বিশ্ব সমাদৃত, হযরত আউলিয়া-ই-কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণের অনুপম মুবারক চরিত গ্রন্থ আখবারুল আখইয়ার-৯১ 

সংখ্যা: ১৩১তম সংখ্যা | বিভাগ:

মুলঃ হযরত শায়খ আবউদল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি,

ভাষান্তরঃ মুহম্মদ শামসূল আলম   হযরত খাজা হাসান আফগান রহমতুল্লাহি আলাইহি জন্মঃ ৬০২ হিজরী, ওফাতঃ ৬৮৯ হিজরী একবারের ঘটনাঃ একদা হযরত খাজা আফগান রহমতুল্লাহি আলাইহি কোন এক গলির মধ্যে দিয়ে মসজিদের মধ্যে যাচ্ছিলেন। তখন জামায়াতের সময় হয়ে গিয়েছিলো। মুয়াজ্জিন তাকবীরে উলা পড়ার সাথে সাথে ইমাম ছাহেব মুসাল্লার সামনে এগিয়ে গেলেন। নামায শুরু হলো। হযরত শায়খ রহমতুল্লাহি আলাইহিও ঐ জামাতে ছিলেন। নামায শেষ হওয়ার পর যখন সকল মুছল্লী চলে গেলো তখন খাজা ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি ইমাম ছাহেবের সামনে গিয়ে বললেন, ইমাম ছাহেব! (আজকের নামাযে) আমিও আপনার ইক্তিদা করেছি। নামাযে দাঁড়ানোর পর আপনি দিল্লী (গাফলতির কারণে) চলে গেলেন আমিও আপনার সাথে দিল্লী পর্যন্ত পৌঁছলাম। এরপর সেখান থেকে গোলাম খরীদ করে মুলতান শহরে গেলেন। আর আমিও আপনার সাথে হয়রান ও পেরেশানীর মধ্যে দিয়ে মুলতান পর্যন্ত গেলাম। এখন বলুন, ‘এর পরের অবস্থাটা কি?’ হযরত খাজা ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি মূলতঃ নামাযে দাঁড়িয়ে কাশফের মাধ্যমে ইমাম ছাহেবের আত্মিক অবস্থা অবলোকন করেছেন। (যাহিরীভাবে তিনি ইমামের সাথে কোন সফরই করেননি) হযরত শায়খ তকিউদ্দীন মাহমুদ রহমতুল্লাহি আলাইহি জন্মঃ ৬১৯ হিজরী, ওফাতঃ ৬৯৯ হিজরী   হযরত শায়খ তকিউদ্দীন মাহমুদ রহমতুল্লাহি আলাইহি সম্পর্কে হযরত নিযামুদ্দীন আউলিয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, হযরত শায়খ তকিউদ্দীন রহমতুল্লাহি আলাইহি ছাহেবে হাল সম্পন্ন বুযূর্গ ছিলেন। সব সময় মুরাকাবা-মুশাহিদা এবং যিকির-ফিকিরে মশগুল থাকতেন। হালের কারণে অনেক সময় তাঁর এতটুকু পর্যন্ত খবর থাকত না যে, আজ বৎসরের কোন দিন, কোন মাস।

একদিনের ঘটনাঃ এক ব্যক্তি তাঁর নিকট একটি কাগজের টুকরো নিয়ে আসলো এবং হযরত শায়খ রহমতুল্লাহি আলাইহিকে আরজ করলো, ‘উক্ত কাগজের টুকরোটিতে যাতে হযরত শায়খ রহমতুল্লাহি আলাইহি তাঁর নাম মুবারক লিখে দেন।’ তখন তিনি উক্ত ব্যক্তি থেকে কাগজের টুকরোটি নিলেন এবং লিখার জন্য কলমও উঠালেন। কিন্তু হালের কারণে তিনি তাঁর নাম মুবারক পর্যন্ত ভুলে গেলেন। খাদেম হযরত শায়খ রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর এই অবস্থা উপলব্ধি করলেন। খাদেম সাথে সাথে বলে উঠলেন, ‘হুযূর (আঁকার) নাম মুবারক হচ্ছে মাহমুদ।’ অতঃপর শায়খ কাগজের টুকরোটিতে তাঁর নাম মুবারক ‘মাহমুদ’ লিখলেন।      এইভাবে একদিন তিনি জুমুয়ার নামায আদায় করার জন্য যাচ্ছিলেন। যখন জামে মসজিদের দরজা পর্যন্ত পৌঁছলেন তখন হালে গরক হয়ে সেখানেই দাঁড়িয়ে রইলেন। খাদেম অনুমান করে নিলেন হয়তো হযরত শায়খ রহমতুল্লাহি আলাইহি মসজিদের মধ্যে তাঁর যে পা মুবারক রাখতে যাচ্ছিলেন তা কি ডান পা, না বাম পা ছিলো এটা বুঝতে পারেননি বিধায় তার মধ্যে হাল প্রবল হয়ে যায় এবং তিনি এ জন্যেই মসজিদের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে পড়েন। অতঃপর খাদেম তাঁর হাত হযরত শায়খ রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর ডান পা মুবারকে রাখলেন এবং আরজ করলেন, এটা আপনার ডান পা মুবারক।  খাদেমের কথায় শায়খ আশ্বস্ত হলেন এবং মসজিদের মধ্যে ডান পা মুবারক রাখলেন। হযরত শায়খ বুরহানুদ্দীন নাসাফী রহমতুল্লাহি আলাইহি

হযরত শায়খ বুরহানুদ্দীন নাসাফী রহমতুল্লাহি আলাইহি সম্পর্কে ‘ফাওয়ায়েদুল ফাওয়াদ’-এর মুছান্নিফ বলেন, হযরত শায়খ বুরহানুদ্দীন নাসাফী রহমতুল্লাহি আলাইহি এক দানিশ মান্দ ছাহেবে হাল সম্পন্ন ওলী ছিলেন। যখন তাঁর নিকট কেউ ইল্ম তলবের জন্য আসতেন তখন তিনি প্রার্থিত ব্যক্তির নিকট তিনটি শর্ত জুড়ে দিতেন। অতঃপর তাকে তা’লীম দিতেন।

বিশ্ব সমাদৃত, হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণের অনুপম মুবারক চরিত গ্রস্থ আখবারুল আখইয়ার- (৯০)

বিশ্ব সমাদৃত, হযরত আউলিয়া-ই-কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণের অনুপম মুবারক চরিত গ্রন্থ আখবারুল আখইয়ার-৯২  মুলঃ হযরত শায়খ আবউদল হক মুহাদ্দিসে দেহলবী রহমতুল্লাহি আলাইহি,

 বিশ্ব সমাদৃত, হযরত আউলিয়া-ই-কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণের অনুপম মুবারক চরিত গ্রন্থ আখবারুল আখইয়ার-৮৮ 

বিশ্ব সমাদৃত, হযরত আউলিয়া-ই-কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণের অনুপম মুবারক চরিত গ্রন্থ আখবারুল আখইয়ার-৯৪ 

 বিশ্ব সমাদৃত, হযরত আউলিয়া-ই-কিরাম রহমতুল্লাহি  আলাইহিমগণের অনুপম মুবারক চরিত গ্রন্থ আখবারুল আখইয়ার- (৯৫)