বিশ্ব সমাদৃত,হযরত আউলিয়া-ই-কিরাম রহমতুল্লাহি  আলাইহিমগণের অনুপম মুবারক চরিত গ্রন্থ আখবারুল আখইয়ার- (৮৪)

সংখ্যা: ১২১তম সংখ্যা | বিভাগ:

মূলঃ হযরত শায়খ আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহ্লভী রহমতুল্লাহি আলাইহি,

ভাষান্তরঃ মুহম্মদ শামসুল আলম  (ধারাবাহিক)

হযরত শায়খ ছাবির রহমতুল্লাহি আলাইহি জন্মঃ ৬০৮ হিজরী, ওফাত ৬৭৯ হিজরী   ‘সিয়ারুল আউলিয়া’ কিতাবে হযরত শায়খ আলী ছাবির রহ্মতুল্লাহি আলাইহি সম্পর্কে কোন বর্ননা নেই। বরং ঐ কিতাবে হযরত শায়খ ছাবির রহ্মতুল্লাহি আলাইহি সম্পর্কে আলোচনা ছিল। (পরবর্তীতে) ‘সিয়ারুল আউলিয়া’  কিতাব থেকে তাঁর প্রসঙ্গ উঠিয়ে দেয়াটা আশ্চর্য হওয়া থেকে খালি নয়। এটা হতে পারে যে, হযরত শায়খ ছাবির রহ্মতুল্লাহি আলাইহি দ্বারা হযরত শায়খ আলী ছাবির রহ্মতুল্লাহি আলাইহিকেই বুঝানো হয়েছে। আল্লাহ্ পাক রব্বুল ইজ্জতই এ সম্পর্কে অধিক জ্ঞাত।  হযরত শায়খ নাছিরুদ্দীন রহ্মতুল্লাহি আলাইহি  জন্মঃ ৬১৪ হিজরী, ওফাত ৬৭২ হিজরী হযরত শায়খ নাছিরুদ্দীন রহ্মতুল্লাহি আলাইহি হযরত বাবা ফরিদুদ্দীন মাসউদ গন্জে শোকর রহ্মতুল্লাহি আলাইহি-এর বড় ছাহেবজাদা। তিনি সবসময় আল্লাহ তায়ালার ইবাদত-বন্দিগীতে মশগুল থাকতেন। চাষাবাদ বা কৃষিকার্য্য করে তিনি হালাল রুজী উপার্জন করতেন। তিনি অল্পে তুষ্টির মধ্যেই সন্তুষ্ট ছিলেন এবং সমস্ত জীবনব্যাপী আহ্কামে শরীয়তের উপর পাবন্দ ছিলেন। আল্লাহ পাক তাঁর প্রতি রহম করুন।  হযরত মাওলানা শিহাবুদ্দীন  রহ্মতুল্লাহি আলাইহি হযরত মাওলানা শিহাবুদ্দীন রহমতুল্লাহি আলাইহি হযরত বাবা ফরিদুদ্দীন মাসউদ গন্জে শোকর রহ্মতুল্লাহি আলাইহি-এর থেকে সকল প্রকার জাহিরী-বাতিনী ইল্ম, মাকামাত, মর্যাদা হাছিল করেছেন। অধিকাংশ সময় তিনি আপন শায়খের দরবারে উপস্থিত থাকতেন। মাহবুবে ইলাহী হযরত নিজামুদ্দীন আউলিয়া রহ্মতুল্লাহি আলাইহি থেকে বর্ণিত আছে যে, আমার এবং হযরত মাওলানা শিহাবুদ্দীন রহ্মতুল্লাহি আলাইহি-এর মধ্যে যারপর নেই সম্পর্ক বিদ্যমান ছিল।  একদা আমি হযরত বাবা ছাহেব রহ্মতুল্লাহি আলাইহি-এর নিকট ‘আওয়ারিফুল মাআরিফ’ কিতাবের একখণ্ড নুসখা দেখতে পেলাম। যেটা কিনা অধিকাংশ সময় তিনি তাঁর মুতায়ালার জন্য রেখেছিলেন। কিতাবটি (অত্যন্ত) হালকা, চিকন, সুক্ষ্ম হরফ দ্বারা লিখিত ছিল। কিতাবের মধ্যে ভুলও ছিল। যার দরুণ শায়খ ঐ কিতাব পড়তে পড়তে অনেক সময় থেমে যেতেন। আমি যেহেতু ইতিপূর্বে এ কিতাবটির একটি ভাল নুসখা হযরত শায়খ নাজমুদ্দীন মুতাওয়াক্কিল রহ্মতুল্লাহি আলাইহি-এর নিকট দেখেছি সেহেতু হযরত শায়খ রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর নিকট এ (অশুদ্ধ) নুসখাটি দেখার সাথে আমার হযরত নাজমুদ্দীন মুতাওয়াক্কিল রহ্মতুল্লাহি আলাইহি-এর নিকট বিশুদ্ধ ‘আওয়ারিফুল মাআরিফ’ কিতাবটির নুসখার কথা মনে পড়লো। এবং আমি তাঁকে বললাম, হযরত! নাজমুদ্দীন মুতাওয়াক্কিল রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর নিকট এই কিতাবের একটি বিশুদ্ধ নুসখা রয়েছে। হযরত শায়খ রহমতুল্লাহি আলাইহি আমার এ কথায় অসন্তুষ্ট হলেন এবং রাগতস্বরে বললেন, ‘দরবেশগণের কি এ ক্ষমতা নেই যে, তাঁরা শুদ্ধ এবং ভুলের মধ্যে পার্থক্য নির্ধারণ করতে পারবেন না।’ আমি তো  প্রথমে  বুঝতেই পারিনি যে, তিনি কোন প্রসঙ্গে এ কথা বলছেন? কিন্তু পরে বুঝতে পারলাম তাঁর এই কথাটি আমাকেই উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছে। তখন আমি সাথে সাথে দাঁড়িয়ে গেলাম এবং মাথার থেকে পাগড়ী খুলে শায়খের কদমে পড়ে গেলাম এবং আরজ করলাম ‘মাআযাল্লাহ্’ আমার ভুলের জন্য আল্লাহ্ পাক-এর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি।  আমার উদ্দেশ্য ছিল, আমি যে  নুসখাটি দেখেছিলাম সেটা আমার মনে পড়ে গেলো আর এই জন্যই আমি এ আরজ পেশ করেছিলাম। (এরপর) হযরত মাহবুবে ইলাহী রহ্মতুল্লাহি আলাইহি বলেন, আমি (এ ঘটনার পর) যথাসাধ্য চেষ্টা করলাম যাতে আমার শায়খ কোন অবস্থাতেই যেন আমর উপর নাখোশ না হন। কিন্তু আমার এই কোশেশ বৃৃথাই রয়ে গেলো। হযরত শায়খ রহমতুল্লাহি নারাজ এবং অসন্তুষ্ট হয়ে থাকলেন। এরপর আমি তাঁর মজলিস থেকে হয়রানী-পেরেশানী অবস্থার হালত নিয়ে বেরিয়ে আসলাম। সেদিন আমার যতটুকু কষ্ট, দুঃখ, পেরেশানী হয়েছিল আল্লাহ পাক না করুন! কারো যাতে আমার মত এ ধরণের অবস্থার সুম্মুখীন হতে না হয়। (অসমাপ্ত)

বিশ্ব সমাদৃত, হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণ উনাদের অনুপম মুবারক চরিত গ্রন্থ আখবারুল আখইয়ার

বিশ্ব সমাদৃত,হযরত আউলিয়া-ই-কিরাম রহমতুল্লাহি  আলাইহিমগণের অনুপম মুবারক চরিত গ্রন্থ আখবারুল আখইয়ার

বিশ্ব সমাদৃত,হযরত আউলিয়া-ই-কিরাম রহমতুল্লাহি  আলাইহিমগণের অনুপম মুবারক চরিত গ্রন্থ আখ্বারুল আখইয়ার (৭৮)

বিশ্ব সমাদৃত,হযরত আউলিয়া-ই-কিরাম রহমতুল্লাহি  আলাইহিমগণের অনুপম মুবারক চরিত গ্রন্থ আখ্বারুল আখইয়ার (৭৯) হযরত শায়খ আবুল ফাতাহ রুকনুদ্দীন রহমতুল্লাহি আলাইহি

আখবারুল আখইয়ার-৮০