মূল: হযরত শায়খ আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি,
ষান্তর: মুহম্মদ শামসুল আলম
হযরত খাজা আলী রহমতুল্লাহি আলাইহি জন্মঃ ৭৬২ হিজরী, ওফাতঃ ৮৪০ হিজরী হযরত খাজা আলী রহমতুল্লাহি আলাইহি হযরত শায়খ জালালুদ্দীন তাবরীযী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর মুরীদ ছিলেন। তিনি তাঁর থেকে তরবিয়ত (বাতিনী নিয়ামত) লাভ করেন। তাঁর অনেক কারামত প্রকাশিত হয়েছে। হিকায়েতঃ হযরত খাজা নিযামুদ্দীন আউলিয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর যখন ধারাবাহিকভাবে ইলমে জাহির হাছিল করা শেষ হলো তখন তাঁর সম্মানিত পিতা সেই শহরের প্রসিদ্ধ মাশায়িখগণকে দাওয়াত দিলেন এবং পাগড়ী হাতে নিয়ে (মাথায় বাঁধার উপযুক্ত করে) ভাঁজ করে হযরত খাজা নিযামুদ্দীন রহমতুল্লাহি আলাইহিকে দিলেন। যা তিনি স্বীয় হাতে নিয়ে ঘরের বাইরে উলামা ও মাশায়িখগণের মজলিসে হাজির হলেন এবং শায়খ হযরত আলী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর হাত মুবারকে দিলেন। তিনি পাগড়ীর এক মাথা স্বীয় হাতে ও অপর মাথা হযরত নিযামুদ্দীন আউলিয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর মাথার উপরে রেখে দস্তরবন্দী করলেন। অতঃপর হযরত খাজা নিযামুদ্দীন রহমতুল্লাহি আলাইহি হযরত শায়খ আলী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর সামনে স্বীয় মাথা মুবারক ঝুকিয়ে দিলেন। তখন শায়খ আলী রহমতুল্লাহি আলাইহি তাঁকে অনেক দোয়া করলেন এবং বললেন, মহান আল্লাহ পাক আপনাকে হক্কানী আলিমে দ্বীন করুন এবং চুড়ান্ত মর্যাদায় উপণিত করুন। হযরত শায়খ আলী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর সুলূক ও হিদায়েতের বর্ণনা হযরত জালালুদ্দীন তাবরীযী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর সীরত ও হালতের মধ্যে লিখিত হয়েছে। হযরত শায়খ তাবরীযী রহমতুল্লাহি আলাইহি বেছাল হওয়ার সময় বলেছিলেন যে, হে হযরত খাজা আলী রহমতুল্লাহি আলাইহি! বাদায়ূনের লোকদেরকে আমি আপনার নিকট সোপর্দ করলাম। ‘খইরুল মজলিস’ কিতাবের মধ্যে হযরত শায়খ নাছিরুদ্দীন চেরাগে দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকেঞ্জ বর্ণিত রয়েছে যে, বাদায়ূন শহরে দু’জন ‘আলী মাওলা’ (উচ্চ মর্যাদা সম্পন্ন বুযূর্গ) ছিলেন। একজন ছোট আলী মাওলা অপরজন ‘বড় আলী মাওলা।’ হযরত খাজা আলী রহমতুল্লাহি আলাইহি যিনি শায়খ তাবরীযী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর মুরীদ ছিলেন এবং যাকে হযরত খাজা নিযামুদ্দীন আউলিয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর দস্তরবন্দীর জন্য আহবান করা হয়েছিল। তিনি বাদায়ূনের সেই বড় আলী মাওলা হিসেবে মাশহুর। তিনি আল্লাহ পাক-এর বিশ্বস্ত ওলী ছিলেন। অসামান্য খ্যাতি এবং সাধারণ মানুষের নিকট তিনি কবুল ও গ্রহণযোগ্য হয়ে আছেন। হযরত শায়খ নাছিরুদ্দীন চেরাগে দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি বর্ণনা করেছেন যে, হযরত খাজা আলী রহমতুল্লাহি আলাইহি কোন লেখাপড়া করেননি। শুধুমাত্র পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করতেন এবং অত্যন্ত সত্যবাদী ছিলেন। সে সময় সমসাময়িক সমস্ত মাশায়িখগণ এবং অন্যান্য লোক তাঁর থেকে খায়ের-বরকত হাছিল করতো এবং তাঁর ছোহবত ও যিয়ারত হাছিলের জন্য তাঁর দরবার শরীফে যাতায়াত করতো। তিনি যে আল্লাহ পাক-এর মকবুল ওলী, তাঁর মধ্যে এমন সব গুণাবলী প্রাধান্য পেয়েছিল যে, প্রত্যেক দর্শণপ্রার্থী ব্যক্তিই তাঁকে দেখামাত্র সাথে সাথে বলে উঠতো, ইনি হচ্ছেন আল্লাহ পাক-এর ওলী এবং আল্লাহ পাক পর্যন্ত (যথার্থই) পৌঁছেছেন। আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তাঁর প্রশস্ত ও অফুরন্ত রহমত তাঁর প্রতি নাযিল করুন। হযরত খাজা হাসান আফগান রহমতুল্লাহি আলাইহি জন্মঃ ৬০২ হিজরী, ওফাতঃ ৬৮৯ হিজরী হযরত খাজা আফগান রহমতুল্লাহি আলাইহি হযরত বাহাউদ্দীন যাকারিয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর মুরীদ ছিলেন। হযরত খাজা নিযামুদ্দীন আউলিয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি তাঁর শানে বর্ণনা করেছেন যে, হযরত খাজা হাসান আফগান রহমতুল্লাহি আলাইহি উচ্চ মর্যাদা সম্পন্ন বুযূর্গ ও ওলীআল্লাহ ছিলেন। (অসমাপ্ত)
বিশ্ব সমাদৃত, হযরত আউলিয়া-ই-কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণের অনুপম মুবারক চরিত গ্রন্থ আখবারুল আখইয়ার-৯১
বিশ্ব সমাদৃত, হযরত আউলিয়া-ই-কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণের অনুপম মুবারক চরিত গ্রন্থ আখবারুল আখইয়ার-৮৮
বিশ্ব সমাদৃত, হযরত আউলিয়া-ই-কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণের অনুপম মুবারক চরিত গ্রন্থ আখবারুল আখইয়ার-৯৪