বিশ্ব সমাদৃত, হযরত আউলিয়া-ই-কিরাম রহমতুল্লাহি  আলাইহিমগণের অনুপম মুবারক চরিত গ্রন্থ  আখবারুল আখইয়ার- (৮৭)

সংখ্যা: ১২৭তম সংখ্যা | বিভাগ:

মূলঃ হযরত শায়খ আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহ্লভী রহমতুল্লাহি আলাইহি,

ভাষান্তরঃ মুহম্মদ শামসুল আলম

(পূর্ব প্রকাশিতের পর)

হযরত শায়খ আবূ বকর তুসী হায়দারী রহমতুল্লাহি আলাইহি জন্মঃ ৫৬৮ হিজরী, ওফাতঃ ৬৩৯ হিজরী এতটুকু শোনার পরই তিনি ঐ সময় মাওলানা হিসামুদ্দীন রহমতুল্লাহি আলাইহিকে শায়খ  আবূ বকর  তুসী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর নিকট পাঠিয়ে দিলেন এই সংবাদ দিয়ে যাতে মাওলানা ছাহেব হযরত আবূ বকর তুসী রহমতুল্লাহি আলাইহিকে বলেন যে, পিছনে তিনিও হজ্জের জন্য আসছেন। এবং এই রুবাই হযরত শায়খ আবূ বকর তুসী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর নামে লিখে দিলেন।

 উদূ লেখা ঢুকবে…………………………………………

 অর্থঃ- “আমার মস্তক যদি আপনার পদতলে কুরবান হয়ে যায় তবে সেটাই উত্তম। এক মস্তক কেন বরং হাজার মস্তকও যদি কুরবান হয় তবে তাও আফযল হবে।”  হযরত  আবূ বকর ছিদ্দীক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুর জন্য যেমন গার (ছওর গুহা) নিজের শান্তির আবাস স্থলে পরিণত হয়েছিল। তখনই নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর পরম বন্ধু, সাথী হযরত ছিদ্দীকে আকবর-এর ন্যায় গারই (গুহা) আমার জন্য যথেষ্ট।” হযরত শায়খ আবূ বকর তুসী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর মাযার শরীফ দিল্লীর যমুনা নদীর তীরবর্তী তাঁর খানকা শরীফের মধ্যেই; যা সাধারণ ও বিশেষ লোকদের যিয়ারতগাহ হিসেবে পরিচিত হয়ে আছে। হযরত শায়খ ফরিদুদ্দীন নাগোরী  রহমতুল্লাহি আলাইহি জন্মঃ ৬৩৯,  ওফাতঃ ৭১৯ হযরত শায়খ ফরিদুদ্দীন নাগোরী সুলতানুত্ তারিকীন শায়খ হামিদুদ্দীন ছূফী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর নাতি, মুরীদ, খলীফা এবং জানাশীন ছিলেন। হযরত শায়খ ফরিদুদ্দীন নাগোরী রহমতুল্লাহি আলাইহি স্বীয় (কামিল বুযূর্গ) দাদা হযরত হামিদুদ্দীন ছূফী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর তত্ত্বাবধানে থেকে লালন-পালন ও রূহানী তরবিয়ত লাভ করেছেন। তিনি তাঁর ‘মালফুজাত সুরুরুছ ছুদুর’ একত্রিত করেছেন। সুলতান মুহম্মদ তুঘলক বাদশাহ্র যামানায় তিনি নাগোর থেকে দিল্লী এসেছেন। হযরত কুতুবুদ্দীন বখতিয়ার কাকী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর মাযারের সামনের রাস্তার পরিধির পূর্ব দিকে পুরানা দিল্লীর মধ্যে তাঁর মাযার মুকাদ্দাস অবস্থিত এবং তিনি থাকতেনও ওখানেই। ঐ জায়গায় চাক্কির (মত) একটি পাথর আছে। মানুষের মধ্যে এ ধরনের একটি কথা মশহুর হয়ে আছে যে, তিনি মাস্ত এর হালতে ঐ চাক্কির মত পাথরটি গলায় ঝুলিয়ে রেখেছিলেন এবং গলা ঝুলানো অবস্থায়ই পাথরটি তিনি নাগোর থেকে দিল্লী এনেছেন। আল্লাহ পাকই  ভাল জানেন। হযরত শায়খ আব্দুল আযীয রহমতুল্লাহি আলাইহি জন্মঃ ৭৯৮ হিজরী, ওফাত ৮৬১ হিজরী হযরত শায়খ আব্দুল আযীয রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর মুহতারাম পিতার  নাম ছিল শায়খ হযরত হামিদুদ্দীন রহমতুল্লাহি আলাইহি। তাঁর ওফাত যৌবনকালেই হয়েছিল যখন তিনি সামা শ্রবণ করতে ছিলেন। ঘটনা এই যে, এক রাত্রিতে কোন এক ছূফী ছাহেবের হুজরাতে সামার মজলিস চলছিল। ঐ মজলিসে ক্বাছীদা পাঠক এই শে’র পড়ছিলেন,

উদূ লেখা ঢুকবে………………………………………….

অর্থঃ- “জান কুরবান কর, জান কুরবান কর, জান কুরবান কর; অতিরিক্ত কথা বলার মধ্যে কি ফায়দা রয়েছে?” এই শে’র শোনার পরই হযরত শায়খ রহমতুল্লাহি আলাইহি (হালের মধ্যে) এক চিৎকার মেরে উঠেন এবং বলেন, কুরবান হয়ে গিয়েছি, কুরবান হয়ে গিয়েছি, কুরবান হয়ে গিয়েছি। অতঃপর সাথে সাথে  তিনি তাঁর মাশুকে মাওলার নিকট নিজের জান (আত্মা) সোপর্দ করে দিলেন।য (অসমাপ্ত)

 বিশ্ব সমাদৃত, হযরত আউলিয়া-ই-কিরাম রহমতুল্লাহি  আলাইহিমগণের অনুপম মুবারক চরিত গ্রন্থ আখবারুল আখইয়ার- (৮৬)

বিশ্ব সমাদৃত, হযরত আউলিয়া-ই-কিরাম রহমতুল্লাহি  আলাইহিমগণের অনুপম মুবারক চরিত গ্রন্থ  আখবারুল আখইয়ার- (৮৭)

  বিশ্ব সমাদৃত, হযরত আউলিয়া-ই-কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণের অনুপম মুবারক চরিত গ্রন্থ আখবারুল আখইয়ার-৮৮

বিশ্ব সমাদৃত, হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণের অনুপম মুবারক চরিত গ্রস্থ আখবারুল আখইয়ার- (৮৮) মূলত: হযরত শায়খ আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি,

বিশ্ব সমাদৃত, হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণের অনুপম মুবারক চরিত গ্রস্থ আখবারুল আখইয়ার- (৯০)