বিশ্ব সমাদৃত,হযরত আউলিয়া-ই-কিরাম রহমতুল্লাহি  আলাইহিমগণের অনুপম মুবারক চরিত গ্রন্থ আখবারুল আখইয়ার- (৮৩)

সংখ্যা: ১১৯তম সংখ্যা | বিভাগ:

হযরত শায়খ জামাল হাঁসূবী রহমতুল্লাহি আলাইহি

(জন্মঃ ৬২৮ হিজরী, ওফাতঃ ৭০০ হিঃ)

মূলঃ হযরত শায়খ আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহ্লভী রহমতুল্লাহি আলাইহি, ভাষান্তরঃ মুহম্মদ শামসুল আলম

হযরত শায়খ জামাল রহমতুল্লাহি আলাইহি ‘মুলহিমাত’ কিতাবের এক জায়গায় লিখেছেন, “ফকির এক শ্রেষ্ঠ ও উত্তম খাছলত স্বভাবসম্পন্ন। যার মধ্যে স্বভাবগুলোর বহিঃপ্রকাশ ঘটে। যেমন- পবিত্রতা, সততা, যুহ্দ, সাফাই, তাক্বওয়া, বাধ্যতা, ইবাদত, ভুখা থাকা, অল্পেতুষ্টি, দানশীলতা, সু-বিচার, হিফাযত, আমনতদার, রাত্রিজাগরণ, তাহাজ্জুদগুজারী, খুশু-খুজু, আযীযী-ইনকিসারী, বিনয়, ধৈর্য্য ধরা, ক্ষমা করা, চশমে পুশি করা, রহম করা, আল্লাহ্ পাক-এর রাস্তায় মিলনের বা দীদারের আকাঙ্খী হওয়া, ইহ্সান ও করম করা, আল্লাহ্ পাক ব্যতীত সকল কিছু থেকে পলায়ন করা এবং আল্লাহ্ পাক-এর ইবাদতে ইখলাছ বা খুলূছিয়ত পয়দা করা, (দুনিয়া থেকে) জুদায়ী ও বিচ্ছিন্ন হওয়া, সততা ও ছবরশীল হওয়া, নিশ্চুপ থাকা, সন্তুষ্ট থাকা ও লজ্জ্বাশীল হওয়া, অল্পেতুষ্টি ও নিঃস্ব হওয়া, আশা ও ভয়, রিয়াজত, মুজাহাদা, মুরাকাবা, মুয়ামালাত, তাওহীদ, তাহজীব, তাফরীদ, তাকরীফ, নির্জনতা, নীরবতা, মুহব্বত, উলফত, ইনায়াত, মনযোগী, দয়ার্দ্রতা, ক্ষমা করা, লুতফ ও করম, শোকর, ফিকির, যিকির, ইজ্জত, আদব, ইহতিরাম, অনুসন্ধানী, অধিক বাসনা পোষণ করা, লজ্জাশীল, সতর্কতা অবলম্বন, অন্তর্দৃষ্টি, রাত্রি জাগরণ, হিকমত, লিল্লাহিয়াত, হিম্মত, মা’রিফাত, হাক্বীক্বত, খিদমত, তাসলীম, তাওয়াক্কুল, পেরেশানী, ইয়াক্বীন, বিশ্বস্ততা, ঐশ্বর্য ও দৃঢ়তা এবং হুসনে খুলুক বা উত্তম চরিত্র। প্রত্যেক দরবেশ বা ফকিরের মধ্যে যদি এই সমস্ত ছিফত বা গুণাবলী পাওয়া যায় তবে তাঁকেই কামিল ফকির বলে সাব্যস্ত করা হবে। আর যার মধ্যে এই সমস্ত গুণাবলী পাওয়া যাবে না তাকে ফকির বা দরবেশ বলার কোন যৌক্তিকতা নেই।         হযরত শায়খ জামাল রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর মাযার মুবারক হাঁসীতে অবস্থিত। তাঁর সাথে তাঁর আরো তিন সন্তানের কবরও ঐ একই গম্বুজের নিচে রয়েছে। তিনি সেখানে শান্তিতে (চিরনিদ্রায়) শায়িত আছেন। বর্ণিত রয়েছে, “তাঁর ওফাতের পর লোকজন তাঁকে স্বপ্নে দেখে পরকালে তাঁর হালতের কথা জিজ্ঞেস করলো? তখন তিনি বললেন, আমাকে কবরে দাফন করার পরই আযাবের দু’জন ফেরেশ্তা আমার নিকট এলো এবং সাথে সাথে দু’জন রহমতের ফেরেশ্তাও ছুটে এলো এবং বললো, আমরা তাঁকে ক্ষমা করে দিয়েছি।

কারণ হলো, তিনি মাগরিব নামাযের পর দু’রাকায়াত নামায পড়তেন। যার মধ্যে সূরা ফাতিহার পর সূরা বুরুজ এবং সূরা ত্বারীক পড়তেন এবং প্রত্যেক ফরয নামাযের পর আয়াতুল কুরসী পাঠ করতেন। হযরত শায়খ বুরহানুদ্দীন ছূফী রহমতুল্লাহি আলাইহি জন্মঃ ৬৪১, ওফাতঃ ৭১৩ হযরত শায়খ বুরহানুদ্দীন রহমতুল্লাহি আলাইহি হযরত শায়খ জামালুদ্দীন রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর ফরজন্দ ছিলেন। তিনি তাঁর স্বীয় সম্মানিত পিতার বেসাল শরীফের সময় অল্প বয়সের ছিলেন। হযরত শায়খ জামালুদ্দীন হাঁসুবী রহমতুল্লাহি আলাইহি যখন তাঁকে হযরত বাবা ফরিদুদ্দীন মাসউদ গন্জে শোকর রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর খিদমতে নিয়ে গেলেন তখন তিনি তাঁর উপর (অত্যন্ত) মেহেরবাণীর দৃষ্টি নিক্ষেপ করলেন এবং তাঁকে খিলাফতনামা, জায়নামায, লাঠি মুবারক এবং আরো ঐ সমস্ত (বরকতময়) তাবাররুক যা তাঁর পিতাকেও দেয়া হয়েছিল তাঁকেও তা দেয়া হলো। তাঁর প্রতি বাবা ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি নির্দেশ দিলেন তিনি যাতে মাহবুবে ইলাহী হযরত নিযামুদ্দীন আউলিয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর থেকেও ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ্ হাছিল করেন। এজন্য তিনি প্রতি বছর হযরত নিযামুদ্দীন আউলিয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর মজলিসে হাজির হতেন এবং তা’লীম-তরবীয়ত নিতেন। মাহবুবে সুবহানী হযরত নিযামুদ্দীন আউলিয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি স্বীয় জীবনের শেষ দিকে (একমাত্র) হযরত বুরহানুদ্দীন রহমতুল্লাহি আলাইহি ব্যতীত আর কাউকে মুরীদ করেননি।

বিশ্ব সমাদৃত, হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণ উনাদের অনুপম মুবারক চরিত গ্রন্থ আখবারুল আখইয়ার

বিশ্ব সমাদৃত,হযরত আউলিয়া-ই-কিরাম রহমতুল্লাহি  আলাইহিমগণের অনুপম মুবারক চরিত গ্রন্থ আখবারুল আখইয়ার

বিশ্ব সমাদৃত,হযরত আউলিয়া-ই-কিরাম রহমতুল্লাহি  আলাইহিমগণের অনুপম মুবারক চরিত গ্রন্থ আখ্বারুল আখইয়ার (৭৮)

বিশ্ব সমাদৃত,হযরত আউলিয়া-ই-কিরাম রহমতুল্লাহি  আলাইহিমগণের অনুপম মুবারক চরিত গ্রন্থ আখ্বারুল আখইয়ার (৭৯) হযরত শায়খ আবুল ফাতাহ রুকনুদ্দীন রহমতুল্লাহি আলাইহি

আখবারুল আখইয়ার-৮০