আল্লাহ পাক “সূরা নূরে” ইরশাদ ফরমান, “নিশ্চয়ই যারা ভালবাসে যে, ঈমানদারগণের সম্বন্ধে কুৎসা রটে যায়, তাদের জন্য দুনিয়া এবং আখিরাতে কঠিন আযাব অপেক্ষা করছে। যা আল্লাহ পাক জানেন কিন্তু তোমরা অবগত নও।” এ আয়াত শরীফ থেকে প্রতিভাত হয় যে, এমন কিছু লোক থাকবে বা এমন একটা মহল থাকবে যাদের প্রবৃত্তিই হবে ওলীআল্লাহগণের নামে কুৎসা রটনা করা। এদের পরিচয় সম্পর্কে সচেতনতা দিয়ে সূরা নাস-এ আল্লাহ পাক আরো বলেন, “বলুন! আমি আশ্রয় গ্রহণ করছি মানুষের পালনকর্তার কাছে, … যে কুমন্ত্রনা দেয় মানুষের অন্তরে জ্বিনের মধ্য থেকে অথবা মানুষের মধ্য থেকে।” অর্থাৎ- জ্বিন শয়তান বা কুমন্ত্রণাকারীর পাশাপাশি এখানে মানুষ শয়তান বা কুমন্ত্রণাকারীর কথাও বলা হয়েছে। এতদ্বপ্রেক্ষিতে ঢাকার একটি খারেজী মাদ্রাসার ১৪২২-২৪ হিজরী সেশনে ফারেগপ্রাপ্ত ১৬ জন তথাকথিত মাওলানাদের তথা তদসম্পৃক্ত সকলের ঈমান-আক্বিদার বিষয়ে আমাদের সন্দেহ বিশেষভাবে ঘনীভূত হয়েছে। কারণ তাতে স্পষ্টভাবে একজন কুমন্ত্রণাদানকারী ও কায্যাবের প্রকাশ্য পরিচয় পাওয়া গিয়েছে। লেখার ছত্রে ছত্রে তার কায্যাবী এতই বেশী যে যা তাকে তার ধারণকৃত নামের পরিবর্তে কায্যাব উদ্দীনই অধিকতর সঙ্গত প্রতিয়মান করে। যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম রাজরবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর নামে তথাকথিত এই খারেজী মাদ্রাসার শিক্ষা সচিব তথা নাজিমে তালিমাত তাদের সাময়িকীতে প্রকাশ্যে কুমন্ত্রণার সস্তা গরল ঢেলেছেন। মূলতঃ এতে করে তিনি সময়ের নিকৃষ্ট কুমন্ত্রকের আসনে সমাসীন হয়েছেন। পাশাপাশি এই নিকৃষ্ট কুমন্ত্রক কথিত এই খারেজী মাদ্রাসার শিক্ষা সচিবের পদ অলঙ্কৃত করে তখন উক্ত জামিয়ার কি হাল এবং দাবীকৃত মাওলানার যে কি মন-মানসিকতা হতে পারে তা জলজ্যান্ত প্রশ্নের সম্মূখীন। প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ করতে হয় যে, কুমন্ত্রক কায্যাব উদ্দীন তার সমর্থনকারী গোষ্ঠীর অজ্ঞতাকেই নিজের বড় পুঁজি মনে করে রাজারবাগ শরীফের বিরুদ্ধে তার কুমন্ত্রণার জাল বিস্তার করেছেন। তার উদাহরণটা মূলতঃ ঐ রকম যে, অজ্ঞ গ্রামবাসীর সামনে দু’জন শিক্ষকের যখন প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুরু হল তখন অপেক্ষাকৃত কমজ্ঞানী কিন্তু চতুর শিক্ষক যখন জ্ঞানবান শিক্ষককে জিজ্ঞেস করেছিল ও ফড়হ’ঃ শহড়-িএর অর্থ কি? জ্ঞানী শিক্ষকের সঠিক জবাব “আমি জানিনা” বললে, অজ্ঞ গ্রামবাসী ভেবেছিল তিনি বুঝি সত্যিই এ প্রশ্নের উত্তরই জানেননা। চতুর কুমন্ত্রক কায্যাব উদ্দীন তার গোষ্ঠীর অজ্ঞতা সম্পর্কে অবগত। তাই সে রাজারবাগ শরীফের বিরুদ্ধে অপবাদ রচনা করতে গিয়ে তাদের চিরাচরিত কায়দায় লক্বব, স্বপ্ন তথা বুযূর্গী ইত্যাদি বিষয় নিয়েই অপপ্রচার চালিয়েছে। কায্যাব উদ্দীন চতুর শিক্ষকের মত প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে প্রথমেই তার সম্প্রদায়কে উত্তেজিত করতে চেয়েছেন যে কথাটি বলে সেটা হচ্ছে, “রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলাকে তাঁর মুরীদরা গাউসূল আ’যম, হযরত বড় পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকেও বড় মনে করে। কথিত সাময়িকীতে তার ভাষ্য, “তাঁর মুরীদগণের বর্ণনা মতে বড়পীর আব্দুল কাদের জীলানী রহমতুল্লাহি আলাইহি এর চেয়েও তার মাকাম অনেক উর্ধ্বে। যেমন মাসিক আল বাইয়্যিনাত, ৭৩তম সংখ্যা, সেপ্টেম্বর ১৯৯৯, পৃষ্ঠা ৪৬-এ যে লেখা হয়েছেঃ “উল্লেখ্য রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর নামের পূর্বে যেসব লক্বব রয়েছে, উনি তারও উর্ধ্বে। এমনকি কথিত গাউছূল আ’যম লক্ববেরও উর্ধ্বে। এই বর্ণনাতে তার সমর্থন রয়েছে।” মূলতঃ কুমন্ত্রক কায্যাব উদ্দীনের কুমন্ত্রক হবার পেছনের কারণটি এখানে স্পষ্টরূপে প্রকাশ পায়, কারণ তার এ বক্তব্য দ্বারা প্রতিভাত হয় যে, আসলে সে ইল্মে তাছাউফ শুন্য চরম ফাসিক মাওলানা। কারণ, ইলমে তাছাউফে যদি তার সামান্য দখলও থাকতো তবে সে, মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর প্রসঙ্গে গাউছূল আযম লক্বব নিয়ে দ্বিরুক্তি প্রকাশ করতো না। এটা এজন্য প্রতিভাত হয় যে, সে কোন হক্কানী-রব্বানী ওলীআল্লাহ্র হাতে বাইয়াত হয়নি। ওলীআল্লাহগণের হাল, মাকাম, আদব, ছোহবত, আক্বিদা-বিশ্বাস, তর্জ-তরিক্বা সম্পর্কে সে নিতান্তই জিহালতির পরিচয় দিয়েছে। কারণ, কুরআন-সুন্নাহর কোথাও নেই যে গাউছূল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া হযরত বড় পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর চেয়ে কেউ বড় ওলী আল্লাহ হতে পারবেনা। তাই মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মা, কুতুবুল আলম, আওলাদুর রসূল, রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা যে গাউছূল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া হযরত বড় পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি এর চেয়ে বড় ওলীআল্লাহ হতে পারবেন না কুরআন সুন্নাহ্র দৃষ্টিতে তা প্রমাণ করার জন্য কুমন্ত্রক কায্যাব উদ্দীনের কাছে প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ করা হল। দ্বিতীয়তঃ ইল্মে তাছাউফ তথা ওলীআল্লাহ হওয়ার তর্জ-তরীক্বায় একটি প্রাথমিক ও মূল আদব হচ্ছে, প্রত্যেকে তার পীর ছাহেবকে সবচেয়ে বড় জানবে এবং এ বিষয়ে সব ইমাম-মুজতাহিদ তথা আউলিয়া-ই-কিরামই একমত। যেমন, ইমামে রব্বানী, হযরত মুজাদ্দিদে আলফে সানী রহমতুল্লাহি আলাইহি স্বীয় মাকতুবাত শরীফে বলেছেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর পরেই মুরীদ স্বীয় পীর ছাহেবকে সবচেয়ে বড় বুযূর্গ মনে করবে। এমনকি এ বিষয়ে যার হাতে তাদের এই মাদ্রাসার গোড়াপত্তন হয়েছিল, যাকে তারা প্রায় তাদের নবী হিসেবে মানে, সেই থানবী ছাহেবও এ বিষয়ে তা’লীম গ্রহণ করেছেন, প্রচার করেছেন। থানবী তার নিজের লেখনীতে (থানবীর নির্বাচিত ঘটনাবলী -ক্বারী আবুল হাসান, দেওবন্দ) নিম্নোক্ত ঘটনা সংকলন করেছেনঃ হযরত সাইয়্যেদ আহমদ রেফায়ীর মর্যাদা হযরত সাইয়্যেদ আহমদ রেফায়ী (রহঃ) (তিনি বড় পীর আবদুল কাদের জিলানী (রহঃ) এর সমসাময়িক বুযূর্গ ছিলেন) তাঁর কাছে তার এক মুরীদ জিজ্ঞাসা করল যে, আপনার মর্যাদাও কি বড় পীর সাহেবের সমান? তিনি বলেন- (তোমার শায়খকে বড় পীর সাহেবের উর্ধ্বে মনে কর) মুরীদ বলল তাহলে কি আপনি কুতুব? তিনি আবার বললেন- (তোমার পীরকে কুতুবেরও উর্ধে মনে কর) এখন থানবীর কিতাবে উপরোক্ত ঘটনা সংকলনের দ্বারা কি তাহলে এই প্রমাণিত হয়না যে, থানভী স্বীয় মুরীদদের কাছে নিজেকে গাউছূল আ’যম’ সাইয়্যিদুল আউলিয়া হযরত বড় পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর চেয়ে ও নিজেকে বড় প্রতিভাত করেছে। অথবা থানবী ছাহেব নিজেই যে কোন মুরীদের জন্য তার পীর ছাহেবকে গাউছূল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া হযরত বড় পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর চেয়েও বড় করার সুপারিশ করেছে। যদি তাই হয়ে থাকে তাহলে কুমন্ত্রক কায্যাব উদ্দীন নিজের গুরুর মতেই এখন কিরূপ বাতিল ও জাহিল বলে প্রতীয়মান হলো তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এরপর কুমন্ত্রক কায্যাব উদ্দীন বলেছে, “নিজের বুযূর্গী প্রমাণ করার জন্য তিনি তৃতীয় যে পন্থা গ্রহণ করেছেন তা হল, তিনি বিভিন্ন বুযূর্গ সম্পর্কে অতি উচ্চ মাত্রায় বাড়াবাড়ি করে কিছু প্রশংসা করেছেন, তারপর বলেছেন জ্ঞানীদের জন্য ইশারাই যথেষ্ট। অর্থাৎ এভাবে বলে তিনি নিজের দিকে ইশারা করেছেন যে, আমার মধ্যেও এসব বুযূর্গী রয়েছে।” এ প্রসঙ্গে অন্য কিছু না বলে আবারো তার গুরু থানবীর বক্তব্যই প্রয়োগ করা যায়। একই কিতাবে সাইয়্যিদ আহমদ রেফায়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি সম্পর্কে থানবী ছাহেব আরো উল্লেখ করেছে, “তারপর বললেন, আল্লাহ তায়ালা সমস্ত রূহসমূহকে সমবেত করে বলেছিলেন যে, তুমি আমার কাছে যা ইচ্ছা চাইতে পার এ পরিপ্রেক্ষিতে কেউ কুতুবের মর্যাদা চাইল, কেউ গাউছ হবার আকাঙ্খা করল, আমাকে জিজ্ঞাসা করা হলে আমি বললাম যে,“ হে আল্লাহ! আমি যেন আপনার কাছে কিছুই না চাই এবং আমি নিজের জন্য নিজের কিছুই পছন্দ না করি।” এর ফলে আল্লাহ তায়ালা আমাকে এমন সব কিছু দান করেন যা এ যামানায় কেউ দেখেনি কেউ শোনেনি, কেউ ধারণাও করেনি। এখন কুমন্ত্রক কায্যাব উদ্দীনের কাছে প্রশ্ন, এক্ষেত্রে থানবী নিজেই কি সাইয়্যিদ আহমদ রেফায়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি সম্পর্কে (কুমন্ত্রক কায্যাব উদ্দীন মুল্যায়ণ অনুযায়ী) উচ্চ মাত্রায় বাড়াবাড়ি প্রশংসা করেননি যে তিনি বলেছেন, “আল্লাহ্ তায়ালা আমাকে এমনকিছু দান করেছেন যা এ যামানায় কেউ দেখেনি, কেউ শোনেনি, কেউ ধারণাও করেনি। অথচ সেই যামানায়ই জীবিত ছিলেন, গাউছুল আযম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, হযরত বড় পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি। মূলতঃ কুমন্ত্রক কায্যাব উদ্দীন রাজারবাগ শরীফের প্রতি অপবাদ যুক্ত করার আগে ভেবে দেখার অবকাশ পায়নি যে, এটা তার গুরুর প্রতিই বিদ্ধ হচ্ছে। প্রবাদ রয়েছে, “অপরের জন্য কুয়ো খুঁড়লে নিজেকেই তার মধ্যে পড়তে হয়।” মূলতঃ এরকম অনেক ওলী আল্লাহ্ই বলেছেন এবং অপরাপর ওলীআল্লাহ্ তা গ্রহণও করেছেন। মূলতঃ এসব ক্বওলের প্রত্যেকটারই আলাদা ব্যাখ্যা থাকে। এ জন্যই হাদীছে কুদসীতে ইরশাদ হয়েছে, “নিশ্চয়ই আমার ওলীগণ আমার কুদরতী জুব্বার মাঝে। আমি এবং আমার ওলীগণ ব্যতীত অপর কেউ তাদের চিনেনা।” যেমনটি, মুজাদ্দিদে আযম, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলীকে চেনা সম্ভব হয়নি কুমন্ত্রক কায্যাব উদ্দীনের। কারণ, যেহেতু সে বাইয়াত হয়নি, ক্বলবী যিকির করেনি। আর এ প্রসঙ্গে তাফসীরে মা’রিফুল কুরআনে বলা হয়েছে, “রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, প্রত্যেক মানুষের অন্তরে দু’টি গৃহ আছে। একটিতে ফেরেশতা ও অপরটিতে শয়তান বাস করে। ফেরেশতা সৎ কাজে এবং শয়তান অসৎকাজে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে। মানুষের (ক্বলব বা অন্তকরণ যখন) আল্লাহর যিকির করে তখন শয়তান পিছনে সরে যায় আর যখন যিকির করে না তখন শয়তান তার ঠোঁট মানুষের অন্তরে স্থাপন করে কুমন্ত্রণা দিতে থাকে। বলাবাহুল্য, কুমন্ত্রক কায্যাব উদ্দীনের ক্বলবে আদৌ কোন যিকির জারী নেই। বরং তার অন্তরে শয়তান স্বীয় ঠোঁটকে অতি গভীরভাবে স্থাপন করে খুব জোরালো কুমন্ত্রণা দিচ্ছে। তাই সে তার কুমন্ত্রণার জাল বিন্যাসে জড় করেছে ডাহা মিথ্যা, মুনাফিকী ও জিহালতি, প্রতারণা, ধোকা ও শঠতা। কুমন্ত্রক কায্যাব উদ্দীন বলেছে, “তিনি (মুজাদ্দিদে আ’যম রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী) কোন পীর থেকে খিলাফত লাভ করেনি।” মূলতঃ তথাকথিত খারিজী মাদ্রাসার শিক্ষা সচিব এই কায্যাব উদ্দীন এতটা জ্ঞানশুন্য হয়ে তার হাতে তৈরী মাওলানাদের রাজারবাগ শরীফ সম্পর্কে কুমন্ত্রণা দিতে উদ্যত হয়েছেন তা ভাবতেও আশ্চর্য্য লাগে। একজন স্বনামধন্য পীর ছাহেব সম্পর্কে এ ধরণের ভুঁইফোড় ও উদ্ভট মন্তব্য করার আগে তার কি একবারও রাজারবাগ শরীফের শাজরা শরীফখানা খুলে দেখার প্রয়োজন ছিলনা? কে না জানে ফুরফুরা শরীফের সিলসিলায় মুজাদ্দিদে যামান, হযরত আবু বকর ছিদ্দীক রহমতুল্লাহি আলাইহি; তদপুত্রদ্বয় কাউয়্যূমুয্ যামান হযরত আব্দুল হাই ছিদ্দীকী রহমতুল্লাহি আলাইহি ও সুলতানুল আরিফীন হযরত আবু নযম মুহম্মদ নাজমুত সা’য়াদাৎ ছিদ্দীকী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর মুবারক খিলাফতপ্রাপ্ত কুতুবুল আলম হযরত মাওলানা আবুল খায়ের মুহম্মদ ওযীহুল্লাহ্ রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর বিশিষ্ট খলীফা হলেন, মুজাদ্দিদে আযম, ইমামুল আইম্মা, কুতুবুল আলম, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী। এরূপ প্রত্যক্ষ, স্পষ্ট শাজরা শরীফ থাকা সত্ত্বেও একটি খারিজী মাদ্রাসার তথাকথিত শিক্ষাসচিবের পদ ধারণ করে কায্যাব উদ্দীনের পক্ষে কি করে সম্ভব হলো রাজারবাগ শরীফ সম্পর্কে এহেন জঘন্য মিথ্যাচার করা! মূলতঃ কায্যাব উদ্দীনের এই জঘন্য মিথ্যাচার আমাদেরকে তথাকথিত খারিজী মাদ্রাসাগুলোর সামগ্রিক আক্বীদা ও আমল সম্পর্কেই সুস্পষ্ট নেতিবাচক ও নীতিহীন পরিচয় প্রকাশ করে। আরো প্রমাণ পেশ করে এর নেতিবাচক ও নীতিহীন প্রক্রিয়ায়ই তথাকথিত খারিজী মাদ্রাসার উস্তাদরা তাদের ছাত্রদের মিলাদ ক্বিয়াম, উজরত গ্রহণ, জানাযার নামাযের পর দোয়া করা ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ে গলদ আক্বীদার ছবক তাদের মগজের ভিতরে ঢুকিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে মুজাদ্দিদে আযম, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর সুস্পষ্ট, অকাট্য দলীল সমৃদ্ধ তাজদীদ প্রকাশ পাবার পর ইলমী যোগ্যতা দিয়ে তা খণ্ডন করতে না পেরে তাদের মাদ্রাসা সিলেবাসে নতুন বিষয় অন্তর্ভুক্ত করেছে যে, মুজাদ্দিদে আযম, ইমামুল আইম্মা, কুতুবুল আলম, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী সম্পর্কে খারাপ আক্বীদা তৈরী করে দেয়া। বিশেষতঃ শিক্ষা বছরের ফারেগপ্রাপ্ত মাওলানাদের এ বিষয়ে জোর দিয়ে তৈরী করা হয়। এক্ষেত্রে উক্ত খারিজী মাদ্রাসার শিক্ষা সচিব কায্যাব উদ্দীনই এ লা’নতী কাজে ব্রতী হয়েছেন। কিন্তু সত্য এসেছে, মিথ্যা দূরীভুত হয়েছে নিশ্চয়ই নিশ্চয়ই মিথ্যা দূরিভুত হওয়ার যোগ্য। রাজারবাগ শরীফ সম্পর্কে ফারেগপ্রাপ্ত মাওলানাদের কুমন্ত্রণা দিতে গিয়ে শিক্ষা সচিব পদধারী কায্যাব উদ্দীনও সত্যের আলোকে কিছু বলতে পারেনি। এমনকি তার মন্তব্য তার গুরু থানবীর মতেই চরম ভুল প্রমাণিত হয়েছে। এছাড়া বাকি বক্তব্যে এসেছে ধোকা, শঠতা, প্রতারণা আর মিথ্যা।
কিন্তু যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আযম, ইমামুল সাইম্মা, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ কিবলা মুদ্দা জিলুহুল আলী সে মিথ্যা রটনা বা তোহমতে আদৌ বিচলিত নন। কারণ, এ ধরণের কুমন্ত্রক ও কায্যাবরা সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, হাবীবুল্লাহ্, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নামেও মিথ্যাচার করেছে। এমনকি আল্লাহ্ পাক-এর প্রতিও তাদের মিথ্যাচার থামেনি। এদের প্রসঙ্গেই আল্লাহ পাক ইরশাদ ফরমান, তাদের চেয়ে অধিক জালিম কে, যারা আল্লাহ্ পাক-এর প্রতি মিথ্যারোপ করে।
মহান আল্লাহ পাক এই জালিম, জাহিল ও কায্যাব সম্প্রদায় থেকে আমাদের হিফাযত করুন। (চলবে)
খন্দকার মুহম্মদ সাখাওয়াত হুসাইন
ইব্রাহীমপর, ঢাকা।
ইরাকের মীরজাফর সাদ্দাম রাশিয়ার বেলারুশ যেতে চায় কেন?
প্রসঙ্গঃ ছবি, অশ্লীল ছবি ইনকিলাব ও হাটহাজারীর আহমক শাফী উপাখ্যান