মোহাম্মদপুর থানার দারস্থ হয়েছে।  গত ১২ ফেব্রুয়ারী জামিআ’ রাহমানিয়ার মোতাওয়ালি ও সভাপতি আহমদ ফজলুর রহমান, ওয়াকিফ হাজি মুহাম্মদ আলী ও মহাসচিব হাজি আবদুর রহীম সংশ্লিষ্ট কর্র্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছে। তারা মাদ্রাসার প্রকৃত পরিচালকদের প্রতিষ্ঠান পরিচালনার সুযোগ দেয়ার দাবি জানিয়েছেন। অবশ্য জামিআ’ রাহমানিয়ার প্রকৃত পরিচালনা কমিটি বিতাড়িত হওয়ার পর ২শ’ গজ দূরে অভিন্ন নামে আরেকটি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। জামিআ’ রাহমানিয়া থেকে বিতাড়িত অধ্যক্ষ মাওলানা হিফজুর রহমান ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ। বর্তমানে উভয় মাদ্রাসাতেই ছাত্রসংখ্যা প্রায় সমান। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হওয়ার পরপরই মাদ্রাসাটি পুনর্দখলের প্রস্ততি নেয়া হয়েছিল। কিন্তু সস্কটাপন্ন রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে তা আর হয়নি। জরুরী অবস্থাজারির পর পরিস্থিতি পাল্টে যায়। এ নিয়ে দুই মাদ্রাসার ভেতর উত্তেজনা চলছে। সূত্র দাবি করেছে, জামিআ’ রাহমানিয়া বেদখল হতে পারে-এ আশস্কায় গত রমজানে দুই মাদ্রাসায় বার্ষিক ছুটি কার্যকর করা হয়নি। দুই মাদ্রাসাতেই উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য ছাত্রদের প্রস্তুত রাখা হয়েছিল। সূত্র জনায়, হাজি মুহাম্মদ আলী গং মোহাম্মদপুরের ঐতিহাসিক সাতমসজিদের পশ্চিম পাশে ১৯৮৬ সালে ১৬ কাঠা জমির উপর মাদ্রাসাটির গোড়াপত্তন করেন। ৮৮ সালের ৯ নভেম্বর ও ৯২ সালের ৩ ডিসেম্বরে তারা পৃথক দু’টি নিবন্ধিত দলিলে মাদ্রাসাটি ওয়াক্ফ করেন। যৌথ মূলধন কোম্পানি থেকে নিবন্ধনও করা হয়। মাদ্রাসাটি এখন ৫ তলা ভবনে রূপ নিয়েছে। শায়খুল হদছ ছিলেন মাদ্রাসার একজন শিক্ষক। ১৯৯২ সালের সেপ্টেম্বরে সে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ নিযুক্ত হয়।  অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালনকালে তার বিরুদ্ধে বেশকিছু অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠে। এর মধ্যে শাইখুল হদছ গং এর ছেলে মৌ মাহফুজুল হক পরীক্ষায় নকল করতে গিয়ে বহিস্কারের পরও তাকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগে চাপ দেয়। পরে সেই মৌ মাহফুজুল হকই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হয়। তার বিরুদ্ধে চারিত্রিক স্খলনেরও অভিযোগ রয়েছে। ছেলে মামুনুল হককে উগ্রতা ও রাজনীতি সম্পৃক্ততার কারণে মাদ্রাসা থেকে বহিস্কার করা হলে শাাইখুল হদছ আবার তাকে ফিরিয়ে আনেন। নিজের ছেলে ও নাতিদের বেলায় সে কোন নিয়ম মানতো না। শিক্ষক নিয়োগও অব্যাহতি প্রদানেও ব্যাপক অনিয়ম করে। জানা গেছে, একবার মাদ্রাসার শিক্ষক মৌ মোস্তাক আহমদ শরীয়তপুরী শাইখুল হদছের ছেলে মাওলানা মাহফুজের বিরুদ্ধে সমকামিতার লিখিত অভিযোগ করে। শাইখুল হদছ পুত্রের বিরুদ্ধে এ অভিযোগের বিচার না করে উল্টো অভিযোগকারী শিক্ষককে তাৎক্ষণিকভাবে অব্যাহতি দেয়। শাইখুল হদছের বিরুদ্ধে মাদ্রাসার পাঠ্যবই ক্রয়ে দুর্নীতির অভিযোগও রয়েছে। জানা গেছে, শাইখুল হদছ তার নিজস্ব প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান রশীদিয়া লাইব্রেরি থেকে প্রতিবছর বেশি দামে কয়েক লাখ টাকার বই কিনতে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে বাধ্য করতো। একবার হজ্জে থাকার কারণে একজন শিক্ষক মৌ গোলাম মাওলানা অন্য লাইব্রেরি থেকে কম দামে বই কেনে। সে হজ্জ থেকে ফিরে এ ঘটনা শুনে ক্ষুব্ধ হয়। এমনকি বই ফেরত দিতে বাধ্য করে ওই শিক্ষককে বহিস্কার পর্যন্ত করে। এ ধরনের বেশ কিছু অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণ হলে শাইখুল হদছ স্বেচ্ছায় ৯৯ সালের ১ আগস্ট অধ্যক্ষের পদ থেকে পদত্যাগ করে কেবল শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটির সদস্য হিসেবে থাকে। কিন্তু এরপরও সে নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়ে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও সে দলীয় রাজনীতিতে ছাত্র-শিক্ষকদের জড়িত করে। শাইখুল হদছের ছেলেরা প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে রাজনীতি করে। এর মধ্যে চতুর্থ ছেলে মামুনুল হক ঢাকা মহানগর খেলাফত মজলিসের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছে। রাজনীতির অভিযোগে মামুনুল হকসহ ৫ ছাত্রকে কমিটির চাপে শাইখুল হদছ নিজেই বহিস্কার করে পরে আবার নিজের ছেলেকে ফিরিয়ে আনে। শুধু তাই নয়, অভিযোগ রয়েছে প্রথম প্রথম মাদ্রাসার ছাদে জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের মুফতি হান্নান গ্রুপকে প্রশিক্ষণ নেয়ার অনুমতি দেয়া হয়। অবশ্য পরে ঘটনাটি জানাজানি হলে হরকতের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়। এসব অনিয়মের কারণে কমিটি শাইখুল হদছকে শিক্ষকতা ও পরিচালনা  কমিটি দু‘টি থেকেই অব্যাহতি দেয়। এ অবস্থায় বেসরকারি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান মাওলানা নুরুদ্দীন গওহরপুরীর অনুরোধে কমিটি হদছকে মাদ্রাসায় একটি ক্লাস নেয়ার অনুমতি দেয়। কিন্তু হদছ মাদ্রাসার ক’জন শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটির বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে কুৎসা রটায়। এর মধ্যে কোন নৈতিক ও যুক্তিসঙ্গত অধিকার ছাড়াই ২০০০ সালের ৬ মে আকস্মিক কয়েকশ’ দলীয় ক্যাডার ও সন্তানাদি নিয়ে মাদ্রাসা দখলের চেষ্টা চালায়।  কিন্তু পরিচালনা কমিটির প্রতিরোধের মুখে প্রথম দফায় সে ব্যর্থ হয়। এ ঘটনায় শাইখুল হদছকে শিক্ষকতা থেকে আবার অব্যাহতি দিলে বসুন্ধরা ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক আবদুর রহমান ও যাত্রাবাড়ী জামিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা মাহমুদুল হাসানের অনুরোধে আবারও তাকে শর্তসাপেক্ষে শিক্ষকতার সুযোগ দেয়া হয়। কিন্ত ২০০০ সালের ১ জুলাই সে আবারও মাদরাসা দখলের চেষ্টা করলে কয়েকজন শিক্ষক ও ছাত্রকে বহিস্কার করা হয়। চার মাসের মাথায় চারদলীয় জোট ক্ষমতায় এলে সে বেপরোয়া হয়ে উঠে। ২০০১ সালের ৩ নভেম্বর স্থানীয় বিএনপি ও পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় পুত্রা মুফতে শহীদুল ইসলাম এমপি তার ক্যাডার বাহিনী এবং শায়খুল হদছ গংয়ের পরিবারের সদস্যরা মাদরাসাটি দখল করে। অনুমোদনহীন পারিবারিক কমিটির মাধ্যমে পরে নিয়ম বহির্ভূতভাবে সে একচ্ছত্র আধিপত্যে মাদরাসাটি নিয়ন্ত্রণ করছে। আদালতের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও মাদ্রাসাটিকে দলীয় রাজনীতিতে ব্যবহার করছে। নিজের ছেলে-নাতিদের অধিকাংশকে শিক্ষক হিসেবে অবৈধভাবে নিয়োগ দিয়েছে। জোট সরকারের ৫ বছর ত্রাণের চাল নিজ খোরাকি ছাত্রদের কাছে বিক্রি করেছে।” “মাদ্রাসার জমি ওয়াকফের বিষয়ে হদসের ছেলে মাওলানা মাহফুজের দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে জামিআ রাহমানিয়ার সভাপতি ও মোতাওয়াল্লি আহমদ ফজলুর রহমান বলেন, ওয়াক্ফ সম্পত্তি নিয়ে একাধিক দাবি থাকলে বা এ নিয়ে সিভিল মামলা থাকলে ওয়াক্ফ প্রশাসক প্রথমদিকে কিছুটা বিভ্রান্তিতে ছিল। কিন্তু পরে বুঝতে পেরে গত ২৬ জানুয়ারি/০৭ ২১ সদস্যবিশিষ্ট পরিচালনা পরিষদ কমিটিকে সরকারের ওয়াকফ প্রশাসন থেকে ৩ বছরের জন্য অনুমোদন দেয়া হয়। বর্তমান সভাপতি ও মোতাওয়াল্লি নিযুক্ত হন আলহাজ আহমদ ফজলুর রহমান। এটিই বৈধ কমিটি। শায়খুল হদসের পক্ষে জমির কোন মালিক নেই, তারপরও কোন যুক্তিতে তারা ওয়াকফে নিবন্ধন চেয়েছেন তা কারও বোধগম্য নয়। তিনি বলেন, আইনে যদি সম্ভব হতো তাহলে বিএনপি সরকারের সময়ই তাদের পক্ষে নিবন্ধন দেয়া থেকে কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারত না। কারণ তখন প্রশাসন ছিল তাদেরপক্ষে। ক’দিন পরপরই প্রধানন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে শায়খুল হদসের ছবি ছাপা হতো। শাইখুল হদস সম্পর্কে ২০শে ফেব্রুয়ারী/০৭ দৈনিক যুগান্তরে প্রকাশিত উপরোক্ত বক্তব্য মাসিক আল বাইয়্যিনাত-এর নয়। এ বক্তব্য  তাদের নিজস্ব ঘরানার। মাসিক আল বাইয়্যিনাতে এতদিন হদস সম্পর্কে যা উল্লেখ করা হয়েছে ইচ্ছায় অনিচ্ছায় সে সত্যেরই প্রতিধ্বনি তারাই এখন সহস্রমুখে করেছে। ইবলিস মালউন হবার পর আল্লাহ পাক তার সম্পর্কে ইরশাদ করেন, সে পূর্ব থেকেই কাফিরের  অন্তর্গত ছিল। এ আয়াত শরীফের অনুকরণে হদস সম্পর্কে বলতে হয় “সে পূর্ব থেকেই চরম ফাসিক ও গোমরাহীতে পরিপূর্ণ ছিল।”

 সে কারণেই সে রাজারবাগ শরীফের এত বিরোধিতা করতে পেরেছিল। তার ছাত্রদেরকে সে নির্দেশ দিতে পেরেছিল। আজকে আল্লাহ পাক-এর কুদরত তার ছাত্রদের কাছেই তার গোষ্ঠীর কাছেই তার হাক্বীক্বত প্রকাশ পেয়েছে। তার ভণ্ডামী দুর্নীতি ও স্খলনতা জাহির হয়েছে। কাজেই তাদের এখন উচিত হবে তার সাথে সব সম্পর্ক ছিন্ন করে রাজারবাগ শরীফে এসে খালিছ তওবা করা, বাইয়াত হওয়া। এবং কাফ্ফারা আদায় করে পরকালীন খাছলত ও কল্যাণের পথ প্রশস্ত করা  নচেত হদসের মত একদিন তারাও চরম অপদস্থ ও নিস্তানাবুদ হয়ে যাবে। (নাঊযুবিল্লাহ)

-মুহম্মদ ইবনে হক, ঢাকা।

ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা-৩২

কোকাকোলা ও অন্যান্য কোমল পানীয় সম্পর্কে উন্মোচিত সত্য-১৮

‘ক্লোজআপ ওয়ান তোমাকেই খুঁজছে বাংলাদেশ’- একটি সূক্ষ্ম ও গভীর ষড়যন্ত্রের প্রক্রিয়া অথচ নিশ্চুপ তথাকথিত খতীব, মহিউদ্দীন, আমিনী ও শাইখুল হাদীছ গং তথা তাবত ধর্মব্যবসায়ীরা- (১)

মওদুদীর নীতি থেকেও যারা পথভ্রষ্ট সেই জামাত- জামাতীদের জন্যও ভয়ঙ্কর মুনাফিক॥ আর সাধারণের জন্য তো বলারই অপেক্ষা রাখেনা

প্রসঙ্গঃ আমেরিকায় ইহুদী প্রভাব ও নিয়ন্ত্রণ- ২